Wednesday, February 3, 2016

খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ

sasthobarta protidin
খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ
মেধা বিকাশে দরকার বুদ্ধির সঠিক চর্চা। শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিমত্তায় সেরা করে তুলতে চেষ্টা করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়াটাও তাই সবচেয়ে জরুরি। সব শিশু আবার বই খাতা নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহী হয় না। তাদের আগ্রহ থাকে নানা রকম খেলার প্রতি। সেই খেলাও হতে পারে শিশুর মেধা বিকাশের রাস্তা। এমনই কিছু খেলা যেমন- দাবা ও সুডোকু বুদ্ধিমানের খেলা হিসেবে বিবেচিত। আমেরিকান একদল বিজ্ঞানী দাবা এবং সুডোকু খেলাকে ব্রেন গেম বলে আখ্যায়িত করেছেন। এসব খেলার ছলে শিশুর মেধাবিকাশে কিভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তা জেনে নেয়া যাক।

পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি

মস্তিষ্ক পেশীর মতো কাজ করে। তাই মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। দাবা বা সুডোকু খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভালো ব্যায়াম হওয়া সম্ভব। এসব খেলায় অতিরিক্ত মনোযোগী হওয়ার অভ্যাস শিশুর পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।

দূরদর্শিতা বাড়ে

এই খেলার মাধ্যমে শিশুরা পরিকল্পনা আর দূরদর্শিতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। ভেনিজুয়েলার আট হাজার শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে দাবা খেলে এমন ছেলে মেয়েরা চার মাসের মধ্যে আই কিউ স্কোর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।

সজাগ দৃষ্টি

অপর পক্ষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে দাবা খেলায় প্রতিপক্ষের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। খেলায় নিজেকে জেতাতে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। দাবা খেলা দৃষ্টি সজাগ রাখার সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

সৃজনশীলতা বাড়ে

মস্তিষ্কের ডান দিক আচরণে সৃজনশীলতা বাড়াতে কাজ করে। মস্তিষ্কের এই অংশের কার্যক্ষমতা বাড়াতে দাবা খেলা খুবাই উপকারী। এসব খেলা চিন্তা ভাবনায় মৌলিকত্ব আনে, মেজাজ স্বাভাবিক রাখে, অঙ্গীকার পূরণে মানসিকতা গড়ে তোলে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে

অপর পক্ষের ত্রুটি বিচ্যুতি মনে রেখে এগিয়ে চলা এবং সুডোকু খেলায় সুক্ষ্ম চাল মনে রেখে এগিয়ে চলার অভ্যাস স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। আর তাই লেখাপড়া বা অন্য যেকোনো জিনিস সহজে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সমাধানের ক্ষমতা

শিশুকে যেকোনো সমস্যা সমাধানের চটপটে করে তোলে। কোনো প্রয়োজনে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে যেমন খেলাগুলো জয় লাভ করে, তেমনি পড়াশুনা, আচার ব্যবহারেও কোনো সমস্যায় পড়লে তার সমাধান বের করতে শিশু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়।

বিচার বুদ্ধি

সঠিক নির্বাচন ক্ষমতা বাড়ে। কি গ্রহণ করবে কি করবে না- এমন পশ্নের মুখোমুখি হলে সুকোডু বা দাবা খেলা শিশুরা সহজভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মেজাজ ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেয়াটা তাদের কাছে কোনো ব্যপার না।

শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা

sasthobarta protidin
শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা
সোনামণিটা মুখে মুখে শিখে গেছে অনেক পড়া। এবার লেখার পালা। খাতা কলম হাতে নিয়ে বসে যা লিখছে, তা দেখে আপনি রীতিমতো হতবাক। অক্ষর গুলো একেকটা একেক রকম। হাতের লেখার কারণে ক্লাস পরীক্ষাতেও খারাপ ফল হচ্ছে। দুয়েকটা ক্লাস পার হয়ে গেলেও কোনো ভাবেই তার হাতের লেখা সুন্দর হচ্ছে না। শুধু শিশু নয় উপরের ক্লাসের অনেকেরই হাতের লেখা খুবই অসুন্দর হয়। হাতের লেখা অসুন্দর হওয়াটায় এখন আপনার চিন্তার বিষয়। এমন চিন্তা দূর করতে প্রয়োগ করতে পারেন কিছু উপকারী কৌশল। আসুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে আপনার শিশুর হাতেও মুক্তঝরা লেখা হতে পারে।

- সোনামণির খাতায় প্রথমত এক লাইন সুন্দর করে অক্ষর লিখে দিতে হবে। ওটা দেখে লাইন ধরে লেখার অভ্যাস করবে।

- প্রত্যেকটি অক্ষরের স্টাইল কেমন হবে তা আপনিই ঠিক করে দিন। শিশু সেটা দেখেই রপ্ত করবে। বড়রাও পছন্দের কোনো লেখা দেখে প্রতিটি অক্ষরের স্টাইল ঠিক করে নিতে পারেন। এতে লেখা সুন্দর হবে।

- এক প্যারা থেকে আরেক প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখার অভ্যাস করাতে হবে। এতে লেখা ভালো দেখায়।

- বায়ে এবং ওপরে সোয়া এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখলে হাতের লেখা সুন্দর দেখায়।

- বাচ্চাদের খাতার পুরো লাইন ভরে লেখানো উচিৎ।

- প্রতিটি বর্ণ যেন সমান হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

- বাচ্চাদের লেখার সময় কলম বা পেন্সিল ধরাটা ঠিকভাবে শেখাতে হবে। পেন্সিলের শিষ থেকে এক ইঞ্চি দূরত্বে ধরলে লেখা ভালো হবে।

- সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে লিখলে লেখা সুন্দর হয়।

- প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ণগুলো সোজা করে লিখতে হবে।

- তিনকোনা বর্ণগুলো সবচেয়ে সোজা। আগে সে অক্ষরগুলো থেকে লেখা অনুশীলন শুরু করতে পারে। যেমন-ব,ক।

- খাতায় বর্ণে আকারে ফোঁটা দিয়ে দিন। শিশুকে তার উপর হাত ঘুরিয়ে বর্ণ লেখা অনুসরণ করান। তাহলে তার জন্য বেশি সহজ হবে।

- সবার আগে প্রয়োজন শিশুকে অক্ষর চেনানো। অক্ষর না চিনলে সে লিখতে পারবে না। সঙ্গে সঙ্গে কোন অক্ষরে মাত্রা নেই, কোনটাতে অর্ধমাত্রা সেটিও মুখস্থ করিয়ে দিন।

- কোন বর্ণে মাত্রা আছে, কোনটায় অর্ধমাত্রা ইত্যাদি ভালোমতো জেনে সে অনুযায়ী অনুশীলন করাতে হবে। লেখা আপনিতেই সুন্দর হবে।

- সাদা খাতায় শিশুকে উপর থেকে নিচে লাইন টানতে দিন। এতে শিশুর খাতার দিকে মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। এ ছাড়া সুন্দর একটি অক্ষর লিখে তার ওপর শিশুকে হাত ধরে ঘুরিয়ে লেখালেও অক্ষরের আকার সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয়।

Tuesday, February 2, 2016

ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার

sasthobarta protidin
ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার
খাবার থেকে যে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। দূষিত, নষ্ট ও বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। ফুড পয়জনিং এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া ও ডায়রিয়া হওয়া। ফুড পয়জনিং অস্বস্তিকর হলেও অস্বাভাবিক কিছু না। বেশিরভাগ ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী কারণ হল- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও  পরজীবীর সংক্রমণ। মানুষ যে খাবার খায় তার বেশিরভাগের মধ্যেই প্যাথোজেন বা জীবাণু থাকে। রান্না করার সময় যে তাপ লাগে তাতেই জীবাণুগুলো মরে যায়। কাঁচা ফলমূল ও সবজি ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী। যেকোন বয়সের মানুষেরই ফুড পয়জনিং হতে পারে তবে শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।  

খাদ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রান্নার সমস্যার কারণে খাদ্য সংক্রমিত হয়।মাংস ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখার সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা দেখে নেয়া ভালো। সঠিক তাপে সংরক্ষণ না করলে সংক্রমিত হতে পারে।

মাংস রান্নার সময় দীর্ঘক্ষণ উচ্চ আঁচে রান্না করতে হবে। তাহলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। অর্ধ সিদ্ধ মাংসে জীবাণু থেকে যেতে পারে।রান্নার সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে খাদ্য সংক্রমিত হয়।হাত না ধুয়ে খাবার জিনিস ধরলে সংক্রমণ হয়।পানি খুব দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। তাই খাওয়ার পানির সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

প্রতিকার

ফুড পয়জনিং সাধারণত নিজে নিজেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এই  সমস্যাটির প্রতিকারের জন্য যা যা করা প্রয়োজন –
১। শরীরের পানিশূন্যতা রোধের জন্য প্রচুর তরল খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডাবের পানি বা ফলের রস খেতে পারেন।
২। ক্যাফেইন গ্রহণ করলে পরিপাক নালীর যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করা এড়িয়ে যেতে হবে।
৩। ফুড পয়জনিং এ আক্রান্তদের বিশ্রামের প্রয়োজন।
৪। ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠিন খাবার ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার গ্রহণ বন্ধ রাখতে হবে।
৫। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন তবে অল্প পরিমাণে। চর্বিযুক্ত ও মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফুড পয়জনিং এর ইনফেকশন যাতে না ছড়ায় সেজন্য – টয়লেট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। আপনার ব্যবহৃত জিনিস যেমন- তোয়ালে, অন্যকে দেবেন না। অন্যদের জন্য খাবার তৈরি বা পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার ফুড পয়জনিং এর কারণ ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম হয় তাহলে দুই সপ্তাহ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা বন্ধ রাখুন। যদি দুই এক দিনের মধ্যে ফুড পয়জনিং এর সমস্যাটি ভাল না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।  

যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে

sasthobarta protidin
যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে
প্রতিদিন আমরা কত কাজ করি। কিছু বিষয় আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আমরা হয়ত কখনো খেয়াল করি না এই অভ্যাসগুলো কিভাবে আমাদের দক্ষতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। আসুন জেনে নিই এমন ৮ টি সাধারণ অভ্যাস যার কারণে হ্রাস পাচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা।





১। কম  ঘুমানো
অনেকে সারা রাত জেগে কাজ করেন। অনেকে আবার টিভি দেখে, বই পড়ে রাত পার করে দেন। নিত্যদিনের এই রাত জাগা শুধু আপনাকে অসুস্থই করে তোলে না, একই সাথে আপনার বুদ্ধিও কমিয়ে দেয়! ১ ঘন্টা কম ঘুম আপনার বুদ্ধির মাত্রাকে ৬ ডিগ্রী থেকে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে ৪ ডিগ্রীতে!
২। রিয়েলিটি শো
নিয়মিত যারা রিয়েলিটি শো দেখেন তাদের বুদ্ধি কমতে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় কিছু মানুষকে নেয়া হয়, যাদের এক অংশকে একটি রিয়েলিটি শো দেখতে দেয়া হয়। পরে তাদের সবার মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে দেখা যায় যারা রিয়েলিটি শো দেখেছে তারা বুদ্ধিভিত্তিক প্রশ্নে যারা শো টি দেখেন নি তাদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।

৩। চিনি 
আমেরিকায় UCLA এর গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন চা, কফিতে চিনি খাওয়া বা চিনি আছে এমন পানীয় যেমন কোকাকোলা, পেপসি পান করা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীর করে, মনে রাখা এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। 

৪। একসাথে কয়েকটি কাজ করা
আমরা প্রায়ই একসাথে কয়েকটি কাজ করি। এতে আমাদের বুদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। বিশেষ করে যারা ইলেক্ট্রনিকস পণ্যে একই সাথে কয়েকটি কাজ করেন, যেমন - ফোনে কথা বলতে বলতে ক্যামেরায় ছবি তোলা। ২০০৯ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়ে আসে এই তথ্যটি।

৫। চুইংগাম চিবানো
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি গবেষণার ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, অনবরত চুইংগাম চিবানো মানুষের শর্ট টার্ম মেমরি কমিয়ে দেয়। চুইংগাম খাওয়ার পর বাচ্চাদের কাজ করতে দিয়ে দেখা গেছে, ক্রমানুসারে সাজানো এনং বস্তুকে চিনতে পারা উভয় ক্ষেত্রে তারা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় ধীর।

৬। পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার
গবেষণায় দেখা গেছে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার মানুষের বুদ্ধি কমিয়ে দেয়। যারা সবসময়য় পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করেন অন্যদের তুলনায় তারা জটিল বিষয়ে চিন্তা করা বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেন।

৭। অতিস্থূলতা
২০১০ সালের কেন্ট স্ট্যাট বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ জন স্থূল মানুষের উপর গবেষণা করেন। দেখা যায়, অপারেশনের আগে অতিস্থূল মানুষদের বুদ্ধির মাত্রা যা ছিল অপারেশনের ২ সপ্তাহ পর তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে।
৮। ধূমপান
অনেকসময় দেখা যায়, কয়েকজন মিলে একটি সিগারেট পান করছেন। আবার অনেকে সিগারেটের একেবারে শেষ অংশ পর্যন্ত টান দেন। সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে এই অভ্যাসে বুদ্ধি লোপ পায়।
খেয়াল করুন নিজের বদভ্যাসটি। আজই বদলে ফেলুন নিজেকে। সঠিক অভ্যাস ফিরিয়ে আনবে আপনার কর্মচাঞ্চল্য।

Monday, February 1, 2016

বাতের ব্যথা

sasthobarta protidin
বাতের ব্যথা
বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন জেড. এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকাল কলেজের ফিজিওথেরাপি বিভাগ পিপলস পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের প্রধান কনসালটেন্ট ডা. শিবলী নোমানী।

তিনি জানান, অস্থিসন্ধী বা হাড়ের জোড়ার ব্যথাকে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা বলা হয়। গবেষকরা এ পর্যন্ত শতাধিক বাতের ব্যথার ধরণ আবিষ্কার করেছেন। তবে সচরাচর মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমরেই বাতের ব্যথা বেশি দেখা যায়।

আবার শরীরের এসব অংশে ব্যথা হওয়া মানেই বাত নয়। মাংসপেশির জটিলতার কারণেও ব্যথা হতে পারে।

কারণ: ডা. শিবলী নোমানী বলেন, “সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরই বাতের ব্যথার জটিলতা দেখা যেত। তবে বর্তমান যুগে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে ৩০ বছর বয়সের বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রোগীও পাই আমরা।”

তিনি আরও বলেন, “দৌড়ে যানবাহনে ওঠা, হাড়ে আঘাত পাওয়া, বয়সের কারণে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই জটিলতার মূল কারণ। এছাড়াও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার কিংবা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার কারণেও বাত হতে পারে। বর্তমান সময়ের খাবারের ভেজাল এই রোগের পেছনে অনেকটা দায়ী।”

রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে ইত্যাদির মাধ্যমে বাত আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রতিরোধ: ডা. নোমানী বলেন, “আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরা, আদা, কাঁচাহলুদ, পুদিনাপাতা ইত্যাদি গুল্মজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ইউরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলিজা, গুর্দা, ডাল ইত্যাদি খাওয়া কমাতে হবে। শর্করা, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের পরিমাণও কমাতে হবে।”

চিকিৎসা: কিছু বাতের ব্যথা ওষুধ ছাড়াই সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে হাড়ের ক্ষয়ের কারণে যে বাতের ব্যথা হয় তা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়।

এই চিকিৎসকের ভাষায়, “বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়েই ক্ষয় হবে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। একে থামানোর কোনো উপায় নেই। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই ক্ষয়ের পরিমাণ কমানো যায়, নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ব্যথা।

তিনি আরও বলেন, “বাজারে বাতের ব্যথা সারানোর বিভিন্ন চৌম্বকীয় পাথর বসানো চেইন বা ব্রেসলেট পাওয়া যায়। প্রাচীন চীনা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, চুম্বকের কিছু ব্যথা নিয়ামক গুণাবলী রয়েছে। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো আলোচনা নেই।”

রোগীর জন্য চিকিৎসকের উপদেশ: প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আসলে আর অন্যান্য শারীরিক জটিলতা না থাকলে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ১০ মিনিট ধরে হাঁটা শুরু করতে হবে। শরীরের অবস্থা অনুযায়ী এই সময় ক্রমেই বাড়াতে হবে। লক্ষ হবে প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা।

সাঁতার কাটা বাতের মহৌষধ। তাই সুযোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাঁতারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ত্বক যত্নের ভুলগুলো

sasthobarta protidin
ত্বক যত্নের ভুলগুলো
ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে গিয়ে না জেনে প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে আমরা উল্টা ক্ষতিই করছি বেশি। আর তাই আগেই জেনে নেওয়া উচিত এমন সাধারণ ভুলগুলো।দিল্লির মায়রা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার সলুশনের পরিচালক সোনিয়া মঙ্গল ত্বকের যত্নের এমনই কিছু ভুলের বিষয় উল্লেখ করেন।

ভুল সানস্ক্রিন বাছাই:
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর, তাই ব্যবহার করতে হয় সানস্ক্রিন। কিন্তু ভুল সানস্ক্রিন ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। ইউভিএ থেকে সুরক্ষা দিবে এবং এসপিএফ ৩০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে।

শীতে এবং বর্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা: 
মেঘলা বা কুয়াশা ঢাকা দিনে বেশিরভাগই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মেঘ বা কুয়াশা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আটকাতে পারে না। তাই সারা বছর বাইরে এবং ঘরের ভিতরে থাকলেও সানস্কিন ব্যবহার করা উচিত।

ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার: 
ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সাবানবিহীন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: 
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয় এতে করে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বলিরেখা পড়ে। তাছাড়া চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।

পানি পান না করা: 
শরীর ও ত্বকের সুস্থতার জন্য পানি পান অপরহার্য। পানি কম পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।

ভুল প্রসাধনী বাছাই: 
বিজ্ঞাপনের ‘মিষ্টি কথায় ভুলে’ প্রসাধনী কেনা উচিত নয়। কারণ এগুলো ত্বকের কোনো উপকারই করে না উল্টা এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

ধৈর্য্য না ধরা: 
ভালো প্রসাধনীর ফলাফল আমরা খুব দ্রুতই আশা করি। জলদি ফলাফল না পেলে বারবার প্রসাধনী বদলাতে থাকেন অনেকেই। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভালো ফল পেতে সময় নিয়ে অপেক্ষা করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নেওয়া: 
ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই নিজের মতো করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকেন। যা ক্ষতি করে। যে কোনো ত্বকের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: 
ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে সুন্দর ত্বকের জন্য।

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

sasthobarta protidin
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা

sasthobarta protidin
৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা
বাংলাদেশে জনপ্রিয়, সস্তা এবং পরিচিত একটি ফল হল কলা। ছোট বড় সবাই এই ফলটি পছন্দ করে। সুস্বাদু এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। প্রতিদিন দুটি কলা আপনার সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দিবে। হেপাটাইটিস সি, ফ্লু, এইডস ছড়ানো ভাইরাস ধ্বংস করে থাকে। ভিটামিন, মিনারেল, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবারের উৎস একটি কলা। ৫টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করে দিবে কলা। ওষুধের পরিবর্তে কলা সমাধান করে দিবে এই ৫টি রোগ।  
১। উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের মূল কারণ সোডিয়ামের অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শরীরে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
২। স্ট্রেস

প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস দূর করতে কলার জুড়ি নেই। হার্টবিট নরমাল রেখে, মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছিয়ে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা যখন স্ট্রেসে থাকি তখন আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কলা এই চাহিদা পূরণ করে স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে থাকে।
৩। পিএমএস নিয়ন্ত্রণ

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ আছে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা পিএমএস PMS( Premenstrual syndrome)কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এটি মাসিকের সময়কাল পেট ব্যথা, বুক ব্যথা দূর করে থাকে। তাই এইসময় নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।  
৪। পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর

কলা আঁশযুক্ত একটি ফল। যা হজমশক্তিবৃদ্ধি করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। কলা নরম ফল হওয়ায় অন্ত্রের পরিপাক কাজ সহজ করে থাকে। এর ল্যাক্সাটিভ উপাদান কোষ্টকাঠিন্য দূর করে থাকে।
৫। হতাশা

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান আছে যা আপনাকে রিল্যাক্স করে থাকে। ভিটামিন বি, ট্রিপটোফেন হরমোনের মাধ্যমে আপনার মাঝে খুশির অনুভুতি দিয়ে থাকে। এইজন্য এই উপাদানকে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয়।

Sunday, January 31, 2016

অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল

sasthobarta protidin
অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল
নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা আর অলস জীবনযাত্রার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু, এমনটাই সতর্কবানী দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, “যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।”

প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকাকে অতিরিক্ত বসে থাকা বিবেচনা করা হয়েছে। আর কম শরীরচর্চার পরিমাপ বিবেচিত হয়েছে সপ্তাহে দেড়শ মিনিটের কম শরীরচর্চা।

গবেষণার প্রধান লেখক ডা. মেলোডি ডিং বলেন, “এটাই প্রথম গবেষণা, যা ঘুম ও বসে থাকা এই দুইটি বিষয় কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে যদি শরীরচর্চার অভাব যোগ করা হয় তাহলে হতে পারে ত্রিমাত্রিক সর্বনাশ। আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে এই অভ্যাসগুলো হেলাফেলা করা উচিৎ নয়।”

জীবনাযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস যেমন, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অলসতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এই সমীকরণে যোগ করেন দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অতিরিক্ত বা স্বল্প ঘুম।

গবেষণায় সহ-লেখক অধ্যাপক এড্রিয়ান বাউম্যান বলেন, “শিক্ষামূলক পরামর্শ হবে, জীবনযাত্রার ভুলত্রুটি সম্পর্কিত রোগবালাই থেকে বাঁচার স্বাস্থ্যকর উপায় বের করতে হলে আমাদের উচিত হবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া।”

বর্তমান যুগে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বিশ্বব্যপি কেড়ে নিচ্ছে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি প্রাণ এবং এই মৃত্যুহার সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুহারের চাইতেও বেশি।

পিএলওএস মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা উল্লেখ করেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে বেশি মারাত্বক তা চিহ্নিত করতে পারলে বিপজ্জনক, ক্রমবর্ধমান ও বিশ্বব্যপি এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।”

১ মিনিটে মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে ফেলুন মাত্র ২টি উপাদানে!

sasthobarta protidin
মাইগ্রেনের ব্যথা
‘মাইগ্রেন’ অসহনীয় মাথা ব্যথার অপর নাম। আর দশটা মাথা ব্যথা থেকে ভিন্ন এই মাথা ব্যথা। সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার একপাশ থেকে শুরু হলেও আস্তে আস্তে এটি সম্পূর্ণ মাথায় ছড়িয়ে যেতে থাকে। মাথা ব্যথার সাথে আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে মাইগ্রেনের সময়। ঘাড়সহ মাথা ব্যথা, আবছা দেখা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বমি বমি ভাব, শব্দ এবং উজ্জ্বল আলো, বিষন্নতা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষ্যণ। মাইগ্রেনের স্থায়ী কোন সমাধান নেই। ব্যথা কমানোর জন্য সাধারণত ব্যথানাশক ঔষুধ বা পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করে থাকে।
মাইগ্রেন ব্যথা দূর করার সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হল হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ। বিট লবণ মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না।
যা যা লাগবে:
অর্ধেকটা লেবুর রস
হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে অর্ধেকটা লেবুর রস করে নিন।
২। এর সাথে এক টেবিল চামচ উচ্চ পরিবেশিত ঘনত্ব সম্পন্ন হিমালয়  মিশিয়ে নিন।
৩। সাধারণত অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মেশানো হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে একগ্লাস লেবুর রসের সাথে হিমালয় ক্রিস্টাল সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় এই পানীয়টি খেতে পারেন।
যেভাবে কাজ করে:
হিমালয় সল্টে ৮৪টির মত মিনারেল, ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান আছে, যার মাত্র ১১৮টি উপাদান বৈজ্ঞানিকরা আবিস্কার করতে পেরেছেন। হিমালয় সল্টের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তারা অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয়টি আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে দেবার পাশাপাশি বমি বমি ভাবসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দূর করে দিবে। এটি ব্যথা হ্রাস করে আপনাকে কাজে শক্তি যুগিয়ে থাকে। 
সতর্কতা: যাদের উচ্চ রক্তাচাপের সমস্যা আছে বা অন্য কোনো কারণে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া মানা, তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন এই উপায়টি অনুসরণ করার আগে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার

sasthobarta protidin
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার
ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। হলিউড কাঁপানো বিশ্বখ্যাত নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে- পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। জেনেটিক কারণ, বংশগত কারণ, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি অপরিবর্তনযোগ্য কারণ।  বক্ষবন্ধনী বা ব্রা সর্বক্ষণ পড়ে থাকা, ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী পড়া, দেরী করে সন্তান জন্মদান, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা ইত্যাদি পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহের মধ্যে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এটি স্তনে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
২। মাশরুম

মাশরুম খাবারটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু Nutrition and Cancer in 2010 সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। ডালিম

যুক্তরাষ্ট্রের City of Hope’s Beckman Research Institute বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে। প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস পান বা অর্ধেকটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। পালং শাক

মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৫। ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নেই। এই ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। U.S. Institute of Medicine এর মতে প্রতিটি নারীর ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলিন খাওয়া উচিত, একটি বড় ডিমে ১২৬ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে।
৬। দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার

ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। স্যামন মাছ

স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। একটু সচেতন হন আর দূরে থাকুন মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার থেকে।

মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা দূর করবে এই কাজগুলো

sasthobarta protidin
মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা দূর করবে এই কাজগুলো
দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন, গর্ভাবস্থা, ভিটামিনের ঘাটতি, স্কার্ভি, লিউকেমিয়া, মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলা বা অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশনের জন্য ব্লিডিং গাম বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যাটি হয়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় জিঞ্জিভাইটিস বা পেরিওডন্টাইটিস বলে। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময়, থুথু ফেলার সময় বা শক্ত কিছু খাওয়ার সময় মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যাটি প্রাথমিক ভাবে গুরুত্ব সহকারে না নিলে মাড়ির প্রদাহ বা জিঞ্জিভিট হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যাটি প্রতিকারে ঘরোয়া কিছু উপায় অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের বিডিএস প্রথম ব্যাচের শেষ বর্ষের ছাত্রী ফারহানা দিলশাদ সুকি। এবার আমরা সেই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জানবো।    
১। সাইট্রাস ফ্রুট
দাঁতের মাড়ির রক্ত পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি এর ঘাটতি। টক ফল লেবু ও কমলা এবং সবজি বিশেষ করে ব্রোকলি ও বাঁধাকপি পর্যাপ্ত ভিটামিন সি প্রদান করে মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করতে পারে।
২। দুধ
দাঁত ও মাড়িকে শক্তিশালী করার জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন এবং দুধে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। তাই মাড়ির রক্ত পড়া রোধে নিয়মিত দুধ পান করুন।
৩। ধূমপান বন্ধ করুন
ধূমপানের ফলে মুখে মুক্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় ফলে কিছু ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। তাই আপনার মুখকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখার জন্য ধূমপান বাদ দিন। American Academy of Periodontology  এর মতে, টোবাকোর ধোঁয়াতে যে টক্সিন থাকে তা মাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে বাঁধা প্রদান করে ও প্রদাহ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাটা কঠিন কিন্তু যদি আপনি আপনার মুখের ও সার্বিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা চান তাহলে এই অভ্যাস ত্যাগ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।    
৪। কাঁচা সবজি
মাড়ির রক্ত সঞ্চালন ও দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য কাঁচা সবজি চিবানো ভালো। তাই প্রতিদিন কিছু কাঁচা সবজি খান।
৫। বেকিং সোডা
মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে বেকিং সোডা। হাতের আঙ্গুলে বেকিং সোডা নিয়ে মাড়িতে লাগান।
৬। লবঙ্গ
দাঁতের সকল ধরণের সমস্যা বিশেষ করে মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যায় সবচেয়ে সহজ ও প্রাচীন পদ্ধতি। লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে পারেন বা লবঙ্গের তেল দিয়ে মাড়িতে ম্যাসাজ করুন।
৭। ভুঁই তুলসি ও মেন্থল তেল
মেন্থল তেল ও ভুঁই তুলসির তেল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে মুখ পরিষ্কার ও সতেজ থাকে।
৮। স্যালাইন
ব্রাশ করার পরে উষ্ণ গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে কুল কুচি করলে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
৯। ম্যাসাজ
ব্রাশ করার পরে আঙ্গুল দিয়ে দাঁতের মাড়িতে ব্রাশ করুন। এতে মাড়ির রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মাড়ি শক্তিশালী হয়। ফলে মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করা যায়।
১০। ফ্যাটি ফুড বর্জন করুন
চর্বিযুক্ত ও মশলাদার খাবার দাঁতের ছিদ্র তৈরিতে সাহায্য করে এবং অস্বাস্থ্যকর জীবাণুর উৎস। যার ফলে পর্যায়ক্রমে ব্লিডিং গাম এমনকি জিঞ্জিভিট ও হতে পারে। তাই ব্লিডিং গামের সমস্যায় ভুগলে যতটুকু সম্ভব চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করুন।
University of Lowa Health Care  মতে, ব্রাশ করা ও ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁতে ময়লা জমেনা। এছাড়াও নিয়মিত দন্ত চিকিৎসকের কাছে যেয়ে দাঁত পরিষ্কার রাখা উচিৎ। মুখের যত্ন স্বাস্থ্যকর ভাবে নিলে দাঁতের মাড়ির রক্ত বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি পেরিওডন্টিস এবং জিঞ্জিভিট হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করা যায়। মনে রাখতে হবে যে, মাড়ির রোগ সংক্রমিত হতে পারে। তাই যাদের এই সমস্যা আছে, তাদের ব্যবহৃত জিনিস যেমন- ব্রাশ, পানির গ্লাস ইত্যাদি আলাদা রাখুন। তাহলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যাগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

Saturday, January 30, 2016

‘বিস্ফোরকের মত’ ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস

sasthobarta protidin
‘বিস্ফোরকের মত’ ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস
মশাবাহিত জিকা ভাইরাস এখন আমেরিকাজুড়ে ‘বিস্ফোরকের মত’ ছড়িয়ে পড়ছে এবং এ ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে ‘চরম উদ্বেগ’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান।

৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি মোকাবেলায় ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে একটি জরুরি টিম গঠন করেছে।

ডব্লিওএইচও’র মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান বলেছেন, জিকা ভাইরাস দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এবং এর প্রভাবটাও অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

২৩ টি দেশসহ আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জিকা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে চ্যান বলেন, “এর বিরুদ্ধে দ্রুতই কিছু করা প্রয়োজন।”

জিকা ভাইরাসের কারণে নবজাতক শিশুর মধ্যে গুরুতর জন্মগত ত্রুটির কারণেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বেশি।

আমেরিকায় ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্কোস এসপাইনাল এ ভাইরাস জনিত রোগে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে এর কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি।


 তিনি বলেন, জিকা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা এখনো নেই। এ ভাইরাস আক্রান্তদের  বেশিরভাগেরই কোনও লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় রোগ সনাক্ত করাও কঠিন।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলেছেন  ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক চ্যান।

রোগ-বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এ জরুরি কমিটি ভারাইসটি নিয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করবে।

জিকা ভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে ১ ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জরুরি কমিটির বৈঠকও ডেকেছেন চ্যান।

গত বছর মে মাস থেকে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তার পর থেকে দেশটিতে অপরিণত বা ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্ম নেওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এ অবস্থাকে বলা হয়‘মাইক্রোসেফালি’। এতে আক্রান্ত শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে ওই শিশুরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে,শারীরিক বৃদ্ধি বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাঝারি মাত্রার জ্বর, চোখে প্রদাহ ও মাথাব্যাথা হয়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এডিস মশা জিকা ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী। এই মশা ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসও বহন করে।



সহজ ৫টি উপায়ে অস্থি সন্ধির ব্যথা দূর করে ফেলুন চিরতরে

sasthobarta protidin
সহজ ৫টি উপায়ে অস্থি সন্ধির ব্যথা দূর করে ফেলুন চিরতরে 
হাড়ের সংযোগস্থলকে অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট বলা হয়ে থাকে। সাধারণত বয়স্ক মানুষদের এই জয়েন্টের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক তরুণদের এই ব্যথায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বাতের কারণে এই ব্যথা দেখা দিলেও বাত ছাড়াও আরও কিছু কারণ এই ব্যথার জন্য দায়ী। ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া হয়ে থাকে এই ব্যথা রোধ করার জন্য। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য ব্যথানাশক ঔষধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ব্যায়াম, মেডিটেশন হতে পারে এই ব্যথা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
  • হাড়ের অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট ব্যথার কারণ
  • হাড়ের ব্যথা এবং হাড় ভাঙ্গা
  • বাত
  • হাড়ের ইনফেকশন
  • জোড়ার পেশি, লিগামেন্ট, ক্যাপসুল (আবরণ) ও মেনিসকাস ইনজুরি
  • লুপিস
  • অসটিওপোরোসিস ও অসটিওমালাসিয়া
  • ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি ও সি’র অভাব
  • ক্যান্সার

ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১। ইপসোম সল্ট

ইপসোম সল্টের উচ্চ ম্যাগনেশিয়াম অস্থি সন্ধির ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। এক বালতি কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ ইপসোম সল্ট মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে আপনি আপনার অস্থি সন্ধি ভিজিয়ে রাখুন। এছাড়া ইপসোম সল্ট ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করুন।
২। হলুদ এবং আদা চা

হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের এনজাইম নিয়ন্ত্রণ করে পা ফোলা রোধ করে থাকেন। আদা এবং হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অস্থি সন্ধির ব্যথা হ্রাস করে থাকে। ২ কাপ গরম পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি এবং ১/২ চা চামচ হলুদ দিয়ে জ্বাল দিন। অল্প আঁচে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে মধু মেশাতে পারেন। এটি দিনে ২ বার পান করুন। ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকলে মধু খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৩। পেঁয়াজ

কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও পেঁয়াজ আপনার অস্থি সন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। পেঁয়াজের সালফার একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান আছে। গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজের মর্ফিন উপাদান অস্থিমজ্জার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ রাখুন।
৪। মেথি

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান সমৃদ্ধ মেথি অস্থি সন্ধির ব্যথা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। ১ চা চামচ মেথি গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।  এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এছাড়া মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন।
৫। গাজর

চাইনিজ ব্যথানাশক ঔষুধে গাজর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি পাত্রে গাজর কুচি করে নিন, এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি সিদ্ধ করে অথবা কাঁচা অবস্থা খেতে পারেন। নিয়মিত এই পানীয় পানে অস্থি সন্ধি ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ঔষুধ অস্থি সন্ধির সমস্যা দূর করতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন ব্যয়াম, সঠিক ডায়েট এবং তার সাথে এই কাজগুলো নিয়মিত করুন। ব্যথা কিছুদিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।

"স্বাস্থ্যকর" এই জিনিসগুলো কিনে অযথা টাকা খরচ করবেন না

sasthobarta protidin
"স্বাস্থ্যকর" এই জিনিসগুলো কিনে অযথা টাকা খরচ করবেন না 
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। এই চেষ্টার কারণে বিভিন্ন পণ্য কেনার প্রতিও অনেকের ঝোঁক দেখা যায়। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কি আসলেই বেশি দামী দামী পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন আছে? এগুলো ব্যবহার না করলে কি আপনি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? আসলে কিন্তু এমন কিছু পণ্য আছে যেগুলো কেনা মানেই অযথা টাকা খরচ। জেনে নিন এসব পণ্যের ব্যাপারে।
১) মাউথওয়াশ

আপনি যদি নিয়মিত ব্রাশ করেন, ফ্লস করেন এবং যথাসময়ে ডেন্টিস্ট দেখান তাহলে আসলে আপনার মাউথওয়াশ আলাদা করে ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। ডেন্টিস্ট যদি আপনাকে ব্যবহার করতে বলে তাহলেই ব্যবহার করুন। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই আসলে মাউথওয়াশ তেমন একটা উপকার করে না। এটা ব্যাকটেরিয়া মারে বটে, কিন্তু বেশীক্ষণ এর প্রভাব স্থায়ী হয় না। বরং এটা আপনার মুখ শুকিয়ে দিতে পারে, এতে উল্টো বাড়তে পারে ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ। দরকার মনে করলে আপনার ডেন্টিস্টের সাথে কথা বলেই জেনে নিন কোন মাউথওয়াশটি আপনার ব্যবহার করা ঠিক হবে।
২) ভিটামিন সি

অনেকেই মনে করেন সিভিট বা ভিটামিন সি ট্যাবলেটগুলো খেলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়। এর ফলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আসা ছোটখাটো ফ্লু, জ্বর, ঠাণ্ডা এসব কমানো সম্ভব হয়। এছাড়াও ক্যান্সার, হৃদরোগ, বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার রোগ এসবের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। কিন্তু জেনে রাখা দরকার যে এই উপকার পাওয়া যাবে আপনি যদি খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন সি গ্রহণ করেন, তাহলেই। অর্থাৎ লেবু, কমলা এবং ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলেই উপকারিতা পাওয়া যাবে। আপনি যদি ভিটামিন সি ট্যাবলেট গ্রহণ করেন তাহলে আসলে সেটা আপনার ইউরিনের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।
৩) দামী সানস্ক্রিন

দামী সানস্ক্রিন মানেই যে তা বেশি কার্যকরী, এমনটা কিন্তু নয়। আপনি যদি দামী সানস্ক্রিন অল্প একটু করে ব্যবহার করেন, তাহলে আসলে মোটের ওপর লাভ হবেই না। বরং কমদামী অথচ কার্যকরী একটা সানস্ক্রিন কিনে তা পরিমাণমতো ব্যবহার করলে আপনার উপকার হবে।
৪) কান পরিষ্কারের কটন বাড

কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করলে আপনি কানের সমস্যায় ভুগবেন, এতে আপনার কানের ডাক্তারের পকেট ভারি হবে। আমাদের কানের ময়লা আসলে আমাদের উপকারই করে। এটা কানকে বহিরাগত বিভিন্ন ময়লা থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়াও এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও আছে। আপনি যদি কটন বাড ব্যবহার করেন তাহলে সেটা এই ময়লাকে আরও পেছনের দিকে ঠেলে দেবে, যার ফলে আপনার শ্রবণশক্তি কমে যাবে, অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে।
৫) চোখের লালচেভাবের জন্য আই ড্রপ

নিয়মিত আই ড্রপ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চোখের বড় কোনো সমস্যা ঢাকা পড়ে যেতে পারে। এমনকি এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনার চোখ সহজেই অস্বস্তিতে ভুগতে পারে। চোখ লাল হয়ে থাকলে আগে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন কোনো সমস্যা আছে কিনা।

দীর্ঘদিন বাঁচতে চান? প্রতিদিন পান করুন জাদুকরী এই পানীয়

sasthobarta protidin
প্রতিদিন পান করুন জাদুকরী এই পানীয় 
অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মন্ত্রাতিক জীবন যাপন আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা অনেকদিন বেঁচে থাকত। তার পিছনে মূল কারণ ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, ভেজালমুক্ত খাবার। বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর যুগে  জীবনযাত্রা যত সহজ হচ্ছে আমাদের আয়ু তত কমে আসছে। নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব হচ্ছে। সম্পূর্ণ জীবনযাত্রা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে সহজ এক উপায়ে আপনার লাইফস্প্যান বা আয়ু বৃদ্ধি করা সম্ভব। আদা, গাজর, লেবুর রস, আপেল দিয়ে তৈরি এই পানীয়টি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এতে কোন রাসায়নিক পদার্থ না থাকায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই ম্যাজিক্যাল পানীয়টি।
উপকরণ:

২ সে.মি লম্বা আদা
৪টি গাজর
৩টি আপেল
অর্ধেকটা লেবুর রস
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। আপেল, আদা, গাজর এবং লেবুর রস সব ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২। লক্ষ্য রাখবেন আপেল, আদা, গাজর যেন ভালভাবে মিশে যায়।
৩। এটি প্রতিদিন সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে পান করুন।
৪। সবচেয়ে ভাল হয় প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন তৈরি করে নেওয়া।
যেভাবে কাজ করে:

আদার উপকারিতা-
আদা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
এটি পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং পাকস্থলীর অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে থাকে।
আদা মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর।
গাজরের উপকারিতা-
গাজর দাঁত, চোখ, হার্ট এর জন্য অনেক উপকারী।
এটি আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও গাজরের ভূমিকা রয়েছে।
আপেলের উপকারিতা-
আপেল আপনার আভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
এটি আপনার ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং  কিডনি ও লিভারকে সুস্থ রাখে।  
আপেল বিষণ্ণতা, হতাশা, অনিদ্রা দূর করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
লেবুর রসের উপকারিতা-
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবুর রস বেশ কার্যকরী।
এটি শরীরের নানা প্রকার ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
দেহের আভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতেও লেবু বেশ উপকারী।
এই একটি পানীয় প্রতিদিন পানে আপনি পেয়ে যেতে পারেন দীর্ঘজীবন।

Tuesday, January 26, 2016

মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা

sasthobarta protidin
মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা
মাথাব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অতিপরিচিত সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত—সব বয়সেই মাথাব্যথা হতে পারে। কেউ আধকপালি মাথাব্যথা (মাইগ্রেন), কেউ মাংসপেশির সংকোচনজনিত মাথাব্যথা (টেনশন টাইপ হেডেক) আর কেউ দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথায় (ক্রনিক ডেইলি হেডেক) ভোগে। মাথাব্যথা প্রধানত দুই প্রকার: ১. প্রাইমারি হেডেক (যেমন: মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি) ও ২. সেকেন্ডারি হেডেক (যেমন: সাইনুসাইটিস, মাসটয়ডাইটিস, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় আঘাতজনিত ব্যথা ইত্যাদি)।
চিকিৎসা ও প্রতিকার: মাথাব্যথার ধরন বা কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। এ জন্য প্রথমে প্রয়োজন রোগনির্ণয়। তাৎক্ষণিক ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন বেদনানাশক ওষুধ রয়েছে। তবে সেগুলো অতিরিক্ত সেবন করলেও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই নিরুপায় না হলে এমন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, অতিরিক্ত চা-কফি পান, অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধা, যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক হলে মাথাব্যথা অনেকাংশে কমবে।

তীব্র শীতে শিশুর যত্নে ৭ পরামর্শ

sasthobarta protidin
তীব্র শীতে শিশুর যত্নে ৭ পরামর্শ
হঠাৎ তীব্র ঠান্ডায় সোনামণিরা সহজেই কাবু হতে পারে। এ সময় শিশুদের জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা।
: খুব ভোরে আর সন্ধ্যার পর দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। নবজাতকের শরীরে কাঁথা দিয়ে মুখ, নাক ঢেকে দিন। তবে শ্বাস যেন বন্ধ না হয়ে যায়। ঠান্ডা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো ও সাশ্রয়ী উপায় হলো নবজাতকের জামা খুলে মায়ের বুকের কাছে মায়ের কাপড়ের নিচে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া।
: উষ্ণতার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করলে লক্ষ্য রাখবেন যেন ঘর বেশি শুষ্ক না হয়ে যায়।
: খুব বেশি শীতে ছোট শিশুদের নিয়ে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। খুব বেশি ঠান্ডায় শিশুকে গোসল না করিয়ে গরম পানিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে সারা শরীর বিশেষ করে মুখের ভেতর, বগল, কুঁচকি, মলদ্বার ও প্রস্রাবের রাস্তার চারপাশ মুছে দিতে পারেন।
: একটু বড় বাচ্চাদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে খুব মোটা কাপড় না পরিয়ে কয়েক স্তরের কাপড় পরান। বাইরে বের হলে হাতমোজা, কানটুপি পরাবেন। বাড়িতে সব সময় পায়ে স্যান্ডেল পরান।
: বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার আগে কাপড় পাল্টে পরিচ্ছন্ন হয়ে নিন। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।
: তীব্র শীতে শিশুর ত্বকে লোশন ব্যবহার না করে ভেসলিন বা ক্রিম লাগান, মুখ ছাড়া অন্যত্র অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন।
: এই আবহাওয়ায় শিশুদের জ্বর-কাশির বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত। জ্বরের জন্য পেরাসিটামল, কাশির জন্য নরসল নাকের ড্রপ আর নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোই মূল চিকিৎসা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Wednesday, January 20, 2016

লিভার সুস্থ রাখবে এই ৩টি ডিটক্স ওয়াটার

sasthobarta protidin
লিভার সুস্থ রাখবে এই ৩টি ডিটক্স ওয়াটার
জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড বা ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই খাবারগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের লিভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এই খাবারগুলো খাওয়ার কারণে। দীর্ঘদিন যাবত এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে লিভার ড্যামেজ হওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে! তাই লিভার সুস্থ রাখতে পান করতে পারেন ডিটক্স। ডিটক্স লিভারের চর্বি, ময়লা দূর করে লিভারকে সুস্থ রাখে।  Dr. Ann Louise ১৯৮৮ সালে প্রথম লিভারের চর্বি দূর করার উপায়টি আবিষ্কার করেন। এই তিনটি ডিটক্স শরীরের বাড়তি চর্বি দূর করার সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে।
১। হলুদ ডিটক্স

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
অল্প পরিমাণে আদা কুচি
১টি লেবুর রস
১/২ কাপ পানি
এই সবগুলো উপাদান মিশিয়ে ডিটক্স তৈরি করে নিন। এটি আপনার লিভার সুস্থ রাখে, পাকস্থলির বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে।
২। গ্রিন টি ডিটক্স

১টি কলা
১/২ কাপ সবুজ চা (ঠান্ডা)
সবুজ চা এবং কলা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে নিন। সবুজ চায়ের ইজিসিজি দ্রুত লিভার পরিস্কার করে থাকে।
৩। মাল্টি কালার ডিটক্স

১টি মাঝারি আকৃতির শসা
১/২ লেবুর রস
১টি ক্যাপসিকাম
১টি আপেল
লেবুর রস, ক্যাপসিকাম, আপেল, শসা একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এই লিভার পরিষ্কার করে শরীরের বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে দিবে।
এই ডিটক্সগুলো প্রতিদিন পান করুন। দ্রুত এবং ভাল ফল পেতে  দিনে ২-৩ থেকে গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।
আমরা প্রতিনিয়ত খাদ্যাভ্যাস দ্বারা নিজেদের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করছি। এই ডিটক্সগুলো লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। নিয়মিত পানে লিভার সংক্রান্ত রোগ থেকেও রক্ষা করব। শুধু তাই নয় এই ডিটক্স ওয়াটার আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ডায়বেটিসের অজানা কারণ

sasthobarta protidin
ডায়বেটিসের অজানা কারণ
মোটা হওয়া আর খাবারে অনিয়মই নয়; আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।

স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পারিবারিক ভাবে না থাকলেও অনিয়ম খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কফি পান কমানো: বিস্ময়কর হলেও সত্যি, কফি ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, কফি পান (ক্যাফেইনেটেড ও ডিক্যাফেইনেটেড) টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়।

হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ছয় কাপ কফি পান করা ব্যক্তির ডায়বেটিসের ঝুঁকি, পান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।

কফিতে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান ইনসুলিন বাধাগ্রস্ত করা কমায়। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।

নিয়মিত রাত জাগা: দিনের পর দিন রাতে জেগে থাকা হতে পারে আপনার ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ।

সম্প্রতি একটি কোরিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তি সারারাত জেগে একেবারে ভোরবেলায় ঘুমাতে যান, এমন কি সাত-আট ঘন্টা ঘুমানোর পরও তাদের ডায়বেটিসের ঝুঁকি নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি।

গবেষণার লেখক কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনসান হসপিটালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক নান হি কিম বলেন, “রাতজাগা ব্যক্তিদের টেলিভিশন ও মুঠোফোনের বিচ্ছুরিত কৃত্রিম আলোতে কাজ করার হার বেশি, যা কম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও রক্তের শর্করার পরিমাণে ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।”

নিম্নমানের ঘুম ও ঘুমের বিঘ্ন হওয়ার সঙ্গেও রাত জাগা সম্পর্কিত, যা বিপাক ক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।

খাদ্যে প্রোবায়োটিকের অভাব: দেহের ভেতরে বেঁচে থাকা উপকারী জীবাণুগুলো প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত।

আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এন্ডোক্রিনলজিস্ট বেতুল হাতিপগলু বলেন, “পেটের ভেতর ভালো জীবাণুর চেয়ে খারাপ জীবাণু বেশি থাকলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”

সুষ্ঠু হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রোবায়োটিক জরুরি। প্রোবায়োটিকের অভাবে প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস। দেহে প্রোবায়োটিক বৃদ্ধির জন্য দই, পনির ইত্যাদি খাবার কার্যকর।

প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা: নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, প্লাস্টিকের পাত্র তৈরিতে দু’টি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা টিনএইজ ও শিশুদের মধ্যে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস ও উচ্চ রক্তচাপ তৈরিতে এসব রাসায়নিকের ভূমিকা আছে।

পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাব: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে কিন্তু সূর্যালোকের অভাবও ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

নতুন একটি স্প্যানিশ গবেষণায় জানা গেছে, যেসব ব্যক্তির ভিটামিন ডি’র অভাব আছে, ওজন যা-ই হোক না কেনো, টাইপ-টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাদের বেশি। গবেষকরা মনে করেন, অগ্ন্যাশয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সূর্যালোক থেকে উৎপন্ন ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অগ্ন্যাশয়, ইনসুলিন তৈরি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডা. হাতিপগলু ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: স্যামন মাছ, ডি-সমৃদ্ধ দুধ, দানাদার খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।

ছুটির দিনে টিভি দেখে সময় কাটানো: ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশনের সামনে অতিবাহিত প্রতিটি ঘণ্টা চার শতাংশ করে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

মেনশেলথ ডটকম’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, আমেরিকার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির কাইনেসিওলজির অধ্যাপক ডা. এরিক স্টার্নলিক্ট বলেন, “অত্যধিক বসে থাকা দেহযন্ত্রের ভেতরে চর্বির (ভিসেরাল ফ্যাট) বাড়ায়, যা কোমরের পরিধিও বাড়িয়ে দেয়।”

পেটের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সকালের নাস্তা না খাওয়া: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ডায়বেটিসে সেন্টারের ডায়বেটিস বিষয়ক শিক্ষাবিদ এলেন ক্যালোগেরাস, এভরিডেহেলথ ডটকম-কে জানান, “সকালের নাস্তা না খাওয়ায় কেবল হিতে বিপরীত হবে তা নয়, এটি টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি করে।”

খাদ্যের অভাবে ইনসুলিনের মাত্রা ব্যাহত হয় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিনতর হয়ে ওঠে।

Wednesday, January 13, 2016

পিরিয়ড নিয়ে বিব্রতকর কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর সমাধান

sasthobarta protidin
পিরিয়ড
আমরা সবাই জানি স্বাস্থ্যগত যে কোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতে চান না, বিশেষ করে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো তো মেয়েরা মুখ ফুটে বলতেই চান না। আপনার যদি এমন কিছু সমস্যা থাকে কিন্তু তা নিয়ে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে না চান, তাহলে এখানেই দেখে নিতে পারেন কিছু সমাধান।
১) পিরিয়ডের সময়ে টয়লেট হ্যাবিট পরিবর্তিত হয় কেন?
এ সময়ে শরীরে প্রোস্টাগ্লান্ডিস নামের হরমোন জাতীয় এক ধরণের রাসায়নিক জিনিসে পরিবর্তন আসে। পিরিয়ডের শুরুর দিকে এর কারণে মেয়েদের ইউটেরাস সংকুচিত হতে থাকে এবং এর ফলেই ব্যাথা হতে পারে।
প্রোস্টাগ্লান্ডিস আমাদের হজমতন্ত্রেও পরিবর্তন আনে। এর কারণে আমাদের ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হতে পারে। আবার এটা কম হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্ও হতে পারে। তবে পিরিয়ডের সময়ে যদি আপনার মল পিচ্ছিল মনে হয় তাহলে অবশ্য আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো কারণ এটা অন্য কোনো সমস্যার নির্ধারক।
২) টক্সিক শক সিনড্রোম নিয়ে কি চিন্তিত হওয়া দরকার?

অনেকেই জানেন, যে পিরিয়ডের সময়ে প্যাড বা ট্যাম্পন সময়মত পরিবর্তন না করলে টক্সিক শক সিনড্রোমের কারণে হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে। এর উপসর্গ হতে পারে বেশ জ্বর, লো ব্লাড প্রেশার, বিভ্রান্তি এবং এনার্জির কমতি। এ থেকে খুব দ্রুতই কোমা, অর্গান ফেইলিওরের মত ভয়ংকর সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনার এমন কোনো সমস্যা হতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
৩) পিরিয়ডের সময়ে যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হয় কেন?

এই প্রশ্নের আসলে একটা নয়, বেশ কিছু উত্তর আছে। পিরিয়ডের সময়ে কারও কারও যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটা একেবারেই দেখা যায় না। এটা এস্ট্রাডিওল নামের একটা প্রাইমারি সেক্স হরমোনের কারণে হতে পারে। প্রোজেস্টেরনেরও কিছু ভূমিকা থাকতে পারে এর পেছনে। পিরিয়ডের সময়ে একজন নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল অনেক কম থাকে, কিন্তু টেস্টোস্টেরোনের লেভেল থাকে বেশি। টেস্টোস্টেরোন নারীর যৌনাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে ইস্ট্রোজেন কমে টেস্টোস্টেরোন বেড়ে গেলে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে।
৪) পিরিয়ডের সময়ে আমাদের মেজাজ এত ওঠানামা করে কেন?
PMS বা প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম আসলে অনেকগুলো, এর মাঝে একটি হলো মেজাজের ওঠানামা। হঠাৎ করেই দুঃখ, বিষণ্ণতা, রাগ আপনাকে ছেঁকে ধরতে পারে। আবার আবেগ বেশি হতে পারে, এক মেজাজ থেকে আরেক মেজাজে চলে যেতে পারেন দ্রুতই। এর পাশাপাশি দেখা যায় শরীর ফুলে যাওয়া এবং মাথাব্যাথার মত সমস্যাগুলো। কারণ পিরিয়ডের সময়ে শরীরে থাকা হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করে। এসব সমস্যা কম রাখতে আপনার খাদ্যভ্যাস রাখা উচিৎ স্বাস্থ্যকর।
৫) প্যাড এবং ট্যাম্পন ছাড়া আর কী কী উপায় আছে?
বাংলাদেশে অনেক নারীই এখন স্বাস্থ্যকর স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। ট্যাম্পনও অনেকে ব্যবহার করেন। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বারবার ব্যবহার করা যায় এমন মেন্সট্রুয়াল কাপ পাওয়া যায়।
৬) হেভি ব্লিডিং মানে আসলে কতো বেশি?
পিরিয়ডের সময়ে সাধারণ একজন নারী ৮-১৪ চা চামচ রক্ত হারান। এতে প্রতিদিন আড়াই টেবিল চামচের মত রক্তক্ষরণ হয়। তবে প্রতি নারীর জন্যই এটা আলাদা হয়। কিন্তু আপনার যদি হেভি ব্লিডিং হয় তবে ভেতরে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। হেভি ব্লিডিং এর পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি বা অতিরিক্ত পেট ব্যাথা থাকে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। রক্তক্ষরণের পেছনে অবশ্য মেনোপজ বা প্রেগনেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে। 
৭) পিরিয়ড সাইকেলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, কী করা উচিৎ?

আপনার স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, পিরিয়ড যদি মিস করেন, অথবা খুব বেশি সময় ধরে পিরিয়ড চলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।
আপনার বয়স যদি কম হয়ে থাকে এবং এখনো আপনি জানেন না পিরিয়ডের ক্ষেত্রে কোন ব্যাপারটা স্বাভাবিক এবং কোনটা অস্বাভাবিক, তাহলে ডাক্তার না হলেও এ ব্যাপারে জানে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর আপনি যদি যথেষ্ট জানেন নিজের পিরিয়ডের ব্যাপারে, তাহলে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে তা ডাক্তারের কাছে চেক করে নেয়াই ভালো। আপনার শরীর নিয়ে আপনার লজ্জিত হবার কিছু নেই, লুকানোরও কিছু নেই। ঈশ্বরপ্রদত্ত এই শরীরকে সুস্থ রাখা আপনারই কর্তব্য।

মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
এমন অনেক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যেগুলোতে মানুষ খুব ঘন ঘনই আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় মাথা ব্যথা ও টেনশনের। সমাজের ক্রম বর্ধমান চাহিদা এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে রেসে এগিয়ে থাকতে চাওয়ার কারণে অনেক মানুষই স্ট্রেসে ভোগে যার ফলে মাথাব্যথা ও টেনশনের উৎপত্তি হয়। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই যদি আপনি মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণের সহজ ও নিরাপদ কিছু উপায় শিখে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই উপায়গুলো কী।
১। কাঠ বাদাম খান
সবচেয়ে সহজ ও সুবিধা জনক প্রতিকার হচ্ছে কাঠ বাদাম। কাঠবাদাম বা আমন্ড এ সেলিসিন থাকে যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। যখনই মাথাব্যথা শুরু হবে একমুঠো আমন্ড খান। কাঠ বাদাম স্বাস্থ্যকর এবং অন্য ঔষধের চেয়ে নিরাপদ।
২। গরম পানিতে পা ভিজানো
এটা কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কিছু সময়ের জন্য গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে মাথাব্যথা ও টেনশন দূর হয়। এতে পায়ের পাতার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাথার রক্ত নালিকা গুলোর চাপ কমে। পানির মধ্যে সামান্য সরিষার গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। উষ্ণ চাপ
একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেল গুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
৪। আদা
মাথা ব্যথা কমাতে আদা চা খেতে পারেন অথবা এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি সহজ একটি প্রতিকার তবে ভালোই কাজ করে।
৫। কফি
এক কাপ কড়া কফি মাথাব্যথা ও টেনশন কমাতে অনেক কার্যকরী। এটা রক্তনালীর ফুলে যাওয়া কমায়। যারা ইতিমধ্যেই কফিতে আসক্ত তাদের জন্য এটি কার্যকর হবেনা।
৬। এসেনশিয়াল অয়েল ম্যাসাজ
মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার তেল টেনশন ও মাথা ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে। এই তেল কপালে মালিশ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা দূর হবে। মেন্থল টি ব্যাগ ভিজিয়ে কপালে ও চোখের উপর রাখুন। এতে কিছুক্ষণ পর মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
৭। ঠান্ডা পানির সেঁক
আইস ব্যাগে ঠাণ্ডা পানিতে পূর্ণ করে কপালে ও ঘাড়ে লাগালে মাসেলের চাপ কমে মাথাব্যথা কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ও কপালে ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন।
৮। ম্যাসাজ করুন
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে কপালে বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট একাধারে করার পর বিরতি দিন তারপর আবার করুন যতক্ষণ ব্যথা থাকে। আকুপ্রেসার এক্সপার্টরা একে ফ্ল্যাশি এরিয়া ট্রিগার পয়েন্ট LIG4 বলেন। মস্তিস্কের যেখানে মাথাব্যথা উৎপন্ন হয় তার সাথে এই স্থানটির সংযুক্তি আছে। তাই কপালে এভাবে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
৯। চাপ প্রয়োগ
একটিকাপড় দিয়ে মাথা শক্ত করে বাঁধুন। এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল কমবে কারণ রক্তনালীর প্রসারণের কারণে মাথাব্যথার উৎপত্তি। কাপড়টি ভিনেগারে ভিজিয়ে নিতে পারেন এটি চিরাচরিত মাথা ব্যথার প্রতিকার হিসেবে বহুকাল যাবত ব্যবহার হয়ে আসছে।

কিছু টিপস :
·         একবারে পেট ভরে না খেয়ে কিছুক্ষণ পর পর খান। সম্ভব হলে ২ ঘন্টা পর পর খান। এতে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মাথা ব্যথা প্রতিরোধ করবে।
·         মাথা ব্যথা ও টেনশন কমানোর জন্য ঘুমানো সবচেয়ে ভালো প্রতিকার।
·         দিনের বেলায় ৩০-৪০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলেও মাথা ব্যথা দূর করতে চমৎকার কাজ করবে।
·         অনেক সময় পানিশূন্যতার জন্যও মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
·         একাধারে অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে রক্তনালীর উপর চাপ পরে। তাই এক অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাটা হাটি করুন।
·         সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মত সাধারণ ব্যায়াম গুলো করুন, এতে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন ও মাথা ব্যথার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
·         কিছু খাবার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে যেমন-দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, চকলেট, পিনাট বাটার, অ্যাভোকডো, কলা, সাইট্রাস ফল, পেঁয়াজ, নাইট্রেট মিশানো মাংস- হট ডগ, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট সমৃদ্ধ খাদ্য ইত্যাদি খাবার খেলে আপনার কোন সমস্যা হয় কিনা খেয়াল করুন। 

Tuesday, January 12, 2016

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বোন স্পারের ব্যথা

sasthobarta protidin
ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বোন স্পারের ব্যথা
মাঝে মাঝেই আমাদের অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে জন্ম নিতে দেখা যায় একটা ফোঁড়া বা গোটার মোট অংশ। চামড়ার ওপর থেকে গোলাটে আকারের এই বাড়তি অংশটিতে কখনো ব্যথা অনুভূত হয়, কখনো ব্যথা ছাড়াই দিনের পর দিন টিকে থাকে এরা মানবদেহে। আর শরীরের এই গোলটে, উঁচু আর বাড়তি অংশটিকেই বলা হয় ডাক্তারি ভাষায় বোন স্পার বা অস্টিওফাইটিস।
বেশকিছু কারণে এই বোন স্পার হতে পারে মানুষের। শারিরীক নানারকম প্রদাহ, হাড়ের গঠনে পরিবর্তন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, অতিরিক্ত ওজন বা খুব বেশি চাপ নেওয়ার মতন কাজ অনেকবার করে করার কারণে মানুষের শরীরের তৈরি হতে পারে সমস্যাটি।

বোন স্পার শরীরের যে কোন অংশের হাড় থেকে জন্ম নিতে পারলেও সাধারণত দুটো হাড় যেখানে যুক্ত হয়েছে সেখান থেকেই জন্ম নেয় এটি। এছাড়াও মাংশপেশী, লিগামেন্ট বা রগেও হয়ে থাকে এই স্পারগুলো। না বুঝেই নানারকম চিকিত্সা চালানোর চেষ্টা করে মানুষ এই স্পারগুলোতে। ফলে কেবল বোন স্পারের ব্যথা বা অস্বস্তিই নয়, সেই সাথে যুক্ত হয় আরো নানান ঝামেলা। চলুন দেখে আসি ঘরোয়াভাবেই কি করে অনেকটা কমিয়ে বা দূর করে ফেলা যায় এই শরীরের বাড়তি অংশটি ও এর ব্যথাকে।
১. বরফ

যেকোন সময় ব্যথা পেলে প্রথমেই যে জিনিসটি আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায় সেটা হচ্ছে বরফ। আর তাই বোন স্পারের ক্ষেত্রেও বরফকে কাজে লাগান। ব্যথার সাথে সাথে প্রদাহকেও বাঁধাগ্রস্থ করে এটি ( টপ টেন হোম রিমেডিস )। একটা তোয়ালেতে করে কয়েক টুকরো বরফ বেঁধে ফেলুন আর সেটাকে প্রয়োগ করুন ব্যথাযুক্ত স্থানে। ৫-১০ মিনিট কাজটি করুন। এরপর একটা বিরতি দিয়ে খানিক পর আবার শুরু করুন বরফ প্রয়োগ। তবে তাই বলে সরাসরি বরফ ব্যবহার করবেননা ত্বকে।
২. হলুদ

হলুদ শরীরের বোন স্পারের উপসর্গগুলোকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এর ভেতরে থাকা কারকিউমিন নামক হলুদ উপাদানটি প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হওয়ায় সেটি ব্যথা আর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে ( আর্থ ক্লিনিক )। ঘরোয়াভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ হলুদ গুড়ো নিয়ে সেটাকে এক কাপ দুধে মেশান। এরপর সেটাকে জ্বাল দিয়ে নিন হালকা আঁচে। প্রতিদিন এই পানীয়টি খানিকটা পান করুন।
৩. আদা

আদা বোন স্পারকে দূর করতে ও এর প্রদাহকে কমিয়ে দিতে বেশ ভাল কাজ করে। এক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে আদা ব্যবহার করতে পারেন আপনি। প্রথমত, আদার তেল বোন স্পার হওয়া অংশটিতে মালিশ করতে পারেন। এবং দ্বিতীয়ত, আদাকে কয়েক টুকরো করে সেটা পানিতে ১০ মিনিট মতন জ্বাল দিয়ে এরপর খানিকটা মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করতে পারেন ( টপটেন হোম রিমেডিস )।
৪. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার শুধু শরীরের প্রদাহই দূর করেনা, বোন স্পার হতে সাহায্যকারী ব্যাপারগুলোকে থামিয়ে দিয়ে শরীরের পিএইচ লেভেলেরও সমতা রক্ষা করে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমত, একটি তোয়ালেতে ভিনেগার মিশিয়ে এরপর সেটাকে বোন স্পারযুক্ত অংশটিতে মালিশ করতে পারেন। আর দ্বিতীয়ত, এক কাপ পানিতে কয়েক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে সেটা পান করতে পারেন প্রতিনিয়ত ( আর্থ ক্লিনিক )।
৫. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

শরীরে বোন স্পার দেখা দিলে নিজের খাদ্যাভ্যাস বদলে দিতে পারেন আপনি। এতে করে অনেকটাই দূর হবে আপনার বোন স্পারের সমস্যা। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন যাতে করে খাবারে ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ওমেগা-৩ বেশি পরিমাণে থাকে। কারণ, এর প্রত্যেকটিই শরীরের প্রদাহ নিরাময়ের মাধ্যমে বোন স্পারকে দূর করতে সাহায্য করে ( ভিকুল )।
আর তাই শরীরের কোন স্থান ফুলে গেলে সেটাকে টিউমার ভাবা বা সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। চিন্তা না করে বরং এই ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করে দেখুন কোন সমাধান হয় কিনা। আর এরপরেও কিছু না হলে চিকিত্সকের কাছে যান আর অনুসরন করুন তার নির্দেশগুলো।

ধূমপান করেন? এই পানীয়টি পরিষ্কার করবে আপনার ফুসফুস

sasthobarta protidin
এই পানীয়টি পরিষ্কার করবে আপনার ফুসফুস
“ধূমপানে বিষপান”- বহুল প্রচলিত এই কথাটির সত্যতা নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই।  আপনি যদি পাঁচ বছরেও বেশি সময় ধরে ধূমপান করেন তবে আপনি অত্যন্ত একবার হলেও ব্রংকাইটিস রোগে ভুগে থাকবেন। ব্রংকাইটিস রোগী ভাল বলতে পারবেন এটি কত ভয়ংকর এবং কষ্টদায়ক একটি রোগ। এটি শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে শক্তি ক্ষয় করে থাকে। ধূমপান আপনার ফুসফুস নষ্ট করে দেয়, বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। কাশি, ব্রংকাইটিস এইসব তারই লক্ষণ। আপনার পক্ষে ধূমপান ছাড়া অসম্ভব হলে আপনি একটি পানীয়ের মাধ্যমে আপনার ফুসফুসটি সুস্থ রাখতে পারেন। ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন এই পানীয়টি।

যা যা লাগবে:
১ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ
১টি ছোট আদার টুকরো
১ লিটার পানি
৪০০ গ্রাম মধু
২ চা চামচ হলুদ

যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে পানিতে মধু দিয়ে জ্বাল দিন।
২। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নিন।
৩। যখন এটি বলক আসবে তখন চুলা কমিয়ে দিন।
৪। তরলটি ঘন হয়ে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন।
৫। জ্বালের মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন।
৬। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন।

যেভাবে খাবেন:
দিনে দুইবার এটি খান। সকালে খালি পেটে দুই টেবিল চামচ এবং সন্ধ্যায় রাতের খাবার খাওয়ার আগে দুই টেবিল চামচ খান। এটি খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে কোন কিছু খাবেন না।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ এবং ভাল উপায়। ধূমপান আপনার শুধু ফুসফুস নয়, সম্পূর্ণ দেহের ক্ষতি করে থাকে। আপনি যদি একান্তই ধূমপান ত্যাগ করতে না পারেন, তবে এই পানীয়টি পান করুন। এটি আপনার ফুসফুস পরিস্কার করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে
সাধারণত শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। জ্বর এমন একটি অসুখ যা ছোট, বড় সবাইকে অনেক বেশি দুর্বল করে দিয়ে থাকে। আর তা যদি আদরের সোনামণিটার হয়ে থাকে তবে তো চিন্তার শেষ নেই। সাধারণত ঠান্ডা, সর্দির কারণে জ্বর আসলেও অনেক সময় সাধারণ এই জ্বর বড় রোগের পূর্ব লক্ষণও হতে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা অনেক সময় মস্তিষ্কে ক্ষতি সাধন করতে  পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ৫ মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো।
১। আলু

দুটি আলুর পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার আলুর পেস্টটি শিশুর মোজার ভিতর রেখে দিন। মোজা জোড়া শিশুটির পায়ে পরিয়ে রাখুন। দেখবেন কয়েক মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা কমে গেছে। কয়েক মিনিট পর মোজা দুটি  খুলে ফেলবেন।
২। ভেজা কাপড়

একটি সুতির কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। এবার এই ভেজা কাপড়টি শিশুর কপালে রাখুন। কয়েক মিনিট রাখার পর কাপড়টি তুলে ফেলুন। এইরকম কয়েকবার করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বর অনেক নেমে গেছেন দেখবেন।
৩। কুসুম গরম পানিতে গোসল

আপনি আপনার শিশুটিকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন। অথবা কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীরটি স্পঞ্জ করে দিন। পানি তার শরীরের তাপমাত্রা বাষ্প করে বের করে দিয়ে তাপমাত্রা হ্রাস করে দিয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ কুসুম গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানি শিশুর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি করে দিবে।
৪। তরল খাবার

আপনার শিশুটিকে কয়েক মিনিট পর পর এক চা চামচ করে পানি খাওয়ান। এটি আপনার শিশুর শরীর ভিতর থেকে হাইড্রেেটড করে দিবে। এছাড়া অল্প পরিমাণের ঠান্ডা দই, আইসক্রিম শিশুটিকে খেতে দিন। এটি শিশুর শরীর হাইড্রেটেড করে তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়ে থাকে।
৫। খোলামেলা কাপড় পরিধান

জ্বরের সময় শিশুটিকে বেশি কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। শিশুটির কাপড় কিছু ঢিলাঢালা করে দিন। কম কাপড় আপনার শিশুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে না, বরং তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করবে। যদি তার শীত লাগে তবে কম্বল বা লেপ জাতীয় কিছু জড়িয়ে দিন শিশুটিকে।
৬। ফ্যানের নিচে রাখুন

অনেক বাবা মা শিশুর জ্বর আসলে তাকে ফ্যান থেকে দূরে রাখেন। কিন্তু ফ্যান শিশুর শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ খুব বেশিক্ষণ শিশুকে ফ্যানের নিচে রাখবেন না। অল্প করে ফ্যান চালিয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে রাখুন। তারপর ফ্যানটি বন্ধ করে দিন।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে মনে রাখবেন এইগুলো কোন দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।