Showing posts with label babies care. Show all posts
Showing posts with label babies care. Show all posts

Wednesday, February 3, 2016

খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ

sasthobarta protidin
খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ
মেধা বিকাশে দরকার বুদ্ধির সঠিক চর্চা। শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিমত্তায় সেরা করে তুলতে চেষ্টা করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়াটাও তাই সবচেয়ে জরুরি। সব শিশু আবার বই খাতা নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহী হয় না। তাদের আগ্রহ থাকে নানা রকম খেলার প্রতি। সেই খেলাও হতে পারে শিশুর মেধা বিকাশের রাস্তা। এমনই কিছু খেলা যেমন- দাবা ও সুডোকু বুদ্ধিমানের খেলা হিসেবে বিবেচিত। আমেরিকান একদল বিজ্ঞানী দাবা এবং সুডোকু খেলাকে ব্রেন গেম বলে আখ্যায়িত করেছেন। এসব খেলার ছলে শিশুর মেধাবিকাশে কিভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তা জেনে নেয়া যাক।

পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি

মস্তিষ্ক পেশীর মতো কাজ করে। তাই মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। দাবা বা সুডোকু খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভালো ব্যায়াম হওয়া সম্ভব। এসব খেলায় অতিরিক্ত মনোযোগী হওয়ার অভ্যাস শিশুর পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।

দূরদর্শিতা বাড়ে

এই খেলার মাধ্যমে শিশুরা পরিকল্পনা আর দূরদর্শিতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। ভেনিজুয়েলার আট হাজার শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে দাবা খেলে এমন ছেলে মেয়েরা চার মাসের মধ্যে আই কিউ স্কোর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।

সজাগ দৃষ্টি

অপর পক্ষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে দাবা খেলায় প্রতিপক্ষের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। খেলায় নিজেকে জেতাতে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। দাবা খেলা দৃষ্টি সজাগ রাখার সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

সৃজনশীলতা বাড়ে

মস্তিষ্কের ডান দিক আচরণে সৃজনশীলতা বাড়াতে কাজ করে। মস্তিষ্কের এই অংশের কার্যক্ষমতা বাড়াতে দাবা খেলা খুবাই উপকারী। এসব খেলা চিন্তা ভাবনায় মৌলিকত্ব আনে, মেজাজ স্বাভাবিক রাখে, অঙ্গীকার পূরণে মানসিকতা গড়ে তোলে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে

অপর পক্ষের ত্রুটি বিচ্যুতি মনে রেখে এগিয়ে চলা এবং সুডোকু খেলায় সুক্ষ্ম চাল মনে রেখে এগিয়ে চলার অভ্যাস স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। আর তাই লেখাপড়া বা অন্য যেকোনো জিনিস সহজে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সমাধানের ক্ষমতা

শিশুকে যেকোনো সমস্যা সমাধানের চটপটে করে তোলে। কোনো প্রয়োজনে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে যেমন খেলাগুলো জয় লাভ করে, তেমনি পড়াশুনা, আচার ব্যবহারেও কোনো সমস্যায় পড়লে তার সমাধান বের করতে শিশু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়।

বিচার বুদ্ধি

সঠিক নির্বাচন ক্ষমতা বাড়ে। কি গ্রহণ করবে কি করবে না- এমন পশ্নের মুখোমুখি হলে সুকোডু বা দাবা খেলা শিশুরা সহজভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মেজাজ ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেয়াটা তাদের কাছে কোনো ব্যপার না।

শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা

sasthobarta protidin
শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা
সোনামণিটা মুখে মুখে শিখে গেছে অনেক পড়া। এবার লেখার পালা। খাতা কলম হাতে নিয়ে বসে যা লিখছে, তা দেখে আপনি রীতিমতো হতবাক। অক্ষর গুলো একেকটা একেক রকম। হাতের লেখার কারণে ক্লাস পরীক্ষাতেও খারাপ ফল হচ্ছে। দুয়েকটা ক্লাস পার হয়ে গেলেও কোনো ভাবেই তার হাতের লেখা সুন্দর হচ্ছে না। শুধু শিশু নয় উপরের ক্লাসের অনেকেরই হাতের লেখা খুবই অসুন্দর হয়। হাতের লেখা অসুন্দর হওয়াটায় এখন আপনার চিন্তার বিষয়। এমন চিন্তা দূর করতে প্রয়োগ করতে পারেন কিছু উপকারী কৌশল। আসুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে আপনার শিশুর হাতেও মুক্তঝরা লেখা হতে পারে।

- সোনামণির খাতায় প্রথমত এক লাইন সুন্দর করে অক্ষর লিখে দিতে হবে। ওটা দেখে লাইন ধরে লেখার অভ্যাস করবে।

- প্রত্যেকটি অক্ষরের স্টাইল কেমন হবে তা আপনিই ঠিক করে দিন। শিশু সেটা দেখেই রপ্ত করবে। বড়রাও পছন্দের কোনো লেখা দেখে প্রতিটি অক্ষরের স্টাইল ঠিক করে নিতে পারেন। এতে লেখা সুন্দর হবে।

- এক প্যারা থেকে আরেক প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখার অভ্যাস করাতে হবে। এতে লেখা ভালো দেখায়।

- বায়ে এবং ওপরে সোয়া এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখলে হাতের লেখা সুন্দর দেখায়।

- বাচ্চাদের খাতার পুরো লাইন ভরে লেখানো উচিৎ।

- প্রতিটি বর্ণ যেন সমান হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

- বাচ্চাদের লেখার সময় কলম বা পেন্সিল ধরাটা ঠিকভাবে শেখাতে হবে। পেন্সিলের শিষ থেকে এক ইঞ্চি দূরত্বে ধরলে লেখা ভালো হবে।

- সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে লিখলে লেখা সুন্দর হয়।

- প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ণগুলো সোজা করে লিখতে হবে।

- তিনকোনা বর্ণগুলো সবচেয়ে সোজা। আগে সে অক্ষরগুলো থেকে লেখা অনুশীলন শুরু করতে পারে। যেমন-ব,ক।

- খাতায় বর্ণে আকারে ফোঁটা দিয়ে দিন। শিশুকে তার উপর হাত ঘুরিয়ে বর্ণ লেখা অনুসরণ করান। তাহলে তার জন্য বেশি সহজ হবে।

- সবার আগে প্রয়োজন শিশুকে অক্ষর চেনানো। অক্ষর না চিনলে সে লিখতে পারবে না। সঙ্গে সঙ্গে কোন অক্ষরে মাত্রা নেই, কোনটাতে অর্ধমাত্রা সেটিও মুখস্থ করিয়ে দিন।

- কোন বর্ণে মাত্রা আছে, কোনটায় অর্ধমাত্রা ইত্যাদি ভালোমতো জেনে সে অনুযায়ী অনুশীলন করাতে হবে। লেখা আপনিতেই সুন্দর হবে।

- সাদা খাতায় শিশুকে উপর থেকে নিচে লাইন টানতে দিন। এতে শিশুর খাতার দিকে মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। এ ছাড়া সুন্দর একটি অক্ষর লিখে তার ওপর শিশুকে হাত ধরে ঘুরিয়ে লেখালেও অক্ষরের আকার সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয়।