Showing posts with label honey. Show all posts
Showing posts with label honey. Show all posts

Thursday, July 21, 2016

মধু দারুচিনি মিশ্রণের অসাধারণ গুণাবলী

sasthobarta protidin
মধু দারুচিনি মিশ্রণের অসাধারণ গুণাবলী
প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ নিজ নিজ গুণে  গুণান্বিত। মধু দারুচিনি রান্নাঘরে অন্যতম দুটি উপাদান। খাবারের গন্ধ এবং স্বাদ বৃদ্ধিতে দারুচিনি বেশ প্রচলিত। আর মধু স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা সমাধান করে থাকে। শুধু মধু নয়, দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ নানান স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধান করে দেয়। হৃদরোগ থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতে মধু-দারুচিনির মিশ্রণ তুলনাহীন। এই জাদুকরী মিশ্রণের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আজকের ফিচার।

১। খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে

মধু এবং দারুচিনি উভয় শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। ৩/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়োর সাথে ৫ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

২। হার্ট সুস্থ রাখতে

হার্ট সুস্থ রাখতে দারুচিনি ও মধুর পানির বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস মধু ও দারুচিনি মিশ্রিত পানি পান করলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এটি ধমনীর ব্লক খুলতে সাহায্য করে।

৩। বাত অথবা আর্থারাইটিসের ব্যথা দূর করা

এক কাপ গরম পানির সাথে দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি সকাল এবং সন্ধ্যা দুই বেলা পান করুন। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সক্ষম।

৪। ওজন কমাতে

ওজন কামতে এই মিশ্রণটি জাদুর মত কাজ করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে দারুচিনি এবং মধু দ্রুত চর্বি কমায়। প্রতিদিন দারুচিনি গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস পানি খালিপেটে পান করুন। এটি দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৫। পাকস্থলির ইনফেকশন দূর

মধু এবং দারুচিনির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল মিশ্রণ পাকস্থলির ইনফেকশন দূর করে। এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং হিলিং উপাদান পাকস্থলি পরিষ্কার করে থাকে।

৬।  নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ

কুসুম গরম পানিতে মধু ও দারুচিনি মেশান। প্রতিদিন সকালে এটি পান করুন। এটি আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।

৭। অবসাদ কাটাতে

এক গ্লাস পানিতে আধা টেবিল চামচ মধু এবং সামান্য পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। আর দেখুন ক্লান্তি অবসাদ কোথায় পালিয়ে যায়।

Thursday, February 4, 2016

মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার

sasthobarta protidin
মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার
মধু আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন চিনির বদলে তাদের রোজকার খাবারে যোগ করছেন মধু। আমরা সাধারণত এক কাপ চায়ে বা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করি মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এটি ছাড়াও মধুর আছে আরো অনেক ব্যবহার। মধুর ঔষধি গুণ অনেক রোগের নিরাময় করতে সক্ষম। আসুন এমনই ১০ টি অজানা ব্যবহার জেনে নিই আজ।

ক্লিনজার হিসেবে

আপনি কি জানেন মধু একটি দারুণ ক্লিনজার? মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। আবার ২ চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মানসম্পন্ন ফেসিয়াল স্ক্রাব। যা বাড়িয়ে দেবে আপনার ত্বকের সজীবতা।

এন্টিবায়োটিক

মধু শরীরে ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা এন্টিবায়োটিকের মতই ক্ষত সারায়। বাজারে মধু কেনার সময় এর রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। মধু যত গাঢ় হবে তত তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে।

অনিদ্রা কাটাতে

যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা মধু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবারও খেতে পারেন। যেমন, ফালুদায় মধু ব্যবহার করলেন অথবা আইসক্রিমের উপর ১ লেয়ার মধু দিয়ে নিলেন। মধু থেকে নিঃসৃত চিনি মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে আপনার অনিদ্রা দূর করে দেবে।

অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

শরীরের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে মধু খুবই কার্যকরি। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাটা দাগ, পোড়া দাগ, মোটা শরীরের ফাটা দাগ থাকে। এই দাগ দূর করতে মধুর চেয়ে ভাল সমাধান আর নেই। ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাগের উপর নিয়মিত প্রলেপ দিন। ১ সপ্তাহেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে

মধুর ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে মুখের বিব্রতকর দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেও হয়ত উপকার পাচ্ছেন না, কিন্তু টাকা নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে মুখের মাড়ির, দাঁতের ক্ষতিও হচ্ছে। এর পরিবর্তে ১/৮ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে আপনি অচিরেই উপকার পাবেন।

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শীতে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফেটে যায় কনুই, পায়ের গোড়ালি। এই সমস্যা দূর করতে প্রতি বছর আমরা দামী দামী লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিনে অনেক টাকা ব্যয় করি। প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করে মধু। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকে মধু মেখে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
খাঁটি মধু পাওয়া খুব কঠিন। বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মিশ্রিত থাকে। সতর্কতার সাথে মধু কিনুন, ব্যবহার করে উপকৃত হোন।