Wednesday, June 22, 2016

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ

sasthobarta protidin
স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ
পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক মধ্য বয়সের পর একটি বড় সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলে এবং মানসিক চাপের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্তনালি বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। এতে মৃত্যুঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি আছে কোনো অঙ্গ বা শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ার ঝুঁকি।
আজকাল তুলনামূলক কম বয়সেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে বাড়তি লবণ একেবারেই বাদ দিন। রান্নায়ও লবণ দিতে হবে পরিমিত। বেশি লবণযুক্ত খাবার, সয়াসস, কেচআপ ইত্যাদি কম খান। এড়িয়ে চলুন তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো রক্তনালিতে চর্বি জমতে এবং ব্লক তৈরি করতে সাহায্য করে।
ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে প্রমাণ মিলেছে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, শাক, বরবটি এবং টক ফলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড থাকে।
তাজা ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খান। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এসব ফলমূলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করুন।
বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে বছরে দু-একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শরীরের ওজন এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করুন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি

sasthobarta protidin
রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি
তীব্র গরমের এই দিনে একমাস রোজা রাখা প্রতিটি মুমিনের জন্য জোরতর ঈমানের পরীক্ষা। এসময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী রোজা রাখতে সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এসময় পরিশ্রমী বা স্পর্শকাতর যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অথচ সব সমস্যা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে রোজা রাখার প্রধান সহায়ক হতে পারে ইসুবগুল ভুসির শরবত। রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে প্রাণবন্ত রাখতে এই শরবতের তুলনা নেই। শুধু পানিশূন্যতা দূর নয় ইসুবগুলের আছে আরও নানা গুণ। আসুন জেনে নেয়া যাক।

- ইসুবগুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপকারী।

- পাকস্থলী শীতল রাখতে ইসুবগুলের তুলনা নেই।

- কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, ওজন হ্রাস ইত্যাদিতে ইসবগুলের ভুসি উপকারী।

- পেটব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যায় একগ্লাস ইসুবগুল শরবতে।

- পাইলস সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন তিন-চারবার ইসুবগুল শরবত খাওয়া উচিৎ।

- হজমের সমস্যা দূর করতেও ইসুবগুলের তুলনা নেই।

- পেটে সমস্যা দেখা দিলে তিন টেবিল চামচ ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, তারা দিনে তিনবারও খেতে পারেন।

- প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাশয় ও অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

- প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ইসব গুলের ভুষির শরবত খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।

- ডায়েবেটিস রোগিদের রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।

Tuesday, June 21, 2016

ঘরোয়া উপাদানেই বিদায় বলুন ছারপোকাকে

sasthobarta protidin
ঘরোয়া উপাদানেই বিদায় বলুন ছারপোকাকে
শোবার বিছানা থেকে শুরু করে বসার চেয়ার পর্যন্ত- ঘরের সর্বত্র যেন লেগেই রয়েছে ছারপোকার দৌরাত্ম্য। কোনভাবেই রেহাই মিলছে না এই ছোট্ট অথচ বিশালাকৃতির যন্ত্রণার হাত থেকে? এমনকি বাজারের ঔষধগুলোও কাজ করছে না ঠিকঠাকভাবে? চলুন তাহলে বাজারের এই ভুলভাল কীটনাশকগুলোকে পাশে সরিয়ে রেখে সম্পূর্ণ নতুন একটি ছারপোকার প্রতিষেধক তৈরি করার চেষ্টা করা যাক। ভাবছেন খুব কঠিন কিছু? একদমই না! খুব সহজ এই স্প্রে-টিকে বাড়িতে বসেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। এটা নিমিষে আপনাকে মুক্তি দেবে ভয়ানক ছারপোকার হাত থেকে।

যা যা লাগবে

রেজমেরি, লেমনগ্রাস, ইউক্যালিপটাস বা মিন্ট- যেকোন ধরণের একটি তেল
প্রাকৃতিক উইচ হ্যাজেল
ফোটানো পানি
ভেজিটেবল গ্লিসারিন
যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে আট আউন্সের একটি স্প্রে বোতল নিয়ে তার অর্ধেক অংশ ফোটানো পানি দিয়ে ভর্তি করে ফেলুন। এবার উইচ হ্যাজেল দিয়ে বোতলের প্রায় মাথা অব্দি ভরে নিন। আধ টেবিল চামচ পরিমাণ ভেজিটেবল গ্লিসারিন মেশান পাত্রের মিশ্রণটিতে। ইচ্ছেমতন গন্ধের জন্যে ৩০-৫০ ফোঁটা তেল ( রোজমেরি, মিন্ট বা যে কোন তেল ) মেশান। ব্যস! আপনার ছারপোকা প্রতিরোধক স্প্রে তৈরি ।

তবে এই স্প্রে ব্যবহারের সময় অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে এটি এমনিতে ক্ষতিকর কিছু না হলেও ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে আপনার শিশুর ত্বকের জন্যে। তাই ত্বকে ব্যবহার না করে ঘরের যেসব স্থানে ছারপোকার আক্রমণ বেশি সেসব স্থানেই ব্যবহার করুন এই স্প্রেটি।

তবে আপনার হাতে যদি আরো একটু বেশি সময় ও সুযোগ থাকে তাহলে এই স্প্রেটির সাথে আপনি ব্যবহার করতে পারেন রাবিং স্পিরিট। এতে করে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে স্প্রেটি।
ছারপোকা প্রতিরোধে এই একটি স্প্রেই কেবল নয়, বরং ঘরে বসে আপনি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন-

রোদের উত্তাপ

পানির ভাপ

বেকিং সোডা

পুদিনা পাতা

হেয়ার ড্রায়ারসহ আরো বেশকিছু উপাদান, যেগুলো কিনা সবসময় হাতের কাছেই পাবেন আপনি।

Monday, June 20, 2016

রক্ত দেয়ার আগে ও পরে যা মনে রাখা প্রয়োজন

sasthobarta protidin
রক্ত দেয়ার আগে ও পরে যা মনে রাখা প্রয়োজন
কজন রোগীর সুস্থতার জন্য মানসম্পন্ন রক্তসঞ্চালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যায়না। তাই রক্তের প্রয়োজন হলে স্বেচ্ছাসেবক দাতার কাছ থেকেই তা সংগ্রহ করতে হয়। অনেক মানুষই ব্যথা ও রোগ সংক্রমণের   ভয়ে রক্ত দিতে ভয় পান। রক্ত দানের সময় কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন- মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। রক্ত দেয়ার পূর্বে, রক্ত দেয়ার সময় ও রক্তদানের পরে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ঝুঁকিগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আপনার রক্তদানের অভিজ্ঞতাকে নিরাপদ, সফল ও আনন্দময় করার জন্য যা করা প্রয়োজন  তাই জেনে নেয়া যাক চলুন।

রক্ত দানের পূর্বে করণীয় : 

-          আপনাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন- লাল মাংস, মাছ, মুরগী, শিম ও শাক বিশেষ করে পালং শাক।

-          রক্ত দেয়ার আগের রাতে পরিপূর্ণ ঘুম প্রয়োজন।

-          রক্ত দানের পূর্বে অতিরিক্ত ১৬ আউন্স পানি বা তরল খাবার গ্রহণ করতে  হবে।

-          রক্ত দানের পূর্বে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার, ভাঁজাপোড়া খাবার ও আইসক্রিম এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ চর্বি জাতীয় খাবার খেলে ব্লাড টেস্ট প্রভাবিত হয়। রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সংক্রামক ব্যাধির টেস্ট করা সম্ভব হয়না। ফলে সেই রক্ত সঞ্চালন করা হয়না।

-          যদি আপনি প্লাটিলেট ডোনার হয়ে থাকেন তাহলে রক্তদানের অন্তত ২ দিন আগে থেকেই অ্যাসপিরিন গ্রহণ বন্ধ করতে হবে আপনাকে।

-          রক্তদানের ১২ ঘন্টা পূর্বে লবণাক্ত খাবার যেমন- সল্টেড বিস্কুট বা চিপস খান। কারণ রক্তদান করলে দেহ থেকে ৩ গ্রাম লবণ বের হয়ে যায়।  

রক্ত দানের সময় করণীয় : 

-          ঢিলেঢালা পোশাক পরুন যার হাতা কনুই এর উপরে উঠানো যাবে।

-          আপনার যে হাত থেকে রক্ত নিলে আপনি পছন্দ করবেন তা যিনি রক্ত নিবেন অর্থাৎ টেকনিশিয়ান বা নার্সকে জানান।

-          রক্তদান প্রক্রিয়াটির সময় রিলেক্স থাকুন, গান শুনুন অথবা অন্য রক্ত দাতাদের সাথে কথা বলুন।

রক্ত দানের পড়ে করণীয় :   

-          রক্তদানের পর অতিরিক্ত ৪ গ্লাস বা ৮ আউন্স পানি পান করুন এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অ্যালকোহল গ্রহণ করা ঠিক নয়।

-          রক্তদানের ১ ঘন্টার মধ্যেই আক্রান্ত স্থানের মোড়ানো ব্যান্ডেজ খুলে ফেলুন। এর পরিবর্তে ছোট স্ট্রাইপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।

-          স্কিন র‍্যাশ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্রাইপ ব্যান্ডেজের চারপাশ সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।

-          রক্ত দেয়ার পড়ে ভারীকিছু উঠানো বা ভারী ব্যায়াম না করাই উচিৎ।  

-          সুঁই ফোটানোর স্থান দিয়ে যদি রক্ত পরে তাহলে সেখানে চাপ দিন এবং হাত উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট অথবা যতক্ষণ পর্যন্ত না রক্তপাত বন্ধ হয়।

-          যদি রক্ত দেয়ার পরে আপনার মাথা ঘোরায় তাহলে আপনি যে কাজ করছিলেন তা করা থেকে বিরত থাকুন। মাথাঘোরানো বন্ধ করার জন্য শুয়ে থাকুন।

Wednesday, June 8, 2016

রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায়

sasthobarta protidin
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায়
প্রচণ্ড রোদে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে রোদের কবলে পড়ে ত্বকে পোড়া দাগ পড়ে যায়। কিন্তু ঘরোয়াভাবেই এ দাগ দূর করা যায়। সেইসঙ্গে যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। 
নিচে রোদের পোড়া দাগ দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো 
: ১. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। 
২. ১/২  কাপ ভিনেগার গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর ওই পানি দিয়ে গোসল করে নিন। ভিনেগার আছে এসিড বা অ্যাল্কানিটি যা দাগযুক্ত জায়গা গুলোতে pH এর মাত্রা সামঞ্জস্য ঠিক এবং শরীরকে ঠাণ্ডা করে। 
৩. অ্যালোভেরা লোশন ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বককে আর্দ্র করবে। 
৪. একটি পাত্রে শীতল দুধ নিন একটি তোয়ালে দিয়ে ভিজিয়ে দাগযুক্ত স্থানে লাগান। দুধে আছে প্রোটিন যা রোদে পোড়া স্থানের জ্বালা থেকে থেকে আরাম দেয়। 
৫. ভিটামিন 'ই'যুক্ত তেল ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন 'ই' এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহে চামড়ার র‍্যাশ দূর করতে সাহায্য করবে। যদি কেউ তেল হাতের কাছে না পান তাহলে ভিটামিন 'ই' ক্যাপসুলও খেতে পারেন। 
৬. শশাতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য। একটি শশা ধুয়ে নিন এটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে আক্রান্ত স্থানে ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
৭. ওটমিল সামান্য পানিতে মিশিয়ে গোসলের আগে পুরো শরীরে ম্যাসাজ করুণ। এতে পোড়া ত্বকের সমস্যার সমাধান হবে। 
৮. বাসায় ফিরে আলু ব্লেন্ড করে মুখে লাগান। এতে কালচে ভাব দূর হবে এবং পুড়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে যে জ্বালাপোড়া করে সেটিও দূর হবে। 
৯. চায়ের পানি ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে সহজেই। গরম পানির মধ্যে টি ব্যাগ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এবার এই পানি ঠাণ্ডা করে মুখে লাগান। 
১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে নিয়মিত এভাবে চায়ের পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। 

Tuesday, June 7, 2016

ডায়াবেটিক রোগীর জন্য রোজা

sasthobarta protidin
রোজা রাখতে ডায়াবেটিক রোগীদের সাধারণত কোনো নিষেধ নেই। কারো কারো জন্য ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে, তারা হলেন-

* অ্যাডভান্সড কিডনি রোগ- যাদের ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশংকা থাকে, যা বিপদজনক।

* হার্টের রোগী যারা আট-দশটা ওষুধ নিয়মিত খায়।

* অনেক বেশি সুগার ফলে জটিলতার ভয় থাকে।

* সম্প্রতি জটিলতা নিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে (যেমন কিটোএসিডসিস)।

* গর্ভবতীর রোজা রাখা ঠিক নয়।

* বারবার ইনসুলিন নিলে বা অন্য ওষুধ নিলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশংকা থাকলে রোজা রাখা যায় না।

রোজার দিনে খাবার

বাস্তবতা হল রোজার মাসে কর্মব্যস্ততা, অফিস ইত্যাদি রাতে করতে পারলে ভালো হতো, দিনের বেলা পারতপক্ষে কম কায়িক পরিশ্রম করা ভালো। খাওয়ার বিশেষ কোনো নিষেধ নেই। আমরা অন্য সময় যা খাই তাই খেলে সমস্যা হতো না। রোজার সময় বিশেষ খাবার খাই বলেই সমস্যা হয়। ক্যালরি ঠিক রেখে খেতে পারলেই হল। নাশতা যদি ইফতার হয়, ডিনার যদি রাতের খাবার হয়, তারাবির পর যদি লাঞ্চ করি তা হলে সমস্যা নেই। সমস্যা হল কেউ কেউ ইফতারেই রাতের খাবার সেরে নেন; অনেকেই শেষ রাতে কিছু খান না, বরং ইফতারির পর থেকে সেহরি পর্যন্ত এটা-ওটা (স্ন্যাকস) খেয়ে কাটিয়ে দেন। শেষরাতে খেতে হবে রেগুলার খাবার। রোজাদারের জন্য মিষ্টি বাদ দিতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া কম খেতে হবে। ভাজাপোড়ায় তেল/চর্বি বেশি। ভূরিভোজ চলবে না। বারবার কিন্তু কম খাওয়া ভালো।

সবার জন্য ফল খাওয়া ভালো। ডায়াবেটিক রোগীর প্রতিদিন একটা মিষ্টি ফল খাওয়া উচিত। টক ফল খাওয়া খুব ভালো। ফলে ফ্রুক্টোজ থাকে। ফ্রুক্টোজ স্বাদে চিনির মতো মিষ্টি কিন্তু এতে গ্লুকোজ নেই। যে ফলে যত বেশি ফ্রুক্টোজ ডায়াবেটিক রোগীর জন্য সেটা তত ভালো। রোজার দিনে বিশেষ করে আমাদের খেজুর খাওয়ার অভ্যাস। খেজুর নিষেধ নয়। পরিমাণ (প্রতিদিন ৪/৫টা) ঠিক রেখে খেলে বরং উপকার।

রোজার দিনে ডাক্তারের বিশেষ দায়িত্ব

* রোগীর রোজা রাখার সামর্থ্য আছে কিনা যাচাই করা

* রোজার সম্ভাব্য জটিলতা ও তার সমাধানের ধারণা দেয়া

* রোজা রেখে ব্লাড গ্লুকোজ পরীক্ষার করা যায় কিনা তার ধারণা দেয়া

* ওষুধ ও ব্যায়াম সম্পর্কে ধারণা দেয়া

* সঠিক সহজ ডোজের ট্যাবলেট বাতলে দেয়া

রোজাদারের কী কী সমস্যা হতে পারে

ডিহাইড্রেশন : পানি কম খাওয়া, অপরিমিত কায়িক শ্রম, ওষুধ ইত্যাদি কারণে পানিস্বল্পতা হওয়ার শংকা থাকলেও বাস্তবে কম হয়। রাতেরবেলা পানি পুষিয়ে খেতে হবে। ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত খাওয়া চালাতে হবে। দিনের প্রথম ভাগে কাজ বেশি করা যেতে পারে। আসলে রোজার শুরুতে সমস্যা হলে ও পরের দিকে অ্যাডজাস্টেড হয়ে যায়। তবে আবহাওয়া বুঝে কাজ করতে হবে। সতর্কতার বিকল্প নেই। শসা, ডাব ইত্যাদি প্রকৃতি প্রদত্ত পানি মেন্যুতে রাখতে হবে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া (হাইপো) : সুগার অনেক কমে গেলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। স্বাভাবিক মানুষের গ্লুকোজ ২.৫ মিমোল বা তার কম হলে হয়। যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাদের ৩.৫ হলেই হয়। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের পরিমাণ দেখার চেয়ে উপসর্গ দিয়েই বিবেচনা করতে হয়।

ভীতি থাকলেও পরিসংখ্যান আমাদের ধারণাকে সমর্থন করে না। রোজা রাখলেই হাইপো হবে এ ধারণা ঠিক না। ডায়াবেটিসের ওষুধ না খেলে হাইপো হয় না। সব ওষুধে হাইপো হওয়ার আশংকা সমান নয়। ১২-১৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলেও কারো হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয় না। যারা সালফোনিলুরিয়া ট্যাবলেট খান ও ইনসুলিন নেন তাদের হাইপো হওয়ার আশংকা অনেক বেশি। তাই ওষুধ ও ডোজ অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হয়। সন্দেহ হলে আঙ্গুল থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। নিশ্চিত হলে মিষ্টি খেয়ে নিতে হবে।

রাতের শেষ ওয়াক্তে সেহেরি খেতে হবে।

* ইফতারিতে ভূরিভোজ আর সেহরিতে লাইট খাবার বা না খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

* দিনের বেলায় যত সম্ভব কায়িক শ্রম কমাতে হবে। তারাবিতে কায়িক শ্রম ধরেই দিনের ব্যায়ামের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

কিটোএসিডোসিস/ হাইপারঅসমলার স্টেট/ হাইপারগ্লাইসেমিয়া : এখানে ডিহাইড্রশন একটা বড় ফ্যাক্টর বিশেষ করে বয়স্ক লোকদের। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ভয়ে ওষুধ অনেকেই বাদ দেন বা অযৌক্তিক কমিয়ে দেন। পরিশ্রম কম করে বিধায় সুগার বেশি হয়ে যায়। গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার এবং পার্টি ভোজন কম করা ভালো। ফাইন সুগার কম খেতে হবে। কমপ্লেক্স শর্করা (রুটি, ভাত) ও শাক-শবজি, ডাল, ফল এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।

খাদ্যনালীর সমস্যা : ইফতারি ও সেহরিতে অনভ্যস্ত খাবার এবং রাস্তাঘাটের খাবার এ সমস্যার কারণ। সারাদিন খালি থাকা খাদ্যনালী সবকিছু সহ্য নাও করতে পারে! কিছু কিছু ওষুধও বাদ দেয়া লাগতে পারে। বমি, পাতলা পায়খানা হলে সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে যাওয়ার ও প্রস্রাব কমে যাওয়ার রিস্ক থাকে।

রোজার দিনে রক্ত পরীক্ষা : রোজার তিন মাস আগে থেকেই গ্লুকোজ কন্ট্রোলে থাকলে এই মাসে কিছু হওয়ার কথা নয় অযৌক্তিক কিছু না করলে। বাংলাদেশ, মিসর, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের আলেমদের মতানুযায়ী আঙ্গুল থেকে রক্ত পরীক্ষা করলে রোজা ভাঙে না। যার গ্লুকোজ কন্ট্রোলে নেই সেহরির দু’ঘণ্টা পরে, ইফতারির আগে, ইফতারির দু’ঘণ্টা পরে এক বা একাধিকবার রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। নাশতার আগে ৬ মি.মো ও খাওয়ার পরে ৮-১০ মি.মো টারগেট করতে হবে।

ওষুধ নিয়মিতকরণ : সহজতর হল সকালের ওষুধটা সন্ধ্যায় অর্থাৎ ইফতারের পানি পান করে খেয়ে নিলে হয়। বাকিটা রাতে ভাগ করে খেয়ে নিলেই হল।

ইনসুলিন : যারা দিনে দুই ডোজ নেন তারা সকালেরটা সন্ধ্যায় নিবেন। মনে রাখা সহজ হল ইফতার অর্থ নাশতা, আমরা রোজার দিনে নাশতা করি সন্ধ্যায়, তাই নাশতার ডোজটা নাশতায় নিলেই হল। দ্বিতীয় ডোজটা শেষরাতে নিলেই হল। তবে সতর্কতা হিসেবে রোজার প্রথম দিকে দ্বিতীয় ডোজটা অর্ধেক নেয়া যেতে পারে। ৪-৫ দিন পরে সেহেরির পর (সকাল ৮-৯টা) সুগার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি বেশি থাকে ইনসুলিন বাড়াতে হবে। বাস্তবতা হল যে সব রোগীর ইনসুলিন ছাড়া কন্ট্রোল হয় না তাদের ডোজ কমানো দরকার পরে না।

ট্যাবলেট : সালফোনিলুরিয়া ২৪ ঘণ্টা কাজ করে তাই পারতপক্ষে সন্ধ্যায় এক ডোজ নেয়া ভালো। সালফোনিলুরিয়া শরীরে গ্লুকোজ কম থাকলে আরও কমায় অর্থাৎ খাই আর না খাই গ্লুকোজ কমাবেই তাই হাইপো হওয়ার আশংকা বেশি। সাস্টেইনড রিলিজ (এসআর) মডিফাইড রিলিজ (এমআর) ট্যাবলেটগুলো পছন্দনীয়।

মেটফরমিন : গ্লুকোজ সেন্সিটাইজার। ইনসুলিন বেশি না থাকলে কমায় না তাই হাইপো হওয়ার কথা না। দুইবেলা তিনবেলা এবং ফুলডোজে নেয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে মেটফরমিন ডায়রিয়া বমির কারণ হতে পারে। সে জন্য সম্ভব হলে রোজার দিনে সর্বনিু ডোজ দিতে হবে।

ইনক্রেটিন (ভিলডাগ্লিপট্ন, সিটাগ্লিপটিন, সেক্সাগ্লিপটিন), লিরাগ্লুটাইড : খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে ইনসুলিন নিঃসরণ হয় এরা সেই ইনসুলিন ভাঙতে দেয় না। তাই রোজার দিনে সন্ধ্যাবেলার ডোজ নিরাপদ। তবে বমি বা ডায়রিয়ার ঝুঁকি থাকে। দরকারে ডোজ কমাতে হবে।

লিরাগ্লুটাইড সহ্য হয়ে গেলে সন্ধ্যাবেলায় একমাত্র ওষুধ এক ডোজ নিলেও হতে পারে।

মেটফরমিন ও ইনক্রেটিন গ্রুপ সহ্য না হওয়ার আশংকা থাকলে মডিফাইড রিলিজ সালফুনিলুরিয়া দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। তবে ইনসুলিনের পরিবর্তে এক মাস বড়ি দিয়ে চলতে পারে ধারণা ঠিক নয়।

এসজিএলটি ২ ইনহিবিটর : নতুন ওষুধ অভিজ্ঞতাও কম। এরা এমনিতই ডিহাইড্রেশন করে, কিটোএসিডসিস বাড়ায় বিধায় ব্যবহার না করা ভালো।

রোজাদারের ব্যায়াম : ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশ্যক। রোজার সময় তারাবির নামাজের ঘণ্টাখানেকের শ্রম ব্যায়াম হিসেবে নিয়েই ব্যায়ামের প্লান করতে হবে। ইফতারের এক ঘণ্টা পরে কায়িক শ্রম করা ভালো। দিনের শেষদিকে কায়িক শ্রম বাদ দিতে পারলে উত্তম। তারাবিতে যাওয়া-আসার রাস্তাটা ঘুরে গিয়ে লম্বাকরা যেতে পারে।

যারা ট্রেড মিলে অভ্যস্ত সুবিধামতো রাতেরবেলা কোনো সময় ১০-১৫ মিনিট ট্রেড মিল করে নিতে পারেন। তবে প্রিতিদিন একই সময় করতে পারলে ভালো।

পানি : গরমের দিনে রোজা, দিন বড়। পানির ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। আল্লার নিয়ামত পানিসমৃদ্ধ ফল শসা, টমাটো, তরমুজ, ডাব বেশি খেতে হবে। রাতেরবেলা, সন্ধ্যা শুরু থেকে সেহেরির শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত পানি নেয়া চলবে। দিন বড় বলে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। দুনিয়ার অনেক দেশই আছে যেখানে দিন শুরু হয় ভোর ৫টায়, শেষ হয় রাত ১০টায়। আসলে আল্লাহর দেয়া শরীরের অ্যাডজাস্টমেন্ট ক্ষমতা অনেক বেশি।

রোজার উপকারিতা : ব্যক্তি-সংযম, সহমর্মিতার অভ্যাস বাড়ায়। চা কফি ধূমপান ইত্যাদি অনাবশ্যকীয় খাবার ও অভ্যাস/বদাভ্যাস ত্যাগ করা শেখায়।

স্বাস্থ্য : সারা দিনের অভূক্ততায় দূষিত পদার্থ ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস বার্ণ করে।

বিশেষভাবে জানবেন

যেসব ডায়াবেটিক রোগী সব ঝুঁকির কথা জেনেও রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তাদের রোজা শুরুর আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হবে। এর মধ্যে আছে খালি পেটে ও খাবার ২ ঘণ্টা পর (মোট ৬ বার) রক্তের গ্লুকোজ, খালি পেটে রক্তের লিপিড, লিভার কিডনি ও হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতার পরীক্ষা এবং এইচবিএ১সি ইত্যাদি পরীক্ষা করে নিতে হবে।

* সবাইকে তার নিজের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবেন।

* ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। আগে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।

* রোজার সময় নিজে ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় করবেন না, এতে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।

* সেহরির খাবার সেহরির শেষ সময়ের কিছু আগে খাওয়া উচিত। ইফতারের সময় বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না।

* রোজার সময় দিনের বেলা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।

* রোজার সময় রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি (সম্ভব হলে ডাবের পানি), কম মিষ্টি রসাল ফল এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম, ঢাকা

Wednesday, April 13, 2016

উৎসবের আগে ঘরেই ফেসিয়াল

ranna banna o beauty tips
উৎসবের আগে ঘরেই ফেসিয়াল
মুখের সৌন্দর্য বজায় রাখতে দরকার মসৃণ ত্বক। তাই সব সময় প্রয়োজন পড়ে ত্বকের পরিচর্যা। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমে একটু বেশিই নিতে হয়। এসময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যায় না। অথচ ত্বকে পর্যাপ্ত আদ্রতাও থাকে না। তাছাড়া আসছে পহেলা বৈশাখের সুন্দর সাজের জন্যও নিজের ত্বককে প্রস্তুত করা জরুরি। উজ্জ্বল ত্বকের তকমাতে এবার নজর কাড়বে সবার।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ফেসিয়ালের তুলনা নেই। পার্লারে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে না চাইলে যেকোনো উৎসবের আগে নিজেই করে নিতে পারেন সুন্দরভাবে। সেজন্য দরকার ফেসিয়ালের উপযুক্ত ধাপ সম্পর্কে জেনে নেয়া। আসুন দেখে নেয়া যাক, বাসায় বসে কীভাবে পার্লারের মতো কার্যকরী ফেসিয়াল করা যায়।

ক্লিঞ্জিং

প্রথমে মুখের ত্বকে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের লোমকুপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

ম্যাসাজ

ফেসিয়াল ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন। চোয়ালের নিচ থেকে উপরের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে প্রতিটি লোমকুপের ভেতর থেকে ময়লা বের করতে সুবিধা হয়।

স্ক্র্যাবিং

ম্যাসাজ ক্রিম ধুলে এবার স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষতে থাকুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, সুজি অথবা চিনি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্ক্র্যাব।

টোনিং

সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেন না। চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে টোনার লাগাতে হবে।

এবার ফেসিয়ালের জন্য যে কোনো একটি মাস্ক প্রস্তুত করুন-

শশা মাস্ক

একটা শসার রস বের করে এক চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুতে হবে। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

মসুর মাস্ক

দু’চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মসুর ডাল বেটে তার মধ্যে অল্প দুধ ও আমণ্ড তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই প্যাকটা মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।

দই মাস্ক

শসার রস, এক কাপ ওটমিল ও এক টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটা পুরো মুখে মেখে তিরিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।

ডিম মাস্ক

একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো মাস্ক

একটি টমেটো ভালো করে চটকে নিন। সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের দাগগুলো সব মিলিয়ে যাবে।

মাস্ক ব্যবহারের পর ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রিন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি, ২ থেকে ৩ চামচ গ্রিন টি ভেজানো পানি এবং ঘৃতকুমারীর রস মেশান। তারপর প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করুন নতুন আপনাকে।

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই ৬টি লাল ফল

sasthobarta protidin
ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই ৬টি লাল ফল
ওজন নিয়ে ছেলে মেয়ে কারোর চিন্তার শেষ নেই। কী খেলে কীভাবে ওজন কমবে এই নিয়ে কত শত পরিকল্পনা। বিশেজ্ঞদের মতে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার পারে আপনার ওজন দ্রুত হ্রাস করতে। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল খেয়ে থাকেন। কিছু ফল আছে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই লাল ফলগুলো আপনার ডায়েট লিস্টে যোগ করুন আর দ্রুত কমিয়ে ফেলুন আপনার ওজন।

 ১। ডালিম 
ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী একটি ফল হল ডালিম। ডালিমের অ্যান্টি অক্সিডন্ট শরীরে টক্সিন উপাদান দূর করে খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিয়ে থাকে। এর সাথে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে থাকে। 

২। লাল আপেল 
লাল এবং সবুজে আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তবে লাল আপেলে এর পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়া লাল আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। 

৩। আলুবোখারা 
ওজন কমাতে আলুবোখারা বেশ কার্যকরী একটি ফল। ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ এই ফলটি আপনাকে কাজের শক্তি দিয়ে থাকে। সকালের নাস্তায় কিছু পরিমাণে আলুবোখারা রাখুন এটি সারাদিনের কাজের শক্তি দিবে আপনাকে। 

৪। চেরি 
আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে ছোট এই লাল ফলটি। চেরি সাধারণত খালি পেটে খাওয়া উচিত। এটি রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা বাত, গিঁট এর ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। 

৫। স্ট্রবেরি 
প্রতিদিন এক মুঠো স্ট্রবেরি ওজন কমানোর জন যথেষ্ট। এর ভিটামিন সি, অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর কার্যক্ষম রাখে। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে দুই দিন স্ট্রবেরি খাদ্য তালিকায় রাখুন। 

৬। জাম্বুরা 
লো ক্যালরি ফ্রুটের মধ্যে জাম্বুরা অন্যতম। জাম্বুরায় মাত্র ৩৭ ক্যালরি রয়েছে! গবেষণায় দেখা গেছে খাবার খাওয়ার আগে অর্ধেকটা জাম্বুরা খেলে এটি মেটবলিজম বাড়িয়ে ওজন হ্রাস করে থাকে। 

Monday, April 11, 2016

পুষ্টিকর এই ৮টি খাবার ভুল সময়ে খাচ্ছেন না তো?

sasthobarta protidin
পুষ্টিকর এই ৮টি খাবার ভুল সময়ে খাচ্ছেন না তো?
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অপরিহার্য। দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য এই খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি। আপনি জানেন কি, এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক সময় রয়েছে? ভুল সময়ে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা দেখা দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক পরিচিত এই খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক সময়টি। 

১। দুধ 
পুষ্টিকর সুষম খাবার বলতে আমরা মূলত দুধকে বুঝি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল রাত। দুধ হজম হতে সময় বেশি লেগে থাকে, যার কারণে দিনের বেলা এটি খাওয়া হলে আপনি অলসবোধ করতে পারেন। রাতে দুধ পান করুন, এতে শরীর রিল্যাক্স হবে এবং কোষগুলো দুধের পুষ্টি ভালভাবে শুষে নিতে পারবে। 

২। গ্রিন টি 
ওজন হ্রাস করতে কিংবা স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অনেকেই সবুজ চা বা গ্রিন টি পান করে থাকেন। দিনের যেকোন সময় এটি পান করা স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন, এতে থাকা ক্যাফিন ড্রিহাইড্রেশন এবং অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিকেল অথবা সন্ধ্যায় এটি পান করুন। 

৩। ভাত 
পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ানের মতে ভাত এবং ব্রেড জাতীয় খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল। এটি পেট ভরিয়ে রেখে হজমে সমস্যা করে থাকে। রাতে ভাত ওজন বৃদ্ধি করে, হজমে দীর্ঘ সময় নিয়ে থাকে। 

৪। টকদই 
আয়ুর্বেদ অনুসারে রাতে টকদই খাওয়া হলে, এটি শরীরে তাপ বৃদ্ধি করে দেয়। যা হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে থাকে। তারা আরও মনে করেন দুপুরের গরমে দই খাওয়া একই সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। 

৫। কফি 
অনেক বিশেষজ্ঞরা রাতে কফি পান করতে নিষেধ করে থাকেন। এটি ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করে আপনাকে রাতে জাগিয়ে রাখে। সকাল অথবা দুপুরে কফি পান করতে পারেন। এটি আপনার কর্মোদ্যম বৃদ্ধি করে আপনার ঘুম তাড়াতে সাহায্য করে থাকে। 

৬। কমলার রস 
সকালের নাস্তায় অনেকেই কমলার রস পান করে থাকেন। এটি পান করার পারফেক্ট সময় হল সকালবেলা। এর ভিটামিন ডি এবং ফলিক অ্যাসিড সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে মেটাবলিক বৃদ্ধি করে থাকে। 

৭। চিনি 
চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার সবচেয়ে ভাল সময় হল সকালবেলা। এরা শক্তি বৃদ্ধি করে সারাদিনে কাজে উদ্যম দিয়ে থাকে। রাতে চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।

 ৮। কলা 
সকাল অথবা বিকেলে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা বুক জ্বালাপোড়া দূর করে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। রাতে কলা খাওয়া অনেকেরই ঠান্ডার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। 

যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে আপনার চুল

sasthobarta protidin
যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে আপনার চুল
বয়স বিশের কোঠা পেরিয়ে সবে ত্রিশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, চেহারায় এখনো উজ্জ্বল তারুণ্যের দ্যুতি। কিন্তু একী! ঘন কালো চুলের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে ধুসরের ছোঁয়া। এতো কম সময়ে কী চুল ধুসর হবার কথা? অনেকের আবার মধ্যবয়সে স্বাস্থ্য তরতাজা থাকার পরেও চুল পাকতে শুরু করে, বলাই বাহুল্য চেহারায় আসে বয়সের ছাপ। কী কারণে আমাদের কালো চুল এভাবে হারিয়ে যায়? চলুন দেখে নেই অকালে চুল পেকে যাবার কারণগুলো-
১) পারিবারিক ইতিহাস

আপনার বাবা অথবা মায়ের যদি কম বয়সে চুল পেকে গিয়ে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রেও তা হবার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাপারটা আসলে আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাঝেই থাকে। মাথায় টাক পড়ার ব্যাপারটা যেমন পারিবারিকভাবে আসতে পারে, তেমনি চুল কম বয়সে পাকার ব্যাপারটাও আসতে পারে পিতামাতা উভয়ের থেকেই।

২) আপনার একটা অটোইমিউন জটিলতা আছে

অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়াটা নামের একটি অটোইমিউন ডিজিজ আছে যা ত্বক এবং চুলকে প্রভাবিত করে অনেক বেশি। এই জটিলতায় আক্রান্ত মানুষের তালুতে ছোট গোল গোল টাক পড়তে পারে। এছাড়া তাদের পুরো মাথা এমনকি পুরো শরীরেই চুল পরে যেতে পারে। তাদের ইমিউন সিস্টেমই তাদের চুলের ফলিকলকে আক্রমণ করে ফলে চুল পড়ে যায়। এরপর সেই চুল আবার গজালে তা সাদা হয়ে গজায়। আপনার শরীরে বা মাথায় যদি এমন টাক দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

৩) আপনি দূষিত পরিবেশে থাকেন

টক্সিন এবং দূষক পদার্থ আপনার চুল পাকিয়ে ফেলতে পারে অকালে। এগুলো মেলানিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং চুল পাকার হাড় বাড়ায়। দূষণের কারণে আপনার স্ট্রেস বাড়লে মূলত সেটাই এই চুল পাকার ব্যাপারটাকে প্রভাবিত করে।

৪) আপনি প্রচুর স্ট্রেসের মাঝে আছেন

এটা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা মানুষের চুল পাকিয়ে দেয়। অনেক সময়েই মায়েরা বলেন বাচ্চার জন্য চিন্তায় তার চুল পেকে যাচ্ছে। এ ব্যপারে অনেক মতভেদ আছে বটে। কিন্তু আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যে বয়সে চুল পাকার কথা, স্ট্রেসের কারণে সেই সময়টা এগিয়ে আসতে পারে। এ কারণে এই স্ট্রেস ম্যানেজ করা দরকার আপনার।

৫) সিগারেটের ধোঁয়া

আপনি নিজেই ধূমপান করুন অথবা বাড়ির অন্য কেউ করুক, এর ধোঁয়া আপনার চুলের রঙে আনতে পারে পরিবর্তন। ধূমপায়ীদের চুল অকালে পেকে যাবার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেশি হয় অধূমপায়ীদের তুলনায়।

৬) আপনার হরমোনে পরিবর্তন আসছে

কয়েক বছর আগের নিজের একটা ছবি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চুলে সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে। চুলের ধরণ, ঘনত্ব এবং রঙে আসে পরিবর্তন। মূলত সময়ের সাথে হরমোনে পরিবর্তন আসে বলেই এসব পরিবর্তন আসে। চুল পাকার পেছনেও দায়ী এই হরমোন।

এছাড়াও যেসব কারণে চুল অকালে পেকে যেতে পারে সেগুলো হলো-
- প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব
- থাইরয়েডের সমস্যা
- অ্যানিমিয়া

আপনার শরীর হয়তো বেশ অনেকটা বয়স পর্যন্ত শক্তসমর্থ আছে, নিজেকে মোটেই অসুস্থ বা বৃদ্ধ মনে করছেন না আপনি। কিন্তু এরপরেও আপনার চুলে পাক ধরতেই পারে বয়সের কারণে। ৩০ বছর বয়সের পর প্রতি দশকে আপনার চুল পাকার সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ শতাংশ করে বাড়ে। এ কারণে কারও কারও চুল অনেকদিন পর্যন্ত কালো থাকলেও একটা সময়ে সবারই চুল ধূসর হয় আসবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

Wednesday, April 6, 2016

ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ

sasthobarta protidin
ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ
ফল এমন একটি খাবার যা ভিটামিন, পুষ্টি এবং মিনারেলের উৎস। শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান ফল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি জানেন কি, ফলের খোসাও রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ! ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা, লেবুর খোসা দিয়ে প্যাক তৈরি প্যাক বেশ কার্যকর। ঠিক তেমনি ওজন হ্রাস করতে কমলার খোসা, অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতে আপেলের খোসা বেশ কার্যকর।

১। আপেলের খোসা 
আপেলের খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়া আপেলের খোসায় ইউসলিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্থূলতা হ্রাস করে এবং ক্যালরি পুড়িয়ে থাকে।

২। কমলার খোসা 
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কমলার খোসা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয় এটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে। হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়ে থাকে কমলার খোসা।

৩। লেবুর খোসা 
লেবু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে। এর খোসা মুখের দুর্গন্ধ, মুখের ঘা, মাড়ির ইনফেকশন এবং হাড় মজবুত করে থাকে। এতে স্লাভিস্টোরল কিউ৪০, লিমোনিয়া এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরের টক্সিন এবং বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দিয়ে থাকে।

৪। তরমুজের খোসা
পুষ্টি সমৃদ্ধ তরমুজের সাদা অংশ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ওজন হ্রাস করে থাকে। এছাড়া এটি ত্বক পরিষ্কার করে, স্কিন র‍্যাশ দূর করে থাকে। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে তরমুজের খোসা।

৫। শসার খোসা 
বেশির ভাগ সময় শসার খোসা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু শসার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া শসার খোসায় বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ রয়েছে।

৬। ডালিমের খোসা
 ডালিমের খোসা ত্বকের ব্রণ, র‍্যাশ দূর করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে, এমনকি খুশকি দূর করতেঅ ডালিমের খোসা বেশ কার্যকর। মুখ, গলায় ঘা, হৃদরোগ, হাড় মজবুত করে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে

sasthobarta protidin
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে
আমরা যা খাই তার পুষ্টি উপাদান ও পানি পরিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে শোষিত হয়। অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো বর্জ্য হিসেবে মলে পরিণত হয়। অন্ত্রের পেশীর সংকোচনের মাধ্যমে মলকে ঠেলে কোলন বা বৃহদান্ত্রে পাঠায়। সেখান থেকে রেক্টামের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যখন কোলনের মাংশ পেশী নিষ্ক্রিয়  হয়ে যায় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এর ফলে ইরেগুলার বাউয়েল মুভমেন্ট হয় এবং স্টুল শক্ত ও শুষ্ক হয় ফলে মলত্যাগে করা কঠিন হয়ে পরে। বেশিরভাগ মানুষেরই অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আবার কেউ কেউ সারা জীবনই ভোগেন। বেশিরভাগ  ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময় এটি হয়ে থাকে এবং ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি ভোগে থাকে।

কন্সটিপেশন দুই ধরণের হয় যথা – অর্গানিক ও ফাংশনাল। অর্গানিক কন্সটিপেশন হয় শারীরিক পরিবর্তনের কারণে, যেমন- কোলনের মধ্যে কোন বাঁধা বা বিকৃতি  হলে। এই ধরণের কন্সটিপেশনের ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয় – সঠিক প্রকারের খাদ্যগ্রহণ না করলে, যথেষ্ট পরিমাণে তরল খাদ্য না পান করলে, নিয়মিত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, সঠিক জীবনধারা মেনে না চললে।

উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলেই ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয়। এই জাতীয় খাবারে পুষ্টি উপাদান ও ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যাডেটিভস থাকে। এর ফলে কোলনের দেয়াল দুর্বল হয়ে পরে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যে কাজগুলো আপনি করতে পারেন তা হল :  

১। বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করা
দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুই ধরণের ফাইবার আছে। এই উভয় ধরণের ফাইবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও নরম করে। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ করে। আস্ত শস্যদানা, পাস্তা,  গমের ভুষি খাওয়া অনেক কার্যকরী হতে পারে।

২। সাহায্যকারী খাদ্য
নাশপাতি, ডুমুর, ব্রোকলি, কিউই, গাজর, পীচ ফল, আনারস এবং ডুমুর ইত্যাদি ফলগুলো নিয়মিত খান। এগুলোতে ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর ফাইবার থাকে বলে অন্ত্রের জন্য ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ব্ল্যাকস্ট্রিপ গুড় খান। সকালে এটি আপনার কনস্টিপেশনকে সহজ করতে সাহায্য করবে। আখের গুড়কে অনেকবার জাল দিয়ে ঘন করে ব্ল্যাকস্ট্রিপ মোলাসেস তৈরি করা হয়। তাই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।  

৩। এড়িয়ে চলুন এই খাবার গুলো
চকলেট, অনেক বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, কলা ও ক্যাফেইন। ক্যাফেইন গ্রহণ করা নির্ভর করে আপনি ইতিমধ্যেই পানিশূন্যতায় ভুগছেন কিনা তার উপর। যদি পানিশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে ক্যাফেইন গ্রহণ না করাই ভালো।

৪। নিয়মিত ব্যয়াম
সক্রিয় জীবনধারা মেনে চলুন যেমন- দৌড়ানো, জগিং করা, সাঁতার কাটা বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা। এর ফলে আপনার পরিপাক নালী স্বাস্থ্যবান থাকবে ও অন্ত্রের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

৫। হারবাল চা ও উষ্ণ পানীয়
পুদিনা ও আদা উভয়েই পরিপাকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। মেন্থল অন্ন নালীর পেশীকে শিথিল হতে সাহায্য করে। আদা তাপ প্রদানকারী গুল্ম তাই আদা শরীরের ভেতরে অধিক তাপ সৃষ্টি করে। হারবাল চিকিৎসকদের মতে আদা নিষ্ক্রিয় পরিপাককে গতি দিতে পারে। গ্রিনটি, ব্ল্যাকটি ও প্রাকৃতিক জোলাপ বা রেচক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার জন্য কিছু মানুষ দুধ পান করতে পারেননা। তবে যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে গরম দুধ খেলে আপনার কোষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে পানি বা চায়ের পরিবর্তে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

আরো যে কাজগুলো করতে পারেন :  
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন যেমন- প্রচুর পানি পান করুন, প্রাকৃতিক ডাকে বিলম্ব করবেননা, কোষ্ঠ পরিষ্কারের ঔষধ ব্যবহার সীমিত করুন, অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেক রকমের ইয়োগা  আছে তবে সূর্য নমস্কার ইয়োগাটি অনেক কার্যকরী। তাছাড়া একটি গরম তোয়ালে  শ্রোণি অঞ্চলে দিয়ে ভাপ দিতে পারেন, স্টিম বাথ নিতে পারেন।   

Monday, March 21, 2016

ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই

sasthobarta protidin
ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই
সময়টা এখন শুধুই ভ্রমণের। পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই এটা। ফুরফুরে মন নিয়ে বের হয়েছেন লম্বা ভ্রমণে, কিন্তু বাধ সেধে বসে বমি বমি ভাব। গাড়িতে উঠলেই হঠাৎ করেই বমির ভাব আসে। এটাকে অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। এছাড়া তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে গ্যাস বা খাবার হজমে সমস্যা হলে প্রায়ই বমি বমি ভাব হয়। বমি বন্ধ করা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন নিজের জন্য অস্বস্তিকর তেমনি অপরের জন্য বিব্রতকর। অথচ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন নিজেই। যেমন-

- বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সেদ্ধ দিন। এবার ওই পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

- যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গেছে।

- পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

- অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

- অনেকের ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

Sunday, March 20, 2016

অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো

sasthobarta protidin
অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো
চুল সাদা হয়ে গেলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন, যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যপার। অনেককেই সাদা চুলে বেশ ভাল লাগে। চুল সাদা হয়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে- বয়স বৃদ্ধি, জেনেটিক ও বংশানুক্রমিক সমস্যা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব এবং অন্যান্য। বেশিরভাগ মানুষ চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ  করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে চুলে ডাই করেন। কিন্তু অনেক সস্তা ও সহজলভ্য উপাদান দিয়েই চুল সাদা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম যা চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

১। আখরোট

“ইউ ক্যান বি ইয়োংগার” বইটির লেখক এবং থেরাপিস্ট মারিশা পিয়ার বলেন, “কপার সমৃদ্ধ আখরোট খেলে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া বন্ধ হয়”। কপার মেলানিন  উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মেলানিন চুলের রঞ্জক বৃদ্ধি করে।  

২। চিংড়ি

বিশেষজ্ঞদের মতে উচ্চমাত্রার জিংক চুলের রঙ ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যার অর্থ জিংক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- চিংড়ি, বীজ এবং পনির খেলে চুল সাদা হয়না। এছাড়া ওমেগা ৩ কেবল মাত্র হার্টের জন্যই ভালো নয় বরং আপনার চুলকে শক্তিশালী রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ এর উৎস হচ্ছে মাছ, বীজ ও সবুজ শাকসবজি, যা বেশি করে খাওয়া উচিৎ।

৩। পোলট্রি ও ডেইরি

নিম্ন মাত্রার ভিটামিন বি১২ অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই চুলের স্বাস্থ্য ও রঙ ঠিক রাখার জন্য মুরগীর মাংস, ডিম, দুধ, পনির ও সামুদ্রিক খাদ্য গ্রহণ করুন। ট্রাইকোলজিস্ট সারা অ্যালিসন বলেন, “আমরা জানি স্ট্রেস ভিটামিন বি ব্যবহার করে এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি (বি৬, বি১২, ফলিক এসিড) গ্রহণ করলে ৩ মাসের মধ্যে চুল ধূসর হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি বিপরীত হতে শুরু করে”। তিনি আরো বলেন, “যখন ভিটামিন গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় তখন চুল সাদা হতে শুরু করে”। মুরগীর প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে এবং মাথার তালুর পুষ্টি প্রদান করে।    

৪। ব্রোকলি

ফলিক এসিড গর্ভবতী মহিলাদের সাথে যেভাবে সম্পর্কযুক্ত তেমনি এটি স্বাস্থ্যবান চুলের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। ফলিক এসিডের স্বল্পতা অসময়ে চুল ধূসর করে দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে ব্রোকলি, শতমূলী, মটরশুঁটি ও ডাল খান।

৫। গরুর কলিজা

জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। গরুর কলিজা জিংক ও কপারে পরিপূর্ণ থাকে যা অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। যদি আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যা ও হৃদরোগের সমস্যা না থাকে তাহলে গরুর কলিজা খান ও চুলকে নিরাপদ রাখুন।
৩০ বছর বয়সে বেশিরভাগ মানুষের মাথায় কিছু সাদা চুল দেখা যায় এবং ৫০ বছর বয়সে মাথার অর্ধেক চুল সাদা হয়ে যায়। একটি সাদা চুল উঠালে ২টি গজায়- এই কথাটি সত্য নয়। সাধারণত কপালের আশেপাশের চুল আগে সাদা হয়, তারপর মাঝামাঝি অংশের এবং সবশেষে পেছনের দিকের চুল সাদা হয়। ২০ বছর বয়সের আগে চুল সাদা হলে তাকে প্রিমেচিউর গ্রেইং বলে। এই খাবার গুলো শুধুমাত্র চুল সাদা হয়ে যাওয়াই রোধ করবেনা বরং মাথার ত্বকের অতিরিক্ত যত্ন প্রদান করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করবে। যদি আপনার ২০ বছর বয়সের আগেই চুল সাদা হতে শুরু করে তাহলে এই খাবারগুলো খান এবং চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করুন।        

গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক

sasthobarta protidin
গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক
সন্তান একজন নারীকে এনে দেয় তার সৃষ্টির পরিপূর্ণতার অনেকখানি। তবে কোন কিছু অর্জনের চাইতে সেটা যেমন রক্ষা করা কঠিন, ঠিক তেমনি সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর চাইতেও কঠিন তাকে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে বড় করে তোলা। সেটা কেবল পৃথিবীতে আসবার পরেই নয়, এর আগে গর্ভকালীন সময়েও। অনেক সময় খুব ছোটছোট কারণেই হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, সন্তানের নানারকম সমস্যাসহ আরো অনেক ঝামেলাপূর্ণ ঘটনা। তবে অন্যান্য সময়ের মতন এ সময়েও কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটতে চলার আগেই আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় নানাভাবে, জানান দিতে চায় আসতে যাওয়া সমস্যাকে। কিন্তু অনভিজ্ঞতার ফলে সেসব ভুলে যায় বা এড়িয়ে যায় অনেকেই। ফলে দেখা দেয় গর্ভকালীন সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে আসি গর্ভকালীন সমস্যা ও এর শারীরিক চিহ্নগুলোকে। 

১. রক্তপাত 

গর্ভকালীন সময়ে যে কোন ধরনের রক্তপাতই হতে পারে মায়ের স্বাস্থের জন্যে বিপদজনক। এক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই মাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা উচিত। এসময় অতিরিক্ত ও ভারী রক্তপাত দ্বারা অনেকগুলো চিহ্ন প্রকাশ করে শরীর। জরায়ু ছাড়া অন্যকোন স্থানে ডিম্বানুর অবস্থান, ছোটখাটো আভ্যন্তরীন ঝামেলাসহ গর্ভপাত অব্দি হয়ে যেতে পারে এই সামান্য একটি কারণে। 

২. অতিরিক্ত বমিভাব 

সামান্য একটু বমিভাব বা না খেতে চাওয়ার প্রবণতা এসময় মায়েরদের ভেতরে থাকতেই পারে। তবে সেটারও একটা সীমা থাকে। আর তাই খেয়াল করুন ঠিক কতটা বেশি পানি বা খাবার-দাবার না খাওয়ার পরিমাণ প্রকাশ করছে আপনার শরীর। যদি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যান। অন্যথায় পরিমাণমতন খাবার কিংবা পানির অভাবে দেখা দেবে নানারকম বড় ধরনের সমস্যা। 

৩. বাচ্চার কম নড়াচড়া 

গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা কতটা নড়বে সেটার কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ না থাকলেও একেবারেই কম গতিবিধি বা কার্যক্রম হতে পারে সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বঝতে প্রথমে খানিকটা ঠান্ডা খাবার বা পানি পান করুন। তারপর শুয়ে পড়ুন বিছানায়। যদি সে পেটে লাথি মারে তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু ঠিক আছে। চিকিৎসকদের মতে, দু ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ বার লাথি মারলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে মনে করা যায়। তবে এর কম-বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে। তবে ১০ বারের কম হলে চিকিৎসকের কাছে একবার চলে যাওয়াটাই ভালো। 

৪. অতিরিক্ত ঘাম 

গর্ভকালীন সময়ে ঘেমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এটা নির্ভর করবে ঠিক কতখানি তরল আপনি পান করছেন আর লবন শরীরে নিচ্ছেন। তবে তারপরেও যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথাসহ অতিরিক্ত ঘেমে যায় আপনার শরীর, বিশেষ করে ২৮ তম সপ্তাহের দিকে হাত, পা ও পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামে তাহলে চিকিৎসককে ডাকুন (ফিট প্রেগনেন্সি )। এটি প্রিকাম্পশিয়া, একটি অত্যন্ত বিপদজনক উচ্চরক্তচাপসহ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে হওয়া- ক. দৃষ্টিশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা খ. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত প্রস্রাব গ. ২৪ ঘন্টার বেশি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর বেশি থাকা ( বেবিস ) ঘ. ডায়রিয়সহ পেটের যেকোন পীড়া ইত্যাদির ভেতরে কোন একটা সমস্যা দেখা গেলেও সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এর যেকোন একটা চিহ্ন আপনার গর্ভের সন্তানের জন্যে হতে পারে প্রচন্ড রকম বিপদজনক। 

পরিচিত মশলার ৫টি ভিন্ন ব্যবহার

sasthobarta protidin
পরিচিত মশলার ৫টি ভিন্ন ব্যবহার
মশলা ছাড়া রান্না? চিন্তাই করা যায় না! রান্নার স্বাদ এবং গন্ধ বৃদ্ধিতে মশলার জুড়ি নেই। দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, হলুদ কত রকম মশলাই না আমরা রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। রান্না ছাড়াও এই মশলাগুলোর রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যগত ব্যবহার। রান্নাঘরের এই মশলাগুলো সারিয়ে দিয়ে পারে অনেকগুলো রোগ।
১। হিং
এটি উষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় খাবারের এনজাইম দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। পানির সাথে এক চিমটি হিং মিশিয়ে পান করুন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এমনকি রক্তচাপ কমাতেও এটি বেশ কার্যকর।
২। হলুদ
অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক বল হয় হলুদকে। কারকিউমন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলুদে বিদ্যমান, যা রক্ত প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করার উপাদানসমূহ দূর করে দিয়ে থাকে। এমনকি হলুদ চা বাত ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী।
৩। দারুচিনি
দারুচিনি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে থাকে। এটি গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে। দারুচিনি এবং মধু ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে। এছাড়া কিছু মোম, সমপরিমাণ দারুচিনির গুঁড়ো, আদা গুঁড়ো এবং জয়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে সুগন্ধি মোম তৈরি করা সম্ভব।
৪। এলাচ
এলাচ খাবারের রুচি তৈরি করার সাথে সাথে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি দেহে বুক জ্বালাপোড়া, হেঁচকি, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুচিনির ব্যবহার করা হয়। দারুচিনি গুঁড়ো গরম পানির সাথে মিশিয়ে, সেটিকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৫। গোলমরিচ
গোলমরিচে পাইপরাইন উপাদান আছে যা নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, হৃদরোগ, রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি বাত ব্যথা দূর করে থাকে। সারা রাত গোলমরিচ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালের নাস্তার সাথে এটি খান। মাইগ্রেইনের ব্যথা কমাতে এটি বেশ কার্যকরী। যেকোন প্রকার ইনফেকশন এবং পোকা কামড়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।

Thursday, March 17, 2016

জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো

sasthobarta protidin
জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো
ড্যানড্রাফ বা খুশকি মোটেই ভালোলাগার কোন বিষয় নয়। কারণ খুশকি বেশি হলে কাঁধের উপরে সাদা স্তর পড়ে যা খুবই অস্বস্তিকর এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্কিন ইনফেকশন বলে যা ত্বক, চুল এবং পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। খুশকি আছে এমন ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন মানুষ মুখের ত্বকের সংক্রমনে ভুগে থাকে। আসুন তাহলে খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেয়া যাক।
১। যন্ত্রণাদায়ক
সময়ের সাথে সাথে খুশকি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। এমন অবস্থা হয় যে আপনি মাথা চুলকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না। যা খুবই অস্বস্তিকর হয়ে উঠে। যদি আপনার শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে। গরমের সময়ে ত্বক তৈলাক্ত রাখুন। খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বন্ধের জন্য ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২। ব্রণ
ডা. মুকেশ বাত্রার মতে, শুষ্ক ত্বকের স্তর ত্বকের ছিদ্র গুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে। যদি আপনার ত্বক ব্রণ উঠার জন্য উপযোগী হয় তাহলে খুশকি এই সমস্যাটাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার চুল যেন মুখের উপরে এসে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুশকি মুখের ব্রণকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে ঘাড়ে, চুলের সীমানায়, বুক ও পিঠের উপরের অংশে ছড়িয়ে যায়।
৩। মাথা চুলকানো
খুশকি হলে মাথার তালুতে অনেক বেশি মরা চামড়া তৈরি হয়। এর জন্য মাথার তালুতে অনেক বেশি চুলকানি হয়। যদি ঘরোয়া উপায়ে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৪। পিঠের ব্রণ
ডারমাটোলজিস্ট ডা. এস এস টারসি এর মতে খুশকি পিঠের ব্রণ হওয়ার একটি কারণ। তাই পিঠের ব্রণ ভালো হওয়ার একটি ভালো পন্থা হচ্ছে এর অন্তর্নিহিত কারণ অর্থাৎ খুশকি দূর করার ব্যবস্থা নেয়া।
৫। চুল পরা 
যদিও খুশকি সরাসরি চুল পড়ার সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়, তথাপি অবিরাম চুলকানির ফলে এটি হতে পারে। ট্রাইকোলজিস্ট ডা. অপূর্ব শাহ বলেন, “চুল পড়া এবং খুশকি উভয়েরই অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে ডারমাটাইটিস(এক ধরণের মাথার তালুর ত্বকের সমস্যা)”।
৬। সোরিয়াসিস
খুশকির কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে। সোরিয়াসিস হচ্ছে ত্বকের এমন একটি অবস্থা যে ত্বকের কোথাও কোথাও মোটা হয়ে লাল হয়ে যায়। এটি মাথার তালুতে, কানের পেছনের দিকে হতে দেখা যায়।  
৭। চোখের সংক্রমণ
ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, “ব্লেফারাইটিস চোখের একটি সাধারণ সংক্রমণ যা খুশকির কারণে হয়ে থাকে”। এই ধরণের সংক্রমণের ফলে চোখের পাতায় চুলকায় ও লাল হয়ে যায় ও যন্ত্রণার সৃষ্টি করে এবং চোখের পাপড়িতে খুশকির মত আঁশ হতে দেখা যায়।
৮। তেলতেলে চুল
আপনি যখন খুশকির সমস্যায় ভোগেন তখন মাথার তালুতে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়। এর ফলে চুল তেল চিটচিটে হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলা উচিৎ।
৯। অ্যাজমা
খুশকির সবচেয়ে খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে অ্যাজমা। খুশকি যখন পাউডারের মত ঝরতে থাকে তখন তা ফুসফুসের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি হয়তো এটা লক্ষ রাখতে পারেননা যে শ্বাস গ্রহণের সময় এটি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং  অ্যাজমার লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।  
চিকিৎসা জগতে খুশকির কারণ ও প্রতিকার এখনো অজানা রয়ে গেছে। যদিও খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় কার্যকরী প্রমানিত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুশকির কোন চিকিৎসা করা হয়না। যদি আইব্রুতে, কপালে, নাকের পাশে ও থুতনিতে দেখা যায় তাহলে চিকিৎসা শুরু করা যায়।     

Tuesday, March 15, 2016

কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?

sasthobarta protidin
কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?
নিজের আশেপাশে একটু তাকিয়ে দেখুন তো। কী দেখলেন? অনেকের চোখেই শোভা পাচ্ছে চশমা, তাই না? জীবনযাত্রার বিভিন্ন আঙ্গিকের কারণেই আজকাল কম বয়সেই অনেকের চশমা দরকার হচ্ছে। চশমা দরকার কি না, তা আসলে চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েই নিশ্চিত হওয়া ভালো। তবে কিছু কিছু লক্ষণ দেখে আপনিও আন্দাজ করে নিতে পারবেন আপনার চশমা নেওয়ার সময় এসে গেছে কিনা। চলুন দেখে নেই এসব লক্ষণ।

১) আপনি কম্পিউটারের সামনে ঝিমুতে থাকেন
আমাদের চোখের পেশীগুলো সবচাইতে বেশি ক্লান্ত হয় তখনই যখন আমরা খুব কাছে থেকে কোনোকিছু দেখি এবং খুঁটিনাটিগুলোর ব্যাপারে মনোযোগ দেই- যেটা কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আপনার দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে এসব পেশীর কাজ আরও বেড়ে যায়। এসব পেশীর ক্লান্তির ফলে আপনার ঘুম পায়। যদি আপনি চশমা নেন এবং এর পরেও আপনার চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়, তাহলে মনিটর একটু দূরে রেখে কাজ করুন এবং ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন।

২) পড়ার জন্য উজ্জ্বল আলো দরকার হয় আপনার
সাধারণ রিডিং ল্যাম্পের আলোয় যদি আপনি বই পড়তে না পারেন, যদি আরও কয়েকটা লাইট জ্বালাতে হয় তাহলে চিন্তার কারণ আছে বই কী। বিশেষ করে আগে কম আলোয় পড়তে পারতেন, এখন বেশি আলো দরকার হয় তবে সেটা ভালো কথা নয়। এটা বয়সের সাথে সাথে দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ২০ বছর বয়সী মানুষের তুলনায় ৬০ বছর বয়সী মানুষের প্রায় ৩ গুণ আলো দরকার হয়।

৩) বই পড়তে গেলে আপনার হাত ব্যথা হয়ে যায়
অদ্ভুত কথা তাই না? কিন্তু ভাবুন, হাতে ধরে বই পড়ার সময়ে কি আপনি চোখের খুব কাছে এনে বই পড়েন এবং হাত ব্যথা হয়ে যায় সহজেই? অথবা চোখ থেকে খুব দূরে ধরে রেখে বই পড়তে হয়? দুই ক্ষেত্রেই আপনার চশমা দরকার হতে পারে।

৪) যখন তখন মাথাব্যথা হচ্ছে আপনার
একটানা অনেকক্ষণ ধরে কাজের ফলে চোখের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এই চাপ থেকে সহজেই মাথাব্যথা হতে পারে আপনার। অথবা মাথাব্যথা থাকলে সেটাকে আরও তীব্র করতে পারে। চোখের ঠিক পেছনে ব্যথা করলে এর কারণ হতে পারে হাইপারওপিয়া বা অ্যাস্টিগমাটিজম। এই দুটি সমস্যাই চশমা ব্যবহারে ঠিক করা যায়। এই মাথাব্যথার শিকার হতে না চাইলে আপনি কাজ করার সময়ে ছোট ছোট বিরতি দিন। ডাক্তারেরা ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করতে বলেন। কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর পর কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকুন ২০ সেকেন্ড। এছাড়াও মাথাব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

৫) আপনি শাকসবজি খান না
চোখ ভালো রাখার জন্য গাজরই একমাত্র সবজি নয়। অন্যান্য শাকসবজিও আপনার খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে সবুজ শাক খাওয়াটা প্রয়োজনীয়। এসব খাবারে থাকে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন। এগুলো হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখের লেন্স পরিষ্কার রাখে, ছানির সম্ভাবনা কমায় এবং চশমার প্রয়োজনীয়তা দূরে রাখে।

৬) আপনি আলোর ছটা দেখতে পান
যে কোনো বাতির দিকে দৃষ্টি দিলে তাকে ঘিরে একটি আলোর ছটা বা Halo দেখতে পান আপনি। এছাড়াও মনে হয় সেই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অথবা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। লাইট বাল্ব থেকে গাড়ির হেডলাইট পর্যন্ত এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলুন কারণ ছানির একটি লক্ষণ হতে পারে এই ব্যাপারটা।

৭) আপনার বয়স ৪০ এর ওপরে
“৪০ পেরোলেই চালশে” গানটা মনে আছে? খুব একটা মিথ্যে নয় কথাটা কারণ এই বয়সে এলে ওপরে উল্লেখ করা উপসর্গগুলো আপনার জীবনে আসতেই পারে। ৪০ থেকে ৬০ পর্যন্ত খারাপ হতে থাকবে আপনার দৃষ্টিশক্তি। ফলে আপনার চশমা লাগতে পারে।

আরও কিছু উপসর্গ আছে যা থেকে বোঝা যেতে পারে আপনার চশমা দরকার-
- রাত্রে দেখতে সমস্যা হওয়া
- অন্ধকার থেকে আলোতে এলে দেখতে সমস্যা হওয়া
- একটি জিনিসকে দুইটি দেখা
- চলতে ফিরতে ধাক্কা খাওয়া, হোঁচট খাওয়া

সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়

sasthobarta protidin
সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়
আপনার সকালটি কিভাবে শুরু হচ্ছে তা দিয়েই আপনার জন্য দিনটি ভালো যাবে না মন্দ যাবে তা যেমন বোঝা যায়, তেমনি আপনি সকালে কি খাচ্ছেন তা আপনার সুস্থতার উপর অনেক বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে যে পানীয়গুলো আপনি পান করতে পারেন তা জেনে নেই আসুন।

১। গাজরের জুস

গাজর ভিটামিন এ তে ভরপুর যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি ধীর গতির হয়, কারণ গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন।

২। বীট জুস

নাইট্রেট সমৃদ্ধ বীট এর জুস খেলে রক্ত নালী প্রসারিত হয় এবং রক্ত সংবহন ও উন্নত হয়। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৩। অ্যালোভেরার জুস

জনপ্রিয় অ্যালোভেরার জুস ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের অনেক ক্ষতিকর টক্সিন বাহির করে দিতে সাহায্য করে। এই জুস আপনার বিপাকের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমতেও সাহায্য করে। সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরার জুস আপনাকে উজ্জীবিত করবে।     

৪। নারিকেলের পানি

নারিকেলের পানি বা ডাবের পানি প্রকৃতি মাতার নিখুঁত একটি পানীয়। এতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট ও খনিজ উপাদান যার চিনি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এটি যেকোন এনার্জি ড্রিংক বা স্পোর্টস ড্রিংক এর চেয়ে উৎকৃষ্ট পানীয়। সকালে এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে পরিপূর্ণ এনার্জি প্রদান করবে।

৫। গম ঘাসের জুস

গম ঘাসের ভেষজ গুণের কথা আমরা শুনেছি। গম ঘাসে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গম ঘাসের জুস খেলে পরিপাক নালী পরিষ্কার হয়।
৬। লেবু পানি

একগ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আপনার পরিপাক তন্ত্রকে খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযুক্ত করবে। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।   
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথমেই তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারন রাতের ৮ ঘন্টা ঘুমের পর আপনার শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, এই ঘাটতি পূরণের জন্য অন্য খাদ্য গ্রহণের পূর্বে প্রথমেই পানি পান করা প্রয়োজন। তাই এই পানীয়গুলো থেকে আপনার পছন্দের পানীয়টি নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করুন ও সুস্থ থাকুন।    

Thursday, February 4, 2016

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়
অ্যাপেন্ডিক্স নামক ক্ষুদ্র উপাঙ্গের প্রদাহকে এপেন্ডিসাইটিস বলে। মানবদেহের বৃহদান্ত্রের সাথে যুক্ত আঙ্গুলের ন্যায় ক্ষুদ্র উপাঙ্গটি উদরের ডানপাশে থাকে। যখন অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণ হয়, জ্বলন হয় বা কোন কারণে অবরুদ্ধ হয়ে যায় তখন অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলা হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিস তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী একটি রোগ যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে।   
লক্ষণ সমূহ :
·         সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয়। পেটের মধ্য থেকে ব্যথা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে ডান পাশে গিয়ে স্থায়ী হয়।
·         ক্ষুধা কমে যায়, বমি বমি ভাব হয় ও বমি হয়।
·         অ্যাপেন্ডিক্সের কাছাকাছি লসিকা গ্রন্থি ফুলে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
·         হজমের সমস্যা হয় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হয়।
·         পেটের ডান পাশের পেশি আঁটসাট হয়ে যায়।
·         নড়াচড়া করলে, গভীর ভাবে দম নিলে, হাঁচি বা কাশি দিলে ব্যথা তীব্র ও অসহনীয় হয়ে উঠে।
·         অন্যান্য উপসর্গ গুলোর সাথে নিম্ন মাত্রার জ্বর থাকতে পারে।
অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ ও এন্টিবায়োটিক সেবন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চূড়ান্ত চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণের পর কিছু ঘরোয়া উপায়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও ফোলা কমানো যায়। ঘরোয়া প্রতিকার গুলো হচ্ছে :

১। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মুগ ডাল । এক মুঠো মুগ ডাল এক বাটি পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে মিশ্রণটি থেকে এক টেবিল চামচ পরিমান পান করুন। কার্যকরী ফল পেতে দিনে তিন বার গ্রহণ করুন।
২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে রসুন অনেক কার্যকরী উপাদান। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ফোলা কমাতে পারে।
৩। অ্যাপেন্ডিক্সে আক্রান্ত রোগির জন্য সবজি খাওয়া ভালো। ১০০ মিলিলিটার শশা ও ১০০ মিলিলিটার বিটের রসের সাথে ৩০০ মিলিলিটার গাজরের রস মিশিয়ে দিনে দুই বার পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে অত্যন্ত উপকারি।
৪। ব্যথা কমানোর জন্য একটি ভেজা কাপড় পেটে জড়িয়ে এর উপর শুষ্ক পশমী  কাপড় শক্ত করে বেধে রাখুন।  
৫। আপনার অ্যাপেন্ডিক্স সুস্থ রাখার জন্য সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন।
৬। আস্ত গম খাওয়া অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জন্য কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার এবং এটি হজমের জন্য ও উপকারি।
৭। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জ্বর আসলে তুলসি পাতা পানিতে সিদ্ধ করে খাওয়ান। একমুঠো তুলসি পাতার সাথে এক টেবিল চামচ আদার পেস্ট এক কাপ পানিতে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি অর্ধেক হয়ে যায়। এটি বদহজম ও গ্যাসের ও সমস্যা দূর করতে পারে। প্রতিদিন ৩-৪টি কাঁচা তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন তাহলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।  
৮। পুদিনা পাতার কয়েক ফোঁটা রস পানিতে মিশিয়ে ৩-৪ ঘন্টা পর পর পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমে যায়।  
৯। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে লেবুর রস অনেক উপকারি। লেবুর রস ব্যথা কমাতে এবং বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। একটি লেবুর রস বের করে নিয়ে এর সাথে সমপরিমাণ কাঁচা মধু মিশিয়ে নিন। দিনে কয়েকবার মিশ্রণটি পান করুন। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত পান করুন।
১০। এক চামচ মেথি ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে চায়ের মত পান করুন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে পুঁজ ও অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে বাঁধা প্রদান করে। তাই নিয়মিত এটি পান করুন।
১১। দীর্ঘস্থায়ী অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক লিটার ঘোল পান করলে উপকৃত হবেন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।

অ্যাপেনন্ডিসাইটিস আপনার শরীরের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। উপরোক্ত ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও জ্বলন কমানো যায়। যদি এগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পরও আপনার অ্যাপেনন্ডিসাইটিস ব্যথা থেকে মুক্ত হতে না পারেন তাহলে আপনাকে অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে হবে। খুব বেশিদিন অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে অপেক্ষা করা ঠিক নয় কারণ এতে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।                

বাসী খাবার খাচ্ছেন? জেনে নিন কী হতে পারে আপনার শরীরে

sasthobarta protidin
বাসী খাবার খাচ্ছেন? জেনে নিন কী হতে পারে আপনার শরীরে 
ব্যস্ত এই নগরজীবনে বাসী খাবার খাওয়া নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি প্রশ্ন সবার মনে সবসময় আসে, এই বাসী খাবার খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? কিংবা বাসী খাবার কতটুকু খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাসী খাবার খেলে শরীরে কি হতে পারে।

১। ফুড পয়জনিং

গবেষণায় দেখা গেছে খাবারে ব্যাকটেরিয়া ৪০ ফারেনহাইট এবং ১৪০ ফারেনহাইট বেশি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আপনি যদি রান্না করা খাবার দুই ঘন্টার মধ্যে ফ্রিজে না রাখেন তবে ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়ার আগে তা চুলা বা ওভনে গরম করে নিন। যতক্ষণ না খাবারের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১৬৫ ফারেনহাইট বা ৭৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হয় ততক্ষণ রেখে নামিয়ে ফেলুন।
২। হজমে সমস্যা

খাবারে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়া হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া খাবার পরিপাকে বাঁধা সৃষ্টি করে থাকে। যার কারণে হজমে সমস্যা হয়ে থাকে।
৩। অ্যাসিডিটি

আপনি কি প্রায়ই অ্যাসিডিটির সমস্যা ভুগে থাকেন? পেট ব্যথা বা বুক জ্বালাপোড়া করে থাকে। আপনার খাদ্যাভ্যাস এর জন্য দায়ী। যারা নিয়মিত বাসি খাবার খেয়ে থাকেন এটি তাদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা।

৪। বমি বমি ভাব

বাসী খাবার দেখতে ফ্রেশ দেখা গেলেও এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়েছে। যার কারণে আপনার বমি বমি ভাব বদ হজম সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
৫। ডায়ারিয়া এবং পেট ব্যথা

বাসী খাবার খাওয়ার খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হল ডায়ারিয়া। প্রতিদিন বাসী খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেট ব্যথা সৃষ্টি হয়। মূলত এটি পেটে সৃষ্টি হওয়া গ্যাসের কারণে পেট ব্যথা হয়ে থাকে। ফ্রিজে রাখা খাবার সাথে সাথে গরম করে খাওয়ার কারণে অনেক সময় পেট ব্যথা হয়ে থাকে। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে কিছুক্ষণ রুমের তাপমাত্রায় রাখুন। তারপর খাবার গরম করে নিন।
৬। মাঝারি ধরণের জ্বর

অনেক সময় অতিরিক্ত বাসি খাবার খাওয়ার কারণে জ্বরেও আক্রান্ত হতে পারেন। আপনি যদি অধিকাংশ সময়ে জ্বরে ভুগে থাকেন, তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন।
বাসী খাবার খাওয়ার পূর্বে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে তারপর গরম করুন। খাবার উচ্চ তাপে গরম করুন। অল্প তাপ খাবারের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে।

মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার

sasthobarta protidin
মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার
মধু আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন চিনির বদলে তাদের রোজকার খাবারে যোগ করছেন মধু। আমরা সাধারণত এক কাপ চায়ে বা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করি মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এটি ছাড়াও মধুর আছে আরো অনেক ব্যবহার। মধুর ঔষধি গুণ অনেক রোগের নিরাময় করতে সক্ষম। আসুন এমনই ১০ টি অজানা ব্যবহার জেনে নিই আজ।

ক্লিনজার হিসেবে

আপনি কি জানেন মধু একটি দারুণ ক্লিনজার? মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। আবার ২ চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মানসম্পন্ন ফেসিয়াল স্ক্রাব। যা বাড়িয়ে দেবে আপনার ত্বকের সজীবতা।

এন্টিবায়োটিক

মধু শরীরে ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা এন্টিবায়োটিকের মতই ক্ষত সারায়। বাজারে মধু কেনার সময় এর রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। মধু যত গাঢ় হবে তত তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে।

অনিদ্রা কাটাতে

যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা মধু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবারও খেতে পারেন। যেমন, ফালুদায় মধু ব্যবহার করলেন অথবা আইসক্রিমের উপর ১ লেয়ার মধু দিয়ে নিলেন। মধু থেকে নিঃসৃত চিনি মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে আপনার অনিদ্রা দূর করে দেবে।

অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

শরীরের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে মধু খুবই কার্যকরি। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাটা দাগ, পোড়া দাগ, মোটা শরীরের ফাটা দাগ থাকে। এই দাগ দূর করতে মধুর চেয়ে ভাল সমাধান আর নেই। ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাগের উপর নিয়মিত প্রলেপ দিন। ১ সপ্তাহেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে

মধুর ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে মুখের বিব্রতকর দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেও হয়ত উপকার পাচ্ছেন না, কিন্তু টাকা নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে মুখের মাড়ির, দাঁতের ক্ষতিও হচ্ছে। এর পরিবর্তে ১/৮ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে আপনি অচিরেই উপকার পাবেন।

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শীতে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফেটে যায় কনুই, পায়ের গোড়ালি। এই সমস্যা দূর করতে প্রতি বছর আমরা দামী দামী লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিনে অনেক টাকা ব্যয় করি। প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করে মধু। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকে মধু মেখে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
খাঁটি মধু পাওয়া খুব কঠিন। বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মিশ্রিত থাকে। সতর্কতার সাথে মধু কিনুন, ব্যবহার করে উপকৃত হোন।