Showing posts with label hidden reason of diabetes. Show all posts
Showing posts with label hidden reason of diabetes. Show all posts

Wednesday, January 20, 2016

ডায়বেটিসের অজানা কারণ

sasthobarta protidin
ডায়বেটিসের অজানা কারণ
মোটা হওয়া আর খাবারে অনিয়মই নয়; আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।

স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পারিবারিক ভাবে না থাকলেও অনিয়ম খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কফি পান কমানো: বিস্ময়কর হলেও সত্যি, কফি ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, কফি পান (ক্যাফেইনেটেড ও ডিক্যাফেইনেটেড) টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়।

হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ছয় কাপ কফি পান করা ব্যক্তির ডায়বেটিসের ঝুঁকি, পান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।

কফিতে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান ইনসুলিন বাধাগ্রস্ত করা কমায়। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।

নিয়মিত রাত জাগা: দিনের পর দিন রাতে জেগে থাকা হতে পারে আপনার ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ।

সম্প্রতি একটি কোরিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তি সারারাত জেগে একেবারে ভোরবেলায় ঘুমাতে যান, এমন কি সাত-আট ঘন্টা ঘুমানোর পরও তাদের ডায়বেটিসের ঝুঁকি নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি।

গবেষণার লেখক কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনসান হসপিটালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক নান হি কিম বলেন, “রাতজাগা ব্যক্তিদের টেলিভিশন ও মুঠোফোনের বিচ্ছুরিত কৃত্রিম আলোতে কাজ করার হার বেশি, যা কম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও রক্তের শর্করার পরিমাণে ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।”

নিম্নমানের ঘুম ও ঘুমের বিঘ্ন হওয়ার সঙ্গেও রাত জাগা সম্পর্কিত, যা বিপাক ক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।

খাদ্যে প্রোবায়োটিকের অভাব: দেহের ভেতরে বেঁচে থাকা উপকারী জীবাণুগুলো প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত।

আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এন্ডোক্রিনলজিস্ট বেতুল হাতিপগলু বলেন, “পেটের ভেতর ভালো জীবাণুর চেয়ে খারাপ জীবাণু বেশি থাকলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”

সুষ্ঠু হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রোবায়োটিক জরুরি। প্রোবায়োটিকের অভাবে প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস। দেহে প্রোবায়োটিক বৃদ্ধির জন্য দই, পনির ইত্যাদি খাবার কার্যকর।

প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা: নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, প্লাস্টিকের পাত্র তৈরিতে দু’টি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা টিনএইজ ও শিশুদের মধ্যে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস ও উচ্চ রক্তচাপ তৈরিতে এসব রাসায়নিকের ভূমিকা আছে।

পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাব: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে কিন্তু সূর্যালোকের অভাবও ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

নতুন একটি স্প্যানিশ গবেষণায় জানা গেছে, যেসব ব্যক্তির ভিটামিন ডি’র অভাব আছে, ওজন যা-ই হোক না কেনো, টাইপ-টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাদের বেশি। গবেষকরা মনে করেন, অগ্ন্যাশয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সূর্যালোক থেকে উৎপন্ন ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অগ্ন্যাশয়, ইনসুলিন তৈরি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডা. হাতিপগলু ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: স্যামন মাছ, ডি-সমৃদ্ধ দুধ, দানাদার খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।

ছুটির দিনে টিভি দেখে সময় কাটানো: ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশনের সামনে অতিবাহিত প্রতিটি ঘণ্টা চার শতাংশ করে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

মেনশেলথ ডটকম’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, আমেরিকার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির কাইনেসিওলজির অধ্যাপক ডা. এরিক স্টার্নলিক্ট বলেন, “অত্যধিক বসে থাকা দেহযন্ত্রের ভেতরে চর্বির (ভিসেরাল ফ্যাট) বাড়ায়, যা কোমরের পরিধিও বাড়িয়ে দেয়।”

পেটের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সকালের নাস্তা না খাওয়া: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ডায়বেটিসে সেন্টারের ডায়বেটিস বিষয়ক শিক্ষাবিদ এলেন ক্যালোগেরাস, এভরিডেহেলথ ডটকম-কে জানান, “সকালের নাস্তা না খাওয়ায় কেবল হিতে বিপরীত হবে তা নয়, এটি টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি করে।”

খাদ্যের অভাবে ইনসুলিনের মাত্রা ব্যাহত হয় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিনতর হয়ে ওঠে।