Showing posts with label health tips. Show all posts
Showing posts with label health tips. Show all posts

Sunday, January 3, 2016

সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা

sasthobarta protidin
সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপনি কি চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবার পছন্দ করেন? এই খাবার গুলো তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা। ৫০০০ বছর পূর্বে চীনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা। আপনি কি জানেন প্রাচীন মিশরীয়রা পৃথিবীর প্রতীক হিসেবে পেঁয়াজের কন্দকে পূজা করত? পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজের কন্দ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এতে উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই নরম কচি পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে। একে স্প্রিং অনিওন বা সবুজ পেঁয়াজ ও বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের কন্দে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে থাকে। এছাড়াও কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার থাকে। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজ পাতা। পেঁয়াজ পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জানা যাক এবার।
১। হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাঁধা প্রদান করে কোষ কলার এবং DNA এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজ পাতার সালফার করোনারি হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
২। শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়তা করে
অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বাহির করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজ পাতা।
৩। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৪। স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ করে
লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যান্সার রোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
৬। পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করে
সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীর জটিলতার ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার হচ্ছে স্প্রিং অনিওন। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে
পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন  কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এছাড়াও এঁরা রক্ত সংবহনের উন্নতি করে এবং শরীরে ভিটামিন বি১ এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি।                                           
এগুলোর পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল‍্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগার লেভেল কমায় সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খান।

পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো

sasthobarta protidin
পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো
আপনার যদি কখনো পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি জানেন এর লক্ষণ গুলো : দিনটা হয়তো শুরু করেছেন সমতল পেট নিয়ে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আপনার পেট ফুলতে শুরু করলো এবং পেট শক্ত ও ভরা অনুভব করছেন। সারাদিন এই অবস্থা থাকার ফলে আপনার পেট অনেকটা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের মত দেখাবে। অন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয় বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই অস্বস্তিকর সমস্যাটির জন্য নানা কারণ দায়ী যেমন- বায়ু, অতিরিক্ত খাওয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, হরমোনের পরিবর্তন, খুদ্রান্তে ব্যাকটেরিয়ার অতিবৃদ্ধি, কিছু ঔষধের কারণে, খাদ্যের অসহনীয়তা, গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ইত্যাদি। এছাড়াও মারাত্মক কোন অসুখ যেমন- কোলিক ডিজিজ, ক্রন্স ডিজিজ এবং কোলন ক্যান্সারের জন্যও পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করা যায়। আপনি একটি নোট বুকে এক সপ্তাহের খাদ্য তালিকা লিপিবদ্ধ করুন। আপনি কখন কি খাচ্ছেন এবং কোন খাবারে কেমন অনুভব করছেন সব লিখে রাখুন। এর ফলে খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার শরীরের উপযোগী এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী এই উভয় প্রকার খাদ্য গুলোই চিহ্নিত করতে পারবেন। সাধারণত যে খাবারগুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হল-
১। ভাজা পোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার 
বিভিন্ন প্রকার ফাস্ট ফুড যেমন- বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন, চিপস ইত্যাদি খাবার এবং সমুচা, সিঙ্গারার মত ডিপ ফ্রায়েড খাবার ব্লটিং এর সমস্যা তৈরি করে। কারণ এগুলোকে ভেঙ্গে হজম উপযোগী করতে পাকস্থলীর অনেক সময় লাগে। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য গ্যাস উৎপন্ন হয় যা ব্লটিং এর কারণ।
২। লবণাক্ত খাবার
ব্লটিং সমস্যায় সবচেয়ে দায়ী হচ্ছে লবণ। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে ফলে পেট ফেঁপে থাকে। প্রক্রিয়া জাত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী থাকে।
৩। মসলাযুক্ত খাবার
মসলা যুক্ত খাবার পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে যা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। তাই ব্লটিং এর সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে খাবারে বিভিন্ন রকমের মসলা যেমন- গোলমরিচ, জায়ফল, লবঙ্গ, মরিচ গুঁড়া, কারি, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, সজিনা, টমেটো সস, বারবিকিউ এবং ভিনেগার ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করুন।
৪। কার্বোনেটেড ডিঙ্কস
সোডা থেকে শুরু করে ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটার পর্যন্ত সকল ধরণের কার্বোনেটেড ডিঙ্কসই ব্লটিং এর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই পানীয় গুলোতে বিদ্যমান কার্বন ডাই অক্সাইড পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি করে।
৫। দুগ্ধ জাতীয় খাবার
যদি আপনার শরীর ল্যাকটোজ হজমে অপারগ হয় তাহলে দুধের তৈরি খাবার খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি হয়। ল্যাক্টোজ পাকস্থলীতে পুরোপুরি হজম না হলে কোলনে যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া এগুলোকে ভাঙ্গার জন্য গ্যাস নির্গত করে। যদি আপনার লেক্টোজ অসহনীয়তার সমস্যাটি থেকে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ অন্য খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।
এছাড়াও বন রুটি, বাঁধাকপি, চুইংগাম, আইসক্রিম, সাদা চাল, শতমূলী, ব্রোকলি, আপেল, ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার ইত্যাদি খাবার গুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার মতোই ফ্রুক্টোজের অসহনীয়তার সমস্যা থাকতে পারে কারো কারো। তাই ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম আছে এমন ফল খান। অনেক বেশি শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খেলেও বেলি ব্লটিং হতে পারে।

Saturday, January 2, 2016

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার

sasthobarta protidin
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার
লিলি পরিবারের অন্তর্গত অ্যালোভেরা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে উদ্ভুত হয়। ক্যাকটাসের মত দেখতে মাংসল পাতার অ্যালোভেরা একটি জনপ্রিয় উদ্ভিদ। এর বাংলা নাম ঘৃতকুমারী। অ্যালোভেরা পাতায় আঠালো ও থকথকে জেলীর ন্যায় পদার্থ থাকে যার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উপকারিতা অপরিসীম। আপনি হয়তো শুনেছেন অ্যালোভেরা জেল সান বার্ন এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অ্যালোভেরার আরো অনেক ব্যবহার আছে যা আপনি জানেন না। আজ সেগুলোই জেনে নিই আসুন।
১। মেকাপ রিমুভার
বেশীরভাগ আই মেকাপ রিমুভার কঠোর রাসায়নিক এবং প্যারাফিনের সমন্বয়ে গঠিত। যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক ও যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা এই ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ভালো। কটন বলে বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে চোখের মেকআপ তুলে ফেলুন এবং এতে কোন যন্ত্রণা হবেনা।  
২। শেভিং ক্রিম
অ্যালোভেরার জেল শেভিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরার জেল  অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও ময়েশ্চারাইজিং উপাদান সমৃদ্ধ এবং শেভের জন্য ভালো। ফেনা হওয়ার জন্য অ্যালোভেরার জেলের সাথে হাত ধোয়ার সাবান ও কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস ভালো থাকবে এবং এতে কৃত্রিম ও রাসায়নিক কোন উপাদান নেই যা বেশির ভাগ শেভিং ক্রিম বা জেলে থাকে।
৩। হিলিং ফেস মাস্ক
অ্যালোভেরার জেল শুধুমাত্র ব্রণ বা মেছতার দাগই দূর করেনা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে তারুণ্য দীপ্ত রাখে। হিলিং ফেস মাস্ক তৈরি করা খুবই সহজ। ১-২টি অ্যালোভেরা পাতার অর্ধেক অংশের জেল বের করে নিন। এর সাথে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন যদি আপনি ভালো ঘ্রাণ পেতে চান অথবা শুধু অ্যালোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের হালকা ঘ্রাণ আছে এবং চমৎকার ঠান্ডা অনুভূতি প্রদান করে।
৪। কাটা ও ক্ষত ভালো করে
অ্যালোভেরা জেলে পলিসেকারাইড ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে যদিও কিছু মানুষের জন্য এটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ফাইবার ক্ষত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং এর ঠান্ডা করার উপাদান কেটে যাওয়া অংশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৫। ফেস ওয়াশ
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিল চামচ আমন্ড দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস ওয়াশটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আদর্শ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেল অনন্য। ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিলচামচ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি হাতে ও মুখে লাগিয়ে মালিশ করতে থাকুন যতক্ষণ না গরম অনুভব করেন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৬। এক্সফলিয়েটর
ত্বকের পরিচর্যার জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত চমৎকার স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা ত্বককে নরম করে, কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সাথে যথেষ্ট পরিমাণ ব্রাউন সুগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে দানাদার মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণটি আপনার কনুই, গোড়ালি, বাহু ও মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৭। ফাটা দূর করে
শীতে সাধারনত ত্বক ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালোভেরা জেলের সাথে অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে ফাটা ত্বকে লাগান। এতে শুধু ত্বকের আদ্রতাই ফিরে আসবেনা ইনফেকশন থেকেও ত্বককে রক্ষা করবে।
৮। শুষ্ক মাথার তালু
অ্যালোভেরার গ্লাইকোপ্রোটিন শুষ্ক ত্বক ও শুষ্ক তালুর নিরাময় করতে পারে। আয়ুর্বেদ প্রফেসর Dr.Rajini Patankar এর মতে, অ্যালোভেরার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শুষ্কতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই অ্যালোভেরার জেল মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৯। সর্দি ও কাশি
শ্বাসনালীর ইনফেকশনের জন্য দায়ী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। কারণ এতে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানও আছে। সম পরিমাণে মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেবন করুন। গলা ব্যথা ও সাইনুসাইটিসকেও প্রশমিত করে অ্যালোভেরা জেল। 
৮। বদহজম
শীতের সময়ে পাকস্থলীর জটিলতা ও বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস অ্যালোভেরার জুস পান করলে হজম সহায়ক হয় ও শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়।
৯। আরথ্রাইটিস
শীতের সময়ে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য একদিন পরপর অ্যালোভেরার জুস পান করুন। অ্যালোভেরায় প্রদাহ রোধী উপাদান আছে যা শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে, খুশকি ও এক্সিমা দূর করতে ইত্যাদি নানা কাজের জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। আপনার বাসাতেই অ্যালোভেরার গাছ লাগাতে পারেন।

শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে
মরণব্যাধি ক্যান্সার ছোট শিশুটিকেও ছাড় দেয় না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর আনুমানিক ১২,৪০০ শিশু এবং টিনেজার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পাঁচশ জন তরুণের মধ্যে একজন তরুণ ছোটবেলায় ক্যানসারের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছে। শৈশবকালের ক্যান্সার সাধারণত বাবা মায়ের খাদ্যভ্যাসের সাথে যুক্ত থাকে। বাবা মায়ের ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে দায়ী করা হয় এর জন্য। Dr. B.C. Roy Awardee Dr. Anupam Sachdeva, Director, Pediatric Hematology Oncology and Bone Marrow Transplantation Institute For Child Health, Sir Ganga Ram Hospital কিছু উপায় বলেছেন যা দ্বারা শিশুদের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস

আপনার বাচ্চাকে ফ্রেশ ফল, শাকসবজি বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তলুন। এটি শরীরের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দূর করে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ ফল ও সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া মুরগি, সামুদ্রিক মাছ এবং সয়া খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। জাঙ্ক ফুড এবং কোলাজাতীয় পানীয় কম খাওয়ান।
২। সানস্ক্রিন ব্যবহার

আপনার বাচ্চাটি যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করুন। এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। যা স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৩। শরীরচর্চা

লক্ষ্য রাখুন আপনার শিশুটি যেন শারীরিক শ্রমে অভ্যস্ত হয়। শারীরিক কার্যকলাপ হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস, সাঁতার কাটা, বাইরে খেলাধুলা করা, হাঁটার অভ্যাস করা ইত্যাদি।
৪। ওজন বৃদ্ধি

আধুনিক সময়ে বাচ্চাদের স্থূলতা বেড়ে চলছে। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, বসে থাকা ইত্যাদি বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। একনাগাড়ে ২ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা উচিত নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সকালে নাস্তা অব্যশই খাওয়াবেন। নবজাতককে অব্যশই ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৫। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ

ছোট বয়সেই আপনার বাচ্চাকে ধূমপান এবং মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এমনকি আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা আজকেই ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকেই অনুসরণ করবে।
৬। সার্ভিকাল ক্যান্সার ভ্যাকসিন

সাধারণত ১১ থেকে ১২ বছরে শিশুদের এইচআইভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিনের দুটি অংশ সার্ভারিক্স আর গার্ডাসিল যা প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। গার্ডাসিল এবং সার্ভারিক্স মহিলাদের এইচআইভি প্রতিরোধ করে। কিন্তু গার্ডাসিল বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

হেপাটাইটিস বি ইনফেকশন লিভার ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। এর ভ্যাকসিন আপনার শিশুটিকে দিতে ভুলবেন না।
মূলত স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং সচেতনতাই পারে আপনার শিশুকে মরণঘ্যাতি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে। 

বিয়ের মৌসুমে ৭টি উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আপনার ওজন

sasthobarta protidin
বিয়ের মৌসুমে ৭টি উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আপনার ওজন
শীতকালকে বিয়ের মৌসুম বলা হয়। আজ ভাইয়ের বিয়ে তো কাল বান্ধবীর বিয়ে! এত অনুষ্ঠানের মাঝে নিশ্চয় আপনার ডায়েট প্ল্যান ঠিকমত মানা হচ্ছে না? আর এত পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়ার ফলে ওজনটাও বেড়ে গেছে অনেকখানি। এখন কি উপায়? আবার ব্যায়াম আবার ডায়েট করতে হবে! না, কিছু নিয়ম মেনে চললে উৎসবেও আপনি থাকুন একদম ফিট।
১। পার্টিতে যাওয়ার আগে খান
কোন দাওয়াত বা পার্টিতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন। সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ ক্যালরি আছে এমন স্যাঙ্কস যেমন কয়েক টুকরো ফল, লো ফ্যাট দই, একটি কলা অথবা কিছু পরিমাণ বাদাম। এটি আপনার ক্ষুধা কিছু হলে কমিয়ে দেবে। যার ফলে আপনি দাওয়াতে অনেক খাবার খেতে পারবেন না।
২। ব্যায়াম করুন
আপনার যদি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকে,সেটি এই উৎসবের সময় ত্যাগ করবেন না। অল্প কিছুক্ষণ হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বাঁধা দেওয়ার সাথে সাথে আপনার মন খারাপ ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
৩। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান
কেক, মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম পরিমাণে গ্রহণ করুন। এক চামচ কেক বা মিষ্টিতে আপনার শরীরে ৩০০ পর্যন্ত ক্যালরি বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
৪। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
আপনার যদি মাংসের বিকল্প হিসেবে সবজি বা অন্য কোন খাবার থাকে তবে মাংসের পরিবর্তে সবজি গ্রহণ করুন। মাছ বা সবজিতে মাংসের চেয়ে কম ক্যালরি থাকে, যা আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এবং ওজনও ঠিক রাখবে।
৫। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
সফট ড্রিঙ্কের পরিবর্তে পানি পান করুন। এক গ্লাস ড্রিঙ্ক আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট। খাবার খাওয়ার আগে সম্ভব হলে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার খাবার খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমিয়ে দেবে। 
৬। আস্তে আস্তে খান
আস্তে আস্তে ভাল করে চিবিয়ে খাবার খান। খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট পর মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছে যায় যে আপনার পেট ভরে গেছে। তাই আপনি যদি আস্তে আস্তে অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ করুন, সেটা আপনার পেট ভরিয়ে দিবে।
৭। হিসাব রাখুন
সপ্তাহিক কী পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করবেন বা কী পরিমাণ খাবেন তার একটি লিস্ট রাখুন। খাদ্য তালিকা থেকে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করবেন না। বরং কী পরিমাণে খাবেন, সেটি ঠিক করুন। প্রতিদিন কী পরিমাণ সবজি খাবেন সেটির পরিমাণ ঠিক করে নিন।
উৎসব অনুষ্ঠানে একটু হিসেব করে খাওয়া দেওয়া করলে এবং তার সাথে অল্প একটু ব্যায়াম আপনার ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

Thursday, December 31, 2015

ঠাণ্ডাজ্বর প্রতিরোধে আপনার মেকআপ যেভাবে ব্যবহার করবেন

sasthobarta protidin
ঠাণ্ডাজ্বর প্রতিরোধে আপনার মেকআপ
পুরো শীতকাল জুড়েই ঠাণ্ডা-জ্বর-সর্দিতে ভুগে থাকেন অনেকে। খুব খারাপ অবস্থা হয় তাদের যারা মেকআপ ছাড়া চলতে পারেন না। ঠাণ্ডাজ্বর নিয়ে মেকআপ করাটা যেমন কঠিন, সেই মেকআপ রাখাটাও কঠিন। আর মেকআপের যত্ন না নিলে এগুলোই আসলে আপনার অসুস্থতাকে আরও বাড়াতে পারে। জেনে নিন ঠাণ্ডাজ্বরের এই সিজনে সুস্থ থাকতে কী করতে পারেন আপনি।
১) মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখুন

মেকআপ ব্রাশে খুব সহজে ময়লা ধরে। এগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন প্রতিদিন ব্যবহারের পর। হ্যাঁ, প্রতিদিন ধোয়াটা কষ্ট মন হচ্ছে বটে কিন্তু এই কাজটা করলে আপনার অসুস্থ হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। এছাড়াও মেকআপ ব্রাশ বাথরুমে রাখবেন না। জীবাণু বেশি লাগবে তাতে। ব্রাশগুলো ধুয়ে শুকিয়ে মেকআপ ব্যাগে ভরে রাখুন।
২) বাথরুমের বেসিনের তাক এবং ড্রেসিং টেবিল রাখুন জীবাণুমুক্ত

বাতাসের ধুলোর সাথে অনেক জীবাণু ছড়ায়। এই ধুলো জমে থাকে টেবিল এবগ্ন তাকের ওপরে। আপনি মেকআপ করতে করতে যেই টেবিলের ওপর ব্রাশটা রাখবেন তখনই এই জীবাণু ছড়িয়ে যাবে। এ কারণে এসব জায়গা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখাটা জরুরী।
৩) মেকআপ ব্যাগের কথা ভুলবেন না

মেকআপ ব্যাগে ময়লা এবং পুরনো মেকআপের ধুলো জমে জমে জীবাণুর আখড়া হয়ে থাকে। এটাকে পরিষ্কার করতে ভুলে গেলে চলবে না মোটেই। কাপড়ের তৈরি মেকআপ ব্যাগ হলে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন রোদে। আর প্লাস্টিক, রেক্সিন বা চামড়ার ব্যাগ হলে এর ওপরে ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে ১০ সেকেন্ড রাখুন, এরপর মুছে ফেলুন পরিষ্কার করে।
অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন?

ইতোমধ্যেই আপনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। চেহারায় অসুস্থতার ছাপ পড়েছে। কী করতে পারেন এমন অবস্থায়?

-   বেশি করে পানি পান করুন। এটা আপনাকে সারিয়ে তোলার পাশাপাশি আপনার চেহারা থেকেও অসুস্থতার ছাপ কমিয়ে দেবে।

-   এক্সফলিয়েট করতে ভুলবেন না। এটা আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে আপনাকে আরও প্রাণবন্ত দেখাতে সাহায্য করবে।

-   নাক মুছতে মুছতে লাল হয়ে যায় অনেকেরই। ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া একটু কম হতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে এই জ্বলুনি কমানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। আর লালচেভাব দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন এমন একটা কনসিলার যেটায় একটু সবজেটে ভাব আছে। অথবা একটা সবুজ কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে পারেন।

-   অসুস্থ চেহারা নিয়ে বাইরে কেউই বের হতে চায় না। ব্রঞ্জার এবং ব্লাশ ব্যবহার করে চেহারার নিস্তেজ ভাবটাকে দূর করতে পারেন। মাশকারা ব্যবহার করলে চোখটাকে উজ্জ্বল লাগবে, আর ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন ন্যাচারাল শেডের একটা গ্লস। তবে মেকআপ ন্যাচারাল রাখবেন অবশ্যই।

অসুস্থ হবার পর থেকে সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এতে থেকে যাওয়া জীবাণু আপনাকে আবার অসুস্থ করে ফেলতে পারে। সেরে ওঠার পরে মেকআপ ডিসইনফেক্ট করার আরও কিছু টিপস দেখে নিতে পারেন-

    সারারাত লিপস্টিক এবং মাসকারা ফ্রিজারে রেখে দিলে জীবাণু মরে যাবে
    পেন্সিল আইলাইনার ব্যবহার করার সময় নতুন করে শার্প করে নিন
    পাউডার ব্যবহারের সময়ে ওপরের লেয়ার ঝেড়ে ফেলুন
    অন্যদের সাথে নিজের মেকআপ শেয়ার করবেন না, তাতে জীবাণু ছড়ায়

Monday, December 14, 2015

বন্ধ নাক থেকে মুক্তি

sasthobarta Protidin
বন্ধ নাক থেকে মুক্তি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ পরিস্থিতির তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে শ্লেষ্মা শ্বাসযন্ত্রে চলে গেলে পরে বড় ধরনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বন্ধ নাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় দেওয়া হয়।

শোয়ার সময় মাথা উঁচুতে রাখতে হবে

ঘুমানোর সময় বা শুয়ে থাকলে মাথা কিছুটা উঁচুতে রাখা উচিত। এক্ষেত্রে মাথার নিচে খানিকটা উঁচু বালিশ রেখে, ছাদের দিকে মুখ করে শোয়া যেতে পারে। এতে শ্লেষ্মা তৈরির পরিমাণ কম হবে।
বন্ধ নাকের সমস্যা এড়াতে পেঁয়াজ

এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে তা নাকে শুকে নিলেই বন্ধ নাকে আরাম পাওয়া যাবে। পেঁয়াজের ঘ্রাণ বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করবে। এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে টানা ৫ মিনিট ঘ্রাণ নিলেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

ঝাল খাবার

ঠাণ্ডা লাগলে এবং নাক বন্ধ থাকলে ঝাল খাবার বেশ ভালো লাগে। এর পাশাপাশি মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বন্ধ নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

গরম পাণীয় পান করা

চা বা কফির মতো গরম পানীয় পান করলে ঠাণ্ডায় উপকার পাওয়া যায়। পানীয়ের গরম ভাপ শ্লেষ্মা হালকা করতে সাহায্য করে। গরম পানীয়র মধ্যে বন্ধ নাক থেকে মুক্তি পেতে চা সব চাইতে বেশি উপকারী।

ভাপ নেওয়া

গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মেনথল মিশিয়ে, হাঁড়ি বা বাটির উপর মাথা নিয়ে মাথার উপর একটি তোয়ালে বা চাদর দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। এবার গরম পানি ও মেনথল মিশ্রিত ভাপ নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে টেনে নিতে হবে। গরম ভাপ এবং মেনথল ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী।.

এই সাধারণ টোটকাগুলো নাক বন্ধের সমস্যা অনেকটাই লাঘব করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরোপুরি সারিয়ে তুললেও অনেক সময় বেশি সমস্যা হলে পুরোপুরি আরগ্য হওয়া সম্ভব হয় না। তবে ঠাণ্ডা এবং নাক বন্ধের কারণে অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করবে এই উপায়গুলো।

ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার

Sasthobarta protidin
ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার
সঙ্গমের আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে এবং সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে খেতে পারেন ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক ফুড’ নামে পরিচিত কিছু খাবার।

এই খাবারগুলো যৌনসুখের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং বিভিন্ন গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে পুরুষ ও নারীদের যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা বাড়ায়।




স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানায়। 

চকলেট: রোমান্স আর আবেগের প্রতীক চকলেট। বলা হয়, চকলেট খাওয়ার পর নারীদের শরীরে যে পরিমাণ ‘এন্ডোফরমিন’ তৈরি হয় তা ঘনিষ্ঠ ‘ফোরপ্লে’য়ের তুলনায় চার গুণ। পাশাপাশি ‘ফোরপ্লে’তে চকলেটের রয়েছে কয়েকটি আকর্ষণীয় ব্যবহারও।

কমলা: একটি মিষ্টি ও আবেদনময়ী ফল এই কমলা। সঙ্গীকে কামোত্তেজক এক অভিজ্ঞতায় প্রতি আকৃষ্ট করতে চকলেটের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ফল।

ডিম: শেষ কবে কোনো রকম তাড়াহুড়া ছাড়া দুশ্চিন্তামুক্তভাবে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছিলেন মনে করতে পারেন? দৈনন্দিন রুটিনবাঁধা জীবন আর সংসারের বিভিন্ন ঝামেলার কারণে যৌনজীবন আকর্ষণীয় করা নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এখানেই ডিমে থাকা ‘ভিটামিন বি ফাইভ’ এবং ‘ভিটামিন বি-সিক্স’য়ের ভূমিকা। দুটোই মানসিক চাপ কমায়, বৃদ্ধি করে যৌন ক্ষমতাও। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত অন্যান্য উপকার তো আছেই।

তরমুজ: যৌনজীবনে ফুলঝুরি ফোটাতে চাইলে প্রতিদিন তরমুজ খাওয়া শুরু করতে পারেন। ‘প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা’ হিসেবে বিবেচিত তরমুজ হল ‘সিট্রুলিন’ নামক একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস, যা রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণে সাহায্য করে। যৌনাঙ্গ দৃঢ় হওয়া বিষয়ক সমস্যার চিকিৎসায় তরমুজ বেছে নিতে পারেন।

জাফরান: তাৎক্ষনিক উপকার পেতে দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে যোগ করা যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ জাফরান। প্রাকৃতিক ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক’ খাবারের উপকারীতা বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, এটা যৌন চাহিদা বাড়াতে সহায়ক। ‘ক্রোকাস স্যাটিভাস’ নামক ফুলের গর্ভমুণ্ড বা পরাগধানী শুকিয়ে জাফরান তৈরি করা হয়। ভারতীয়, ইতালিয়ান এবং স্প্যানিশ কুইজিনে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

রসুন: সমস্যা মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের যৌনস্বাস্থ্য ও ক্ষমতার উপর গুরুত্ব দেই না। এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত এবং প্রতিদিন রসুন খাওয়ার মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন প্রক্রিয়া, যৌনক্ষমতা এবং সঙ্গমের চাহিদা বৃদ্ধি করতে রসুনের উপকারিতা সুপরিচিত। এর প্রধান কারণ হল, রসুনে প্রচুর পরিমাণে থাকে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান, যা যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।

চোখের বিশেষ যত্ন

sasthobarta protidin
চোখের বিশেষ যত্ন
সারাদিন আমাদের চোখ জোড়া প্রচুর কাজ করে, যা আমরা অনেকেই মাথায় রাখি না। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া পুরো দিন জুরেই কাজ করতে থাকে আমাদের চোখ। আর চোখ এবং চোখের আশপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। আর ওই অংশে বয়সের ছাপও দ্রুত পড়ে তাই আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়।

দিন শুরু করুণ ফল খেয়ে: দিনের শুরুতে বেশ খানিকটা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ ফল খেয়ে দিন শুরু করলে তা চোখ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। ফল চোখ ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।

টি ব্যাগ ও অলিভ অয়েল: ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে চোখের উপর চেপে ধরলে আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। তবে চোখের আশপাশের কোমল ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলও কার্যকর। এক টুকরা তুলা তেলে ভিজিয়ে চোখের চারপাশের ত্বকে লাগাতে হবে, এরপর ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে বিশ্রাম নিতে হবে।

চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখুন: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এর পাশের ত্বকে বলিরেখা পরে। তাই ঘন ঘন চোখের পাতা বন্ধ করতে এবং খুলতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করতে হবে।

যে কোনো স্ক্রিনে কাজ করার সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর বিরতি নিতে হবে, চোখের বিশ্রামের জন্য।

চোখের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক: রূপচর্চায় মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ত্বকের পাশাপাশি চোখ ও চোখের ত্বকেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। চোখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই সব থেকে উপযোগী। শসা, আলু ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পানি থাকে এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই এই উপাদানগুলো চোখের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি চোখ উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

সবসময় খুশি থাকুন: অবসাদ এবং মানসিক চাপের ছাপ পড়ে চোখে। এতে চোখ নিস্তেজ দেখায়। ক্লান্তি, রাগ, অপর্যাপ্ত ঘুম চোখে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।

Sunday, December 13, 2015

স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীর জন্য জরুরী ১২ টি কাজ

sasthobarta protidin
স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীর জন্য জরুরী ১২ টি কাজ
সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরী। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও হয়ে পড়ে জরুরী। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ।
১)  ব্যবহার করুন সঠিক মাপের ব্রা

আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। সময়ের সাথে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী।
২) মাঝে মাঝে ব্রা ছাড়াই থাকুন

বাড়িতে ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝে মাঝে স্পোর্টস ব্রা পরেও থাকতে পারেন।
৩) মাসাজ করুন

শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল বজায় রাখতে মাঝে মাঝে স্তন মাসাজ করতে পারেন।
৪) নিজে থেকেই পরীক্ষা করুন

নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করলে ক্ষতি কোথায়? কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানতে মাঝে মাঝে স্তন পরীক্ষা করুন নিজেই। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৫) স্বাস্থ্যকর খাবার খান

মধ্যবয়সে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি আপনার স্তন থাকবে সুস্থ।
৬) ময়েশ্চারাইজিং

সারা শরীরের ত্বকের মতো স্তনের ত্বকেও পড়তে পারে বয়সের ছাপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন। এ কারণে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরী।
 ৭) ধূমপান নিষিদ্ধ

খুব কম সময়েই আমাদের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান। এর পাশাপাশি স্তন ঝুলে যাবার কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে ধূমপান। সুতরাং নিজের শরীর ভালো রাখতেই বাদ দিন এই বিশ্রী অভ্যাসটি। কমিয়ে ফেলুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রাও।

৮) ব্যায়াম করুন

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।
৯) ম্যামোগ্রাম

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্তন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলে বার্ষিক স্তন পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায় দ্রুত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন।
 ১০) থাকুন ইমপ্ল্যান্ট এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং এনহান্সিং কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভীষণ ঝুকিপুর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।
১১) ব্রেস্ট ফিডিং করান

আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
১২) ঝুঁকির ব্যাপারে জেনে রাখুন

আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কারও ব্রেস্ট ক্যান্সার আছে কিনা তা জানা থাকলে নিজের ঝুঁকির ব্যাপারেও আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন।

খুব সহজে ঘরে তৈরি করে ফেলুন ভিটামিন বি এনার্জি ড্রিঙ্ক!

