Showing posts with label Hair treatment. Show all posts
Showing posts with label Hair treatment. Show all posts

Thursday, March 17, 2016

জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো

sasthobarta protidin
জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো
ড্যানড্রাফ বা খুশকি মোটেই ভালোলাগার কোন বিষয় নয়। কারণ খুশকি বেশি হলে কাঁধের উপরে সাদা স্তর পড়ে যা খুবই অস্বস্তিকর এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্কিন ইনফেকশন বলে যা ত্বক, চুল এবং পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। খুশকি আছে এমন ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন মানুষ মুখের ত্বকের সংক্রমনে ভুগে থাকে। আসুন তাহলে খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেয়া যাক।
১। যন্ত্রণাদায়ক
সময়ের সাথে সাথে খুশকি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। এমন অবস্থা হয় যে আপনি মাথা চুলকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না। যা খুবই অস্বস্তিকর হয়ে উঠে। যদি আপনার শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে। গরমের সময়ে ত্বক তৈলাক্ত রাখুন। খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বন্ধের জন্য ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২। ব্রণ
ডা. মুকেশ বাত্রার মতে, শুষ্ক ত্বকের স্তর ত্বকের ছিদ্র গুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে। যদি আপনার ত্বক ব্রণ উঠার জন্য উপযোগী হয় তাহলে খুশকি এই সমস্যাটাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার চুল যেন মুখের উপরে এসে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুশকি মুখের ব্রণকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে ঘাড়ে, চুলের সীমানায়, বুক ও পিঠের উপরের অংশে ছড়িয়ে যায়।
৩। মাথা চুলকানো
খুশকি হলে মাথার তালুতে অনেক বেশি মরা চামড়া তৈরি হয়। এর জন্য মাথার তালুতে অনেক বেশি চুলকানি হয়। যদি ঘরোয়া উপায়ে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৪। পিঠের ব্রণ
ডারমাটোলজিস্ট ডা. এস এস টারসি এর মতে খুশকি পিঠের ব্রণ হওয়ার একটি কারণ। তাই পিঠের ব্রণ ভালো হওয়ার একটি ভালো পন্থা হচ্ছে এর অন্তর্নিহিত কারণ অর্থাৎ খুশকি দূর করার ব্যবস্থা নেয়া।
৫। চুল পরা 
যদিও খুশকি সরাসরি চুল পড়ার সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়, তথাপি অবিরাম চুলকানির ফলে এটি হতে পারে। ট্রাইকোলজিস্ট ডা. অপূর্ব শাহ বলেন, “চুল পড়া এবং খুশকি উভয়েরই অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে ডারমাটাইটিস(এক ধরণের মাথার তালুর ত্বকের সমস্যা)”।
৬। সোরিয়াসিস
খুশকির কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে। সোরিয়াসিস হচ্ছে ত্বকের এমন একটি অবস্থা যে ত্বকের কোথাও কোথাও মোটা হয়ে লাল হয়ে যায়। এটি মাথার তালুতে, কানের পেছনের দিকে হতে দেখা যায়।  
৭। চোখের সংক্রমণ
ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, “ব্লেফারাইটিস চোখের একটি সাধারণ সংক্রমণ যা খুশকির কারণে হয়ে থাকে”। এই ধরণের সংক্রমণের ফলে চোখের পাতায় চুলকায় ও লাল হয়ে যায় ও যন্ত্রণার সৃষ্টি করে এবং চোখের পাপড়িতে খুশকির মত আঁশ হতে দেখা যায়।
৮। তেলতেলে চুল
আপনি যখন খুশকির সমস্যায় ভোগেন তখন মাথার তালুতে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়। এর ফলে চুল তেল চিটচিটে হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলা উচিৎ।
৯। অ্যাজমা
খুশকির সবচেয়ে খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে অ্যাজমা। খুশকি যখন পাউডারের মত ঝরতে থাকে তখন তা ফুসফুসের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি হয়তো এটা লক্ষ রাখতে পারেননা যে শ্বাস গ্রহণের সময় এটি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং  অ্যাজমার লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।  
চিকিৎসা জগতে খুশকির কারণ ও প্রতিকার এখনো অজানা রয়ে গেছে। যদিও খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় কার্যকরী প্রমানিত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুশকির কোন চিকিৎসা করা হয়না। যদি আইব্রুতে, কপালে, নাকের পাশে ও থুতনিতে দেখা যায় তাহলে চিকিৎসা শুরু করা যায়।     

Wednesday, December 9, 2015

নির্জীব চুল ঝলমলে করে তুলুন সহজ ৯টি উপায়ে

ranna banna o beauty tips
জীবনে সব কিছু ত্রুটিহীন হয়না। কিন্তু চুল অবশ্যই ত্রুটিহীন হওয়া সম্ভব। সাধারণত চুলের ওভার স্টাইলিং বা প্রখর রাসায়নিক ব্যবহারের জন্যই চুল স্ট্যাটিক বা উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। একটি গবেষণা প্রকাশ করে যে, চুল স্ট্যাটিক হয়ে গেলে দেখতে প্রাণহীন, ভোঁতা ও শুষ্ক হয়ে যায়। এই স্ট্যাটিক চুলের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে চূলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে হবে এবং সঠিক ভাবে পুষ্টি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যখন বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে তখন অর্থাৎ শীতের সময়ে চুলের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। ভালো শ্যাম্পু ও ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো কিছু উপায়ে চুলের এই সমস্যার সমাধান করা যায়, চলুন জেনে নেই সেই উপায় গুলো কী।

১। ভেজা চুল আঁচড়ান

স্ট্যাটিক হেয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ভেজা চুল আঁচড়ানো। চুল ভেজা আছে এমন অবস্থায় মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। চুল ভেজা অবস্থায় দুর্বল থাকে তাই মোটা দাঁতের চিরুনি প্রয়োজন।

২। হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন

চুলে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এবং চুলের আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য হেয়ার সিরাম লাগান। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। তাহলে চুল তেলতেলে দেখাবে। ৩ থেকে ৪ ফোটাই যথেষ্ট।

৩। প্লাস্টিকের চিরুনি বাদ দিন
প্লাস্টিকের চিরুনি ঘর্ষণের সৃষ্টি করে যা স্ট্যাটিক হেয়ারের জন্য দায়ী। তাই প্লাস্টিকের পরিবর্তে মেটাল বা কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন তারপর অন্য চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চূলকে সাজান।

৪। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কমিয়ে দিন

চুল শুকানোর জন্য খুব বেশি ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। ভেজা চুল পাতলা সুতির তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এতে চুলের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। যদি ড্রায়ার ব্যবহার করতেই হয় তাহলে চুলের কিছু অংশে ব্যবহার করুন। আয়নিক ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আয়নিক ড্রায়ার চুলের ইলেকট্রিক চার্জ প্রতিরোধ করে। ইলেকট্রিক চার্জের কারনেই চুল স্ট্যাটিক বা নির্জীব হয়।  

৫। লোশন ব্যবহার করুন

তাৎক্ষণিক ভাবে চুল এর নির্জীবতা দূর করতে হ্যান্ড লোশন ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য লোশন হাতে নিয়ে ঘষুন, তারপর আপনার চুলের ভেতর হাত বুলিয়ে নিন। এতে চুলের নির্জীবতা দূর হবে।

৬। হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন

আপনার হেয়ার ব্রাশে স্প্রে লাগিয়ে চুল ব্রাশ করুন, এতে চুলের উস্কোখুস্কোভাব দূর হয়।

৭। পানি ব্যবহার করুন

সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকরী হচ্ছে পানিতে হাত ভিজিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে হাত বুলিয়ে নিন। এতে তাৎক্ষণিক ভাবে চুল ঠিক হয়ে যায়।

৮। ড্রায়ার শিট ব্যবহার করুন
আপনার চিরুনি ড্রায়ার শিট দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন এবং আপনার চুলেও ড্রায়ার শীট ব্যবহার করুন। এতে চুলের নির্জীবতা দূর হয়।

৯। রাবারের সোল যুক্ত জুতা পরিধান করা বাদ দিন

রাবারের সোল চুলের বৈদ্যুতিক আধান তৈরি করে যা চুলের নির্জীবতা সৃষ্টিকারী। অন্য দিকে চামড়ার জুতা জামা কাপড় ও চুলের বৈদ্যুতিক আধান কমায়। তাই রাবারের জুতা না পরে চামড়ার জুতা পড়ুন।