Sunday, October 30, 2016

মৌসুমি খুসখুসে কাশি দূর করুন ঘরোয়া কিছু উপায়ে

sasthobarta protidin
মৌসুমি খুসখুসে কাশি দূর করুন ঘরোয়া কিছু উপায়ে
ভোরের বাতাস শীত আগমনের আভাস দিচ্ছে। শীত শুরুর এই সময়টাতে জ্বর, ঠান্ডায় কম বেশি সবাই আক্রান্ত হয়। জ্বর ভাল হয়ে গেলেও কাশি সহজে ভাল হতে চায় না। এই কষ্টদায়ক খুসখুসে কাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আছে ঘরোয়া কিছু উপায়। ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব খুসখুসে কাশি। খুসখুসে কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। হলুদ

আধা কাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে জ্বাল দিন। এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। এটি প্রতিদিন পান করুন। এছাড়া এক কাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ মৌরি দিয়ে হারবাল চা তৈরি করুন। এটি দিনে তিনবার পান করুন।

২। মধু

শুষ্ক কাশি প্রতিকারে মধু বেশ কার্যকর। এক টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু প্রতিদিন ১ থেকে ৩ বার গ্রহণ করুন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ মধু খেয়ে নিন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১ চা চামচ থেকে ১ টেবিল চামচ হতে পারে। মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৩। রসুন

পাঁচটি রসুনের কোয়া কুচি করে এক চা চামচ ঘিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এটি খেয়ে ফেলুন। রসুনের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান কাশি উপশম করে থাকে। University of Maryland Medical Center cites এর মতে রসুন অব্যশই কাশি উপশম করে থাকে।

৪। পেঁয়াজ

খুস খুস কাশি দূর করতে পেঁয়াজ বেশ কার্যকর। আধা চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ গলার খুসখুসে কাশি কমাতে সাহায্য করবে।

৫। আদা চা

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা খেয়ে নিতে পারেন। আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার ভিতরে অস্বস্তিকর অনুভূতি দূর করে থাকে। এক কাপ পানিতে আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করুন। দেখবেন শুষ্ক কাশি অনেক কমে গেছে। আদা চায়ের পরিবর্তে এটি পান করতে পারেন। এছাড়া কিছু আদা কুচি এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিন। এটি পান করুন।

Thursday, October 27, 2016

যে ৭টি স্বাস্থ্যকর ব্রেক ফাস্ট ওজন কমাতে সাহায্য করবে

sasthobarta protidin
যে ৭টি স্বাস্থ্যকর ব্রেক ফাস্ট ওজন কমাতে সাহায্য করবে
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালের নাস্তা না খেয়ে থাকেন। অথচ সকালের নাস্তা আপনাকে সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করে। এমন কিছু খাবার সকালের নাস্তায় রাখা উচিত যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সকালের এমন কিছু মজাদার কিন্তু স্বাস্থ্যকর নাস্তার খবর নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। ভাজা সবজি এবং ডিম

সকালের নাস্তায় একটি ডিম ভাজি এবং এক বাটি সবজি ভাজি খেতে পারেন। এটি আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এবং সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করবে। এছাড়া সবজির সাথে একটি ডিম ভেঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। সম্ভব হলে সবজি অলিভ অয়েল দিয়ে ভেজে নিতে পারেন।

২। স্বাস্থ্যকর ওটস

ওটস খাবারটি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। ওটসের সাথে দারুচিনির গুঁড়ো, বাদাম দুধ, টকদই, কলা, আনারস কুচি, কাঠাবাদাম কুচি সব একসাথে মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভে বেক করে নিতে পারেন। বোরিং ওটসকে মজাদার করে তুলবে বাদাম দুধ।

৩। স্ট্রবেরি কলার স্মুদি

নাস্তার সাথে অনেকেই ফলের রস খেতে পছন্দ করেন। ফলের রসের পরিবর্তে কলা, কাঠবাদাম কুচি, টকদই দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার স্মুদি। এতে  ৩৫০ ক্যালরি এবং ১৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪। ফ্রুট সালাদ

সালাদ খেতে পছন্দ করেন? তাহলে সকালের নাস্তায় এই ফ্রুট সালাদটি খেতে পারেন।  গ্রেপফ্রুট, কমলা, ব্লুবেরি এবং একটি লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফ্রুট সালাদ। আপনি আপনার পছন্দের ফল দিয়ে তৈরি করতে পারেন, তবে টক জাতীয় ফল ভাল হয়।

৫। কটেজ চিজ

ফ্যাটের ভয়ে অনেকে পনির খেতে চান না। তারা কটেজ চিজ খেতে পারেন। চার আউন্স কটেজ চিজে ১৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮১ ক্যালরি রয়েছে। ফল অথবা সবজির সাথে কিছু পরিমাণ কটেজ চিজ মিশিয়ে নিতে পারেন।

৬। ডিম এবং সবজি

একটি ডিম অলিভ অয়েলে ভাজি করে নিন। এর সাথে দুই কাপ পালং শাক, এক কাপ মাশরুম অল্প তেলে ভাজি করুন। এটি সকালের নাস্তায় খেতে পারেন। এতে ২৩০ ক্যালরি রয়েছে।

৭। কলার প্যানকেক

মজাদার এই খাবারটি সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। কলা, ডিম, ময়দার সাথে আমন্ড বাটার মেশাতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

যে ৫ টি কারণে নবজাতক ও ছোট শিশুকে বালিশ দেয়া ঠিক নয়

ranna banna o beauty tips
যে ৫ টি কারণে নবজাতক ও ছোট শিশুকে বালিশ দেয়া ঠিক নয়
বড়দের জন্য বালিশ প্রয়োজনীয় ও আরামদায়ক ঘুমের অনুষঙ্গ হলেও নবজাতক ও শিশুদের জন্য বালিশ প্রয়োজনীয় নয়। আসলে শিশুর জন্মের প্রথম দুই বছরে শিশুকে বালিশ থেকে দূরে রাখারই পরামর্শ দেয়া হয়। ছোট শিশুদের বালিশে ঘুম পারালে দমবন্ধ হওয়ার মত মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা হতে পারে যার কারণে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ছোট শিশুদের বালিশ না দেয়ার কারণগুলো জেনে নিই চলুন।  

১। দমবন্ধ হওয়া

যদি মনে করেন যে, বালিশে ঘুমালেই শিশুর ভালো ঘুম হবে তাহলে এটা আপনার ভুল ধারণা। কারণ আপনার শিশুর কোমল মাথাটি নরম বালিশের ভেতরে ডুবে দমবন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শিশুর মাথা এক পাশ থেকে আরেক পাশে নাড়ানোর সময় শিশুর নরম ও ছোট নাকের ছিদ্র দুটো বালিশে চাপা পড়ে বন্ধ হয়ে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

২। SIDS হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়

ছোট শিশুকে বালিশ দিলে সাফোকেশন হওয়া ছাড়াও সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS) হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় বহুলাংশে। স্পঞ্জ বা থারমোকুল বালিশ যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে তার কারণে  শিশুর শ্বাস কষ্টের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও নাল বালিশ ব্যবহার করা হলে শিশুর মাথা নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়।

৩। অতিমাত্রায় তাপ সৃষ্টি করতে পারে

শিশুদের শৌখিন বালিশগুলোতে আকর্ষণীয় কভার লাগানো থাকে। যার বেশীর ভাগই সুতির কাপড়ের না হয়ে পলিয়েস্টার বা অন্য ফেব্রিকের হয়ে থাকে। যা মাথার নীচের দিকের তাপ বৃদ্ধি করে থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রাও উঠানামা করে। বালিশের কভারের কারণে অত্যধিক ঘাম বা তাপ উৎপন্ন হলে তা হাইপারথারমিয়া নামক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, যা শিশুর জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

৪। ঘাড় মচকানোর সমস্যা হতে পারে

শিশুদের বালিশগুলো চ্যাপ্টা ও ফাঁপা হয়। দীর্ঘ সময় এই ধরণের বালিশে ঘুমালে শিশুর ঘাড় মচকানোর সমস্যা হতে পারে।

৫। ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম

নরম বালিশে দীর্ঘক্ষণ ঘুমালে ক্রমাগত চাপের ফলে শিশুর ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। SIDS এর ঝুঁকি কমানোর জন্য শিশুকে চিত করে শোয়ানো ভালো। তবে নরম বালিশে দীর্ঘক্ষণ ঘুলালে শিশুর মাথার আকারের বিকৃতি সৃষ্টি করতে পারে।

শিশুর নিরাপদ ঘুমের জন্য করণীয় :

-   শিশুকে সব সময় চিত করে শোয়ান, উপুড় করে নয়।

-   শিশুর ২ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বালিশে শোয়াবেন না।

-   শিশু যদি ২ ঘন্টার বেশি একই অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার পাশ পরিবর্তন করে দিন।

-   আপনার শিশুকে যদি আলাদা বিছানায় শোয়ান তাহলে তার বিছানাটি আপনার বিছানার কাছে রাখুন এবং ইলেকট্রনিক গেজেট থেকে দূরে রাখুন।      

Wednesday, October 26, 2016

চুইংগামেরও আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা

চুইংগামেরও আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা
ছোট বড় সবারই পছন্দের খাবার হচ্ছে চুইংগাম। চুইংগাম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়। স্নায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন চুইংগাম আসলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার জন্য চিনিমুক্ত চুইংগাম খেতে হবে। চুইংগাম স্বাস্থ্যের জন্য কেন উপকারী তার কারণ জেনে নিই চলুন।

১। মনোযোগের উন্নতি ঘটাতে পারে

২০০৯ সালে নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, চুইংগাম চিবালে সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কাজের সময় অলসতা অনুভব করেন তাহলে চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবান, এতে আপনার কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

২। স্ট্রেস কমায়

চুইংগাম স্ট্রেস কমতেও সাহায্য করে। গবেষকেরা চুইংগাম ও মেজাজের উন্নতির মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। নার্ভাস হেবিট যেমন- নখ কামড়ানো বা পা নাড়ানোর মত অভ্যাসগুলোকে কমতে সাহায্য করে চুইংগাম যা সাধারণত হয়ে থাকে স্ট্রেসের কারণে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের নিঃসরণ কমতে সাহায্য করে চুইংগাম।  

৩। খাদ্যের আসক্তি কমায়

যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন এবং জাংকফুড খাওয়া কমাতে চান, তাহলে চিনিমুক্ত চুইংগাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম চিবানোর ফলে স্ন্যাক্স খাওয়ার ঝোঁক কমে। ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়।

৪। একাগ্রতার উন্নতি হয়

মনোযোগের সমস্যার বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন। আপনার যদি কোন প্রোজেক্ট বা এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করতে সমস্যা হয় তাহলে চুইংগাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম জ্ঞানীয় কাজ ও একাগ্রতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

৫। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

চুইংগাম ক্যাভেটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমায়। এছাড়াও চিনিমুক্ত চুইংগাম দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি কমায় প্রায় ৪০% পর্যন্ত।

৬। বিমানে কান ব্যথা কমতে সাহায্য করে

বিমান উঠা এবং নামার সময় অনেকেরই কানে ব্যথা হয় বায়ুর চাপের কারণে। বিভিন্ন ভাবে কানের এই সমস্যাটি দূর করা যায় যেমন- হাই তোলা বা নাকে চিমটি কাটা ইত্যাদি। আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে চুইংগাম চিবানো। চুইংগাম লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি যখন ঢোক গিলবেন তখন কানের চাপ সমান হতে সাহায্য করবে।   

Tuesday, October 25, 2016

যে ৭টি খাবার রক্ত পরিষ্কার করে থাকে

Clean blood
যে ৭টি খাবার রক্ত পরিষ্কার করে থাকে
দেহের অন্যতম উপাদান হল রক্ত। প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে রক্ত দূষিত হচ্ছে। রক্ত দূষিত হওয়ার জন্য খাবার, বায়ু, পরিবেশ ইত্যাদি মূলত দায়ী । রক্ত কোন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে তা সম্পূর্ণ শরীর ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  তাই রক্ত সুস্থ রাখা প্রয়োজন। রক্ত থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে কিছু খাবার। এমন কিছু খাবারের সাথে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।  

১। লেবু

লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, প্যাকটিন, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা দূষিত রক্ত দূর করতে সাহায্য করে। সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি খালি পেটে পান করুন। এটি পেটের মেদ কমানোর সাথে সাথে রক্ত পরিষ্কার করবে।

২। রসুন

আভ্যন্তরীণ প্যারাসাইট এবং ভাইরাস আপনার শরীর থেকে, বিশেষত রক্ত এবং অন্ত্র থেকে দূর করতে পারদর্শী রসূন। এর অ্যান্টি ক্যান্সার এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং তা সংক্রামণ প্রতিরোধ করে থাকে।

৩। ব্রকলি

রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন পর্দাথ দূর করতে ব্রকলি বেশ পরিচিত একটি খাবার। এতে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস রয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ব্রকলি রাখার চেষ্টা করুন।

৪। অ্যাভোকাডো

নানা পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ এবং কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে অ্যাভোকাডোর ভূমিকা রয়েছে।  ধমনীতে অনেক সময় ব্লক তৈরি হয় তা দূর করে দিতেও বেশ কার্যকর এই ফল। এছাড়া এতে গ্লুটাথিয়ন নামক উপাদান রয়েছে যা লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৫। লেটুস পাতা

সালাদের পরিচিত উপাদান লেটুস। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। সালাদ কিংবা স্মুদিতে লেটুস পাতা যোগ করুন।

৬। বিট

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং নানা পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ এই সবজিটি রোগ জীবাণু থেকে শরীরকে  রক্ষা করে থাকে। এবং রক্ত থেকে টক্সিন দূর করে লিভারকে সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয় বিট রক্ত স্বল্পতাও দূর করে থাকে।

৭। গ্রেপফ্রুট

স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গ্রেপফ্রুট অনেক উপকারী। এতে  কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, প্যাকটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন বি রয়েছে। এর প্যাকটিন উপাদান দেহ থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেবে। ভিটামিন সি রক্তে কোলাজেন উৎপাদন করে।