Showing posts with label lose weight. Show all posts
Showing posts with label lose weight. Show all posts

Thursday, October 27, 2016

যে ৭টি স্বাস্থ্যকর ব্রেক ফাস্ট ওজন কমাতে সাহায্য করবে

sasthobarta protidin
যে ৭টি স্বাস্থ্যকর ব্রেক ফাস্ট ওজন কমাতে সাহায্য করবে
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালের নাস্তা না খেয়ে থাকেন। অথচ সকালের নাস্তা আপনাকে সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করে। এমন কিছু খাবার সকালের নাস্তায় রাখা উচিত যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সকালের এমন কিছু মজাদার কিন্তু স্বাস্থ্যকর নাস্তার খবর নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। ভাজা সবজি এবং ডিম

সকালের নাস্তায় একটি ডিম ভাজি এবং এক বাটি সবজি ভাজি খেতে পারেন। এটি আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এবং সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করবে। এছাড়া সবজির সাথে একটি ডিম ভেঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। সম্ভব হলে সবজি অলিভ অয়েল দিয়ে ভেজে নিতে পারেন।

২। স্বাস্থ্যকর ওটস

ওটস খাবারটি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। ওটসের সাথে দারুচিনির গুঁড়ো, বাদাম দুধ, টকদই, কলা, আনারস কুচি, কাঠাবাদাম কুচি সব একসাথে মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভে বেক করে নিতে পারেন। বোরিং ওটসকে মজাদার করে তুলবে বাদাম দুধ।

৩। স্ট্রবেরি কলার স্মুদি

নাস্তার সাথে অনেকেই ফলের রস খেতে পছন্দ করেন। ফলের রসের পরিবর্তে কলা, কাঠবাদাম কুচি, টকদই দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার স্মুদি। এতে  ৩৫০ ক্যালরি এবং ১৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪। ফ্রুট সালাদ

সালাদ খেতে পছন্দ করেন? তাহলে সকালের নাস্তায় এই ফ্রুট সালাদটি খেতে পারেন।  গ্রেপফ্রুট, কমলা, ব্লুবেরি এবং একটি লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফ্রুট সালাদ। আপনি আপনার পছন্দের ফল দিয়ে তৈরি করতে পারেন, তবে টক জাতীয় ফল ভাল হয়।

৫। কটেজ চিজ

ফ্যাটের ভয়ে অনেকে পনির খেতে চান না। তারা কটেজ চিজ খেতে পারেন। চার আউন্স কটেজ চিজে ১৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮১ ক্যালরি রয়েছে। ফল অথবা সবজির সাথে কিছু পরিমাণ কটেজ চিজ মিশিয়ে নিতে পারেন।

৬। ডিম এবং সবজি

একটি ডিম অলিভ অয়েলে ভাজি করে নিন। এর সাথে দুই কাপ পালং শাক, এক কাপ মাশরুম অল্প তেলে ভাজি করুন। এটি সকালের নাস্তায় খেতে পারেন। এতে ২৩০ ক্যালরি রয়েছে।

৭। কলার প্যানকেক

মজাদার এই খাবারটি সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। কলা, ডিম, ময়দার সাথে আমন্ড বাটার মেশাতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

Sunday, July 24, 2016

মজাদার স্মুদিতে কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ

sasthobarta protidin
মজাদার স্মুদিতে কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ
পেটের মেদ নিয়ে আমাদের আক্ষেপের শেষ নেই। অনেকের সারা শরীরে মেদ না থাকলেও পেটে মেদ থাকে। সাধারণত একটানা বসে কাজ, কায়িক শ্রম কম করা বিভিন্ন কারণে পেটে চর্বি জমে। ডায়েট করে পেটের মেদ কমানো সম্ভব হয় না। এর জন্য প্রয়োজন হয় ব্যায়ামের। কিন্তু ব্যস্ত এই জীবনে ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে ব্যায়াম করতে পারেন না অনেকেই। পেটের মেদ কমানোর জন্য কিছু ডিটক্স আছে যা বেশ কার্যকর। এমনি এক ডিটক্স হল গ্রিন স্মুদি।

যা যা লাগবে:

১ কাপ আনারস কুচি

১টি বড় কাপ পালং শাক

১টি সবুজ আপেল

১ কাপ ঠান্ডা গ্রিন টি

১ অথবা ২ ইঞ্চি আদা কুচি

১ কাপ নারকেল পানি

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

২ চা চামচ মধু

১/২ টা শসা

৬-৮টি পুদিনা পাতা

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ব্লেন্ডারে এক কাপ পালং শাক, আদা কুচি, গ্রিন টি, নারকেলের পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন।

২। তারপর এতে আপেলের কুচি, আনারস কুচি, শসার কুচি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন।