sasthobarta protidin
ভিটামিন বি এনার্জি ড্রিঙ্ক
প্রতিদিন খাবার সাথে আমরা নানা রকমের পানীয় পান করে থাকি। কিন্তু এই সকল পানীয়ের মধ্যে বেশিরভাগ সময় আমরা কোল্ড ড্রিঙ্ক অথবা এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করি। এই দুটি পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বাজারের এনার্জি ড্রিঙ্ক এ অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের যেন ক্ষতিকর। এর চাইতে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্ক।  ভিটামিন বি আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকারী। এটি মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে। ছয় প্রকার ভিটামিন বি আমাদের শরীরে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট ভেঙ্গে ফেলে।  ভিটামিন বি ড্রিংকে ১৩ গ্রাম চিনি, ১০০-১২৫ ক্যালরি আছে। যেখানে একটি কোকে ৩৯ গ্রাম চিনি, ১৪০ ক্যালরি থাকে। আপনি খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন বি ড্রিঙ্ক। ভিটামিন বি ড্রিঙ্কে ৮ প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এখানে প্রধান প্রধান ভিটামিন বি এর কাজ দেওয়া হল।

ভিটামিন বি১ (থায়ামিন): ভিটামিন বি১ কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি উৎপন্ন করে ডিএনএ এবং আরএনএ প্রভাবিত করে এবং নার্ভ ফাংশনকে সচল রাখে।

ভিটামিন বি২ (রিব্লোফ্লেবিন): এটি রক্তে লোহিত কণিকা তৈরি করে দেহে শক্তি প্রদান করে থাকে।

ভিটামিন বি৩(নিয়াসিন): এটি পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখে।

ভিটামিন বি৬(প্রাইরোডক্সিন): এটি দেহে অ্যান্টি বায়োটিক উৎপাদন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

ভিটামিন বি৫(পানথ্রোথিনিক অ্যাসিড): এটি শরীরে শক্তি যোগানোর সাথে সাথে মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে।

যা যা লাগবে
- ১ টুকরো লেবু
- ১টি পিচ ফল
- ৫/৬ টুকরো তরমুজ বা আনারস
- আপেল

- পানি
যেভাবে তৈরি করবেন

১। প্রথমে ফলগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিন।

২। এবার একটি গ্লাসে পানি ঢেলে ফলগুলো দিয়ে দিন।

৩। এখন এটি ফ্রিজে ১২-২৪ ঘন্টা রেখে দিন। এতে করে ফলের রসগুলো পানির সাথে মিশে যাবে।

৪। দিনে ১ থেকে ২ গ্লাস এই ড্রিঙ্ক পান করুন।

৫। ৫ দিন পর পর এই পানি পরিবর্তন করুন।

এটি আপনাকে এনার্জি দেওয়ার পাশাপাশি আপনার মেটাবলিজকে প্রভাবিত করে থাকে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে এই পানীয়টি।

ঘুমানোর আগে বই পড়ার অসাধারণ উপকারিতা

sasthobarta protidin
ঘুমানোর আগে বই পড়ার অসাধারণ উপকারিতা
ঘুমানোর আগে আপনি কী করেন? হয়তোবা টিভিতে রাত্রের নিউজ দেখে ঘুমান, নয়তো কিছুটা ফেসবুকিং করেন। কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস আর এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আপনি কী জানেন, ঘুমাতে যাবার আগে বই পড়ার রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা? তারমানে এই নয় যে পুরো একটা বই পড়ে ফেলতে হবে। অল্প কিছুক্ষণ বই পড়লেই অনেকটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। কী ধরণের বই পড়বেন সেটাও আপনার ইচ্ছে। দেখে নিন ঘুমের আগে বই পড়ার উপকারিতাগুলো-
১) ঘুম হয় ভালো

২০০৯ সালের একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ঘুমানোর আগে ছয় মিনিট বই পড়লে স্ট্রেস কমে যায় ৬৮% পর্যন্ত। এতে মাথা থেকে চিন্তভাবনা দূর হয়, শরীর রিল্যাক্স হয়ে ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।
২) মানসিক শক্তি বাড়ে

ঘুমের আগে বই পড়ে কিছুক্ষণ কাটালে আপনার মানসিক শক্তি বাড়ে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত বই পড়েন তাদের শব্দভান্ডার এবং সাধারণ জ্ঞান হয়ে থাকে অন্যদের চাইতে বেশি। এ কারণে ঘুমানর আগে একটি বইয়ের দিকে হাত বাড়াতে পারেন আপনিও।
৩) ছোটখাটো অসুস্থতা সারায়

দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতার মতো অসুস্থতাগুলোকে সারিয়ে তুলতে অবদান রাখতে পারে ঘুমের আগে কিছুটা বই পড়া। ব্রিটেনের ডাক্তারের হালকা থেকে মাঝারি বিষণ্ণতার রোগীদেরকে বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটা উপকারী হতে পারে আপনার জন্যও।
৪) আলঝেইমার্সের ঝুঁকি কমায়

যেসব হবিতে মস্তিষ্ক খাটানো হয়, যেমন পাজল, ক্রসওয়ার্ড, বই পড়া- এগুলো আলঝেইমার্সের ঝুঁকি কমাতে কাজে লাগে। শরীরের কোনো অঙ্গকে সচল রাখলে যেমন তাতে অসুখ কম হয়, তেমনি মস্তিষ্ককে সচল রাখলেও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি কম থাকে।
৫) স্ট্রেস কমায়

ঘুমানোর আগে বই পড়লে শরীরের কর্টিসল লেভেল কমে যায়। খুব বেশি কর্টিসল শরীরে থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এ কারণে কর্টিসল কমাটা ভালো বৈ কী। আর কর্টিসল কম থাকলে ঘুমটাও হবে ভালো।

অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন এই ৬টি কাজে

sasthobarta protidin
অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন এই ৬টি কাজে
স্বাস্থ্য ভালো থাকুক সেটা তো চাই আমরা সবাই। কিন্তু দিনের বেশীরভাগ সময়ই চলে যায় অফিসে বসে। তাহলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কী করে? সপ্তাহে ৫/৬ দিন আট ঘন্টা করে বসে থাকলে বরং স্বাস্থ্যগত সমস্যা হবারই কথা। কিন্তু তাই বলে তো আর চাকরি বাদ দেওয়া যায় না। জেনে নিন অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের যত্ন নেবার দারুণ কিছু কৌশল।
১) দাঁড়িয়ে থাকুন কিছুক্ষণ

ইংল্যান্ডের একটি নতুন গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়, প্রতিদিন অফিস চলাকালীন সময়ে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাটানো উচিৎ। দীর্ঘ সময় জবুথবু হয়ে বসে কাটানোতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই কারণে দিনে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে অফিস করার চেষ্টা করা ভালো, জানা যায় Huffington Post থেকে। এই কাজটির জন্য আপনি সুযোগ পেলেই হাঁটাহাঁটি করুন। লাঞ্চ টাইমে বাইরে থেকেও হেঁটে আসতে পারেন।
২)  স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখুন

অনেক সময় দেখা যায় আপনি না চাইলেও আপনার কলিগদের কাছে অস্বাস্থ্যকর কোনো স্ন্যাক্স, জাঙ্ক ফুড আছে বলে সেগুলো আপনার পেটে চলে যাচ্ছে। এ কারণে যাদের কাছে অস্বাস্থ্যকর খাবার আছে তাদের থেকে সেদিন একটু দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ফল জাতীয় খাবার দিয়ে স্ন্যাকিং করুন। লাঞ্চে রাখুন সকাস্থ্যকর খাবার যা আপনার পেট ভরা রাখবে অনেকক্ষণ। আর পানি পান করুন যথেষ্ট পরিমাণে।
৩) ঘাড়ের ব্যায়াম

অনেকক্ষণ একই অবস্থানে ঘাড় ও কাঁধ শক্ত করে রাখলে দেখা দিতে পারে টেনশন নেক সিনড্রোম (TNS)। অনেকটা সময় কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন চেপে রেখে কথা বলা বা টাইপ করার কারণে এই সমস্যাটা হতে পারে। এর জন্য ব্যবহার করুন স্পিকার ফোন বা হেডফোন। একই অবস্থানে বেশিক্ষণ ঘাড় শক্ত করে রাখবেন না।
৪) চোখের যত্ন

চোখ থেকে এক হাত দুরত্বে থাকবে আপনার মনিটর। এ অবস্থানে যদি আপনার দেখতে সমস্যা হয় তাহলে ফন্ট বড় করে নিন।
৫) পরিষ্কার করুন ডেস্ক

আপনার কী-বোর্ড, মাউস এবং ফোনে প্রচুর জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। নিয়ম করে মাঝে মাঝে এগুলোকে ডিসইনফেক্ট করা জরুরী, নয়তো আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
৬) টানা কাজ করবেন না

জরুরী কোনো প্রজেক্টে কাজ করার সময় টানা দীর্ঘ অনেকটা সময় আমরা বসে কাটিয়ে দেই একই অবস্থানে। এটা যে আমাদের শরীরের জন্য খারাপ সেটাও আমরা লক্ষ্য করি না। কিন্তু এর বদলে আপনি ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে কাজ করতে পারেন এবং প্রতি ২০ মিনিট পর পর একবার উঠে দাঁড়াতে পারেন। Business Insider এর মতে এই কাজ দুটি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।

এই ৭টি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন নতুন মায়েরা

sasthobarta protidin
এই ৭টি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন নতুন মায়েরা
একজন নতুন মাকে নানা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চা যখন মায়ের বুকে দুধ খায় তখন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার আছে যা মায়েদের এড়িয়ে চলতে হয়। অনেক সময় দেখা গেছে এই খাবারগুলো খাওয়ার পর বাচ্চারা মায়ের দুধ খেতে চায় না অথবা দুধ খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই মায়েদের সচেতন থাকতে হয় সর্বক্ষণ। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যাতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
১। কফি

আপনি যখন কফি বা চা পান করেন তখন ক্যাফিনের কিছু অংশ দুধের সাথে মিশে যায়। ছোট শিশুদের বড়দের মত ক্যাফিন শোষন করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে ওদের পেটে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া,  অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। তাই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২। লেবু জাতীয় ফল

লেবু জাতীয় সকল ফল এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই জাতীয় ফলে অ্যাসিড থাকে যা শিশুর বুক জ্বালা পোড়া, পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকি শিশুর শরীরে র‍্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আপনি লেবুর পরিবর্তে অন্য ভিটামিন সি এর উৎস যেমন পেঁপে আম,খেতে পারেন।
৩। চকলেট

এই সময় আপনার প্রিয় চকলেট খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। চকলেট বিশেষ করে ডার্ক চকলেটে ক্যাফিন থাকে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। চকলেট খাওয়ার পর দুধ খেলে আপনার বাচ্চা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয় তবে চকলেট খাওয়া বন্ধ করে দিন।
৪। ব্রকোলি

ব্রকোলির পুষ্টিগুণ অনেক, কিন্তু বাচ্চা দুধ খাওয়ানোর সময় ব্রকোলি, ফুলকপি জাতীয় গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে যা বাচ্চার ক্ষতি করে।
৫। রসুন

আপনার যদি কাঁচা রসুন বা রসুনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। রসুনের গন্ধ বুকের দুধের মধ্যে আসে যা আপনার বাচ্চা পছন্দ নাও করতে পারে।
৬। কিছু মাছ

মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কিন্তু কিছু মাছ যেমন টুনা মাছ, আঁশযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৭। দুগ্ধজাত খাবার

দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু শিশুরা এই জাতীয় খাবার সহজে হজম করতে পারে না। বিশেষ করে গরুর দুধের প্রোটিন। চিজ, পনির, টকদই বা অন্য কোন দুগ্ধ জাতীয় খাবার মা খেলে তা দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে চলে যায়। এতে শিশুর হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস বা পেট ব্যথা সহ অনেক সমস্যা দেখে দিতে পারে।

কপালের আশেপাশে চুল কমে যাওয়া রোধ করবেন যেভাবে

sasthobarta protidin
কপালের আশেপাশে চুল কমে যাওয়া রোধ করবেন যেভাবে
অনেক মানুষ আছেন যাদের কপাল অনেক বড় থাকে এবং তাঁরা তাঁদের এই বড় কপাল ঢাকার জন্য বিভিন্ন রকম হেয়ার কাট দিয়ে থাকেন। কপালে চুল কম থাকলে কপাল বড় ও চ্যাপ্টা দেখায়। সাধারণত হরমোনের পরিবর্তন, জেনেটিক কারণ বা পুষ্টির অভাবে চুল পড়ার সমস্যা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে অ্যালোপেসিয়া বলে। কপালের সামনের দিক থেকে চুল ওঠা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে পেছনের দিকে যেতে শুরু করে এবং টাক পড়ে। যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক ভাবেই চুল গজানো যায় তাহলে অনেক টাকা খরচ করে হেয়ার ট্রিটমেন্ট কেন করবেন? আসুন জেনে নেই ঘরোয়া উপায়ে কপালের চুল গজানোর কিছু উপায়।

১। অয়েল ম্যাসাজ

চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য হচ্ছে ওয়েল ম্যাসাজ করা। নারিকেল তেল বা  আমন্ড তেল গরম করে ম্যাসাজ করলে চুল বৃদ্ধি পায় এবং এতে চুল শক্তিশালী ও পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়।

২। মেহেদি

হেনা প্যাক যাতে মেহেদির সাথে আমলা, শিকাকাই ও ব্রাহ্মী মেশানো থাকে তা দই এর সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন অথবা মেহেদি পাতার সাথে গোলাপ ফুল ও মেথি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।

৩। গ্রিনটি ও ডিমের মাস্ক

গ্রিনটি ও ডিমের মাস্ক ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে চুল কোমল ও উজ্জ্বল হয়। ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ গরম গ্রিনটি মেশান যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়। মিশ্রণটি মাথায় দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। গ্রিনটির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে এবং ডিম চুলকে মসৃণ করবে।

৪। টাইট করে চুল বাঁধবেন না

চুল খুব শক্ত করে বাঁধবেন না বা পনিটেইল করে বাঁধবেন না। এতে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়। Mayo Clinic.com এর মতে, চুলের উপর বেশি চাপ পড়লে চুল পড়া বৃদ্ধি পায় এবং নতুন চুলের বৃদ্ধি বাঁধা প্রাপ্ত হয়। তাই যতটা সম্ভব চুল খোলা রাখার চেষ্টা করুন।

৫। পুষ্টিকর খাবার খান

চুল পড়া বন্ধ করতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার এবং ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য হেয়ার ফলিকল কে পুষ্টি প্রদান করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

চুল পড়ার জন্য স্ট্রেস অনেকাংশে দায়ী। যদি আপনি স্ট্রেসের সমস্যায় ভোগেন তাহলে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য ঠিক থাকবে, স্ট্রেস কমবে এবং চুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও চুল শক্তিশালী হবে।

Thursday, December 10, 2015

শীতে স্বাস্থ্যনাশ

sasthobarta protidin
ঠাণ্ডা মৌসুমে আলসেমি ভরা দিনগুলোতে সাধারণ কিছু অভ্যাস স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শীতের সকালে কম্বলের উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাহানার অন্ত থাকে না। এ কারণে প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনেও ব্যঘাত ঘটে। পাশাপাশি চা বা কফি খাওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এরকম প্রতিটি অভ্যাসই বেশ ক্ষতিকর।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের বিষয় তুলে ধরা হয়।

ব্যায়াম এড়িয়ে চলা: শীতের সকালে ঘুম বাদ দিয়ে ব্যায়াম করা মোটেও সুখকর কোনো বিষয় নয়। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম বাদ পড়ে যায় এই মৌসুমে। ‍সকালে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর শরীরচর্চা করলে মন ভালো রাখার হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই শীতের সকালেও কিছুটা কষ্ট করে ব্যায়াম করলে সারাদিন বেশ ফুরফুরে লাগবে।

সারাদিন ঘরে থাকা: শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরের ভেতর থাকতে পছন্দ করেন। এতে একঘেঁয়েমি এবং অবসাদ চেপে বসতে পারে। তাই শীতেও ঘর থেকে বের হওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘুমানো: শীতে সাধারণভাবেই ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, একইভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমানও ঠিক নয়।

খাবারে লাগাম না টানা: খাওয়ার জন্যও বেশ উপযুক্ত সময় শীতকাল। তৈলাক্ত বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে গরমে যেমন অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে সেই সম্ভাবনা এই মৌসুমে অনেকটাই কম। তাই নিয়মিত ডায়েটেও ব্যঘাত ঘটে। শরীরে ক্যালরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণেও লাগাম টানতে হবে।

দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল: শীতে উষ্ণ পানিতে গোসল করা বেশ আরামদায়ক। তবে দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি সব থেকে ভালো এবং এই সময় যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পর হালকা ভেজা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

ত্বক আর্দ্র না রাখা: সাধারণত দিনে একবার গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। এ মৌসুমে ত্বক প্রতিনিয়ত আর্দ্রতা হারায়। ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা বাড়ে। তাই যখনই ত্বক শুষ্ক মনে হবে তখনই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন? নিয়মিত খান এই ৫টি খাবার

sasthobarta protidin
Healthy Foods
রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া খুব সাধারণ একটি রোগ। মহিলা এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দিলেও এটি সব বয়সী মানুষেরই হতে পারে। রক্তে লোহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন কম থাকাকে রক্তস্বল্পতা বলা হয়। হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্তকণীকার ভিতরে একটি প্রোটিন যা দেহে অক্সিজেন প্রবাহিত করে থাকে। বিভিন্ন কারণে রক্ত স্বল্পতা হতে পারে।
  • রক্ত স্বল্পতার কারণ সমূহ
  • আয়রনের অভাব
  • ভিটামিন বি১২ এর অভাব
  • ফলিক অ্যাসিডের অভাব
  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • পাকস্থলিতে ইনফেকশন
  • বয়স
  • ধূমপান
  • উচ্চ বিএমআই
  • বিভিন্ন অসুখ ইত্যাদি।

কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে রক্ত স্বল্পতা দূর করা সম্ভব হবে।



১। পালং শাক

পালং শাককে সুপার ফুড বলা হয়। এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি৯, ই, সি, বিটা কারটিন এবং আয়রন রয়েছে। যা রক্ত তৈরি করে থাকে। আধা কাপ পালং শাক সিদ্ধতে ৩.২ মিলিগ্রাম আয়রন আছে যা মহিলাদের দেহে ২০% আয়রন পূরণ করে থাকে। 

২। বিট

বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ সচল রাখে।

৩। টমেটো

টমেটোতে ভিটামিন সি আছে যা অন্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয়। এছাড়া টমেটোতে বিটা ক্যারটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ই আছে। HNBT প্রতিদিন কমপক্ষে একটি টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৪। ডালিম

প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল হল ডালিম। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। এমনকি প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খেতে পারেন।

৫। পিনাট বাটার

আয়রনের আরেকটি উৎস হল পিনাট বাটার। দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটারে .৬ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। আপানি যদি পিনাট বাটারের স্বাদ পছন্দ না করেন চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটিও শরীরে আয়রন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।



এছাড়া ডিম, সয়াবিন, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা দেহের রক্ত স্বল্পতা রোধ করে।

কী করে বুঝবেন আপনার সন্তান অটিজমে আক্রান্ত কিনা?

sasthobarta protidin
কী করে বুঝবেন আপনার সন্তান অটিজমে আক্রান্ত কিনা?
প্রতিটি শিশুই আলাদা, এবং প্রত্যেকেই নিজস্ব সময়ে বেড়ে ওঠে। একটা সময়ে সে কথা শেখে, খেলা শেখে, বসে, হাঁটে। কিন্তু অটিজমের শিকার শিশুদের ক্ষেত্রে এমন স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার ঘটনা দেখা যায় না। সঠিক ট্রিটমেন্টের জন্য যতো দ্রুত সম্ভব শিশুর মাঝে অটিজমের লক্ষণগুলো শনাক্ত করা যায়, তত ভালো। জেনে নিন কম বয়সে শিশুর মাঝে অটিজমের লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার কিছু উপায়।

অটিজম স্পেকট্রাম ডিজর্ডারের ট্রিটমেন্ট যতো কম বয়সে শুরু করা যায়, শিশু পরবর্তীতে ততটাই বেশি উপকার পায়। আর তার মানসিক দক্ষতার উন্নতি ঘটানোর জন্য এই ট্রিটমেন্ট খুবই জরুরী। কিন্তু সমস্যা হলো, সাধারণত শিশুর বয়স ১২-১৮ মাস হলে এসব লক্ষণ দেখা যায়। বিভিন্ন রকমের লক্ষণ দেখা যেতে পারে এবং পিতামাতার পক্ষে এসব লক্ষণ শনাক্ত করাটাও কঠিন হয়। বাচ্চার শারীরিক কিছু লক্ষণ থাকতে পারে, বাবা-মা অথবা অন্য শিশুদের সাথে তার আচরণেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। Huffington Post এর একটি সংবাদ অনুযায়ী, অটিজম স্পিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি অটিজমের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নিয়ে একটি ছোট্ট ভিডিও প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাঁচটি লক্ষণের ব্যাপারে পিতামাতার সতর্ক থাকা উচিৎ-
১) নিজের নাম শুনলে সাড়া না দেওয়া

একটি সুস্থ শিশু বাবা-মা অথবা তার যত্ন নেয় এমন কারও মুখে নিজের নাম শুনলে সাড়া দেবে। অটিজম আছে এমন শিশুদের বেশভাগই নিজের নাম শুনলে সাড়া দেয় না।
২) অন্য কারও মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে না

এক্ষেত্রে “জয়েন্ট অ্যাটেনশন” কথাটা ব্যবহার করা হয়। খুব সহজ একটি উদাহরণ দিলে জিনিসটি বোঝা যায়। সুস্থ একটি বাচ্চা চাঁদ দেখে মুগ্ধ হলে যে একবার চাঁদের দিকে তাকায়, আরেকবার মায়ের দিকে তাকায়, চাঁদের দিকে হাত ইশারা করে, মুখে শব্দ করে। কিন্তু অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মাঝে এই কাজটা করতে দেখা যায় না। তারা নিজেদের উৎসাহ অন্য কারও সাথে শেয়ার করে না বা করতে পারে না।
৩) অন্যদের আচরণ অনুকরণ করে না

অন্য বাচ্চারা যেভাবে নড়াচড়া করে, একজন আরেকজনের দেখাদেখি তালি দেয়, অন্যদের দেখে হাত নাড়ায় তেমনটা সাধারণত করে না অটিস্টিক বাচ্চারা।
৪) মিছিমিছি খেলার প্রবণতা দেখা যায় না

বাচ্চারা নিজেকে মা ধরে নিয়ে পুতুলকে বাচ্চা বানিয়ে ঘরবাড়ি খেলা করে। খেলনা টেলিফোন নিয়ে কথা বলার ভান করে। ছোট্ট ছোট্ট হাঁড়িপাতিল নিয়ে রান্নার ছলে খেলা করে। কিন্তু অটিজম থাকলে এমন খেলার প্রবণতা দেখা যায় না।
৫) অন্যের আবেগের প্রতি তারা স্পর্শকাতর হয় না

সাধারণত বাচ্চারা অন্যদের আবেগ দেখলে নিজেরাও আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। যেমন অন্যকে হাসতে দেখলে তারাও না বুঝেই হাসে। কিন্তু অটিজম আছে এমন শিশুরা এটা সাধারণত করে না।

পিতামাতা যা করতে পারেন

বাচ্চার বয়স ১২ মাস হবার সময় থেকেই পিতামাতার এই ব্যাপারগুলোর দিকে নজর রাখা উচিৎ। কোনো কিছুতে খটকা লাগলে শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিৎ। ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর বয়সে এগুলো ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন বাবা, মা এসব কথা না বলা, হামা না দেওয়া, ধরে ধরে হাঁটার চেষ্টা না করা ইত্যাদি। এসব লক্ষণের প্রতি থাকুন সতর্ক।

অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হতে পারে এই ৬টি রোগ

sasthobarta protidin
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হতে পারে এই ৬টি রোগ
ঘুম আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি আমাদের শরীরে ঠিক রাখার পাশাপাশি আমদের মস্তিষ্কেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অথচ বিভিন্ন কারণে এই ঘুমকে অবহেলা করে থাকি। ২০১১ সালে Centers for Disease Control and Prevention এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে ২৫% এর বেশি আমেরিকান ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। এর মধ্যে ১০% ইনসোমেনিয়া রোগে আক্রান্ত। একজন সুস্থ মানুষের ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুমের কারণে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন অনেক মারাত্নক রোগে।

১। স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা

২০১২ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, পারিবারিক ইতিহাস বা অন্য কোন কারণ ছাড়া শুধু ঘুমের অভাবের কারণে আপনার স্ট্রোক হতে পারে। ঘুমানোর  সময়ে  আমাদের শরীরের  নানা  অঙ্গ  নিজেদের  সারিয়ে  নেয়। দূষিত টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই অপর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২। ডায়াবেটিকস

কম ঘুম শর্করা জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। ক্লান্তি দূর করতে অনেক সময়ে তরুণরা কার্বোনেটেড পানীয় বা খাবারের দিকে ঝুঁকে থাকে। যা রক্তেশর্করার  পরিমাণ  বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ২০১২ সালে এক রিপোর্টে বলা হয় কম ঘুম দেহের ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না।

৩। ওজন বৃদ্ধি

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে ঘুম আর ওজন বৃদ্ধি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। যারা ৬ ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুমিয়ে থাকেন তাদের গড় BMI(Body Mass Index) বেশি থাকে। আবার কম ঘুম জাঙ্কফুড,  ফাস্টফুড খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। যা আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করে দেয়।

৪। ক্যান্সারের ঝুঁকি

অপর্যাপ্ত  ঘুম  ব্রেস্ট ক্যান্সারের  প্রবণতা  বাড়িয়ে  তোলে। ২০১০ সালে গবেষণায় দেখা গেছে ১২৪০ মানুষ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৩৮ মানুষই ৬ ঘন্টার চেয়ে কম ঘুম  অভ্যস্ত ছিলেন।

৫। স্মৃতিশক্তি লোপ

কম ঘুমে অভ্যস্ত মানুষদের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। তারা কোন কাজে মন দিতে পারে না। এমনকি দিন দিন তাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে।

৬। হাড়ের সমস্যা

৬ ঘণ্টার কম ঘুম হাড়ের জোর কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পরে এবং ছোটখাটো আঘাতে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। একইসঙ্গে হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা শুরু হতে পারে।



এই রোগগুলো ছাড়াও অপর্যাপ্ত ঘুম শরীর অবসাদ, ক্লান্তি করে তোলে। এমনকি আপনার মেজাজ খিটখিট করে তোলে।

Wednesday, December 9, 2015

নির্জীব চুল ঝলমলে করে তুলুন সহজ ৯টি উপায়ে

ranna banna o beauty tips
জীবনে সব কিছু ত্রুটিহীন হয়না। কিন্তু চুল অবশ্যই ত্রুটিহীন হওয়া সম্ভব। সাধারণত চুলের ওভার স্টাইলিং বা প্রখর রাসায়নিক ব্যবহারের জন্যই চুল স্ট্যাটিক বা উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। একটি গবেষণা প্রকাশ করে যে, চুল স্ট্যাটিক হয়ে গেলে দেখতে প্রাণহীন, ভোঁতা ও শুষ্ক হয়ে যায়। এই স্ট্যাটিক চুলের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে চূলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে হবে এবং সঠিক ভাবে পুষ্টি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যখন বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে তখন অর্থাৎ শীতের সময়ে চুলের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। ভালো শ্যাম্পু ও ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো কিছু উপায়ে চুলের এই সমস্যার সমাধান করা যায়, চলুন জেনে নেই সেই উপায় গুলো কী।

১। ভেজা চুল আঁচড়ান

স্ট্যাটিক হেয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ভেজা চুল আঁচড়ানো। চুল ভেজা আছে এমন অবস্থায় মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। চুল ভেজা অবস্থায় দুর্বল থাকে তাই মোটা দাঁতের চিরুনি প্রয়োজন।

২। হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন

চুলে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এবং চুলের আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য হেয়ার সিরাম লাগান। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। তাহলে চুল তেলতেলে দেখাবে। ৩ থেকে ৪ ফোটাই যথেষ্ট।

৩। প্লাস্টিকের চিরুনি বাদ দিন
প্লাস্টিকের চিরুনি ঘর্ষণের সৃষ্টি করে যা স্ট্যাটিক হেয়ারের জন্য দায়ী। তাই প্লাস্টিকের পরিবর্তে মেটাল বা কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন তারপর অন্য চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চূলকে সাজান।

৪। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কমিয়ে দিন

চুল শুকানোর জন্য খুব বেশি ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। ভেজা চুল পাতলা সুতির তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এতে চুলের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। যদি ড্রায়ার ব্যবহার করতেই হয় তাহলে চুলের কিছু অংশে ব্যবহার করুন। আয়নিক ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আয়নিক ড্রায়ার চুলের ইলেকট্রিক চার্জ প্রতিরোধ করে। ইলেকট্রিক চার্জের কারনেই চুল স্ট্যাটিক বা নির্জীব হয়।  

৫। লোশন ব্যবহার করুন

তাৎক্ষণিক ভাবে চুল এর নির্জীবতা দূর করতে হ্যান্ড লোশন ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য লোশন হাতে নিয়ে ঘষুন, তারপর আপনার চুলের ভেতর হাত বুলিয়ে নিন। এতে চুলের নির্জীবতা দূর হবে।

৬। হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন

আপনার হেয়ার ব্রাশে স্প্রে লাগিয়ে চুল ব্রাশ করুন, এতে চুলের উস্কোখুস্কোভাব দূর হয়।

৭। পানি ব্যবহার করুন

সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকরী হচ্ছে পানিতে হাত ভিজিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে হাত বুলিয়ে নিন। এতে তাৎক্ষণিক ভাবে চুল ঠিক হয়ে যায়।

৮। ড্রায়ার শিট ব্যবহার করুন
আপনার চিরুনি ড্রায়ার শিট দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন এবং আপনার চুলেও ড্রায়ার শীট ব্যবহার করুন। এতে চুলের নির্জীবতা দূর হয়।

৯। রাবারের সোল যুক্ত জুতা পরিধান করা বাদ দিন

রাবারের সোল চুলের বৈদ্যুতিক আধান তৈরি করে যা চুলের নির্জীবতা সৃষ্টিকারী। অন্য দিকে চামড়ার জুতা জামা কাপড় ও চুলের বৈদ্যুতিক আধান কমায়। তাই রাবারের জুতা না পরে চামড়ার জুতা পড়ুন।