Wednesday, July 27, 2016

দাম্পত্য জীবন ঠিক রাখতে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম

sasthobarta protidin
দাম্পত্য জীবন ঠিক রাখতে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম

উপহার কিংবা রোম্যান্টিক নৈশভোজ নয়। বিবাহিত জীবনে সুখের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে পর্যাপ্ত ঘুমের মধ্যে! এমনটাই দাবি ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের গবেষকদের। তারা বলছেন, সঙ্গীর মেজাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্কের সামনের অংশ। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ওই অংশটিকে তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে। ফলে ঝগড়া এড়িয়ে চলা যায়। ৬ হাজার ৮০০ দম্পতির মধ্যে এক পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, পেশা এবং অন্যান্য সামাজিক অভ্যাসের কারণে সারা বিশ্বে মানুষের গড় ঘুমের সময় গত ১০ বছরে ২ ঘণ্টা কমে গেছে। সেই কারণেই নাকি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা গত ১০ বছরে বেড়েছে ৮ শতাংশ!  আমেরিকার ক্যানসাসের এক দম্পতির উদাহরণ দিয়েছেন গবেষকরা। দৈনন্দিন অশান্তির কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। মনোবিদরা তাদের দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেন। তার সঙ্গে একটি ডায়রিতে সম্পর্কের কতটা উন্নতি হচ্ছে সেটা প্রতিদিন লেখার পরামর্শ দেন। দুই মাস পরেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ওই দম্পতি। 

নখের বিষয়ে যে কথাগুলো আপনি জানেন না

sasthobarta protidin
নখের বিষয়ে যে কথাগুলো আপনি জানেন না
বেশিরভাগ মানুষই নখের বিষয়ে খুব বেশি সচেতন না। নখ ভেঙ্গে গেলে বা নখে ব্যথা পেলেই নখের প্রতি খেয়াল করা হয়। আমরা যা মনে করি তার চেয়ে আরো অনেক জটিল আমাদের নখ। নিউ ইয়র্ক সিটির সানি ডাউনস্ট্যাট মেডিক্যাল সেন্টারের ডারমাটোলজি বিভাগের  অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল প্রফেসর এবং আর্ট অফ ডারমাটোলজির প্রতিষ্ঠাতা জেসিকা ক্রান্ট বলেন, “নখের শক্ত অংশ বা নেইল প্লেট মহাসাগরীয় তরঙ্গের মত ম্যাট্রিক্স বা নখের মূল থেকে বেড়িয়ে আসে”। তিনি আরো বলেন, “নখের সাদা অংশ থাকে নখের গোড়ার দিকে যাকে লুনুলা বা ছোট চাঁদ বলে। বৃদ্ধাঙ্গুলিতে এটি স্পষ্ট বোঝা যায় এবং এটি ম্যাট্রিক্সের দৃশ্যমান শেষ অংশ”। চলুন, নখ সম্পর্কে এরকম অজানা কিছু তথ্য জেনে নিই।

১। হাতের নখ প্রতিমাসে গড়ে ৩.৫ মিলিমিটার করে বাড়ে

প্রতিমাসে এক ইঞ্চির দশ ভাগের এক ভাগ করে বৃদ্ধি পায় হাতের নখ এবং এই বৃদ্ধি দ্রুত হয় সক্রিয় বা প্রভাবশালী হাতটিতে। অন্যদিকে পায়ের নখ গড়ে ১.৬ মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পায়।

২। নখের সাদা দাগ ক্যালসিয়ামের ঘাটতিকে নির্দেশ করেনা

‘নখের সাদা দাগ খুবই সাধারণ ও অক্ষতিকর একটি বিষয় যা কোন নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতিকে নির্দেশ করেনা”- ক্রান্ট বলেন। নখের সাদা দাগ ক্যালসিয়ামের ঘাটতিকে নির্দেশ করে - এটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা।

৩। নখ চুলের মত একই উপাদানে গঠিত

ক্যারাটিন নামক উপাদান দিয়ে নখ ও চুল গঠিত। তাই চুলের জন্য উপকারী খাবার নখের জন্য ও উপকারী। “ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি, প্রোটিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যকর নখ ও চুলের প্রধান চাবিকাঠি” বলেন জেসিকা ক্রান্ট। ক্যারাটিন এক ধরণের প্রোটিন।নখ, চুল ও ত্বকের আর্দ্রতার জন্য এবং এদের শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্যকর তেল ও ফ্যাট প্রয়োজন।  

৪। ম্যামালদের থেকে প্রাইমেটকে আলাদা করে নখ

যেখানে বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর নখ থাবার জন্য উপযোগী হয়। সেখানে প্রাইমেট বর্গের প্রাণীদের বিশেষ করে মানুষের নখ তাদের থেকে আলাদা ধরণের হয়।

৫। নখ কামড়ানোকে অনাইকোফ্যাজিয়া বলে

WebMD এর মতে, এটি সবচেয়ে সাধারণ “নার্ভাস হেবিট”। মোটামুটিভাবে ১০-১৮ বছরের শিশু-কিশোরদের অর্ধেকের মধ্যে নখ কামড়ানোর অভ্যাসটি দেখা যায় বেশি। বেশিরভাগ মানুষ ৩০   বছর বয়সের মধ্যেই এই অভ্যাসটি নিজে নিজেই ত্যাগ করে।

৬। নখের মধ্যে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা উচিৎ

আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন নখের শক্ত অংশেও জীবন্ত টিস্যু থাকে এবং এর মধ্য দিয়ে অক্সিজেন প্রবেশ করে নখের মূলে যায়। নেইল পলিশ নখকে কিছুটা শুষ্ক করে দেয়। তাই ম্যানিকিউর করে নখকে সতেজ রাখুন।

৭। নখ সমস্ত শরীরের জানালা

ক্রান্ট বলেন, “একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আপনার নখ দেখেই আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে অনেক কিছু বুঝতে পারেন। নখের গোড়ায় নীলাভ ভাব দেখা গেলে বোঝা যায় আপনার ফুসফুসের রোগ আছে, নখের গোড়ার চামড়ায় কৈশিকনালী দেখা গেলে অটোইমিউন ডিজিজ আছে বোঝা যায়, নখের বর্ণ হলুদ, সাদা বা ডোরা দেখা দিলে মারাত্মক ধরণের কোন রোগ আছে বোঝা যায়”। তাই নখের কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

৮। কিউটিক্যালেরও প্রয়োজন আছে   

নখের গোড়ার কিউটিক্যাল নখকে আর্দ্র রাখতে এবং জীবাণুর সংক্রমণ থেকে নখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।তাই ম্যানিকিউর করার সময় এটি কেটে ফেলা উচিৎ নয়।

আমেরিকান একাডেমী অফ ডারমাটোলজির মতে, নখের বৃদ্ধি প্রভাবিত হয় ঋতুর পরিবর্তনের কারণে, বয়স, জিন এবং অন্যান্য আরো কিছু কারণে। শীতের চেয়ে গ্রীষ্মকালে নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ছেলেদের নখ মেয়েদের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রেগনেন্সির সময় এর ব্যতিক্রম হতে পারে। চর্মরোগের সমস্যার প্রায় ১০% নখের সাথে সম্পর্কিত। স্ট্রেসের কারণে নখের স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়। নখের শক্তভাব জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে।  

Monday, July 25, 2016

ব্যক্তিত্ব প্রকাশে সুগন্ধি ব্যবহারের কৌশল

sasthobarta protidin
ব্যক্তিত্ব প্রকাশে সুগন্ধি ব্যবহারের কৌশল
সুগন্ধি ব্যক্তিত্বেরই একটি অংশ। সুগন্ধি ব্যবহারের আদব-কায়দা ভালোভাবে জানা থাকলে ব্যক্তিত্বও ফুটে উঠবে অসাধারণভাবে। অপরদিকে সুগন্ধির ভুল ব্যবহারে অন্যের সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তাই আগেই জেনে নিন, সাজ পোশাক এবং আবহাওয়া অনুযায়ী আপনার উপযুক্ত সুগন্ধি সম্পর্কে।

পছন্দকে প্রাধান্য দিন

সুগন্ধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দকে বেশি প্রাধান্য দিন। যেকোনো সময় ও অভিজ্ঞতায় আপনি আসলে কেমন এবং কী ভালবাসেন, এটা জানা থাকলে মনে পূর্ণতা আসবে। সুগন্ধি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। তাই নিজের পছন্দের গন্ধকে প্রধান্য দিয়ে সুগন্ধির ভালো কোনো ব্র্যান্ডকে বেছে নিন।

পরীক্ষা করুন

সুগন্ধির সর্বশেষ পর্যায় হল দৈহিক রসায়ন। অন্য কারো দেহে যে গন্ধ ভালো লাগে, আপনার দেহে তা নাও লাগতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের দেহ আলাদা রসায়নে তৈরি। আর ঠিক সে কারণেই বিশেষ একটি সুগন্ধি অন্যের দেহে যেভাবে কাজ করে, আপনার দেহে তা সেভাবে করবে না। কাজেই সুগন্ধি কেনার আগে নিজের ত্বকের ওপর পরীক্ষা করে নিতে হবে। সুগন্ধি লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করলেই ফলাফল টের পাবেন। এরপর যে সুগন্ধি ভালো সৌরভ ছড়াবে সেটিই আপনার জন্য বাছাই করুন।

সুগন্ধি কাপড়ে নয়

আমরা সাধারণত জামা-কাপড়ের ওপরেই সুগন্ধি লাগিয়ে নিই। কাপড়ে লাগালে একটু পরই সে গন্ধ মিলিয়ে যায়। হাতের কবজি, কানের লতি ও ঘাড়েও একটু স্প্রে করে নিতে পারেন। তাহলে গন্ধটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় ।

প্রলেপ দিন

দিনভর সুগন্ধ ধরে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল প্রলেপন। সেক্ষেত্রে গোসলে সুগন্ধি বডি-ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। বডি-লোশান অথবা বডি-অয়েল দিলে সৌরভ আরেকটু বাড়বে। আর্দ্রতা ধরে রাখতেও বেশ কার্যকর। এরপর আপনার পালস-পয়েন্টগুলোতেও একটু বডি-অয়েল মাখিয়ে নিয়ে ফিনিশিং টাচ হিসেবে সুগন্ধি লাগিয়ে নিন। ব্যস, সারাদিনের জন্য আপনি সতেজ আর সুরভিত!