৩। এরপর এতে মধু, লেবুর রস, পুদিনা পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

৪। এটি প্রতিদিন পান করুন।

আপনি চাইলে এটি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।

যেভাবে কাজ করে:

আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি প্রাকৃতিকভাবে স্মুদি মিষ্টি করে। সবুজ আপেলের পেকটিন, পলিফেনল এবং ফ্লোরিজিডিন পেটের চর্বি কমিয়ে দেয়। গ্রিন টি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের মেদ কাটাতে সাহায্য করে। লেবু পেটের মেদ কাটাতে বেশ প্রচলিত একটি পদ্ধতি। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীর থেকে টক্সিন পর্দাথ, ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। পুদিনা পাতার ভিটামিন সি, বিটা ক্যারটিন, কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

Wednesday, July 20, 2016

নিয়মিত ব্যায়ামে অনুপ্রেরণা পেতে এই ২১টি তথ্যই যথেষ্ট

sasthobarta protidin
নিয়মিত ব্যায়ামে অনুপ্রেরণা পেতে এই ২১টি তথ্যই যথেষ্ট 
এ কথা সবাই জানেন যে, সুস্থ-সবল দেহের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এ নিয়ে অগণিত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু এ ঘাম ঝরানো কাজের অনুপ্রেরণা সহজে মেলে না। আবার ব্যায়াম শুরু করলেও তা বেশি দিন নিয়মিত রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে বেশ কিছু তথ্য  দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো জেনে নিন, ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন। 

১. নিয়মিত ব্যায়াম যারা করেন তাদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং দুশ্চিন্তার পেরেশানি অন্যদের তুলনায় কম দেখা যায়। 
২. যে নারীরা বিষণ্নতা থেকে বাঁচতে অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। 
৩. শারীরিক ক্রিয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। 
৪. ব্যায়াম উপকারী কোলেস্টরেল বৃদ্ধিতে এবং অপকারী কোলেস্টরেল হ্রাসে কাজ করে। 
৫. গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা অ্যাজমায় ভুগছেন তাদের বায়ুঘটিত প্রদাহ অনেক কম থাকে। 
৬. শক্তি অর্জনের ব্যায়ামের ফলে হাড় শক্ত হয় এবং এতে অস্টেয়োপরোসিসের ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
 ৭. যারা খুব বেশি পরিমাণ ব্যায়াম করেন তাদের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সম্ভবত তারা রোদে বেশি সময় কাটান। 
৮. অনেকে মনে করেন, ব্যায়ামে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু হয়। এ ধারণা আসলে ঠিক নয়। আসলে ব্যায়ামে ক্যালোরি পোড়ে। 
৯. এমনকি ইয়োগার মতো নিম্নমাত্রার কায়িক শ্রমের ব্যায়ামেও হৃদযন্ত্র সুস্থতা পায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। 
১০. নিয়মিত ব্যায়ামে মানসিক চাপ কমে আসে। 
১১. স্বল্প সময়ের কার্ডিও ট্রেনিংয়েও চর্বি ঝরতে পারে এবং ওজন কমে আসে। 
১২. ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার দেহ আরো বেশি প্রতিকূল অবস্থায় মানানসই হয়ে উঠবে। এতে দেহের ওপর অনেক বেশি ভারসাম্য আসবে। ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে যাওয়া বা আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। 
১৩. রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় নিয়মিত ব্যায়ামে। এতে যেকোনো সাধারণ সংক্রমণ থেকে রক্ষা মেলে অন্যদের তুলনায় বেশি। 
১৪. স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়ক অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। তাই এই ব্যায়াম বয়স্কদের জন্যে দারুণ উপকারী।    
১৫. দৈহিকভাবে ফিট থাকলে মনটাও ফিট থাকে। এতে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। যারা সপ্তাহে ৭ ঘণ্টা ব্যায়াম করেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা মানুষের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম থাকে। 
১৬. আমেরিকার ক্যান্সার আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশের কারণ হিসাবে খাবার ও ব্যায়ামকে দায়ী করা হয়। এ তথ্য জানায় আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। 
১৭. অফিসে কাজ করতে করতে অস্থির হয়ে পড়েছেন? একটু হেঁটে আসুন। এতে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে পড়ার হাত থেকে বেঁচে যাবেন। 
১৮. আত্মবিশ্বাস ও নির্ভরতা মেলে ব্যায়াম থেকে। 
১৯. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলে। এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে মানুষ কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। আবার নিজের আচরণেও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 
২০. শরীরচর্চা করলে স্বাস্থ্যকার ঘুম আসে। 
২১. ব্যায়ামে এন্ড্রোফিনস হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এটি দীর্ঘমেয়াদি সুখ আনে।