Showing posts with label tension. Show all posts
Showing posts with label tension. Show all posts

Wednesday, January 13, 2016

মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
এমন অনেক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যেগুলোতে মানুষ খুব ঘন ঘনই আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় মাথা ব্যথা ও টেনশনের। সমাজের ক্রম বর্ধমান চাহিদা এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে রেসে এগিয়ে থাকতে চাওয়ার কারণে অনেক মানুষই স্ট্রেসে ভোগে যার ফলে মাথাব্যথা ও টেনশনের উৎপত্তি হয়। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই যদি আপনি মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণের সহজ ও নিরাপদ কিছু উপায় শিখে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই উপায়গুলো কী।
১। কাঠ বাদাম খান
সবচেয়ে সহজ ও সুবিধা জনক প্রতিকার হচ্ছে কাঠ বাদাম। কাঠবাদাম বা আমন্ড এ সেলিসিন থাকে যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। যখনই মাথাব্যথা শুরু হবে একমুঠো আমন্ড খান। কাঠ বাদাম স্বাস্থ্যকর এবং অন্য ঔষধের চেয়ে নিরাপদ।
২। গরম পানিতে পা ভিজানো
এটা কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কিছু সময়ের জন্য গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে মাথাব্যথা ও টেনশন দূর হয়। এতে পায়ের পাতার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাথার রক্ত নালিকা গুলোর চাপ কমে। পানির মধ্যে সামান্য সরিষার গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। উষ্ণ চাপ
একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেল গুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
৪। আদা
মাথা ব্যথা কমাতে আদা চা খেতে পারেন অথবা এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি সহজ একটি প্রতিকার তবে ভালোই কাজ করে।
৫। কফি
এক কাপ কড়া কফি মাথাব্যথা ও টেনশন কমাতে অনেক কার্যকরী। এটা রক্তনালীর ফুলে যাওয়া কমায়। যারা ইতিমধ্যেই কফিতে আসক্ত তাদের জন্য এটি কার্যকর হবেনা।
৬। এসেনশিয়াল অয়েল ম্যাসাজ
মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার তেল টেনশন ও মাথা ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে। এই তেল কপালে মালিশ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা দূর হবে। মেন্থল টি ব্যাগ ভিজিয়ে কপালে ও চোখের উপর রাখুন। এতে কিছুক্ষণ পর মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
৭। ঠান্ডা পানির সেঁক
আইস ব্যাগে ঠাণ্ডা পানিতে পূর্ণ করে কপালে ও ঘাড়ে লাগালে মাসেলের চাপ কমে মাথাব্যথা কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ও কপালে ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন।
৮। ম্যাসাজ করুন
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে কপালে বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট একাধারে করার পর বিরতি দিন তারপর আবার করুন যতক্ষণ ব্যথা থাকে। আকুপ্রেসার এক্সপার্টরা একে ফ্ল্যাশি এরিয়া ট্রিগার পয়েন্ট LIG4 বলেন। মস্তিস্কের যেখানে মাথাব্যথা উৎপন্ন হয় তার সাথে এই স্থানটির সংযুক্তি আছে। তাই কপালে এভাবে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
৯। চাপ প্রয়োগ
একটিকাপড় দিয়ে মাথা শক্ত করে বাঁধুন। এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল কমবে কারণ রক্তনালীর প্রসারণের কারণে মাথাব্যথার উৎপত্তি। কাপড়টি ভিনেগারে ভিজিয়ে নিতে পারেন এটি চিরাচরিত মাথা ব্যথার প্রতিকার হিসেবে বহুকাল যাবত ব্যবহার হয়ে আসছে।

কিছু টিপস :
·         একবারে পেট ভরে না খেয়ে কিছুক্ষণ পর পর খান। সম্ভব হলে ২ ঘন্টা পর পর খান। এতে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মাথা ব্যথা প্রতিরোধ করবে।
·         মাথা ব্যথা ও টেনশন কমানোর জন্য ঘুমানো সবচেয়ে ভালো প্রতিকার।
·         দিনের বেলায় ৩০-৪০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলেও মাথা ব্যথা দূর করতে চমৎকার কাজ করবে।
·         অনেক সময় পানিশূন্যতার জন্যও মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
·         একাধারে অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে রক্তনালীর উপর চাপ পরে। তাই এক অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাটা হাটি করুন।
·         সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মত সাধারণ ব্যায়াম গুলো করুন, এতে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন ও মাথা ব্যথার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
·         কিছু খাবার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে যেমন-দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, চকলেট, পিনাট বাটার, অ্যাভোকডো, কলা, সাইট্রাস ফল, পেঁয়াজ, নাইট্রেট মিশানো মাংস- হট ডগ, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট সমৃদ্ধ খাদ্য ইত্যাদি খাবার খেলে আপনার কোন সমস্যা হয় কিনা খেয়াল করুন।