বদলে নিন

আপনি হয়তো সবসময় একই ধরণের সুগন্ধি ব্যবহারে অভ্যস্ত। তবে হালকা গন্ধের সুগন্ধিগুলোকে দিনের বেলায় এবং কড়া ও ঝাঁঝালো সুগন্ধি রাতে ব্যবহার করা উচিৎ। আবার ঋতু ও আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথেও সুগন্ধি বদলে নিতে হবে। কারণ আপনার সুগন্ধি হল আত্ম-প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও স্মরণীয় মাধ্যম। মুড বুঝে সুগন্ধি ব্যবহার করলে সেটি থাকবে মানানসই।

ক্ষতিকারক ৫ হেপাটাইটিস ভাইরাস

হেপাটাইটিস সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি। লিভারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ রোগটি সাধারণত ভাইরাসজনিত কারণে হয়।

ল্যাটিন ভাষায় লিভারকে বলা হয় হেপাট। লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হলে বেশকিছু শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়। ভাইরাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে- ব্যাকটেরিয়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও গলব্লাডারের অসুস্থতা থেকে হেপাটাইটিস হতে পারে। 

পাঁচ হেপাটাইটিস ভাইরাস

হেপাটাইটিস ভাইরাসের পাঁচটি ভাগ রয়েছে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই।

হেপাটাইটিস এ - খাদ্য ও পানীয় যদি কোনোভাবে মলমূত্রের সংস্পর্শে আসে, তবে হেপাটাইটিস এ ছড়ায়। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। 

হেপাটাইটিস ই -  এ এর মতো প্রায় একই কারণেই ছড়ায়। তবে এ ভাইরাসের ক্ষতি করার ক্ষমতা কম। প্রেগন্যান্সিতে ভাইরাসটি ক্ষতিকারক। 
    
হেপাটাইটিস বি - যেকোনো বয়সেই হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে এ ভাইরাস থাকলে তা শিশুর শরীরেও প্রবেশ করে। ফলে জন্মের পর শিশু বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে। এ ভাইরাসের জিন লিভারের কোষের জিনের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে যায় যে লিভারের কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে।

হেপাটাইটিস সি – এর সাধারণত কোনো উপসর্গ চোখে পড়ে না। তবে দীর্ঘদিন অবস্থানের পর এটি সিরোসিস তৈরি করে। যার ফলে লিভার ক্যানসার, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। 

হেপাটাইটস ডি – হেপাটাইটিস ডি এক কথায় বি ভাইরাসের সহযোগী। যা বি ভাইরাসের মতো সমান ক্ষতিকর। 

সাবধানতা
হেপাটাইটিস নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। হালকা সহজপাচ্য খাবার খাওয়া, হালকা ব্যায়াম করা, অ্যালকোহল ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা প্রাথমিক পরামর্শ। 

হেপাটাইটিসি এ তে ব্যক্তিগত সাবধানত‍া জরুরি। বিশুদ্ধ খাবার ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা রাখতে হবে। হেপাটাইটিস বি, সি, বা ডি হলে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ভাইরাস লিভারে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। যা পরে সক্রিয় হয়ে ওঠে। হেপাটাইটিস বি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। যার ফলে লিভার ক্যানসার ও সিরোসিস হতে পারে। 

সবরকম হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রথম অবস্থায় রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব, চোখ হলুদ হওয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি দেখা দেয়। হেপাটাইটিস বি এর ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি লক্ষণ থাকে। বিভিন্ন সন্ধিতে ব্যথা ও ত্বকে চাক চাক দেখা দেওয়া। হেপাটাইটিস বি এড়াতে বিশুদ্ধ পানি পান ও হাত পায়ের পরিচ্ছন্নতা জরুরি। 

স্বামী-স্ত্রীর যেকোনো একজনের এ রোগ থাকলে অন্যজনকে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। বাড়িতে কারও হেপাটাইটিস বি পজিটিভ থাকলে তার ব্রাশ, নেইলকাটার ও রেজার আলাদা রাখতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন ও প্রয়োজনীয় টীকা নিন।

Sunday, July 24, 2016

মজাদার স্মুদিতে কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ

sasthobarta protidin
মজাদার স্মুদিতে কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ
পেটের মেদ নিয়ে আমাদের আক্ষেপের শেষ নেই। অনেকের সারা শরীরে মেদ না থাকলেও পেটে মেদ থাকে। সাধারণত একটানা বসে কাজ, কায়িক শ্রম কম করা বিভিন্ন কারণে পেটে চর্বি জমে। ডায়েট করে পেটের মেদ কমানো সম্ভব হয় না। এর জন্য প্রয়োজন হয় ব্যায়ামের। কিন্তু ব্যস্ত এই জীবনে ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে ব্যায়াম করতে পারেন না অনেকেই। পেটের মেদ কমানোর জন্য কিছু ডিটক্স আছে যা বেশ কার্যকর। এমনি এক ডিটক্স হল গ্রিন স্মুদি।

যা যা লাগবে:

১ কাপ আনারস কুচি

১টি বড় কাপ পালং শাক

১টি সবুজ আপেল

১ কাপ ঠান্ডা গ্রিন টি

১ অথবা ২ ইঞ্চি আদা কুচি

১ কাপ নারকেল পানি

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

২ চা চামচ মধু

১/২ টা শসা

৬-৮টি পুদিনা পাতা

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ব্লেন্ডারে এক কাপ পালং শাক, আদা কুচি, গ্রিন টি, নারকেলের পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন।

২। তারপর এতে আপেলের কুচি, আনারস কুচি, শসার কুচি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন।

৩। এরপর এতে মধু, লেবুর রস, পুদিনা পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

৪। এটি প্রতিদিন পান করুন।

আপনি চাইলে এটি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।

যেভাবে কাজ করে:

আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি প্রাকৃতিকভাবে স্মুদি মিষ্টি করে। সবুজ আপেলের পেকটিন, পলিফেনল এবং ফ্লোরিজিডিন পেটের চর্বি কমিয়ে দেয়। গ্রিন টি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের মেদ কাটাতে সাহায্য করে। লেবু পেটের মেদ কাটাতে বেশ প্রচলিত একটি পদ্ধতি। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীর থেকে টক্সিন পর্দাথ, ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। পুদিনা পাতার ভিটামিন সি, বিটা ক্যারটিন, কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

Thursday, July 21, 2016

মধু দারুচিনি মিশ্রণের অসাধারণ গুণাবলী

sasthobarta protidin
মধু দারুচিনি মিশ্রণের অসাধারণ গুণাবলী
প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ নিজ নিজ গুণে  গুণান্বিত। মধু দারুচিনি রান্নাঘরে অন্যতম দুটি উপাদান। খাবারের গন্ধ এবং স্বাদ বৃদ্ধিতে দারুচিনি বেশ প্রচলিত। আর মধু স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা সমাধান করে থাকে। শুধু মধু নয়, দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ নানান স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধান করে দেয়। হৃদরোগ থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতে মধু-দারুচিনির মিশ্রণ তুলনাহীন। এই জাদুকরী মিশ্রণের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আজকের ফিচার।

১। খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে

মধু এবং দারুচিনি উভয় শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। ৩/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়োর সাথে ৫ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

২। হার্ট সুস্থ রাখতে

হার্ট সুস্থ রাখতে দারুচিনি ও মধুর পানির বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস মধু ও দারুচিনি মিশ্রিত পানি পান করলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এটি ধমনীর ব্লক খুলতে সাহায্য করে।

৩। বাত অথবা আর্থারাইটিসের ব্যথা দূর করা

এক কাপ গরম পানির সাথে দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি সকাল এবং সন্ধ্যা দুই বেলা পান করুন। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সক্ষম।

৪। ওজন কমাতে

ওজন কামতে এই মিশ্রণটি জাদুর মত কাজ করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে দারুচিনি এবং মধু দ্রুত চর্বি কমায়। প্রতিদিন দারুচিনি গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস পানি খালিপেটে পান করুন। এটি দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৫। পাকস্থলির ইনফেকশন দূর

মধু এবং দারুচিনির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল মিশ্রণ পাকস্থলির ইনফেকশন দূর করে। এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং হিলিং উপাদান পাকস্থলি পরিষ্কার করে থাকে।

৬।  নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ

কুসুম গরম পানিতে মধু ও দারুচিনি মেশান। প্রতিদিন সকালে এটি পান করুন। এটি আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।

৭। অবসাদ কাটাতে

এক গ্লাস পানিতে আধা টেবিল চামচ মধু এবং সামান্য পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। আর দেখুন ক্লান্তি অবসাদ কোথায় পালিয়ে যায়।

যে সবজিগুলো সেদ্ধ খাওয়াই ভাল

sasthobarta protidin
যে সবজিগুলো সেদ্ধ খাওয়াই ভাল
সুস্বাস্থ্যের জন্য সবজির তুলনা নেই। রান্না করে হোক কিংবা কাঁচা সবজি যেভাবেই খান না কেন স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারি। প্রচলিত ধারণা মতে কাঁচা সবজিতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে সেদ্ধ করা সবজির চেয়ে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে কিছু সবজি আছে যা সেদ্ধ করে খাওয়া বেশি ভাল। গবেষকদের মতে সবজি সেদ্ধ করার পর তার ভিটামিন, মিনারেল, অন্যান্য পুষ্টিগুণ অনেকখানি বেড়ে যায়। এই সবজিগুলো সেদ্ধ খাওয়াই বেশি ভাল। এমন কিছু সবজির কথা জানতে পারবেন আজকের এই ফিচার থেকে।

১। বিট

প্রতিদিন একটি বিট খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি রক্ত চলচলা বৃদ্ধি করবে এবং মাসিকের সমস্যা দূর করে। সবচেয়ে ভাল হয়, বিট সিদ্ধ করে খেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে বিট শুধু ৩ মিনিট সেদ্ধ করা উচিত, এর বেশি নয়।

২। গাজর

পানি আর সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে গাজর সেদ্ধ করুন। চাইলে কিছু মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিতে পারেন। এই সেদ্ধ গাজর চোখের জন্য ভালো।

২। আলু

অনেকের পছন্দের সবজি আলু। আলু নানাভাবে রান্না করে খাওয়া হয়। তবে সেদ্ধ করে খাওয়া বেশি ভাল। আলু সেদ্ধ করলে এর ক্যালরির পরিমাণ অনেক খানি কমে যায়। তাই  যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা সেদ্ধ আলু খেতে পারেন।

৩। ব্রকলি

বিস্বাদ ব্রকলির স্বাদ বেড়ে যায় সেদ্ধ করার কারণে। স্বাদ আরও বেশি বৃদ্ধি করতে চাইলে ব্রকলি সেদ্ধ করার পানিতে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন।

৪। পুঁইশাক

আধুনিক গবেষকদের মতে সবুজ শাক সবজি সেদ্ধ করলে এর পুষ্টিগুণ বহুগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে পুঁইশাক এবং মেথি শাক সেদ্ধ করে খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর।

৫। মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মিষ্টি আলুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেইড। রান্না  করে খাওয়ার চেয়ে মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খাওয়া বেশি ভাল।

৬। মটরশুঁটি

সামান্য পরিমাণ লবণ ও মরিচ মিশিয়ে মটরশুঁটি সিদ্ধ করতে পারেন, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে,মটরশুটি কমপক্ষে ছয় মিনিট সেদ্ধ করা প্রয়োজন।

এছাড়া বাঁধাকপি, ফুলকপি, ভুট্টা ইত্যাদি সবজিগুলো সেদ্ধ খাওয়া ভাল।

সেদ্ধ সবজি খাওয়ার উপকারিতা:

১। সেদ্ধ সবজি অ্যাসিডিটি সমস্যা রোধ করে। গ্যাসের সমস্যা থাকলে সেদ্ধ সবজি খেতে পারেন।

২। সবজি সহজে হজম হয়। জ্বর, ডায়ারিয়ার সময় সেদ্ধ সবজি খাওয়া ভাল।

৩। ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪। কিডনির পাথর দূর করে দেয়।

৫। ত্বক এবং চুলে পুষ্টি যুগিয়ে থাকে।

Wednesday, July 20, 2016

পারফেক্ট বডি শেপের জন্য বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস

sasthobarta protidin
পারফেক্ট বডি
একটা চমৎকার বডি শেপ পাওয়ার আগ্রহ নেই এমন নারী পাওয়া দুষ্কর। আবার না খেয়ে শুকিয়ে গেছেন বা খেয়ে দেয়ে মুটিয়ে গেছেন এমন নারীর সংখ্যাই বেশী। আপনি কি জানেন, আপনার কাংক্ষিত বডি শেপ পেতে শুধু কিছু বদভ্যাস বদলে ফেলাই যথেষ্ট? কিছু বদভ্যাস বদলে ফেলুন আর আয়ত্ত করুন কিছু ভাল অভ্যাস।

হাঁটুন
অফিসে যাচ্ছেন? চট করে রিকশা না নিয়ে হাঁটুন। হাঁটার জন্য না হয় কিছু সময় হাতে নিয়ে বের হলেন! অবশ্যই হাঁটার জন্য ভাল জুতা পড়বেন। নাহলে হাঁটা শুধু ক্যালোরি ক্ষয় করবে আর ক্লান্ত করবে আপনাকে। দুই দিন হেঁটেই আর হাঁটতে যাবেন না আপনি। তাই হাঁটাকে আরামদায়ক করুন। পানি পান করুন। ভাল জুতা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। খুব ভাল হয় সকালে অন্তত ৩০ মিনিট শুধু হাঁটার জন্য আলাদা সময় রাখতে পারলে।

সাঁতার কাটুন
সাঁতার পারেন, অথচ সময়ের অভাবে আর করা হয় না? ভীষণ ভুল করছেন আপনি। নিজেকে দূরে রাখছেন চমৎকার এই শরীরচর্চা থেকে। সপ্তাহে অন্তত একদিন সাঁতার কাটুন। যাদের ব্যাক পেইনের সমস্যা আছে তারা দ্রুতই উপকার পাবেন সাঁতারে। পেশী সুগঠিত হবে, ভাল থাকবেন আপনি।

সাইকেল চালান
ছোট বেলায় সাইকেল চালানো শিখেছেন নিশ্চই। না শিখে থাকলেও কঠিন কিছু নয়। শিখে ফেলুন। সাইকেল চালালে আপনার পায়ের পেশীর ব্যায়াম হয়। প্রতিদিন যদি সাইকেল চালাতে পারেন তাহলে না হাটলেও চলবে। প্রতিদিন না পারলে অন্তত সপ্তাহে ১ দিন সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

খেয়েই ঘুমোতে যাবেন না
আমরা বাঙ্গালীরা খাবার খাই একেবারে ঘুমোতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে। খুবই বাজে অভ্যাস। যে সকল দেশের মানুষের মাঝে ফিটনেস বা সুস্থ্যতার হার বেশী তাদের খাদ্যস্টাইল খেয়াল করলে দেখবেন তারা খাবার গ্রহণ করে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘন্টা ২ আগে। জাপান, চীন এদের মধ্যে অন্যতম। এতে খাবার ভাল হজম হয়, আর বাড়তি মেদ তৈরি করে না।

খাওয়ার সময় পানি নয়
পানি পান করা খুবই ভাল অভ্যাস। কিন্তু কিছু সময়জ্ঞান থাকা জরুরি। আপনি যদি খাওয়ার সময় অনবরত পানি পান করেন তাহলে সেটা আপনার হজমে বাধা প্রদান করে। খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানি পান করা থেকে বিরিত থাকুন। খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

খেলাধূলা
শরীরের প্রয়োজনেই শরীরকে নাড়ানো দরকার আমাদের। একই রকম কাজ, সারাক্ষণ বসে থাকা সব মিলিয়ে দৈনন্দিন কাজে আমরা যতটা মুভ করি তা আসলে পর্যাপ্ত নয়। এজন্যই শরীরের বিভিন্ন অংশে মেদ জমে যায়। তাই প্রয়োজন খেলাধূলার। ব্যাডমিন্টন, ফুটবল এসব খেলা আপনার মনকেও ভাল রাখবে, এর ফলে শরীরও তরতাজা থাকবে।

নিয়মিত ব্যায়ামে অনুপ্রেরণা পেতে এই ২১টি তথ্যই যথেষ্ট

sasthobarta protidin
নিয়মিত ব্যায়ামে অনুপ্রেরণা পেতে এই ২১টি তথ্যই যথেষ্ট 
এ কথা সবাই জানেন যে, সুস্থ-সবল দেহের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এ নিয়ে অগণিত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু এ ঘাম ঝরানো কাজের অনুপ্রেরণা সহজে মেলে না। আবার ব্যায়াম শুরু করলেও তা বেশি দিন নিয়মিত রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে বেশ কিছু তথ্য  দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো জেনে নিন, ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন। 

১. নিয়মিত ব্যায়াম যারা করেন তাদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং দুশ্চিন্তার পেরেশানি অন্যদের তুলনায় কম দেখা যায়। 
২. যে নারীরা বিষণ্নতা থেকে বাঁচতে অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। 
৩. শারীরিক ক্রিয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। 
৪. ব্যায়াম উপকারী কোলেস্টরেল বৃদ্ধিতে এবং অপকারী কোলেস্টরেল হ্রাসে কাজ করে। 
৫. গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা অ্যাজমায় ভুগছেন তাদের বায়ুঘটিত প্রদাহ অনেক কম থাকে। 
৬. শক্তি অর্জনের ব্যায়ামের ফলে হাড় শক্ত হয় এবং এতে অস্টেয়োপরোসিসের ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
 ৭. যারা খুব বেশি পরিমাণ ব্যায়াম করেন তাদের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সম্ভবত তারা রোদে বেশি সময় কাটান। 
৮. অনেকে মনে করেন, ব্যায়ামে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু হয়। এ ধারণা আসলে ঠিক নয়। আসলে ব্যায়ামে ক্যালোরি পোড়ে। 
৯. এমনকি ইয়োগার মতো নিম্নমাত্রার কায়িক শ্রমের ব্যায়ামেও হৃদযন্ত্র সুস্থতা পায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। 
১০. নিয়মিত ব্যায়ামে মানসিক চাপ কমে আসে। 
১১. স্বল্প সময়ের কার্ডিও ট্রেনিংয়েও চর্বি ঝরতে পারে এবং ওজন কমে আসে। 
১২. ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার দেহ আরো বেশি প্রতিকূল অবস্থায় মানানসই হয়ে উঠবে। এতে দেহের ওপর অনেক বেশি ভারসাম্য আসবে। ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে যাওয়া বা আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। 
১৩. রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় নিয়মিত ব্যায়ামে। এতে যেকোনো সাধারণ সংক্রমণ থেকে রক্ষা মেলে অন্যদের তুলনায় বেশি। 
১৪. স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়ক অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। তাই এই ব্যায়াম বয়স্কদের জন্যে দারুণ উপকারী।    
১৫. দৈহিকভাবে ফিট থাকলে মনটাও ফিট থাকে। এতে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। যারা সপ্তাহে ৭ ঘণ্টা ব্যায়াম করেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা মানুষের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম থাকে। 
১৬. আমেরিকার ক্যান্সার আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশের কারণ হিসাবে খাবার ও ব্যায়ামকে দায়ী করা হয়। এ তথ্য জানায় আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। 
১৭. অফিসে কাজ করতে করতে অস্থির হয়ে পড়েছেন? একটু হেঁটে আসুন। এতে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে পড়ার হাত থেকে বেঁচে যাবেন। 
১৮. আত্মবিশ্বাস ও নির্ভরতা মেলে ব্যায়াম থেকে। 
১৯. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলে। এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে মানুষ কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। আবার নিজের আচরণেও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 
২০. শরীরচর্চা করলে স্বাস্থ্যকার ঘুম আসে। 
২১. ব্যায়ামে এন্ড্রোফিনস হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এটি দীর্ঘমেয়াদি সুখ আনে।

প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা

sasthobarta protidin
প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা
কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে শুরু হয়ে যেতে পারে গলা ব্যথা। অ্যালার্জি, শুষ্ক বাতাস, দূষণ, ঠান্ডা, ফ্লু ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে গলায় ইনফেকশন দেখা দেয়। যা গলা ব্যথা সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে এই গলা ব্যথা মারাত্নক হতে পারে। সবসময় এই গলা ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। কষ্টকর এই ব্যথা দূর করতে পারেন ঘরোয়া কিছু উপায়ে।

১। লেবু

গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি আস্তে আস্তে পান করুন। এছাড়া সমপরিমাণ গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এটি দ্রুত গলা ব্যথা কমিয়ে দেবে। এছাড়া অর্ধেকটা লেবুর রস, লবণ এবং গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।

২। হলুদ পানি

হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা ব্যথা উপশম করে থাকে। ১ কাপ গরম পানিতে, ১/২ চাচমচ হুলুদ গুঁড়া এবং ১/২ চাচমচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচি করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে গলা ব্যথা কমে যাবে। এছাড়া এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো গরম দুধের সাথে মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন।

৩। রসুন

কাঁচা রসুনের উপাদান অ্যালিসিন নামক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। প্রতিদিন কাঁচা রসুন খান। এছাড়া এক চুর্থতাংশ পানিতে কয়েক ফোঁটা রসুনের তেল মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এটি দিনে প্রতিদিন একবার করুন। রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।

৪। আদা, মধু লেবু পানি  

এক চাচামচ আদা পাউডার/কুচি, মধু,  আধা কাপ গরম পানি, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রথমে আদাপানি দিয়ে কুলকুচা করুন তারপর লেবুর রস, মধু, দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করে নিন। এটি আপনার গলা ব্যথা কমানোর সাথে সাথে আপনার গলা পরিষ্কার করে দেবে।

৫। লবণ পানি

গলা ব্যথা দেখা দিলে তা দূর করার জন্য লবণ পানি ব্যবহার হয়ে আসছে। এক কাপ গরম পানির মধ্যে দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে গলার ফারিংগাল অঞ্চলের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে ভেতরে জমে থাকা ঠান্ডা কফ বের হয়ে এসে গলা পরিস্কার করে ফেলে। এছাড়া গলার ইনফেকশন অবস্থারও উন্নতি করে। ফলে গলাব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।

৬। মধু

মধু মিশ্রিত চা অথবা সরাসরি মধু গ্রহণ গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়। কাশি, ঠান্ডা, গলাব্যথা সাধারণত রাতের বেলায় বেশি হয়ে থাকে। মধু এটি কমাতে সাহায্য করে।

৭। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে পান করুন। এর অ্যাসিডিক উপাদান গলার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। এটি যখন মধুর সাথে মিশে, তখন গলা ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়।

Tuesday, July 19, 2016

সুস্বাস্থ্যের জন্য ১০ পরামর্শ

sasthobarta protidin
সুস্বাস্থ্যের জন্য ১০ পরামর্শ
একটু সতর্ক থাকলে, একটু সচেতন হলে দৈনন্দিন কিছু কাজে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য মেলে, তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও সম্ভব হয়। এখানে তেমন ১০টি পরামর্শ:

১. তেলের জন্য স্প্রে বোতল
অতিরিক্ত তেল কোনো কিছুতেই ভালো নয়। না বস আর কর্মীর সম্পর্কে, না রান্নায়। রান্নায় পরিমাণ মতো তেল ব্যবহার করতে হলে কী করবেন? স্প্রে বোতল ব্যবহার করুন। পরিমাণমতো তেল ঢালতে এটা বেশ কাজে দেবে।

২. রান্না করুন ওভেনে
যেকোনো খাবার ভাজার চেয়ে বেক (ঝলসানো বা সেঁকা) করা উত্তম। ভাজলে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই সুযোগ থাকলে খাবারটি ওভেনে বেক করে নিন।

৩. গরম পানিতে সবজি
সবজির সবটুকু পুষ্টি পেতে চাইলে গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। মনে হতে পারে, এ আর নতুন কী! গরম পানি বলতে পানি আগে গরম করে নিতে হবে, তারপর সেখানে ঢালতে হবে সবজি। সবজি ও পানি একসঙ্গে গরম করলে সবজির পুষ্টিগুণ কমে যায়।

৪. মাখনের জায়গায় তেল
পেস্ট্রি বা অন্যান্য ডেজার্টে মাখনই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এর বদলে আমন্ড বা নারকেল তেল মন্দ নয়। শরীরের মেদ ঝরাতে এটা দারুণ কাজে দেবে।

৫. ছোট প্লেট-বাটি কিনুন
পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে ভীষণ সমস্যা। এ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় আছে অনেক। তবে প্রথমেই আপনি আপনার প্লেট-বাটির আকার কমাতে পারেন। এ জন্য আকারে ছোট প্লেট-বাটি কিনলেই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৬. রান্নার আগে মাছের পরীক্ষা
রান্না করার আগে মাছের পরীক্ষা নিন। পরীক্ষার জন্য মরা মাছটাকে পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। মাছটা ডুবে গেলে পরীক্ষায় উতরে গেল। আর ভেসে থাকলে সেটা না খাওয়াই ভালো।

৭. ধীরে খান
রাস্তার পাশে লেখা থাকে—ধীরে চলুন। বিশেষজ্ঞরা খেতেও বলেন ধীরে। কারণ, ধীরে খেলে এবং খাবার ঠিকঠাকমতো চিবোলে পাকস্থলী বেশ খানিকটা সময় পায়। কিসের সময়? খাবার সময় পাকস্থলী মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে আপনার আরও খাবার খেতে হবে কি হবে না। দ্রুত খেলে অধিকাংশ সময়ই পাকস্থলী সেই সময়টা পায় না, ফলে আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি!

৮. টমেটো-শসা একসঙ্গে নয়
টমেটো আর শসা—এ যেন সালাদের অমর জুটি! কিন্তু এই জুটি ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি করে। শসায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা অন্য কোনো খাবার গাঁজিয়ে তুলতে পারে। তাই টমেটোর সঙ্গে সালাদে শসা থাকলে সেটা টমেটোর অ্যাসকোরবিক অ্যাসিড (ভিটামিন ‘সি’) ধ্বংস করে দেয়! মানে টমেটোর আসল গুণটাই থাকে না!

৯. কাঁচা ফল ও সবজি খান
সবজি, বিশেষ করে ফল খেতে চাইলে কাঁচাই খান। সবজি হয়তো সব সময় কাঁচা খাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব হলে খেতে অসুবিধা নেই। বরং এতে উপকার অনেক বেশি। কাঁচা ফল-সবজিতে অনেক বেশি পরিমাণে সেলুলোজ থাকে। যেটা আমাদের হজমপ্রক্রিয়া ভালো করে পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বিশোষণ করে। সেদ্ধ করে খেলে যা পাবেন না।

১০. চিনির ভালো বিকল্প
একটা বয়স পর্যন্ত চিনি শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু যেই না আপনি একটু পরিণত, চিনি যেন শত্রুকে পরিণত হলো! তাই চিনির ভালো বিকল্প খুঁজতেই হয়। মধু এ ক্ষেত্রে ভালো একটা বিকল্প। তবে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করতে চাইলে সেটা গরম না করাই ভালো। কারণ, অতিরিক্ত তাপে মধুর গুণাগুণ লোপ পায়।

বর্ষায় যত সমস্যা

sasthobarta protidin
বর্ষায় যত সমস্যা
বর্ষায় কদম ফুল দেখবেন, হয়তো হাতে নিয়ে ঘুরবেনও। বেলি ফুলের মালাও হয়তো কেউ হাতে জড়াবেন। কেউ আবার শখের বশে বৃষ্টিতে ভিজবেন। তবে খেয়াল রাখুন, ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। এতে নানা সমস্যা হতে পারে। শ্বাসনালি, সাইনাস, স্বরযন্ত্র, টনসিল বা গলনালিতে প্রদাহ হতে পারে। সর্দি, নাক বন্ধ ভাব, কথা বললেই কাশির দমক, গলা খুসখুস, ঢোঁক গিলতে অসুবিধা, কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়া বা কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, জ্বর জ্বর ভাব, হালকা ম্যাজমেজে ভাব হতে পারে।
করণীয়
*ছাতা নিয়ে বাইরে বেরোবেন। হঠাৎ ভিজে গেলে ঝটপট শরীর ও চুল শুকিয়ে নিতে চেষ্টা করুন।
*হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের এ সময় ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। অন্যান্য ওষুধেরও প্রয়োজন হতে পারে।
*হাঁচি, সর্দি বা ঠান্ডা লাগার সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন না করাই ভালো। জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন করুন। কণ্ঠস্বর ভেঙে গেলে স্বরকে বিশ্রাম দিন।
*জীবাণুর সংক্রমণ না হয়ে থাকলে দু-তিন দিনেই ঠান্ডা লাগার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।
*বর্ষায় ঘরের ভেতর স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। তাই জানালা খোলা রাখুন। তবে খেয়াল রাখুন, যেন বৃষ্টির পানিতে বিছানা বা কার্পেট ভিজে না যায়। আলমারি বা খাটের কোণে যেন পানি জমে না থাকে।
*কেঁপে কেঁপে জ্বর; বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে; কাশির সঙ্গে কফ বা রক্ত বেরোলে
*দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা-কাশি বা কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়ার সমস্যার উপশম না হলে
*টনসিলে জীবাণুর সংক্রমণ হয়ে পুঁজ জমা হলে

অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ
বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল