Showing posts with label women. Show all posts
Showing posts with label women. Show all posts

Tuesday, June 28, 2016

কেমন হবে ঈদের মেকআপ

sasthobarta protifdin
কেমন হবে ঈদের মেকআপ
পাশ্চাত্যে প্রতিবছরই মেকআপ, পোশাকের রং ও স্টাইলের একেকটি ধারা চালু হয়। এবারের ঈদে আমাদের দেশে চলতি বিশ্ব ফ্যাশনের প্রভাব পড়বে, নাকি পড়বে না, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। পোশাকে অতটা না হলেও মেকআপে বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্বাস করেন রূপবিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শুধু একটি নয়, বেশ কিছু মেকআপ ট্রেন্ড এবার অনুসরণ করা হবে। আবহাওয়া ও নিজের পছন্দের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে পারেন যেকোনো একটি ট্রেন্ড।

ঈদে এবার লিপস্টিকের ক্ষেত্রে কেউ উজ্জ্বল টোন প্রাধান্য দেবেন, কেউ আবার বেছে নেবেন কালচে টোন। বিশ্ব ফ্যাশনেও এখন কালচে টোন বেশি চলছে। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন মনে করেন, চেহারায় আধুনিক ভাব আনতে চাইলে গাঢ় টোনের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। হালকা বা গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গাঢ় টোনের লিপস্টিক মানিয়ে যাবে। তবে রংটি কে কতটা বহন করতে পারছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গাঢ় বেগুনি, গাঢ় মেরুন, গাঢ় কফি রংগুলো বেশ চলছে। কেউ যদি গাঢ় টোনে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে তিনি কমলা, পিচ, বেইজ, লাল, গোলাপি রংগুলো বেছে নিতে পারেন।

চোখে দুই ধরনের ট্রেন্ডের কথা জানালেন রূপবিশেষজ্ঞরা। একদিকে খুব গ্লিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনি, ম্যাজেন্টা ইত্যাদি। শুধু তাই নয়। উজ্জ্বল রং ছাড়াও গ্লিটার ব্যবহার করা যাবে ইচ্ছেমতো। চাইলে কেউ চোখ-ঝলসানো নানা রঙের গ্লিটার দিয়েই চোখ সাজাতে পারেন। চিকন রেখার টান কিংবা চোখজুড়েই থাকতে পারে চিকমিক ভাব।

রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী জানালেন, শুধু একটি রং দিয়ে চোখ সাজানোর ট্রেন্ডও এখন চলছে। উজ্জ্বল সব রং বেছে নেওয়া হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। একটু অমসৃণ, আঁকাবাঁকাভাবে আইশ্যাডো লাগালেও খুব একটা খারাপ লাগবে না। তবে ব্লেনডিং ভালোভাবে করতে হবে।

এদিকে ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের মেকআপ বিশেষজ্ঞ বাপন রহমান জানালেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ফ্যাশন অনুযায়ী চোখের মেকআপ হবে হালকা। লিপস্টিকটা হতে পারে ভারী কোনো রঙের। সেই সঙ্গে কমপ্যাক্ট আইশ্যাডো ব্যবহারের কথাও বললেন বাপন। কাজল ও মাসকারা ভারী করে দিয়ে আইশ্যাডো হালকা রঙের বেছে নিতে পারেন। সাদা রঙের কাজল ব্যবহার করা হচ্ছে বেশ। এতে করে ছোট চোখ দেখতে বড় লাগবে।

রং আপনি যেটাই বাছুন, ফাউন্ডেশন হালকা রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফাউন্ডেশন যত হালকা ও মসৃণ হবে, দেখতে ততটাই সতেজ লাগবে। প্রয়োজন না পড়লে প্যানকেক একদমই ব্যবহার করবেন না। বারবার সবাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন গরমের কথা। তাই কমপ্যাক্ট পাউডার অথবা লুজ পাউডার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিতে হবে।

সংগ্রহঃ প্রথম আলো। 

Monday, June 27, 2016

যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত

sasthobarta protidin
যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত
আধুনিক নারীদের বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরেও কাজ করতে হয়। ব্যস্ত এই জীবনে এত কাজের ভিড়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারেন না অনেক নারীরাই। আবার স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন। তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।

১। ভিটামিন এ

সব বয়সী নারীদের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়। এটি হাড়, দাঁত মজবুত করে। এর সাথে টিস্যু , ত্বক এবং পেশী মজবুত করে থাকে। নিয়মিত গ্রহণে ভিটামিন এ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।

২। ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।

৩। ভিটামিন বি

ভিটামিন বি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন Mary Ellen Camire, University of Maine এর পুষ্টিবিদ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ,  ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি৬ ডিপ্রেশন, হৃদরোগ এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখা প্রয়োজন।

৪। ভিটামিন ই

বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।

৫। ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি বেশ উপকারী। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি করে, বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে।