Showing posts with label health care. Show all posts
Showing posts with label health care. Show all posts

Wednesday, October 26, 2016

চুইংগামেরও আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা

চুইংগামেরও আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা
ছোট বড় সবারই পছন্দের খাবার হচ্ছে চুইংগাম। চুইংগাম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়। স্নায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন চুইংগাম আসলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার জন্য চিনিমুক্ত চুইংগাম খেতে হবে। চুইংগাম স্বাস্থ্যের জন্য কেন উপকারী তার কারণ জেনে নিই চলুন।

১। মনোযোগের উন্নতি ঘটাতে পারে

২০০৯ সালে নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, চুইংগাম চিবালে সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কাজের সময় অলসতা অনুভব করেন তাহলে চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবান, এতে আপনার কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

২। স্ট্রেস কমায়

চুইংগাম স্ট্রেস কমতেও সাহায্য করে। গবেষকেরা চুইংগাম ও মেজাজের উন্নতির মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। নার্ভাস হেবিট যেমন- নখ কামড়ানো বা পা নাড়ানোর মত অভ্যাসগুলোকে কমতে সাহায্য করে চুইংগাম যা সাধারণত হয়ে থাকে স্ট্রেসের কারণে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের নিঃসরণ কমতে সাহায্য করে চুইংগাম।  

৩। খাদ্যের আসক্তি কমায়

যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন এবং জাংকফুড খাওয়া কমাতে চান, তাহলে চিনিমুক্ত চুইংগাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম চিবানোর ফলে স্ন্যাক্স খাওয়ার ঝোঁক কমে। ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়।

৪। একাগ্রতার উন্নতি হয়

মনোযোগের সমস্যার বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন। আপনার যদি কোন প্রোজেক্ট বা এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করতে সমস্যা হয় তাহলে চুইংগাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম জ্ঞানীয় কাজ ও একাগ্রতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

৫। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

চুইংগাম ক্যাভেটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমায়। এছাড়াও চিনিমুক্ত চুইংগাম দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি কমায় প্রায় ৪০% পর্যন্ত।

৬। বিমানে কান ব্যথা কমতে সাহায্য করে

বিমান উঠা এবং নামার সময় অনেকেরই কানে ব্যথা হয় বায়ুর চাপের কারণে। বিভিন্ন ভাবে কানের এই সমস্যাটি দূর করা যায় যেমন- হাই তোলা বা নাকে চিমটি কাটা ইত্যাদি। আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে চুইংগাম চিবানো। চুইংগাম লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি যখন ঢোক গিলবেন তখন কানের চাপ সমান হতে সাহায্য করবে।   

Monday, March 21, 2016

ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই

sasthobarta protidin
ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই
সময়টা এখন শুধুই ভ্রমণের। পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই এটা। ফুরফুরে মন নিয়ে বের হয়েছেন লম্বা ভ্রমণে, কিন্তু বাধ সেধে বসে বমি বমি ভাব। গাড়িতে উঠলেই হঠাৎ করেই বমির ভাব আসে। এটাকে অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। এছাড়া তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে গ্যাস বা খাবার হজমে সমস্যা হলে প্রায়ই বমি বমি ভাব হয়। বমি বন্ধ করা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন নিজের জন্য অস্বস্তিকর তেমনি অপরের জন্য বিব্রতকর। অথচ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন নিজেই। যেমন-

- বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সেদ্ধ দিন। এবার ওই পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

- যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গেছে।

- পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

- অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

- অনেকের ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

Sunday, January 31, 2016

অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল

sasthobarta protidin
অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল
নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা আর অলস জীবনযাত্রার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু, এমনটাই সতর্কবানী দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, “যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।”

প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকাকে অতিরিক্ত বসে থাকা বিবেচনা করা হয়েছে। আর কম শরীরচর্চার পরিমাপ বিবেচিত হয়েছে সপ্তাহে দেড়শ মিনিটের কম শরীরচর্চা।

গবেষণার প্রধান লেখক ডা. মেলোডি ডিং বলেন, “এটাই প্রথম গবেষণা, যা ঘুম ও বসে থাকা এই দুইটি বিষয় কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে যদি শরীরচর্চার অভাব যোগ করা হয় তাহলে হতে পারে ত্রিমাত্রিক সর্বনাশ। আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে এই অভ্যাসগুলো হেলাফেলা করা উচিৎ নয়।”

জীবনাযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস যেমন, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অলসতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এই সমীকরণে যোগ করেন দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অতিরিক্ত বা স্বল্প ঘুম।

গবেষণায় সহ-লেখক অধ্যাপক এড্রিয়ান বাউম্যান বলেন, “শিক্ষামূলক পরামর্শ হবে, জীবনযাত্রার ভুলত্রুটি সম্পর্কিত রোগবালাই থেকে বাঁচার স্বাস্থ্যকর উপায় বের করতে হলে আমাদের উচিত হবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া।”

বর্তমান যুগে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বিশ্বব্যপি কেড়ে নিচ্ছে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি প্রাণ এবং এই মৃত্যুহার সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুহারের চাইতেও বেশি।

পিএলওএস মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা উল্লেখ করেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে বেশি মারাত্বক তা চিহ্নিত করতে পারলে বিপজ্জনক, ক্রমবর্ধমান ও বিশ্বব্যপি এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।”

Saturday, January 30, 2016

"স্বাস্থ্যকর" এই জিনিসগুলো কিনে অযথা টাকা খরচ করবেন না

sasthobarta protidin
"স্বাস্থ্যকর" এই জিনিসগুলো কিনে অযথা টাকা খরচ করবেন না 
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। এই চেষ্টার কারণে বিভিন্ন পণ্য কেনার প্রতিও অনেকের ঝোঁক দেখা যায়। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কি আসলেই বেশি দামী দামী পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন আছে? এগুলো ব্যবহার না করলে কি আপনি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? আসলে কিন্তু এমন কিছু পণ্য আছে যেগুলো কেনা মানেই অযথা টাকা খরচ। জেনে নিন এসব পণ্যের ব্যাপারে।
১) মাউথওয়াশ

আপনি যদি নিয়মিত ব্রাশ করেন, ফ্লস করেন এবং যথাসময়ে ডেন্টিস্ট দেখান তাহলে আসলে আপনার মাউথওয়াশ আলাদা করে ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। ডেন্টিস্ট যদি আপনাকে ব্যবহার করতে বলে তাহলেই ব্যবহার করুন। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই আসলে মাউথওয়াশ তেমন একটা উপকার করে না। এটা ব্যাকটেরিয়া মারে বটে, কিন্তু বেশীক্ষণ এর প্রভাব স্থায়ী হয় না। বরং এটা আপনার মুখ শুকিয়ে দিতে পারে, এতে উল্টো বাড়তে পারে ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ। দরকার মনে করলে আপনার ডেন্টিস্টের সাথে কথা বলেই জেনে নিন কোন মাউথওয়াশটি আপনার ব্যবহার করা ঠিক হবে।
২) ভিটামিন সি

অনেকেই মনে করেন সিভিট বা ভিটামিন সি ট্যাবলেটগুলো খেলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়। এর ফলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আসা ছোটখাটো ফ্লু, জ্বর, ঠাণ্ডা এসব কমানো সম্ভব হয়। এছাড়াও ক্যান্সার, হৃদরোগ, বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার রোগ এসবের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। কিন্তু জেনে রাখা দরকার যে এই উপকার পাওয়া যাবে আপনি যদি খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন সি গ্রহণ করেন, তাহলেই। অর্থাৎ লেবু, কমলা এবং ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলেই উপকারিতা পাওয়া যাবে। আপনি যদি ভিটামিন সি ট্যাবলেট গ্রহণ করেন তাহলে আসলে সেটা আপনার ইউরিনের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।
৩) দামী সানস্ক্রিন

দামী সানস্ক্রিন মানেই যে তা বেশি কার্যকরী, এমনটা কিন্তু নয়। আপনি যদি দামী সানস্ক্রিন অল্প একটু করে ব্যবহার করেন, তাহলে আসলে মোটের ওপর লাভ হবেই না। বরং কমদামী অথচ কার্যকরী একটা সানস্ক্রিন কিনে তা পরিমাণমতো ব্যবহার করলে আপনার উপকার হবে।
৪) কান পরিষ্কারের কটন বাড

কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করলে আপনি কানের সমস্যায় ভুগবেন, এতে আপনার কানের ডাক্তারের পকেট ভারি হবে। আমাদের কানের ময়লা আসলে আমাদের উপকারই করে। এটা কানকে বহিরাগত বিভিন্ন ময়লা থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়াও এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও আছে। আপনি যদি কটন বাড ব্যবহার করেন তাহলে সেটা এই ময়লাকে আরও পেছনের দিকে ঠেলে দেবে, যার ফলে আপনার শ্রবণশক্তি কমে যাবে, অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে।
৫) চোখের লালচেভাবের জন্য আই ড্রপ

নিয়মিত আই ড্রপ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চোখের বড় কোনো সমস্যা ঢাকা পড়ে যেতে পারে। এমনকি এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনার চোখ সহজেই অস্বস্তিতে ভুগতে পারে। চোখ লাল হয়ে থাকলে আগে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন কোনো সমস্যা আছে কিনা।

Saturday, January 2, 2016

শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে
মরণব্যাধি ক্যান্সার ছোট শিশুটিকেও ছাড় দেয় না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর আনুমানিক ১২,৪০০ শিশু এবং টিনেজার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পাঁচশ জন তরুণের মধ্যে একজন তরুণ ছোটবেলায় ক্যানসারের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছে। শৈশবকালের ক্যান্সার সাধারণত বাবা মায়ের খাদ্যভ্যাসের সাথে যুক্ত থাকে। বাবা মায়ের ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে দায়ী করা হয় এর জন্য। Dr. B.C. Roy Awardee Dr. Anupam Sachdeva, Director, Pediatric Hematology Oncology and Bone Marrow Transplantation Institute For Child Health, Sir Ganga Ram Hospital কিছু উপায় বলেছেন যা দ্বারা শিশুদের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস

আপনার বাচ্চাকে ফ্রেশ ফল, শাকসবজি বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তলুন। এটি শরীরের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দূর করে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ ফল ও সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া মুরগি, সামুদ্রিক মাছ এবং সয়া খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। জাঙ্ক ফুড এবং কোলাজাতীয় পানীয় কম খাওয়ান।
২। সানস্ক্রিন ব্যবহার

আপনার বাচ্চাটি যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করুন। এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। যা স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৩। শরীরচর্চা

লক্ষ্য রাখুন আপনার শিশুটি যেন শারীরিক শ্রমে অভ্যস্ত হয়। শারীরিক কার্যকলাপ হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস, সাঁতার কাটা, বাইরে খেলাধুলা করা, হাঁটার অভ্যাস করা ইত্যাদি।
৪। ওজন বৃদ্ধি

আধুনিক সময়ে বাচ্চাদের স্থূলতা বেড়ে চলছে। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, বসে থাকা ইত্যাদি বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। একনাগাড়ে ২ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা উচিত নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সকালে নাস্তা অব্যশই খাওয়াবেন। নবজাতককে অব্যশই ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৫। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ

ছোট বয়সেই আপনার বাচ্চাকে ধূমপান এবং মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এমনকি আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা আজকেই ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকেই অনুসরণ করবে।
৬। সার্ভিকাল ক্যান্সার ভ্যাকসিন

সাধারণত ১১ থেকে ১২ বছরে শিশুদের এইচআইভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিনের দুটি অংশ সার্ভারিক্স আর গার্ডাসিল যা প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। গার্ডাসিল এবং সার্ভারিক্স মহিলাদের এইচআইভি প্রতিরোধ করে। কিন্তু গার্ডাসিল বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

হেপাটাইটিস বি ইনফেকশন লিভার ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। এর ভ্যাকসিন আপনার শিশুটিকে দিতে ভুলবেন না।
মূলত স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং সচেতনতাই পারে আপনার শিশুকে মরণঘ্যাতি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে। 

Thursday, December 10, 2015

শীতে স্বাস্থ্যনাশ

sasthobarta protidin
ঠাণ্ডা মৌসুমে আলসেমি ভরা দিনগুলোতে সাধারণ কিছু অভ্যাস স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শীতের সকালে কম্বলের উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাহানার অন্ত থাকে না। এ কারণে প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনেও ব্যঘাত ঘটে। পাশাপাশি চা বা কফি খাওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এরকম প্রতিটি অভ্যাসই বেশ ক্ষতিকর।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের বিষয় তুলে ধরা হয়।

ব্যায়াম এড়িয়ে চলা: শীতের সকালে ঘুম বাদ দিয়ে ব্যায়াম করা মোটেও সুখকর কোনো বিষয় নয়। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম বাদ পড়ে যায় এই মৌসুমে। ‍সকালে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর শরীরচর্চা করলে মন ভালো রাখার হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই শীতের সকালেও কিছুটা কষ্ট করে ব্যায়াম করলে সারাদিন বেশ ফুরফুরে লাগবে।

সারাদিন ঘরে থাকা: শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরের ভেতর থাকতে পছন্দ করেন। এতে একঘেঁয়েমি এবং অবসাদ চেপে বসতে পারে। তাই শীতেও ঘর থেকে বের হওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘুমানো: শীতে সাধারণভাবেই ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, একইভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমানও ঠিক নয়।

খাবারে লাগাম না টানা: খাওয়ার জন্যও বেশ উপযুক্ত সময় শীতকাল। তৈলাক্ত বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে গরমে যেমন অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে সেই সম্ভাবনা এই মৌসুমে অনেকটাই কম। তাই নিয়মিত ডায়েটেও ব্যঘাত ঘটে। শরীরে ক্যালরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণেও লাগাম টানতে হবে।

দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল: শীতে উষ্ণ পানিতে গোসল করা বেশ আরামদায়ক। তবে দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি সব থেকে ভালো এবং এই সময় যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পর হালকা ভেজা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

ত্বক আর্দ্র না রাখা: সাধারণত দিনে একবার গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। এ মৌসুমে ত্বক প্রতিনিয়ত আর্দ্রতা হারায়। ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা বাড়ে। তাই যখনই ত্বক শুষ্ক মনে হবে তখনই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।