Showing posts with label Child health care. Show all posts
Showing posts with label Child health care. Show all posts

Wednesday, January 6, 2016

নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য

ranna banna o beauty tps
নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য
নবজাতক বাচ্চাদের মতো আদুরে আর সুন্দর জিনিস কিছু আছে নাকি? নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে কিন্তু বেশ অদ্ভুত এবং মজার কিছু তথ্য আছে যা শুনলে আপনি হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারবেন না! জেনে নিন এগুলো।
তারা লবণের স্বাদ পায় না

নবজাতক শিশুদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা প্রখর, অথচ তারা লবণের স্বাদ নিতে পারে না! মোটামুটি চার মাস বয়স হবার পর তারা লবণের স্বাদ পায়। তবে একজন নবজাতক মিষ্টি, তেতো এবং টক স্বাদ পায় ভালোভাবেই। প্রাপ্তবয়স্কদের চাইতে তাদের স্বাদ্গ্রন্থি বেশি থাকে বলে কিছু গবেষণায় দেখা যায়।
তারা কাঁদে, কিন্তু কোন অশ্রু বের হয় না

নবজাতক বাচ্চারা খুব কাঁদে বটে, কিন্তু তাদের চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। তিন থেকে বারো সপ্তাহ বয়সের মাঝে তাদের অশ্রু গ্রন্থি কার্যকর হয়। তার আগে এরা অশ্রু ছাড়াই কাঁদে।
তাদের হাঁটুর মালাইচাকি থাকে না

নবজাতক সন্তানের এক্স-রে করালে দেখবেন হাঁটুর ওপরে গোলাকার অংশটি অর্থাৎ মালাইচাকি নেই! এর কারণ হলো এখানে শুধুই কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে এই সময়ে। এ থেকে আসল মালাইচাকি তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চাইতে তাদের হাড় বেশি থাকে

মোটামুটি ৩০০টা হাড় থাকে নবজাতক শিশুদের, যেখানে পারপ্তবয়স্ক মানুষের থাকে ২০৬টি। জন্মের পর কয়েক মাসে এসব হাড় একসাথে জোড়া লেগে আসল হাড় তৈরি হয়। বিশেষ করে খুলি বেশ কয়েক ভাগ থাকে, ২ বছর বয়সের মাঝে জোড়া লেগে যায়।
তাদের মেন্সট্রুয়েশন নয়

গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চারা মায়ের শরীরের উচ্চ মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবের আওতায় থাকে। জন্মের পর অর্থাৎ নাড়ি ছেঁড়ার পরে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ দ্রুত কমে আসে। এই কারণে মেয়ে নবজাতকের মাঝে দেখা যেতে পারে “সিউডোমেন্সট্রুয়েশন”। এর কারণে মাঝে মাঝে দুই-এক ফোঁটা রক্ত সেই শিশুর ডায়াপারে দেখা যেতে পারে। জন্মের প্রথম এক সপ্তাহের মাঝে মোটামুটি ২৫ শতাংশ শিশুর মাঝে দেখা যায়।
ল্যাকটেশন

ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে আরও একটি ঘটনা দেখা যায়, যা হলো গ্যালাক্টোরিয়া। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয় নবজাতকের বুকে খুব অল্প পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। এটা ৫ শতাংশ নবজাতকের মাঝে দেখা যায়। দুই মাস পর্যন্ত এই ঘটনা দেখা যেতে পারে।
তারা নিজেদের মুত্র পান করে

গর্ভধারণের কয়েক মাস পর থেকেই বাচ্চারা গর্ভের ভেতরে মুত্রত্যাগ করতে থাকে। এটা কোথায় যায়? এটা বাচ্চারাই পান করে ফেলে! প্রেগনেন্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের পর ভ্রূণ দিনে প্রায় এক লিটার অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পান করে থাকে। এই কাজটাতে তাদের খাবার গেলা ও হজমের প্রক্রিয়াটা উন্নত হয়।
মায়ের খাবারের ফ্লেভার পায় তারা

বাচ্চারা ভ্রুনে থাকা অবস্থাতেই মা যা খায়, তার ফ্লেভার পেয়ে থাকে। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, মা যদি খুব বেশি রসুন খায় তাহলে সেটার ফ্লেভার বাচ্চা পাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড থেকে। এ কারণে বড় হয়েও রসুনের ফ্লেভারের খাবার খাওয়ার প্রতি তার টান থাকতে পারে।
তাদের প্রচুর চুল থাকে

জন্মের সময়ে বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকতে পারে নাও থাকতে পারে, সেটার কথা বলা হচ্ছে না। গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের শরীর ল্যানগুও নামের এক ধরণের পশমে ভরে থাকে। জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই পশম পরে যেতে পারে। অনেক বাচ্চার অবশ্য এই পশম গর্ভে থকা অবস্থাতেই পরে যায় এবং তারা এটাকে খেয়ে ফেলে! বাচ্চা মাথায় যে চুল নিয়ে জন্মগ্রহন করে সেটাও পড়ে যায় কয়েক সপ্তাহে।

Saturday, January 2, 2016

শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে
মরণব্যাধি ক্যান্সার ছোট শিশুটিকেও ছাড় দেয় না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর আনুমানিক ১২,৪০০ শিশু এবং টিনেজার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পাঁচশ জন তরুণের মধ্যে একজন তরুণ ছোটবেলায় ক্যানসারের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছে। শৈশবকালের ক্যান্সার সাধারণত বাবা মায়ের খাদ্যভ্যাসের সাথে যুক্ত থাকে। বাবা মায়ের ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে দায়ী করা হয় এর জন্য। Dr. B.C. Roy Awardee Dr. Anupam Sachdeva, Director, Pediatric Hematology Oncology and Bone Marrow Transplantation Institute For Child Health, Sir Ganga Ram Hospital কিছু উপায় বলেছেন যা দ্বারা শিশুদের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস

আপনার বাচ্চাকে ফ্রেশ ফল, শাকসবজি বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তলুন। এটি শরীরের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দূর করে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ ফল ও সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া মুরগি, সামুদ্রিক মাছ এবং সয়া খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। জাঙ্ক ফুড এবং কোলাজাতীয় পানীয় কম খাওয়ান।
২। সানস্ক্রিন ব্যবহার

আপনার বাচ্চাটি যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করুন। এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। যা স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৩। শরীরচর্চা

লক্ষ্য রাখুন আপনার শিশুটি যেন শারীরিক শ্রমে অভ্যস্ত হয়। শারীরিক কার্যকলাপ হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস, সাঁতার কাটা, বাইরে খেলাধুলা করা, হাঁটার অভ্যাস করা ইত্যাদি।
৪। ওজন বৃদ্ধি

আধুনিক সময়ে বাচ্চাদের স্থূলতা বেড়ে চলছে। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, বসে থাকা ইত্যাদি বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। একনাগাড়ে ২ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা উচিত নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সকালে নাস্তা অব্যশই খাওয়াবেন। নবজাতককে অব্যশই ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৫। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ

ছোট বয়সেই আপনার বাচ্চাকে ধূমপান এবং মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এমনকি আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা আজকেই ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকেই অনুসরণ করবে।
৬। সার্ভিকাল ক্যান্সার ভ্যাকসিন

সাধারণত ১১ থেকে ১২ বছরে শিশুদের এইচআইভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিনের দুটি অংশ সার্ভারিক্স আর গার্ডাসিল যা প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। গার্ডাসিল এবং সার্ভারিক্স মহিলাদের এইচআইভি প্রতিরোধ করে। কিন্তু গার্ডাসিল বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

হেপাটাইটিস বি ইনফেকশন লিভার ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। এর ভ্যাকসিন আপনার শিশুটিকে দিতে ভুলবেন না।
মূলত স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং সচেতনতাই পারে আপনার শিশুকে মরণঘ্যাতি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে।