Showing posts with label sasthobarta protidin. Show all posts
Showing posts with label sasthobarta protidin. Show all posts

Wednesday, July 20, 2016

পারফেক্ট বডি শেপের জন্য বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস

sasthobarta protidin
পারফেক্ট বডি
একটা চমৎকার বডি শেপ পাওয়ার আগ্রহ নেই এমন নারী পাওয়া দুষ্কর। আবার না খেয়ে শুকিয়ে গেছেন বা খেয়ে দেয়ে মুটিয়ে গেছেন এমন নারীর সংখ্যাই বেশী। আপনি কি জানেন, আপনার কাংক্ষিত বডি শেপ পেতে শুধু কিছু বদভ্যাস বদলে ফেলাই যথেষ্ট? কিছু বদভ্যাস বদলে ফেলুন আর আয়ত্ত করুন কিছু ভাল অভ্যাস।

হাঁটুন
অফিসে যাচ্ছেন? চট করে রিকশা না নিয়ে হাঁটুন। হাঁটার জন্য না হয় কিছু সময় হাতে নিয়ে বের হলেন! অবশ্যই হাঁটার জন্য ভাল জুতা পড়বেন। নাহলে হাঁটা শুধু ক্যালোরি ক্ষয় করবে আর ক্লান্ত করবে আপনাকে। দুই দিন হেঁটেই আর হাঁটতে যাবেন না আপনি। তাই হাঁটাকে আরামদায়ক করুন। পানি পান করুন। ভাল জুতা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। খুব ভাল হয় সকালে অন্তত ৩০ মিনিট শুধু হাঁটার জন্য আলাদা সময় রাখতে পারলে।

সাঁতার কাটুন
সাঁতার পারেন, অথচ সময়ের অভাবে আর করা হয় না? ভীষণ ভুল করছেন আপনি। নিজেকে দূরে রাখছেন চমৎকার এই শরীরচর্চা থেকে। সপ্তাহে অন্তত একদিন সাঁতার কাটুন। যাদের ব্যাক পেইনের সমস্যা আছে তারা দ্রুতই উপকার পাবেন সাঁতারে। পেশী সুগঠিত হবে, ভাল থাকবেন আপনি।

সাইকেল চালান
ছোট বেলায় সাইকেল চালানো শিখেছেন নিশ্চই। না শিখে থাকলেও কঠিন কিছু নয়। শিখে ফেলুন। সাইকেল চালালে আপনার পায়ের পেশীর ব্যায়াম হয়। প্রতিদিন যদি সাইকেল চালাতে পারেন তাহলে না হাটলেও চলবে। প্রতিদিন না পারলে অন্তত সপ্তাহে ১ দিন সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

খেয়েই ঘুমোতে যাবেন না
আমরা বাঙ্গালীরা খাবার খাই একেবারে ঘুমোতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে। খুবই বাজে অভ্যাস। যে সকল দেশের মানুষের মাঝে ফিটনেস বা সুস্থ্যতার হার বেশী তাদের খাদ্যস্টাইল খেয়াল করলে দেখবেন তারা খাবার গ্রহণ করে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘন্টা ২ আগে। জাপান, চীন এদের মধ্যে অন্যতম। এতে খাবার ভাল হজম হয়, আর বাড়তি মেদ তৈরি করে না।

খাওয়ার সময় পানি নয়
পানি পান করা খুবই ভাল অভ্যাস। কিন্তু কিছু সময়জ্ঞান থাকা জরুরি। আপনি যদি খাওয়ার সময় অনবরত পানি পান করেন তাহলে সেটা আপনার হজমে বাধা প্রদান করে। খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানি পান করা থেকে বিরিত থাকুন। খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

খেলাধূলা
শরীরের প্রয়োজনেই শরীরকে নাড়ানো দরকার আমাদের। একই রকম কাজ, সারাক্ষণ বসে থাকা সব মিলিয়ে দৈনন্দিন কাজে আমরা যতটা মুভ করি তা আসলে পর্যাপ্ত নয়। এজন্যই শরীরের বিভিন্ন অংশে মেদ জমে যায়। তাই প্রয়োজন খেলাধূলার। ব্যাডমিন্টন, ফুটবল এসব খেলা আপনার মনকেও ভাল রাখবে, এর ফলে শরীরও তরতাজা থাকবে।

নিয়মিত ব্যায়ামে অনুপ্রেরণা পেতে এই ২১টি তথ্যই যথেষ্ট

sasthobarta protidin
নিয়মিত ব্যায়ামে অনুপ্রেরণা পেতে এই ২১টি তথ্যই যথেষ্ট 
এ কথা সবাই জানেন যে, সুস্থ-সবল দেহের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এ নিয়ে অগণিত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু এ ঘাম ঝরানো কাজের অনুপ্রেরণা সহজে মেলে না। আবার ব্যায়াম শুরু করলেও তা বেশি দিন নিয়মিত রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে বেশ কিছু তথ্য  দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো জেনে নিন, ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন। 

১. নিয়মিত ব্যায়াম যারা করেন তাদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং দুশ্চিন্তার পেরেশানি অন্যদের তুলনায় কম দেখা যায়। 
২. যে নারীরা বিষণ্নতা থেকে বাঁচতে অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। 
৩. শারীরিক ক্রিয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। 
৪. ব্যায়াম উপকারী কোলেস্টরেল বৃদ্ধিতে এবং অপকারী কোলেস্টরেল হ্রাসে কাজ করে। 
৫. গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা অ্যাজমায় ভুগছেন তাদের বায়ুঘটিত প্রদাহ অনেক কম থাকে। 
৬. শক্তি অর্জনের ব্যায়ামের ফলে হাড় শক্ত হয় এবং এতে অস্টেয়োপরোসিসের ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
 ৭. যারা খুব বেশি পরিমাণ ব্যায়াম করেন তাদের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সম্ভবত তারা রোদে বেশি সময় কাটান। 
৮. অনেকে মনে করেন, ব্যায়ামে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু হয়। এ ধারণা আসলে ঠিক নয়। আসলে ব্যায়ামে ক্যালোরি পোড়ে। 
৯. এমনকি ইয়োগার মতো নিম্নমাত্রার কায়িক শ্রমের ব্যায়ামেও হৃদযন্ত্র সুস্থতা পায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। 
১০. নিয়মিত ব্যায়ামে মানসিক চাপ কমে আসে। 
১১. স্বল্প সময়ের কার্ডিও ট্রেনিংয়েও চর্বি ঝরতে পারে এবং ওজন কমে আসে। 
১২. ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার দেহ আরো বেশি প্রতিকূল অবস্থায় মানানসই হয়ে উঠবে। এতে দেহের ওপর অনেক বেশি ভারসাম্য আসবে। ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে যাওয়া বা আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। 
১৩. রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় নিয়মিত ব্যায়ামে। এতে যেকোনো সাধারণ সংক্রমণ থেকে রক্ষা মেলে অন্যদের তুলনায় বেশি। 
১৪. স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়ক অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। তাই এই ব্যায়াম বয়স্কদের জন্যে দারুণ উপকারী।    
১৫. দৈহিকভাবে ফিট থাকলে মনটাও ফিট থাকে। এতে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। যারা সপ্তাহে ৭ ঘণ্টা ব্যায়াম করেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা মানুষের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম থাকে। 
১৬. আমেরিকার ক্যান্সার আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশের কারণ হিসাবে খাবার ও ব্যায়ামকে দায়ী করা হয়। এ তথ্য জানায় আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। 
১৭. অফিসে কাজ করতে করতে অস্থির হয়ে পড়েছেন? একটু হেঁটে আসুন। এতে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে পড়ার হাত থেকে বেঁচে যাবেন। 
১৮. আত্মবিশ্বাস ও নির্ভরতা মেলে ব্যায়াম থেকে। 
১৯. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলে। এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে মানুষ কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। আবার নিজের আচরণেও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 
২০. শরীরচর্চা করলে স্বাস্থ্যকার ঘুম আসে। 
২১. ব্যায়ামে এন্ড্রোফিনস হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এটি দীর্ঘমেয়াদি সুখ আনে।

Wednesday, February 3, 2016

পিঠে ব্যথার ঘরোয়া সমাধান

sasthobarta protidin
পিঠে ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
সারাদিন বসে কাজ করার ফলে পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে ক্লান্তি অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি পিঠে ব্যথাও হতে পারে। যত্ন নেওয়া না হলে এই ব্যথা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পিঠব্যথা উপশমের ঘরোয়া কিছু টোটকা উল্লেখ করা হয়।

- নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর গুঁড়া মিশিয়ে পাঁচ মিনিট চুলায় জ্বাল দিতে হবে। তেল ঠাণ্ডা করে একটি বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ওই তেল পিঠে মালিশ করে নিতে হবে।               

- এক বালতিকুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস ওয়েল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে গোসল করতে হবে। এতে কোমর ব্যথার পাশাপাশি শরীরের যেকোনো ব্যথা কমে আসবে। তাছাড়া শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করবে এই পানি। চাইলে বাথটাবে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল মিশ্রিত কুসুম গরম পানি নিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে।

- টিভি দেখা বা গল্প বই পড়ার সময় পানি ভর্তি একটি হট ওয়াটার ব্যাগ পিঠের পিছনে কুশনের মতো দিয়ে রাখত হবে। পানির গরম ভাপ ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।

- গোসলে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সরিষা তেল দিয়ে পিঠ মালিশ করুন। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

- এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ এবং খানিকটা মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। পিঠ ব্যথা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত এই দুধ পান করতে হবে। তাছাড়া মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং ঠাণ্ডার সমস্যা উপশমেও সাহায্য করে হলুদ দুধ।

- চা বানানোর সময় গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা দিন। আদা চা পিঠ ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করবে।

- যে কোনো ভেষজ তেল শরীর মালিশের জন্য বেশ উপকারী। পিঠব্যথা উপশমেও ভেষজ তেলের মালিশ সাহায্য করবে।

- একটি মোজা নিয়ে তার ভিতরে চাল ভর্তি করতে হবে। এরপর মোজার খোলা প্রান্তটি শক্ত করে বেঁধে  মাইক্রোওয়েভে তিন থেকে পাঁচ মিনিট গরম করে মোজাটির উপর শুয়ে থাকতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় পিঠ ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।

খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ

sasthobarta protidin
খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ
মেধা বিকাশে দরকার বুদ্ধির সঠিক চর্চা। শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিমত্তায় সেরা করে তুলতে চেষ্টা করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়াটাও তাই সবচেয়ে জরুরি। সব শিশু আবার বই খাতা নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহী হয় না। তাদের আগ্রহ থাকে নানা রকম খেলার প্রতি। সেই খেলাও হতে পারে শিশুর মেধা বিকাশের রাস্তা। এমনই কিছু খেলা যেমন- দাবা ও সুডোকু বুদ্ধিমানের খেলা হিসেবে বিবেচিত। আমেরিকান একদল বিজ্ঞানী দাবা এবং সুডোকু খেলাকে ব্রেন গেম বলে আখ্যায়িত করেছেন। এসব খেলার ছলে শিশুর মেধাবিকাশে কিভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তা জেনে নেয়া যাক।

পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি

মস্তিষ্ক পেশীর মতো কাজ করে। তাই মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। দাবা বা সুডোকু খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভালো ব্যায়াম হওয়া সম্ভব। এসব খেলায় অতিরিক্ত মনোযোগী হওয়ার অভ্যাস শিশুর পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।

দূরদর্শিতা বাড়ে

এই খেলার মাধ্যমে শিশুরা পরিকল্পনা আর দূরদর্শিতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। ভেনিজুয়েলার আট হাজার শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে দাবা খেলে এমন ছেলে মেয়েরা চার মাসের মধ্যে আই কিউ স্কোর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।

সজাগ দৃষ্টি

অপর পক্ষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে দাবা খেলায় প্রতিপক্ষের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। খেলায় নিজেকে জেতাতে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। দাবা খেলা দৃষ্টি সজাগ রাখার সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

সৃজনশীলতা বাড়ে

মস্তিষ্কের ডান দিক আচরণে সৃজনশীলতা বাড়াতে কাজ করে। মস্তিষ্কের এই অংশের কার্যক্ষমতা বাড়াতে দাবা খেলা খুবাই উপকারী। এসব খেলা চিন্তা ভাবনায় মৌলিকত্ব আনে, মেজাজ স্বাভাবিক রাখে, অঙ্গীকার পূরণে মানসিকতা গড়ে তোলে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে

অপর পক্ষের ত্রুটি বিচ্যুতি মনে রেখে এগিয়ে চলা এবং সুডোকু খেলায় সুক্ষ্ম চাল মনে রেখে এগিয়ে চলার অভ্যাস স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। আর তাই লেখাপড়া বা অন্য যেকোনো জিনিস সহজে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সমাধানের ক্ষমতা

শিশুকে যেকোনো সমস্যা সমাধানের চটপটে করে তোলে। কোনো প্রয়োজনে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে যেমন খেলাগুলো জয় লাভ করে, তেমনি পড়াশুনা, আচার ব্যবহারেও কোনো সমস্যায় পড়লে তার সমাধান বের করতে শিশু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়।

বিচার বুদ্ধি

সঠিক নির্বাচন ক্ষমতা বাড়ে। কি গ্রহণ করবে কি করবে না- এমন পশ্নের মুখোমুখি হলে সুকোডু বা দাবা খেলা শিশুরা সহজভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মেজাজ ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেয়াটা তাদের কাছে কোনো ব্যপার না।

শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা

sasthobarta protidin
শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা
সোনামণিটা মুখে মুখে শিখে গেছে অনেক পড়া। এবার লেখার পালা। খাতা কলম হাতে নিয়ে বসে যা লিখছে, তা দেখে আপনি রীতিমতো হতবাক। অক্ষর গুলো একেকটা একেক রকম। হাতের লেখার কারণে ক্লাস পরীক্ষাতেও খারাপ ফল হচ্ছে। দুয়েকটা ক্লাস পার হয়ে গেলেও কোনো ভাবেই তার হাতের লেখা সুন্দর হচ্ছে না। শুধু শিশু নয় উপরের ক্লাসের অনেকেরই হাতের লেখা খুবই অসুন্দর হয়। হাতের লেখা অসুন্দর হওয়াটায় এখন আপনার চিন্তার বিষয়। এমন চিন্তা দূর করতে প্রয়োগ করতে পারেন কিছু উপকারী কৌশল। আসুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে আপনার শিশুর হাতেও মুক্তঝরা লেখা হতে পারে।

- সোনামণির খাতায় প্রথমত এক লাইন সুন্দর করে অক্ষর লিখে দিতে হবে। ওটা দেখে লাইন ধরে লেখার অভ্যাস করবে।

- প্রত্যেকটি অক্ষরের স্টাইল কেমন হবে তা আপনিই ঠিক করে দিন। শিশু সেটা দেখেই রপ্ত করবে। বড়রাও পছন্দের কোনো লেখা দেখে প্রতিটি অক্ষরের স্টাইল ঠিক করে নিতে পারেন। এতে লেখা সুন্দর হবে।

- এক প্যারা থেকে আরেক প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখার অভ্যাস করাতে হবে। এতে লেখা ভালো দেখায়।

- বায়ে এবং ওপরে সোয়া এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখলে হাতের লেখা সুন্দর দেখায়।

- বাচ্চাদের খাতার পুরো লাইন ভরে লেখানো উচিৎ।

- প্রতিটি বর্ণ যেন সমান হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

- বাচ্চাদের লেখার সময় কলম বা পেন্সিল ধরাটা ঠিকভাবে শেখাতে হবে। পেন্সিলের শিষ থেকে এক ইঞ্চি দূরত্বে ধরলে লেখা ভালো হবে।

- সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে লিখলে লেখা সুন্দর হয়।

- প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ণগুলো সোজা করে লিখতে হবে।

- তিনকোনা বর্ণগুলো সবচেয়ে সোজা। আগে সে অক্ষরগুলো থেকে লেখা অনুশীলন শুরু করতে পারে। যেমন-ব,ক।

- খাতায় বর্ণে আকারে ফোঁটা দিয়ে দিন। শিশুকে তার উপর হাত ঘুরিয়ে বর্ণ লেখা অনুসরণ করান। তাহলে তার জন্য বেশি সহজ হবে।

- সবার আগে প্রয়োজন শিশুকে অক্ষর চেনানো। অক্ষর না চিনলে সে লিখতে পারবে না। সঙ্গে সঙ্গে কোন অক্ষরে মাত্রা নেই, কোনটাতে অর্ধমাত্রা সেটিও মুখস্থ করিয়ে দিন।

- কোন বর্ণে মাত্রা আছে, কোনটায় অর্ধমাত্রা ইত্যাদি ভালোমতো জেনে সে অনুযায়ী অনুশীলন করাতে হবে। লেখা আপনিতেই সুন্দর হবে।

- সাদা খাতায় শিশুকে উপর থেকে নিচে লাইন টানতে দিন। এতে শিশুর খাতার দিকে মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। এ ছাড়া সুন্দর একটি অক্ষর লিখে তার ওপর শিশুকে হাত ধরে ঘুরিয়ে লেখালেও অক্ষরের আকার সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয়।

Tuesday, January 26, 2016

মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা

sasthobarta protidin
মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা
মাথাব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অতিপরিচিত সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত—সব বয়সেই মাথাব্যথা হতে পারে। কেউ আধকপালি মাথাব্যথা (মাইগ্রেন), কেউ মাংসপেশির সংকোচনজনিত মাথাব্যথা (টেনশন টাইপ হেডেক) আর কেউ দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথায় (ক্রনিক ডেইলি হেডেক) ভোগে। মাথাব্যথা প্রধানত দুই প্রকার: ১. প্রাইমারি হেডেক (যেমন: মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি) ও ২. সেকেন্ডারি হেডেক (যেমন: সাইনুসাইটিস, মাসটয়ডাইটিস, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় আঘাতজনিত ব্যথা ইত্যাদি)।
চিকিৎসা ও প্রতিকার: মাথাব্যথার ধরন বা কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। এ জন্য প্রথমে প্রয়োজন রোগনির্ণয়। তাৎক্ষণিক ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন বেদনানাশক ওষুধ রয়েছে। তবে সেগুলো অতিরিক্ত সেবন করলেও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই নিরুপায় না হলে এমন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, অতিরিক্ত চা-কফি পান, অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধা, যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক হলে মাথাব্যথা অনেকাংশে কমবে।

Wednesday, January 13, 2016

পিরিয়ড নিয়ে বিব্রতকর কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর সমাধান

sasthobarta protidin
পিরিয়ড
আমরা সবাই জানি স্বাস্থ্যগত যে কোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতে চান না, বিশেষ করে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো তো মেয়েরা মুখ ফুটে বলতেই চান না। আপনার যদি এমন কিছু সমস্যা থাকে কিন্তু তা নিয়ে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে না চান, তাহলে এখানেই দেখে নিতে পারেন কিছু সমাধান।
১) পিরিয়ডের সময়ে টয়লেট হ্যাবিট পরিবর্তিত হয় কেন?
এ সময়ে শরীরে প্রোস্টাগ্লান্ডিস নামের হরমোন জাতীয় এক ধরণের রাসায়নিক জিনিসে পরিবর্তন আসে। পিরিয়ডের শুরুর দিকে এর কারণে মেয়েদের ইউটেরাস সংকুচিত হতে থাকে এবং এর ফলেই ব্যাথা হতে পারে।
প্রোস্টাগ্লান্ডিস আমাদের হজমতন্ত্রেও পরিবর্তন আনে। এর কারণে আমাদের ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হতে পারে। আবার এটা কম হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্ও হতে পারে। তবে পিরিয়ডের সময়ে যদি আপনার মল পিচ্ছিল মনে হয় তাহলে অবশ্য আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো কারণ এটা অন্য কোনো সমস্যার নির্ধারক।
২) টক্সিক শক সিনড্রোম নিয়ে কি চিন্তিত হওয়া দরকার?

অনেকেই জানেন, যে পিরিয়ডের সময়ে প্যাড বা ট্যাম্পন সময়মত পরিবর্তন না করলে টক্সিক শক সিনড্রোমের কারণে হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে। এর উপসর্গ হতে পারে বেশ জ্বর, লো ব্লাড প্রেশার, বিভ্রান্তি এবং এনার্জির কমতি। এ থেকে খুব দ্রুতই কোমা, অর্গান ফেইলিওরের মত ভয়ংকর সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনার এমন কোনো সমস্যা হতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
৩) পিরিয়ডের সময়ে যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হয় কেন?

এই প্রশ্নের আসলে একটা নয়, বেশ কিছু উত্তর আছে। পিরিয়ডের সময়ে কারও কারও যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটা একেবারেই দেখা যায় না। এটা এস্ট্রাডিওল নামের একটা প্রাইমারি সেক্স হরমোনের কারণে হতে পারে। প্রোজেস্টেরনেরও কিছু ভূমিকা থাকতে পারে এর পেছনে। পিরিয়ডের সময়ে একজন নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল অনেক কম থাকে, কিন্তু টেস্টোস্টেরোনের লেভেল থাকে বেশি। টেস্টোস্টেরোন নারীর যৌনাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে ইস্ট্রোজেন কমে টেস্টোস্টেরোন বেড়ে গেলে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে।
৪) পিরিয়ডের সময়ে আমাদের মেজাজ এত ওঠানামা করে কেন?
PMS বা প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম আসলে অনেকগুলো, এর মাঝে একটি হলো মেজাজের ওঠানামা। হঠাৎ করেই দুঃখ, বিষণ্ণতা, রাগ আপনাকে ছেঁকে ধরতে পারে। আবার আবেগ বেশি হতে পারে, এক মেজাজ থেকে আরেক মেজাজে চলে যেতে পারেন দ্রুতই। এর পাশাপাশি দেখা যায় শরীর ফুলে যাওয়া এবং মাথাব্যাথার মত সমস্যাগুলো। কারণ পিরিয়ডের সময়ে শরীরে থাকা হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করে। এসব সমস্যা কম রাখতে আপনার খাদ্যভ্যাস রাখা উচিৎ স্বাস্থ্যকর।
৫) প্যাড এবং ট্যাম্পন ছাড়া আর কী কী উপায় আছে?
বাংলাদেশে অনেক নারীই এখন স্বাস্থ্যকর স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। ট্যাম্পনও অনেকে ব্যবহার করেন। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বারবার ব্যবহার করা যায় এমন মেন্সট্রুয়াল কাপ পাওয়া যায়।
৬) হেভি ব্লিডিং মানে আসলে কতো বেশি?
পিরিয়ডের সময়ে সাধারণ একজন নারী ৮-১৪ চা চামচ রক্ত হারান। এতে প্রতিদিন আড়াই টেবিল চামচের মত রক্তক্ষরণ হয়। তবে প্রতি নারীর জন্যই এটা আলাদা হয়। কিন্তু আপনার যদি হেভি ব্লিডিং হয় তবে ভেতরে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। হেভি ব্লিডিং এর পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি বা অতিরিক্ত পেট ব্যাথা থাকে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। রক্তক্ষরণের পেছনে অবশ্য মেনোপজ বা প্রেগনেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে। 
৭) পিরিয়ড সাইকেলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, কী করা উচিৎ?

আপনার স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, পিরিয়ড যদি মিস করেন, অথবা খুব বেশি সময় ধরে পিরিয়ড চলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।
আপনার বয়স যদি কম হয়ে থাকে এবং এখনো আপনি জানেন না পিরিয়ডের ক্ষেত্রে কোন ব্যাপারটা স্বাভাবিক এবং কোনটা অস্বাভাবিক, তাহলে ডাক্তার না হলেও এ ব্যাপারে জানে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর আপনি যদি যথেষ্ট জানেন নিজের পিরিয়ডের ব্যাপারে, তাহলে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে তা ডাক্তারের কাছে চেক করে নেয়াই ভালো। আপনার শরীর নিয়ে আপনার লজ্জিত হবার কিছু নেই, লুকানোরও কিছু নেই। ঈশ্বরপ্রদত্ত এই শরীরকে সুস্থ রাখা আপনারই কর্তব্য।

মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
এমন অনেক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যেগুলোতে মানুষ খুব ঘন ঘনই আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় মাথা ব্যথা ও টেনশনের। সমাজের ক্রম বর্ধমান চাহিদা এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে রেসে এগিয়ে থাকতে চাওয়ার কারণে অনেক মানুষই স্ট্রেসে ভোগে যার ফলে মাথাব্যথা ও টেনশনের উৎপত্তি হয়। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই যদি আপনি মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণের সহজ ও নিরাপদ কিছু উপায় শিখে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই উপায়গুলো কী।
১। কাঠ বাদাম খান
সবচেয়ে সহজ ও সুবিধা জনক প্রতিকার হচ্ছে কাঠ বাদাম। কাঠবাদাম বা আমন্ড এ সেলিসিন থাকে যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। যখনই মাথাব্যথা শুরু হবে একমুঠো আমন্ড খান। কাঠ বাদাম স্বাস্থ্যকর এবং অন্য ঔষধের চেয়ে নিরাপদ।
২। গরম পানিতে পা ভিজানো
এটা কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কিছু সময়ের জন্য গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে মাথাব্যথা ও টেনশন দূর হয়। এতে পায়ের পাতার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাথার রক্ত নালিকা গুলোর চাপ কমে। পানির মধ্যে সামান্য সরিষার গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। উষ্ণ চাপ
একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেল গুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
৪। আদা
মাথা ব্যথা কমাতে আদা চা খেতে পারেন অথবা এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি সহজ একটি প্রতিকার তবে ভালোই কাজ করে।
৫। কফি
এক কাপ কড়া কফি মাথাব্যথা ও টেনশন কমাতে অনেক কার্যকরী। এটা রক্তনালীর ফুলে যাওয়া কমায়। যারা ইতিমধ্যেই কফিতে আসক্ত তাদের জন্য এটি কার্যকর হবেনা।
৬। এসেনশিয়াল অয়েল ম্যাসাজ
মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার তেল টেনশন ও মাথা ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে। এই তেল কপালে মালিশ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা দূর হবে। মেন্থল টি ব্যাগ ভিজিয়ে কপালে ও চোখের উপর রাখুন। এতে কিছুক্ষণ পর মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
৭। ঠান্ডা পানির সেঁক
আইস ব্যাগে ঠাণ্ডা পানিতে পূর্ণ করে কপালে ও ঘাড়ে লাগালে মাসেলের চাপ কমে মাথাব্যথা কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ও কপালে ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন।
৮। ম্যাসাজ করুন
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে কপালে বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট একাধারে করার পর বিরতি দিন তারপর আবার করুন যতক্ষণ ব্যথা থাকে। আকুপ্রেসার এক্সপার্টরা একে ফ্ল্যাশি এরিয়া ট্রিগার পয়েন্ট LIG4 বলেন। মস্তিস্কের যেখানে মাথাব্যথা উৎপন্ন হয় তার সাথে এই স্থানটির সংযুক্তি আছে। তাই কপালে এভাবে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
৯। চাপ প্রয়োগ
একটিকাপড় দিয়ে মাথা শক্ত করে বাঁধুন। এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল কমবে কারণ রক্তনালীর প্রসারণের কারণে মাথাব্যথার উৎপত্তি। কাপড়টি ভিনেগারে ভিজিয়ে নিতে পারেন এটি চিরাচরিত মাথা ব্যথার প্রতিকার হিসেবে বহুকাল যাবত ব্যবহার হয়ে আসছে।

কিছু টিপস :
·         একবারে পেট ভরে না খেয়ে কিছুক্ষণ পর পর খান। সম্ভব হলে ২ ঘন্টা পর পর খান। এতে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মাথা ব্যথা প্রতিরোধ করবে।
·         মাথা ব্যথা ও টেনশন কমানোর জন্য ঘুমানো সবচেয়ে ভালো প্রতিকার।
·         দিনের বেলায় ৩০-৪০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলেও মাথা ব্যথা দূর করতে চমৎকার কাজ করবে।
·         অনেক সময় পানিশূন্যতার জন্যও মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
·         একাধারে অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে রক্তনালীর উপর চাপ পরে। তাই এক অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাটা হাটি করুন।
·         সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মত সাধারণ ব্যায়াম গুলো করুন, এতে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন ও মাথা ব্যথার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
·         কিছু খাবার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে যেমন-দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, চকলেট, পিনাট বাটার, অ্যাভোকডো, কলা, সাইট্রাস ফল, পেঁয়াজ, নাইট্রেট মিশানো মাংস- হট ডগ, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট সমৃদ্ধ খাদ্য ইত্যাদি খাবার খেলে আপনার কোন সমস্যা হয় কিনা খেয়াল করুন। 

Tuesday, January 12, 2016

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বোন স্পারের ব্যথা

sasthobarta protidin
ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বোন স্পারের ব্যথা
মাঝে মাঝেই আমাদের অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে জন্ম নিতে দেখা যায় একটা ফোঁড়া বা গোটার মোট অংশ। চামড়ার ওপর থেকে গোলাটে আকারের এই বাড়তি অংশটিতে কখনো ব্যথা অনুভূত হয়, কখনো ব্যথা ছাড়াই দিনের পর দিন টিকে থাকে এরা মানবদেহে। আর শরীরের এই গোলটে, উঁচু আর বাড়তি অংশটিকেই বলা হয় ডাক্তারি ভাষায় বোন স্পার বা অস্টিওফাইটিস।
বেশকিছু কারণে এই বোন স্পার হতে পারে মানুষের। শারিরীক নানারকম প্রদাহ, হাড়ের গঠনে পরিবর্তন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, অতিরিক্ত ওজন বা খুব বেশি চাপ নেওয়ার মতন কাজ অনেকবার করে করার কারণে মানুষের শরীরের তৈরি হতে পারে সমস্যাটি।

বোন স্পার শরীরের যে কোন অংশের হাড় থেকে জন্ম নিতে পারলেও সাধারণত দুটো হাড় যেখানে যুক্ত হয়েছে সেখান থেকেই জন্ম নেয় এটি। এছাড়াও মাংশপেশী, লিগামেন্ট বা রগেও হয়ে থাকে এই স্পারগুলো। না বুঝেই নানারকম চিকিত্সা চালানোর চেষ্টা করে মানুষ এই স্পারগুলোতে। ফলে কেবল বোন স্পারের ব্যথা বা অস্বস্তিই নয়, সেই সাথে যুক্ত হয় আরো নানান ঝামেলা। চলুন দেখে আসি ঘরোয়াভাবেই কি করে অনেকটা কমিয়ে বা দূর করে ফেলা যায় এই শরীরের বাড়তি অংশটি ও এর ব্যথাকে।
১. বরফ

যেকোন সময় ব্যথা পেলে প্রথমেই যে জিনিসটি আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায় সেটা হচ্ছে বরফ। আর তাই বোন স্পারের ক্ষেত্রেও বরফকে কাজে লাগান। ব্যথার সাথে সাথে প্রদাহকেও বাঁধাগ্রস্থ করে এটি ( টপ টেন হোম রিমেডিস )। একটা তোয়ালেতে করে কয়েক টুকরো বরফ বেঁধে ফেলুন আর সেটাকে প্রয়োগ করুন ব্যথাযুক্ত স্থানে। ৫-১০ মিনিট কাজটি করুন। এরপর একটা বিরতি দিয়ে খানিক পর আবার শুরু করুন বরফ প্রয়োগ। তবে তাই বলে সরাসরি বরফ ব্যবহার করবেননা ত্বকে।
২. হলুদ

হলুদ শরীরের বোন স্পারের উপসর্গগুলোকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এর ভেতরে থাকা কারকিউমিন নামক হলুদ উপাদানটি প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হওয়ায় সেটি ব্যথা আর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে ( আর্থ ক্লিনিক )। ঘরোয়াভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ হলুদ গুড়ো নিয়ে সেটাকে এক কাপ দুধে মেশান। এরপর সেটাকে জ্বাল দিয়ে নিন হালকা আঁচে। প্রতিদিন এই পানীয়টি খানিকটা পান করুন।
৩. আদা

আদা বোন স্পারকে দূর করতে ও এর প্রদাহকে কমিয়ে দিতে বেশ ভাল কাজ করে। এক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে আদা ব্যবহার করতে পারেন আপনি। প্রথমত, আদার তেল বোন স্পার হওয়া অংশটিতে মালিশ করতে পারেন। এবং দ্বিতীয়ত, আদাকে কয়েক টুকরো করে সেটা পানিতে ১০ মিনিট মতন জ্বাল দিয়ে এরপর খানিকটা মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করতে পারেন ( টপটেন হোম রিমেডিস )।
৪. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার শুধু শরীরের প্রদাহই দূর করেনা, বোন স্পার হতে সাহায্যকারী ব্যাপারগুলোকে থামিয়ে দিয়ে শরীরের পিএইচ লেভেলেরও সমতা রক্ষা করে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমত, একটি তোয়ালেতে ভিনেগার মিশিয়ে এরপর সেটাকে বোন স্পারযুক্ত অংশটিতে মালিশ করতে পারেন। আর দ্বিতীয়ত, এক কাপ পানিতে কয়েক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে সেটা পান করতে পারেন প্রতিনিয়ত ( আর্থ ক্লিনিক )।
৫. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

শরীরে বোন স্পার দেখা দিলে নিজের খাদ্যাভ্যাস বদলে দিতে পারেন আপনি। এতে করে অনেকটাই দূর হবে আপনার বোন স্পারের সমস্যা। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন যাতে করে খাবারে ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ওমেগা-৩ বেশি পরিমাণে থাকে। কারণ, এর প্রত্যেকটিই শরীরের প্রদাহ নিরাময়ের মাধ্যমে বোন স্পারকে দূর করতে সাহায্য করে ( ভিকুল )।
আর তাই শরীরের কোন স্থান ফুলে গেলে সেটাকে টিউমার ভাবা বা সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। চিন্তা না করে বরং এই ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করে দেখুন কোন সমাধান হয় কিনা। আর এরপরেও কিছু না হলে চিকিত্সকের কাছে যান আর অনুসরন করুন তার নির্দেশগুলো।

ধূমপান করেন? এই পানীয়টি পরিষ্কার করবে আপনার ফুসফুস

sasthobarta protidin
এই পানীয়টি পরিষ্কার করবে আপনার ফুসফুস
“ধূমপানে বিষপান”- বহুল প্রচলিত এই কথাটির সত্যতা নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই।  আপনি যদি পাঁচ বছরেও বেশি সময় ধরে ধূমপান করেন তবে আপনি অত্যন্ত একবার হলেও ব্রংকাইটিস রোগে ভুগে থাকবেন। ব্রংকাইটিস রোগী ভাল বলতে পারবেন এটি কত ভয়ংকর এবং কষ্টদায়ক একটি রোগ। এটি শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে শক্তি ক্ষয় করে থাকে। ধূমপান আপনার ফুসফুস নষ্ট করে দেয়, বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। কাশি, ব্রংকাইটিস এইসব তারই লক্ষণ। আপনার পক্ষে ধূমপান ছাড়া অসম্ভব হলে আপনি একটি পানীয়ের মাধ্যমে আপনার ফুসফুসটি সুস্থ রাখতে পারেন। ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন এই পানীয়টি।

যা যা লাগবে:
১ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ
১টি ছোট আদার টুকরো
১ লিটার পানি
৪০০ গ্রাম মধু
২ চা চামচ হলুদ

যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে পানিতে মধু দিয়ে জ্বাল দিন।
২। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নিন।
৩। যখন এটি বলক আসবে তখন চুলা কমিয়ে দিন।
৪। তরলটি ঘন হয়ে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন।
৫। জ্বালের মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন।
৬। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন।

যেভাবে খাবেন:
দিনে দুইবার এটি খান। সকালে খালি পেটে দুই টেবিল চামচ এবং সন্ধ্যায় রাতের খাবার খাওয়ার আগে দুই টেবিল চামচ খান। এটি খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে কোন কিছু খাবেন না।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ এবং ভাল উপায়। ধূমপান আপনার শুধু ফুসফুস নয়, সম্পূর্ণ দেহের ক্ষতি করে থাকে। আপনি যদি একান্তই ধূমপান ত্যাগ করতে না পারেন, তবে এই পানীয়টি পান করুন। এটি আপনার ফুসফুস পরিস্কার করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

Wednesday, January 6, 2016

প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম

sasthobarta protidin
প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম
বেশীরভাগ লম্বা মানুষরা আত্মবিশ্বাসী হয় এবং তাঁরা সম্মান ও প্রশংসা পেয়ে থাকে। গড়পড়তা উচ্চতা যাদের বা কম উচ্চতার মানুষরা প্রায়ই লম্বা হওয়ার আশা করেন। মানুষের উচ্চতা নির্ধারিত হয় জেনেটিক কারণে। কিন্তু এটাই একমাত্র নির্ধারক নয়। আমাদের শরীরের হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) উচ্চতা নির্ধারণ করে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নিঃসৃত HGH  লম্বা অস্থি ও তরুণাস্থি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন- গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান করা, সন্তান জন্মের পর যত্নের অভাব, জন্মের সময় ওজন কম থাকা, শৈশবে স্বাস্থ্য খারাপ থাকা ইত্যাদি। প্রায় মানুষ এটাই  মনে করে যে সাবালক হলে দৈহিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একজন মানুষ ১৮ বছর বয়সের পরেও কয়েক ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। এটা তখনই সম্ভব যখন আপনি আপনার জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করবেন। সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
১। দুধ পান করুন
দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা অস্থির বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি দুধে ভিটামিন এ ও প্রোটিন ও থাকে যা উচ্চতা সহ শরীরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বৃদ্ধি করার জন্য দিনে ২-৩ গ্লাস দুধ পান করুন। এর পাশাপাশি পনীর, দই, ক্রিম ইত্যাদি খাবার গুলোও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
৩। ইয়োগা করুন
আপনার উচ্চতা প্রাকৃতিক ভাবে বাড়ানোর জন্য ইয়োগা করুন। কিছু যোগব্যায়াম আছে যা করলে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়। যোগব্যায়াম চাপ কমাতে সাহায্য করে যা পিঠের মাংসপেশিতে টান সৃষ্টি করে এবং গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে “সূর্য প্রণাম” যোগব্যায়ামটি।
৪। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যখন ঘুমের রাজ্যে থাকেন তখনই HGH উৎপন্ন হয় যা  দেহকে লম্বা করতে সাহায্য করে। দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটা আপনাকে উচ্চতা নিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে পারে।
৫। ব্যায়াম ও খেলাধুলা করুন
খেলাধুলা ও ব্যায়াম HGH এর নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। ভালো উচ্চতা অর্জনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করুন।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, সাঁতার বা দড়ি লাফের মত সাধারণ এক্সারসাইজ গুলো করুন, সঠিক ভঙ্গীতে বসুন, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সোজা হয়ে দাঁড়ান এতে আপনাকে লম্বা দেখাবে।

টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ

sasthobarta protidin
টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ
দাঁত মাজতে আমরা সবাইই টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। আর সেই টুথপেস্টের বেশিরভাগেই মজুদ থাকে ফ্লোরাইড। সত্যিকার অর্থে ফ্লোরাইড টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয় দাঁতকে সুস্থ রাখার তাগিদেই। এটি মানুষের দাঁতের এনামেল ঠিকঠাক রেখে ক্যাভিটির সংক্রমণ না করেই দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। কিন্তু এই অত্যন্ত উপকারী জিনিসটির রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর দিকও। আপনি কি জানেন যে আপনার কোনরকমের সাবধানতা ছাড়াই এই অত্যন্ত উপকারী ফ্লোরাইডও অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের কারণে পরিণত হতে পারে বিষে? 
অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি অনুসারে, টুথপেস্টের ফ্লোরাইড কম পরিমাণে দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো হয়ে থাকলে এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের শরীরে বিষাক্ততার সৃষ্টি করতে পারে ( টুডেইস ডেন্টিস্ট্রি )। ১৯৯৭ সাল থেকে ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর নির্দেশানুযায়ী আমেরিকার সব ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্টেই সতর্কতাবাণী লিখে দিতে বলা হয়েছে ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )। শুধু তাই নয়, ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত না বলে মনে করেন চিকিত্সকেরা। 
এমনিতে হয়তো মনে হতে পারে যে একটুখানি টুথপেস্ট খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু বাস্তবে এই সামান্য ফ্লোরাইড পেটে যাওয়ার মাধ্যমে বেশ কিছু ঝামেলা হতে পারে আপনার কিংবা আপনার শিশুটির। ফ্লোরাইড দাঁতের ওপর ছোপ ফেলে দিতে পারে। দাঁতে ছোট ছোট বাদামী চিহ্ন পাকাপাকিভাবে তৈরি করে ফ্লোরাইড। বিশেষ করে যদি টুথপেস্টের সাথে সাথে পানি কিংবা মাউথওয়াশ থেকেও ফ্লোরাইড গ্রহণ করা হয় তাহলে এর পরিনাম হয়ে দাড়ায় আরো খারাপ। 
শুধু দাঁতের ছোপই নয়, প্রতিদিন একটু একটু করে গ্রহণ করা ফ্লোরাইড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। তৈরি হয় বাচ্চাদের ভেতরে অরুচি, বমিভাব আর ডায়রিয়ার সমস্যা। এছাড়াও পরবর্তীতে বাচ্চাদের হাড়কেও দূর্বল করে গড়ে তুলতে পারে প্রতিদিনের এই একটু করে নেওয়া ফ্লোরাইড। 
কিন্তু অনেকটা সাবধানতার পরেও মাঝে মাঝে ভুল হয়েই যায়। হয়তো একটু বেশিই ফ্লোরাইড খেয়ে ফেললো আপনার সন্তান কোন একদিন। কি করবেন তখন? কি করবেন যখন আপনার সন্তান বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড গ্রহণ করে ফেলবে? এমনটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তো? আপনার এই প্রশ্নের জবাবটা খুবই স্বস্তিকর। আর সেটা হচ্ছে এই যে, আপনি জেনে খুশি হবেন যে একটি পুঁতি-সাইজের টুথপেস্টের ভেতরে সাধারনত ০.২৪ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড থাকে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডেন্টাল মেডিসিন অনুসারে, ৪৫ পাউন্ডের অধিকারী ৮ বছরের একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে তখনই টুথপেস্ট ভয়ের কারণ হবে যখন এই ফ্রোরাইডের পরিমাণ ৬৫৫ হবে। আর তাই আপনার সন্তানকে অসুস্থ করে দিতে হলে ২ থেকে ৪ টি টুথপেস্টের টিউব শেষ করতে হবে। তবে তারপরেও খানিকটা বেশি ফ্লোরাইড আপনার সন্তানের সার্বক্ষণিক মাথাব্যথারও কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর তাই যদি কখনো আপনার সন্তান একটু বেশি টুথপেস্ট খেয়ে ফেলে আর অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সরাসরি চিকিত্সকের কাছে তাকে নিয়ে যান। আর এক গ্লাস দুধ পান করতে দিন ( কিড এমারজেন্সিস )। ছোট-বড়, আমাদের অনেকেরই টুথপেস্ট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে নানারকম ফলের ফ্লেভার দেওয়া টুথপেস্ট বাজারে আসার পর থেকে বাচ্চাদের লুকিয়ে টুথপেস্ট খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেকটা বেশি। তবে বড়রাও এদিক দিয়ে কম যান না। সেটা কখনো খেতে মজা লাগে বলে, কখনো মুখের দুর্গন্ধ তাড়ানোর জন্যে বড়রাও খেয়ে থাকেন টুথপেস্ট কিংবা অনেকবার দাঁত মেজে থাকেন। কিন্তু এরপরের বার থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড রয়েছে কিনা। আর থাকলে একটু সাবধান হয়েই ব্যবহার করুন সেটা। 

নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য

ranna banna o beauty tps
নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য
নবজাতক বাচ্চাদের মতো আদুরে আর সুন্দর জিনিস কিছু আছে নাকি? নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে কিন্তু বেশ অদ্ভুত এবং মজার কিছু তথ্য আছে যা শুনলে আপনি হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারবেন না! জেনে নিন এগুলো।
তারা লবণের স্বাদ পায় না

নবজাতক শিশুদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা প্রখর, অথচ তারা লবণের স্বাদ নিতে পারে না! মোটামুটি চার মাস বয়স হবার পর তারা লবণের স্বাদ পায়। তবে একজন নবজাতক মিষ্টি, তেতো এবং টক স্বাদ পায় ভালোভাবেই। প্রাপ্তবয়স্কদের চাইতে তাদের স্বাদ্গ্রন্থি বেশি থাকে বলে কিছু গবেষণায় দেখা যায়।
তারা কাঁদে, কিন্তু কোন অশ্রু বের হয় না

নবজাতক বাচ্চারা খুব কাঁদে বটে, কিন্তু তাদের চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। তিন থেকে বারো সপ্তাহ বয়সের মাঝে তাদের অশ্রু গ্রন্থি কার্যকর হয়। তার আগে এরা অশ্রু ছাড়াই কাঁদে।
তাদের হাঁটুর মালাইচাকি থাকে না

নবজাতক সন্তানের এক্স-রে করালে দেখবেন হাঁটুর ওপরে গোলাকার অংশটি অর্থাৎ মালাইচাকি নেই! এর কারণ হলো এখানে শুধুই কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে এই সময়ে। এ থেকে আসল মালাইচাকি তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চাইতে তাদের হাড় বেশি থাকে

মোটামুটি ৩০০টা হাড় থাকে নবজাতক শিশুদের, যেখানে পারপ্তবয়স্ক মানুষের থাকে ২০৬টি। জন্মের পর কয়েক মাসে এসব হাড় একসাথে জোড়া লেগে আসল হাড় তৈরি হয়। বিশেষ করে খুলি বেশ কয়েক ভাগ থাকে, ২ বছর বয়সের মাঝে জোড়া লেগে যায়।
তাদের মেন্সট্রুয়েশন নয়

গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চারা মায়ের শরীরের উচ্চ মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবের আওতায় থাকে। জন্মের পর অর্থাৎ নাড়ি ছেঁড়ার পরে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ দ্রুত কমে আসে। এই কারণে মেয়ে নবজাতকের মাঝে দেখা যেতে পারে “সিউডোমেন্সট্রুয়েশন”। এর কারণে মাঝে মাঝে দুই-এক ফোঁটা রক্ত সেই শিশুর ডায়াপারে দেখা যেতে পারে। জন্মের প্রথম এক সপ্তাহের মাঝে মোটামুটি ২৫ শতাংশ শিশুর মাঝে দেখা যায়।
ল্যাকটেশন

ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে আরও একটি ঘটনা দেখা যায়, যা হলো গ্যালাক্টোরিয়া। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয় নবজাতকের বুকে খুব অল্প পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। এটা ৫ শতাংশ নবজাতকের মাঝে দেখা যায়। দুই মাস পর্যন্ত এই ঘটনা দেখা যেতে পারে।
তারা নিজেদের মুত্র পান করে

গর্ভধারণের কয়েক মাস পর থেকেই বাচ্চারা গর্ভের ভেতরে মুত্রত্যাগ করতে থাকে। এটা কোথায় যায়? এটা বাচ্চারাই পান করে ফেলে! প্রেগনেন্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের পর ভ্রূণ দিনে প্রায় এক লিটার অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পান করে থাকে। এই কাজটাতে তাদের খাবার গেলা ও হজমের প্রক্রিয়াটা উন্নত হয়।
মায়ের খাবারের ফ্লেভার পায় তারা

বাচ্চারা ভ্রুনে থাকা অবস্থাতেই মা যা খায়, তার ফ্লেভার পেয়ে থাকে। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, মা যদি খুব বেশি রসুন খায় তাহলে সেটার ফ্লেভার বাচ্চা পাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড থেকে। এ কারণে বড় হয়েও রসুনের ফ্লেভারের খাবার খাওয়ার প্রতি তার টান থাকতে পারে।
তাদের প্রচুর চুল থাকে

জন্মের সময়ে বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকতে পারে নাও থাকতে পারে, সেটার কথা বলা হচ্ছে না। গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের শরীর ল্যানগুও নামের এক ধরণের পশমে ভরে থাকে। জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই পশম পরে যেতে পারে। অনেক বাচ্চার অবশ্য এই পশম গর্ভে থকা অবস্থাতেই পরে যায় এবং তারা এটাকে খেয়ে ফেলে! বাচ্চা মাথায় যে চুল নিয়ে জন্মগ্রহন করে সেটাও পড়ে যায় কয়েক সপ্তাহে।

Monday, January 4, 2016

বিস্কুটে ছয়মাস থাকতে পারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া

sasthobarta protidin
বিস্কুটে ছয়মাস থাকতে পারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
সালমোনেলার মত ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া বিস্কুট ও স্যান্ডউইচ ক্র্যাকার্সে অন্তত ছয়মাস বেঁচে থাকতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।

সম্প্রতি শুকনো খাবারের মাধ্যমে খাদ্যজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার হার অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ গবেষণা চালানো হয়।

নির্দিষ্ট কিছু খাবার নিয়ে গবেষকরা এ গবেষণা চালান। তারা দেখতে চান খাদ্যজনিত রোগের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া শুকনো খাবারে কতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকে।

প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যারি বিকেট বলেন, “দূষিত শুকনো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা আজকাল অনেক বেড়ে গেছে। খুবই শুষ্ক পরিবেশেও যে শুকনো খাবারের মধ্যে সালমোনেলা জন্মাতে পারে তা আমরা এতদিন কল্পনাও করতে পারিনি।”

গবেষকরা বলেন, বিস্কুট ও ক্র্যাকার স্যান্ডুইচের মত শুকনো খাবারে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া শুধু জন্মায়ই না বরং দীর্ঘদিন সেগুলো ওই খাবারের মধ্যে টিকে থাকে। মুদি দোকান বা ভেন্ডিং মেশিনে যে প্রজাতির সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া থাকে এ ব্যাকটেরিয়াগুলো সে ধরনের।

এ জীবাণুগুলো নিয়ে সেগুলো কুকিস ও স্যান্ডিইচে যোগ করে গবেষকরা দেখেন সেগুলো কতদিন বেঁচে থাকে। এতেই তারা দেখতে পান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবাণুগুলো ছয়মাস ধরে ওই সব খাবারের মধ্যে বেঁচে ছিল।

বিকেট বলেন, “আমরা এটা কল্পনাও করতে পারিনি।” ফুড প্রটেকশন জার্নাল এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

Sunday, January 3, 2016

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে

sasthobarta protidin
মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে
ধবধবে সাদা দাঁত দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই দাঁতের যত্নও করতে হয়। দাঁত এবং মাড়ির যেসব সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া অন্যতম। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়ে থাকে। কিন্তু অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেলে শক্ত খাবার খাওয়ার সময়ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সাথে সাথে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা রোধ করা সম্ভব।
১। লবঙ্গের তেল

লবঙ্গের তেল মাড়ির ইনফ্লামেশন রোধ  করে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। একটুখানি লবঙ্গের তেল নিয়ে মাড়িতে ঘষুন। অথবা এক বা দুটি লবঙ্গ চিবাতে পারেন। এটি আপনার মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
২। অ্যালোভেরা জেল

প্রতিরাতে মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করে লাগান। এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। এটি মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
৩। গ্রিন টি

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে গ্রিণ টি বেশ কার্যকর। গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির জীবাণু ধ্বংস করে এবং দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।
৪। লবণ পানি

কিছু গরম পানি নিন, এর সাথে অল্প কিছু লবণ মিশান। এবার এই লবণ পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এটি।
নিয়মিত কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালোরি থাকে কম। এটা রক্ত চলাচল সচল রেখে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।

সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা

sasthobarta protidin
সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপনি কি চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবার পছন্দ করেন? এই খাবার গুলো তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা। ৫০০০ বছর পূর্বে চীনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা। আপনি কি জানেন প্রাচীন মিশরীয়রা পৃথিবীর প্রতীক হিসেবে পেঁয়াজের কন্দকে পূজা করত? পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজের কন্দ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এতে উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই নরম কচি পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে। একে স্প্রিং অনিওন বা সবুজ পেঁয়াজ ও বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের কন্দে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে থাকে। এছাড়াও কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার থাকে। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজ পাতা। পেঁয়াজ পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জানা যাক এবার।
১। হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাঁধা প্রদান করে কোষ কলার এবং DNA এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজ পাতার সালফার করোনারি হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
২। শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়তা করে
অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বাহির করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজ পাতা।
৩। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৪। স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ করে
লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যান্সার রোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
৬। পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করে
সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীর জটিলতার ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার হচ্ছে স্প্রিং অনিওন। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে
পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন  কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এছাড়াও এঁরা রক্ত সংবহনের উন্নতি করে এবং শরীরে ভিটামিন বি১ এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি।                                           
এগুলোর পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল‍্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগার লেভেল কমায় সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খান।

Monday, December 14, 2015

বন্ধ নাক থেকে মুক্তি

sasthobarta Protidin
বন্ধ নাক থেকে মুক্তি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ পরিস্থিতির তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে শ্লেষ্মা শ্বাসযন্ত্রে চলে গেলে পরে বড় ধরনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বন্ধ নাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় দেওয়া হয়।

শোয়ার সময় মাথা উঁচুতে রাখতে হবে

ঘুমানোর সময় বা শুয়ে থাকলে মাথা কিছুটা উঁচুতে রাখা উচিত। এক্ষেত্রে মাথার নিচে খানিকটা উঁচু বালিশ রেখে, ছাদের দিকে মুখ করে শোয়া যেতে পারে। এতে শ্লেষ্মা তৈরির পরিমাণ কম হবে।
বন্ধ নাকের সমস্যা এড়াতে পেঁয়াজ

এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে তা নাকে শুকে নিলেই বন্ধ নাকে আরাম পাওয়া যাবে। পেঁয়াজের ঘ্রাণ বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করবে। এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে টানা ৫ মিনিট ঘ্রাণ নিলেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

ঝাল খাবার

ঠাণ্ডা লাগলে এবং নাক বন্ধ থাকলে ঝাল খাবার বেশ ভালো লাগে। এর পাশাপাশি মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বন্ধ নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

গরম পাণীয় পান করা

চা বা কফির মতো গরম পানীয় পান করলে ঠাণ্ডায় উপকার পাওয়া যায়। পানীয়ের গরম ভাপ শ্লেষ্মা হালকা করতে সাহায্য করে। গরম পানীয়র মধ্যে বন্ধ নাক থেকে মুক্তি পেতে চা সব চাইতে বেশি উপকারী।

ভাপ নেওয়া

গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মেনথল মিশিয়ে, হাঁড়ি বা বাটির উপর মাথা নিয়ে মাথার উপর একটি তোয়ালে বা চাদর দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। এবার গরম পানি ও মেনথল মিশ্রিত ভাপ নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে টেনে নিতে হবে। গরম ভাপ এবং মেনথল ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী।.

এই সাধারণ টোটকাগুলো নাক বন্ধের সমস্যা অনেকটাই লাঘব করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরোপুরি সারিয়ে তুললেও অনেক সময় বেশি সমস্যা হলে পুরোপুরি আরগ্য হওয়া সম্ভব হয় না। তবে ঠাণ্ডা এবং নাক বন্ধের কারণে অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করবে এই উপায়গুলো।

ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার

Sasthobarta protidin
ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার
সঙ্গমের আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে এবং সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে খেতে পারেন ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক ফুড’ নামে পরিচিত কিছু খাবার।

এই খাবারগুলো যৌনসুখের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং বিভিন্ন গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে পুরুষ ও নারীদের যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা বাড়ায়।




স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানায়। 

চকলেট: রোমান্স আর আবেগের প্রতীক চকলেট। বলা হয়, চকলেট খাওয়ার পর নারীদের শরীরে যে পরিমাণ ‘এন্ডোফরমিন’ তৈরি হয় তা ঘনিষ্ঠ ‘ফোরপ্লে’য়ের তুলনায় চার গুণ। পাশাপাশি ‘ফোরপ্লে’তে চকলেটের রয়েছে কয়েকটি আকর্ষণীয় ব্যবহারও।

কমলা: একটি মিষ্টি ও আবেদনময়ী ফল এই কমলা। সঙ্গীকে কামোত্তেজক এক অভিজ্ঞতায় প্রতি আকৃষ্ট করতে চকলেটের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ফল।

ডিম: শেষ কবে কোনো রকম তাড়াহুড়া ছাড়া দুশ্চিন্তামুক্তভাবে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছিলেন মনে করতে পারেন? দৈনন্দিন রুটিনবাঁধা জীবন আর সংসারের বিভিন্ন ঝামেলার কারণে যৌনজীবন আকর্ষণীয় করা নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এখানেই ডিমে থাকা ‘ভিটামিন বি ফাইভ’ এবং ‘ভিটামিন বি-সিক্স’য়ের ভূমিকা। দুটোই মানসিক চাপ কমায়, বৃদ্ধি করে যৌন ক্ষমতাও। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত অন্যান্য উপকার তো আছেই।

তরমুজ: যৌনজীবনে ফুলঝুরি ফোটাতে চাইলে প্রতিদিন তরমুজ খাওয়া শুরু করতে পারেন। ‘প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা’ হিসেবে বিবেচিত তরমুজ হল ‘সিট্রুলিন’ নামক একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস, যা রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণে সাহায্য করে। যৌনাঙ্গ দৃঢ় হওয়া বিষয়ক সমস্যার চিকিৎসায় তরমুজ বেছে নিতে পারেন।

জাফরান: তাৎক্ষনিক উপকার পেতে দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে যোগ করা যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ জাফরান। প্রাকৃতিক ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক’ খাবারের উপকারীতা বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, এটা যৌন চাহিদা বাড়াতে সহায়ক। ‘ক্রোকাস স্যাটিভাস’ নামক ফুলের গর্ভমুণ্ড বা পরাগধানী শুকিয়ে জাফরান তৈরি করা হয়। ভারতীয়, ইতালিয়ান এবং স্প্যানিশ কুইজিনে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

রসুন: সমস্যা মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের যৌনস্বাস্থ্য ও ক্ষমতার উপর গুরুত্ব দেই না। এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত এবং প্রতিদিন রসুন খাওয়ার মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন প্রক্রিয়া, যৌনক্ষমতা এবং সঙ্গমের চাহিদা বৃদ্ধি করতে রসুনের উপকারিতা সুপরিচিত। এর প্রধান কারণ হল, রসুনে প্রচুর পরিমাণে থাকে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান, যা যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।

চোখের বিশেষ যত্ন

sasthobarta protidin
চোখের বিশেষ যত্ন
সারাদিন আমাদের চোখ জোড়া প্রচুর কাজ করে, যা আমরা অনেকেই মাথায় রাখি না। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া পুরো দিন জুরেই কাজ করতে থাকে আমাদের চোখ। আর চোখ এবং চোখের আশপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। আর ওই অংশে বয়সের ছাপও দ্রুত পড়ে তাই আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়।

দিন শুরু করুণ ফল খেয়ে: দিনের শুরুতে বেশ খানিকটা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ ফল খেয়ে দিন শুরু করলে তা চোখ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। ফল চোখ ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।

টি ব্যাগ ও অলিভ অয়েল: ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে চোখের উপর চেপে ধরলে আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। তবে চোখের আশপাশের কোমল ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলও কার্যকর। এক টুকরা তুলা তেলে ভিজিয়ে চোখের চারপাশের ত্বকে লাগাতে হবে, এরপর ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে বিশ্রাম নিতে হবে।

চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখুন: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এর পাশের ত্বকে বলিরেখা পরে। তাই ঘন ঘন চোখের পাতা বন্ধ করতে এবং খুলতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করতে হবে।

যে কোনো স্ক্রিনে কাজ করার সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর বিরতি নিতে হবে, চোখের বিশ্রামের জন্য।

চোখের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক: রূপচর্চায় মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ত্বকের পাশাপাশি চোখ ও চোখের ত্বকেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। চোখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই সব থেকে উপযোগী। শসা, আলু ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পানি থাকে এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই এই উপাদানগুলো চোখের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি চোখ উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

সবসময় খুশি থাকুন: অবসাদ এবং মানসিক চাপের ছাপ পড়ে চোখে। এতে চোখ নিস্তেজ দেখায়। ক্লান্তি, রাগ, অপর্যাপ্ত ঘুম চোখে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।

Sunday, December 13, 2015

অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন এই ৬টি কাজে

sasthobarta protidin
অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন এই ৬টি কাজে
স্বাস্থ্য ভালো থাকুক সেটা তো চাই আমরা সবাই। কিন্তু দিনের বেশীরভাগ সময়ই চলে যায় অফিসে বসে। তাহলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কী করে? সপ্তাহে ৫/৬ দিন আট ঘন্টা করে বসে থাকলে বরং স্বাস্থ্যগত সমস্যা হবারই কথা। কিন্তু তাই বলে তো আর চাকরি বাদ দেওয়া যায় না। জেনে নিন অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের যত্ন নেবার দারুণ কিছু কৌশল।
১) দাঁড়িয়ে থাকুন কিছুক্ষণ

ইংল্যান্ডের একটি নতুন গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়, প্রতিদিন অফিস চলাকালীন সময়ে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাটানো উচিৎ। দীর্ঘ সময় জবুথবু হয়ে বসে কাটানোতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই কারণে দিনে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে অফিস করার চেষ্টা করা ভালো, জানা যায় Huffington Post থেকে। এই কাজটির জন্য আপনি সুযোগ পেলেই হাঁটাহাঁটি করুন। লাঞ্চ টাইমে বাইরে থেকেও হেঁটে আসতে পারেন।
২)  স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখুন

অনেক সময় দেখা যায় আপনি না চাইলেও আপনার কলিগদের কাছে অস্বাস্থ্যকর কোনো স্ন্যাক্স, জাঙ্ক ফুড আছে বলে সেগুলো আপনার পেটে চলে যাচ্ছে। এ কারণে যাদের কাছে অস্বাস্থ্যকর খাবার আছে তাদের থেকে সেদিন একটু দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ফল জাতীয় খাবার দিয়ে স্ন্যাকিং করুন। লাঞ্চে রাখুন সকাস্থ্যকর খাবার যা আপনার পেট ভরা রাখবে অনেকক্ষণ। আর পানি পান করুন যথেষ্ট পরিমাণে।
৩) ঘাড়ের ব্যায়াম

অনেকক্ষণ একই অবস্থানে ঘাড় ও কাঁধ শক্ত করে রাখলে দেখা দিতে পারে টেনশন নেক সিনড্রোম (TNS)। অনেকটা সময় কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন চেপে রেখে কথা বলা বা টাইপ করার কারণে এই সমস্যাটা হতে পারে। এর জন্য ব্যবহার করুন স্পিকার ফোন বা হেডফোন। একই অবস্থানে বেশিক্ষণ ঘাড় শক্ত করে রাখবেন না।
৪) চোখের যত্ন

চোখ থেকে এক হাত দুরত্বে থাকবে আপনার মনিটর। এ অবস্থানে যদি আপনার দেখতে সমস্যা হয় তাহলে ফন্ট বড় করে নিন।
৫) পরিষ্কার করুন ডেস্ক

আপনার কী-বোর্ড, মাউস এবং ফোনে প্রচুর জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। নিয়ম করে মাঝে মাঝে এগুলোকে ডিসইনফেক্ট করা জরুরী, নয়তো আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
৬) টানা কাজ করবেন না

জরুরী কোনো প্রজেক্টে কাজ করার সময় টানা দীর্ঘ অনেকটা সময় আমরা বসে কাটিয়ে দেই একই অবস্থানে। এটা যে আমাদের শরীরের জন্য খারাপ সেটাও আমরা লক্ষ্য করি না। কিন্তু এর বদলে আপনি ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে কাজ করতে পারেন এবং প্রতি ২০ মিনিট পর পর একবার উঠে দাঁড়াতে পারেন। Business Insider এর মতে এই কাজ দুটি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।