Showing posts with label health. Show all posts
Showing posts with label health. Show all posts

Tuesday, November 8, 2016

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগ

sasthobarta protidin
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগ
গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামটির সঙ্গে পরিচিত নন এমন লোক খুঁজে বের করা হয়তো খুব কঠিন হবে। সাধারণত লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝে থাকেন আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলি পেপটিক আলসার।

পেপটিক আলসার যে শুধু পাকস্থলীতেই হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়; এটি পৌষ্টিকতন্ত্রের যে কোনো অংশেই হতে পারে। সাধারণত পৌষ্টিকতন্ত্রের যে যে অংশে পেপটিক আলসার দেখা যায় তা হচ্ছে-

* অন্ননালির নিচের প্রান্ত

* পাকস্থলী

* ডিওডেনাম বা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ এবং

* পৌষ্টিকতন্ত্রের অপারেশনের পর যে অংশে জোড়া লাগানো হয় সে অংশে।

পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশ তথা আমাদের এ উপমহাদেশে এ রোগীর সংখ্যা বেশি। ধনীদের চেয়ে গরিব লোকদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। নারী-পুরুষ প্রায় সমানভাবে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

যেসব কারণে পেপটিক আলসার হতে পারে

বংশগত : কারো নিকটতম আত্মীয়স্বজন, যেমন- মা, বাবা, চাচা, মামা, খালা, ফুফু যদি এ রোগে ভুগে থাকেন তবে তাদের পেপটিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের রক্তের গ্র“প ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

রোগ-জীবাণু : হেলিকোবেক্টারে পাইলোরি নামক এক ধরনের অণুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

ওষুধ : যেসব ওষুধ সেবনে পেপটিক আলসার হতে পারে তার মধ্যে ব্যথানাশক ওষুধ বা ঘংধরফং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ধূমপান : ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

এ ছাড়াও কারো পৌষ্টিকতন্ত্র থেকে যদি বেশি পরিমাণে অ্যাসিড ও প্রোটিন পরিপাককারী এক ধরনের এনজাইম বা পেপসিন নামে পরিচিত তা নিঃসৃত হতে থাকে এবং জন্মগতভাবেই পৌষ্টিকতন্ত্রের গঠনতন্ত্রের গঠনগত কাঠামো দুর্বল থাকে তাহলেও পেপটিক আলসার হতে পারে।

সাধারণত যে কথাটা প্রচলিত ভাজা-পোড়া কিংবা ঝালজাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয় এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেলেনি। যারা নিয়মিত আহার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন, তাদের মধ্যে পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।

উপসর্গ

পেটব্যথা : সাধারণত পেটের উপরিভাগের মাঝখানে বক্ষ পিঞ্জরের ঠিক নিচে পেপটিক আলসারের ব্যথা অনুভব হয়। কখনও কখনও ব্যথাটা পেছনের দিকেও যেতে পারে।

ক্ষুধার্ত থাকলে ব্যথা : এ জাতীয় রোগী ক্ষুধার্ত হলেই প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে এবং খাবার খেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যায়।

রাতে ব্যথা : অনেক সময় রাতের বেলা পেটে ব্যথার কারণে রোগী ঘুম থেকে জেগে ওঠে। কিছু খেলে ব্যথা কমে যায় এবং রোগী আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

মাঝে মধ্যে ব্যথা : পেপটিক আলসারের ব্যথা সাধারণত সবসময় থাকে না। একাধারে ব্যথা কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকে। তারপর রোগী সম্পূণরূপে ভালো হয়ে যায়, এ অবস্থা কয়েক মাস থাকে তারপর আবার কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠিক আগের মতো ব্যথা অনুভব হয় ।

ব্যথা কমে : পেপটিক আলসার ব্যথা সাধারণ দুধ, অ্যান্টাসিড, খাবার খেলে কিংবা বমি করলে অথবা ঢেঁকুর তুললে ব্যথা কমে।

এছাড়াও পেপটিক আলসারের মধ্যে বুক জ্বালা, অরুচি, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, কিংবা হঠাৎ রক্ত বমি অথবা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে।

চিকিৎসা

শৃংখলা : পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ অর্থাৎ এসপ্রিনজাতীয় ওষুধ সেবন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ওষুধ : পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত অ্যান্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসোপ্রাজল, পেনটোপ্রাজলজাতীয় ওষুধ সেবনে উপকৃত হন।

কারণভিত্তিক চিকিৎসা : জীবাণুজনিত কারণে যদি এ রোগ হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়, যা ট্রিপল ড্রাগ থেরাপি নামে পরিচিত।

অপারেশন : পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে অপারেশন সাধারণত জরুরি নয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের পরও যদি রোগী ভালো না হন, তবে কিছু খেলে যদি বমি হয়ে যায় অর্থাৎ পৌষ্টিকনালির কোনো অংশ যদি সরু হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অপারেশন করিয়ে রোগী উপকৃত হতে পারেন।

সময়মতো পেপটিক আলসারের চিকিৎসা না করলে রোগীর নিুলিখিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-

* পাকস্থলী ফুটা হয়ে যেতে পারে

* রক্ত বমি হতে পারে

* কালো পায়খানা হতে পারে

* রক্তশূন্যতা হতে পারে

* ক্যান্সার হতে পারে (কদাচিৎ) এবং

* পৌষ্টিকনালির পথ সরু হয়ে যেতে পারে এবং রোগীর বারবার বমি হতে পারে।

কাজেই যারা দীর্ঘমেয়াদি পেপটিক আলসারে ভুগছেন তাদের উচিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। পেপটিক আলসারজনিত জটিলতা আগে থেকেই শনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া। প্রয়োজনে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা ধরে না রেখে সুস্থ-সুন্দর-স্বাভাবিক জীবনযাপন করা।

লেখক : বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, কলোরেকটাল সার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

অলিভ ওয়েলের যত গুণ

sasthobarta protidin
অলিভ ওয়েলের যত গুণ
ভোজ্য তেল হিসেবে অনেক ধরনের তেল ব্যবহৃত হয়। তবে সারা বিশ্বে যত রকম ভোজ্য তেল রয়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর তালিকার দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করে আছে অলিভ ওয়েল। সুস্থ ও ফিট দেহের জন্য অলিভ ওয়েলের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। অনেক দেশে অলিভ ওয়েল সাধারণত কেবল সালাদের তেল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক দেশের রান্নার জরুরি উপকরণ এটি। তবে কেবল রান্নাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এই অলিভ ওয়েলকে আরও নানা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেই, সালাদ বা রান্নার কাজ ছাড়াও অলিভ ওয়েলের কিছু অনন্য ব্যবহারের কথা-

১. মাঝে মাঝে দেখা যায় বাড়ির কোন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে গেলে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়ার করে। সে ক্ষেত্রে সংযোগ কব্জাগুলোতে কিছু অলিভ ওয়েল দিয়ে দিন। আর শব্দ করবে না।

২. ওটমিল, সামান্য ক্রিমের সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা মুখ পরিষ্কারের স্কার্ব হিসাবে ব্যবহার করুন।

৩. লোহার যন্ত্রপাতি বা গ্রিলের মরিচা প্রতিরোধ করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৪. বাচ্চাদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ ওয়েলকে সেরা বলে ধরা হয়।

৫. বাড়িতে শেভিং ক্রিম না থাকলে মসৃণ শেভের জন্য অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৬. এক কাপ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিন। আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজে একে ব্যবহার করুন।

৭. হাতের কালশিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৮. ওয়াক্সিংয়ের পর হাত ও পায়ের চিটচিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল মাখুন।

৯. চুলকে স্থির করে রাখতে চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন চুলে। মনে হবে যেন জেল দিয়েছেন।

১০. মৌচাক থেকে প্রাপ্ত মোমের সঙ্গে সামান্য অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে দিন। এটি পরে লিপজেলের কাজ করবে।

১১. চুলের কন্ডিশনার হিসাবে অলিভ ওয়েল দারুণ কাজে দেয়। চুলে মেখে একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।

১২. ব্রাশগুলোকে চকচকে রাখতে এগুলো ধুয়ে অলিভ ওয়েলে পলিশ করুন।

১৩. মেকআপ মুছতে রিমুভার হিসেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

১৪. দাঁতের যত্নেও দারুণ এক উপাদান অলিভ ওয়েল।

১৫. শিশুদের নিতম্ব থেকে র‌্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন।

Thursday, October 27, 2016

যে ৭টি স্বাস্থ্যকর ব্রেক ফাস্ট ওজন কমাতে সাহায্য করবে

sasthobarta protidin
যে ৭টি স্বাস্থ্যকর ব্রেক ফাস্ট ওজন কমাতে সাহায্য করবে
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালের নাস্তা না খেয়ে থাকেন। অথচ সকালের নাস্তা আপনাকে সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করে। এমন কিছু খাবার সকালের নাস্তায় রাখা উচিত যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সকালের এমন কিছু মজাদার কিন্তু স্বাস্থ্যকর নাস্তার খবর নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। ভাজা সবজি এবং ডিম

সকালের নাস্তায় একটি ডিম ভাজি এবং এক বাটি সবজি ভাজি খেতে পারেন। এটি আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এবং সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করবে। এছাড়া সবজির সাথে একটি ডিম ভেঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। সম্ভব হলে সবজি অলিভ অয়েল দিয়ে ভেজে নিতে পারেন।

২। স্বাস্থ্যকর ওটস

ওটস খাবারটি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। ওটসের সাথে দারুচিনির গুঁড়ো, বাদাম দুধ, টকদই, কলা, আনারস কুচি, কাঠাবাদাম কুচি সব একসাথে মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভে বেক করে নিতে পারেন। বোরিং ওটসকে মজাদার করে তুলবে বাদাম দুধ।

৩। স্ট্রবেরি কলার স্মুদি

নাস্তার সাথে অনেকেই ফলের রস খেতে পছন্দ করেন। ফলের রসের পরিবর্তে কলা, কাঠবাদাম কুচি, টকদই দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার স্মুদি। এতে  ৩৫০ ক্যালরি এবং ১৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪। ফ্রুট সালাদ

সালাদ খেতে পছন্দ করেন? তাহলে সকালের নাস্তায় এই ফ্রুট সালাদটি খেতে পারেন।  গ্রেপফ্রুট, কমলা, ব্লুবেরি এবং একটি লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফ্রুট সালাদ। আপনি আপনার পছন্দের ফল দিয়ে তৈরি করতে পারেন, তবে টক জাতীয় ফল ভাল হয়।

৫। কটেজ চিজ

ফ্যাটের ভয়ে অনেকে পনির খেতে চান না। তারা কটেজ চিজ খেতে পারেন। চার আউন্স কটেজ চিজে ১৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮১ ক্যালরি রয়েছে। ফল অথবা সবজির সাথে কিছু পরিমাণ কটেজ চিজ মিশিয়ে নিতে পারেন।

৬। ডিম এবং সবজি

একটি ডিম অলিভ অয়েলে ভাজি করে নিন। এর সাথে দুই কাপ পালং শাক, এক কাপ মাশরুম অল্প তেলে ভাজি করুন। এটি সকালের নাস্তায় খেতে পারেন। এতে ২৩০ ক্যালরি রয়েছে।

৭। কলার প্যানকেক

মজাদার এই খাবারটি সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। কলা, ডিম, ময়দার সাথে আমন্ড বাটার মেশাতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

যে ৫ টি কারণে নবজাতক ও ছোট শিশুকে বালিশ দেয়া ঠিক নয়

ranna banna o beauty tips
যে ৫ টি কারণে নবজাতক ও ছোট শিশুকে বালিশ দেয়া ঠিক নয়
বড়দের জন্য বালিশ প্রয়োজনীয় ও আরামদায়ক ঘুমের অনুষঙ্গ হলেও নবজাতক ও শিশুদের জন্য বালিশ প্রয়োজনীয় নয়। আসলে শিশুর জন্মের প্রথম দুই বছরে শিশুকে বালিশ থেকে দূরে রাখারই পরামর্শ দেয়া হয়। ছোট শিশুদের বালিশে ঘুম পারালে দমবন্ধ হওয়ার মত মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা হতে পারে যার কারণে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ছোট শিশুদের বালিশ না দেয়ার কারণগুলো জেনে নিই চলুন।  

১। দমবন্ধ হওয়া

যদি মনে করেন যে, বালিশে ঘুমালেই শিশুর ভালো ঘুম হবে তাহলে এটা আপনার ভুল ধারণা। কারণ আপনার শিশুর কোমল মাথাটি নরম বালিশের ভেতরে ডুবে দমবন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শিশুর মাথা এক পাশ থেকে আরেক পাশে নাড়ানোর সময় শিশুর নরম ও ছোট নাকের ছিদ্র দুটো বালিশে চাপা পড়ে বন্ধ হয়ে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

২। SIDS হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়

ছোট শিশুকে বালিশ দিলে সাফোকেশন হওয়া ছাড়াও সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS) হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় বহুলাংশে। স্পঞ্জ বা থারমোকুল বালিশ যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে তার কারণে  শিশুর শ্বাস কষ্টের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও নাল বালিশ ব্যবহার করা হলে শিশুর মাথা নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়।

৩। অতিমাত্রায় তাপ সৃষ্টি করতে পারে

শিশুদের শৌখিন বালিশগুলোতে আকর্ষণীয় কভার লাগানো থাকে। যার বেশীর ভাগই সুতির কাপড়ের না হয়ে পলিয়েস্টার বা অন্য ফেব্রিকের হয়ে থাকে। যা মাথার নীচের দিকের তাপ বৃদ্ধি করে থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রাও উঠানামা করে। বালিশের কভারের কারণে অত্যধিক ঘাম বা তাপ উৎপন্ন হলে তা হাইপারথারমিয়া নামক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, যা শিশুর জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

৪। ঘাড় মচকানোর সমস্যা হতে পারে

শিশুদের বালিশগুলো চ্যাপ্টা ও ফাঁপা হয়। দীর্ঘ সময় এই ধরণের বালিশে ঘুমালে শিশুর ঘাড় মচকানোর সমস্যা হতে পারে।

৫। ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম

নরম বালিশে দীর্ঘক্ষণ ঘুমালে ক্রমাগত চাপের ফলে শিশুর ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। SIDS এর ঝুঁকি কমানোর জন্য শিশুকে চিত করে শোয়ানো ভালো। তবে নরম বালিশে দীর্ঘক্ষণ ঘুলালে শিশুর মাথার আকারের বিকৃতি সৃষ্টি করতে পারে।

শিশুর নিরাপদ ঘুমের জন্য করণীয় :

-   শিশুকে সব সময় চিত করে শোয়ান, উপুড় করে নয়।

-   শিশুর ২ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বালিশে শোয়াবেন না।

-   শিশু যদি ২ ঘন্টার বেশি একই অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার পাশ পরিবর্তন করে দিন।

-   আপনার শিশুকে যদি আলাদা বিছানায় শোয়ান তাহলে তার বিছানাটি আপনার বিছানার কাছে রাখুন এবং ইলেকট্রনিক গেজেট থেকে দূরে রাখুন।      

Wednesday, October 26, 2016

চুইংগামেরও আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা

চুইংগামেরও আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা
ছোট বড় সবারই পছন্দের খাবার হচ্ছে চুইংগাম। চুইংগাম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়। স্নায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন চুইংগাম আসলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার জন্য চিনিমুক্ত চুইংগাম খেতে হবে। চুইংগাম স্বাস্থ্যের জন্য কেন উপকারী তার কারণ জেনে নিই চলুন।

১। মনোযোগের উন্নতি ঘটাতে পারে

২০০৯ সালে নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, চুইংগাম চিবালে সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কাজের সময় অলসতা অনুভব করেন তাহলে চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবান, এতে আপনার কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

২। স্ট্রেস কমায়

চুইংগাম স্ট্রেস কমতেও সাহায্য করে। গবেষকেরা চুইংগাম ও মেজাজের উন্নতির মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। নার্ভাস হেবিট যেমন- নখ কামড়ানো বা পা নাড়ানোর মত অভ্যাসগুলোকে কমতে সাহায্য করে চুইংগাম যা সাধারণত হয়ে থাকে স্ট্রেসের কারণে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের নিঃসরণ কমতে সাহায্য করে চুইংগাম।  

৩। খাদ্যের আসক্তি কমায়

যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন এবং জাংকফুড খাওয়া কমাতে চান, তাহলে চিনিমুক্ত চুইংগাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম চিবানোর ফলে স্ন্যাক্স খাওয়ার ঝোঁক কমে। ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়।

৪। একাগ্রতার উন্নতি হয়

মনোযোগের সমস্যার বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন। আপনার যদি কোন প্রোজেক্ট বা এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করতে সমস্যা হয় তাহলে চুইংগাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম জ্ঞানীয় কাজ ও একাগ্রতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

৫। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

চুইংগাম ক্যাভেটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমায়। এছাড়াও চিনিমুক্ত চুইংগাম দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি কমায় প্রায় ৪০% পর্যন্ত।

৬। বিমানে কান ব্যথা কমতে সাহায্য করে

বিমান উঠা এবং নামার সময় অনেকেরই কানে ব্যথা হয় বায়ুর চাপের কারণে। বিভিন্ন ভাবে কানের এই সমস্যাটি দূর করা যায় যেমন- হাই তোলা বা নাকে চিমটি কাটা ইত্যাদি। আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে চুইংগাম চিবানো। চুইংগাম লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি যখন ঢোক গিলবেন তখন কানের চাপ সমান হতে সাহায্য করবে।   

Wednesday, July 20, 2016

প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা

sasthobarta protidin
প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা
কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে শুরু হয়ে যেতে পারে গলা ব্যথা। অ্যালার্জি, শুষ্ক বাতাস, দূষণ, ঠান্ডা, ফ্লু ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে গলায় ইনফেকশন দেখা দেয়। যা গলা ব্যথা সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে এই গলা ব্যথা মারাত্নক হতে পারে। সবসময় এই গলা ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। কষ্টকর এই ব্যথা দূর করতে পারেন ঘরোয়া কিছু উপায়ে।

১। লেবু

গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি আস্তে আস্তে পান করুন। এছাড়া সমপরিমাণ গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এটি দ্রুত গলা ব্যথা কমিয়ে দেবে। এছাড়া অর্ধেকটা লেবুর রস, লবণ এবং গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।

২। হলুদ পানি

হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা ব্যথা উপশম করে থাকে। ১ কাপ গরম পানিতে, ১/২ চাচমচ হুলুদ গুঁড়া এবং ১/২ চাচমচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচি করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে গলা ব্যথা কমে যাবে। এছাড়া এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো গরম দুধের সাথে মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন।

৩। রসুন

কাঁচা রসুনের উপাদান অ্যালিসিন নামক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। প্রতিদিন কাঁচা রসুন খান। এছাড়া এক চুর্থতাংশ পানিতে কয়েক ফোঁটা রসুনের তেল মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এটি দিনে প্রতিদিন একবার করুন। রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।

৪। আদা, মধু লেবু পানি  

এক চাচামচ আদা পাউডার/কুচি, মধু,  আধা কাপ গরম পানি, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রথমে আদাপানি দিয়ে কুলকুচা করুন তারপর লেবুর রস, মধু, দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করে নিন। এটি আপনার গলা ব্যথা কমানোর সাথে সাথে আপনার গলা পরিষ্কার করে দেবে।

৫। লবণ পানি

গলা ব্যথা দেখা দিলে তা দূর করার জন্য লবণ পানি ব্যবহার হয়ে আসছে। এক কাপ গরম পানির মধ্যে দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে গলার ফারিংগাল অঞ্চলের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে ভেতরে জমে থাকা ঠান্ডা কফ বের হয়ে এসে গলা পরিস্কার করে ফেলে। এছাড়া গলার ইনফেকশন অবস্থারও উন্নতি করে। ফলে গলাব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।

৬। মধু

মধু মিশ্রিত চা অথবা সরাসরি মধু গ্রহণ গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়। কাশি, ঠান্ডা, গলাব্যথা সাধারণত রাতের বেলায় বেশি হয়ে থাকে। মধু এটি কমাতে সাহায্য করে।

৭। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে পান করুন। এর অ্যাসিডিক উপাদান গলার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। এটি যখন মধুর সাথে মিশে, তখন গলা ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়।

Monday, June 27, 2016

যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত

sasthobarta protidin
যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত
আধুনিক নারীদের বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরেও কাজ করতে হয়। ব্যস্ত এই জীবনে এত কাজের ভিড়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারেন না অনেক নারীরাই। আবার স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন। তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।

১। ভিটামিন এ

সব বয়সী নারীদের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়। এটি হাড়, দাঁত মজবুত করে। এর সাথে টিস্যু , ত্বক এবং পেশী মজবুত করে থাকে। নিয়মিত গ্রহণে ভিটামিন এ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।

২। ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।

৩। ভিটামিন বি

ভিটামিন বি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন Mary Ellen Camire, University of Maine এর পুষ্টিবিদ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ,  ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি৬ ডিপ্রেশন, হৃদরোগ এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখা প্রয়োজন।

৪। ভিটামিন ই

বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।

৫। ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি বেশ উপকারী। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি করে, বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে।