Wednesday, January 13, 2016

মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
এমন অনেক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যেগুলোতে মানুষ খুব ঘন ঘনই আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় মাথা ব্যথা ও টেনশনের। সমাজের ক্রম বর্ধমান চাহিদা এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে রেসে এগিয়ে থাকতে চাওয়ার কারণে অনেক মানুষই স্ট্রেসে ভোগে যার ফলে মাথাব্যথা ও টেনশনের উৎপত্তি হয়। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই যদি আপনি মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণের সহজ ও নিরাপদ কিছু উপায় শিখে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই উপায়গুলো কী।
১। কাঠ বাদাম খান
সবচেয়ে সহজ ও সুবিধা জনক প্রতিকার হচ্ছে কাঠ বাদাম। কাঠবাদাম বা আমন্ড এ সেলিসিন থাকে যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। যখনই মাথাব্যথা শুরু হবে একমুঠো আমন্ড খান। কাঠ বাদাম স্বাস্থ্যকর এবং অন্য ঔষধের চেয়ে নিরাপদ।
২। গরম পানিতে পা ভিজানো
এটা কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কিছু সময়ের জন্য গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে মাথাব্যথা ও টেনশন দূর হয়। এতে পায়ের পাতার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাথার রক্ত নালিকা গুলোর চাপ কমে। পানির মধ্যে সামান্য সরিষার গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। উষ্ণ চাপ
একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেল গুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
৪। আদা
মাথা ব্যথা কমাতে আদা চা খেতে পারেন অথবা এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি সহজ একটি প্রতিকার তবে ভালোই কাজ করে।
৫। কফি
এক কাপ কড়া কফি মাথাব্যথা ও টেনশন কমাতে অনেক কার্যকরী। এটা রক্তনালীর ফুলে যাওয়া কমায়। যারা ইতিমধ্যেই কফিতে আসক্ত তাদের জন্য এটি কার্যকর হবেনা।
৬। এসেনশিয়াল অয়েল ম্যাসাজ
মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার তেল টেনশন ও মাথা ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে। এই তেল কপালে মালিশ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা দূর হবে। মেন্থল টি ব্যাগ ভিজিয়ে কপালে ও চোখের উপর রাখুন। এতে কিছুক্ষণ পর মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
৭। ঠান্ডা পানির সেঁক
আইস ব্যাগে ঠাণ্ডা পানিতে পূর্ণ করে কপালে ও ঘাড়ে লাগালে মাসেলের চাপ কমে মাথাব্যথা কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ও কপালে ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন।
৮। ম্যাসাজ করুন
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে কপালে বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট একাধারে করার পর বিরতি দিন তারপর আবার করুন যতক্ষণ ব্যথা থাকে। আকুপ্রেসার এক্সপার্টরা একে ফ্ল্যাশি এরিয়া ট্রিগার পয়েন্ট LIG4 বলেন। মস্তিস্কের যেখানে মাথাব্যথা উৎপন্ন হয় তার সাথে এই স্থানটির সংযুক্তি আছে। তাই কপালে এভাবে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
৯। চাপ প্রয়োগ
একটিকাপড় দিয়ে মাথা শক্ত করে বাঁধুন। এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল কমবে কারণ রক্তনালীর প্রসারণের কারণে মাথাব্যথার উৎপত্তি। কাপড়টি ভিনেগারে ভিজিয়ে নিতে পারেন এটি চিরাচরিত মাথা ব্যথার প্রতিকার হিসেবে বহুকাল যাবত ব্যবহার হয়ে আসছে।

কিছু টিপস :
·         একবারে পেট ভরে না খেয়ে কিছুক্ষণ পর পর খান। সম্ভব হলে ২ ঘন্টা পর পর খান। এতে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মাথা ব্যথা প্রতিরোধ করবে।
·         মাথা ব্যথা ও টেনশন কমানোর জন্য ঘুমানো সবচেয়ে ভালো প্রতিকার।
·         দিনের বেলায় ৩০-৪০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলেও মাথা ব্যথা দূর করতে চমৎকার কাজ করবে।
·         অনেক সময় পানিশূন্যতার জন্যও মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
·         একাধারে অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে রক্তনালীর উপর চাপ পরে। তাই এক অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাটা হাটি করুন।
·         সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মত সাধারণ ব্যায়াম গুলো করুন, এতে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন ও মাথা ব্যথার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
·         কিছু খাবার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে যেমন-দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, চকলেট, পিনাট বাটার, অ্যাভোকডো, কলা, সাইট্রাস ফল, পেঁয়াজ, নাইট্রেট মিশানো মাংস- হট ডগ, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট সমৃদ্ধ খাদ্য ইত্যাদি খাবার খেলে আপনার কোন সমস্যা হয় কিনা খেয়াল করুন। 

Tuesday, January 12, 2016

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বোন স্পারের ব্যথা

sasthobarta protidin
ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বোন স্পারের ব্যথা
মাঝে মাঝেই আমাদের অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে জন্ম নিতে দেখা যায় একটা ফোঁড়া বা গোটার মোট অংশ। চামড়ার ওপর থেকে গোলাটে আকারের এই বাড়তি অংশটিতে কখনো ব্যথা অনুভূত হয়, কখনো ব্যথা ছাড়াই দিনের পর দিন টিকে থাকে এরা মানবদেহে। আর শরীরের এই গোলটে, উঁচু আর বাড়তি অংশটিকেই বলা হয় ডাক্তারি ভাষায় বোন স্পার বা অস্টিওফাইটিস।
বেশকিছু কারণে এই বোন স্পার হতে পারে মানুষের। শারিরীক নানারকম প্রদাহ, হাড়ের গঠনে পরিবর্তন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, অতিরিক্ত ওজন বা খুব বেশি চাপ নেওয়ার মতন কাজ অনেকবার করে করার কারণে মানুষের শরীরের তৈরি হতে পারে সমস্যাটি।

বোন স্পার শরীরের যে কোন অংশের হাড় থেকে জন্ম নিতে পারলেও সাধারণত দুটো হাড় যেখানে যুক্ত হয়েছে সেখান থেকেই জন্ম নেয় এটি। এছাড়াও মাংশপেশী, লিগামেন্ট বা রগেও হয়ে থাকে এই স্পারগুলো। না বুঝেই নানারকম চিকিত্সা চালানোর চেষ্টা করে মানুষ এই স্পারগুলোতে। ফলে কেবল বোন স্পারের ব্যথা বা অস্বস্তিই নয়, সেই সাথে যুক্ত হয় আরো নানান ঝামেলা। চলুন দেখে আসি ঘরোয়াভাবেই কি করে অনেকটা কমিয়ে বা দূর করে ফেলা যায় এই শরীরের বাড়তি অংশটি ও এর ব্যথাকে।
১. বরফ

যেকোন সময় ব্যথা পেলে প্রথমেই যে জিনিসটি আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায় সেটা হচ্ছে বরফ। আর তাই বোন স্পারের ক্ষেত্রেও বরফকে কাজে লাগান। ব্যথার সাথে সাথে প্রদাহকেও বাঁধাগ্রস্থ করে এটি ( টপ টেন হোম রিমেডিস )। একটা তোয়ালেতে করে কয়েক টুকরো বরফ বেঁধে ফেলুন আর সেটাকে প্রয়োগ করুন ব্যথাযুক্ত স্থানে। ৫-১০ মিনিট কাজটি করুন। এরপর একটা বিরতি দিয়ে খানিক পর আবার শুরু করুন বরফ প্রয়োগ। তবে তাই বলে সরাসরি বরফ ব্যবহার করবেননা ত্বকে।
২. হলুদ

হলুদ শরীরের বোন স্পারের উপসর্গগুলোকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এর ভেতরে থাকা কারকিউমিন নামক হলুদ উপাদানটি প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হওয়ায় সেটি ব্যথা আর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে ( আর্থ ক্লিনিক )। ঘরোয়াভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ হলুদ গুড়ো নিয়ে সেটাকে এক কাপ দুধে মেশান। এরপর সেটাকে জ্বাল দিয়ে নিন হালকা আঁচে। প্রতিদিন এই পানীয়টি খানিকটা পান করুন।
৩. আদা

আদা বোন স্পারকে দূর করতে ও এর প্রদাহকে কমিয়ে দিতে বেশ ভাল কাজ করে। এক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে আদা ব্যবহার করতে পারেন আপনি। প্রথমত, আদার তেল বোন স্পার হওয়া অংশটিতে মালিশ করতে পারেন। এবং দ্বিতীয়ত, আদাকে কয়েক টুকরো করে সেটা পানিতে ১০ মিনিট মতন জ্বাল দিয়ে এরপর খানিকটা মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করতে পারেন ( টপটেন হোম রিমেডিস )।
৪. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার শুধু শরীরের প্রদাহই দূর করেনা, বোন স্পার হতে সাহায্যকারী ব্যাপারগুলোকে থামিয়ে দিয়ে শরীরের পিএইচ লেভেলেরও সমতা রক্ষা করে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমত, একটি তোয়ালেতে ভিনেগার মিশিয়ে এরপর সেটাকে বোন স্পারযুক্ত অংশটিতে মালিশ করতে পারেন। আর দ্বিতীয়ত, এক কাপ পানিতে কয়েক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে সেটা পান করতে পারেন প্রতিনিয়ত ( আর্থ ক্লিনিক )।
৫. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

শরীরে বোন স্পার দেখা দিলে নিজের খাদ্যাভ্যাস বদলে দিতে পারেন আপনি। এতে করে অনেকটাই দূর হবে আপনার বোন স্পারের সমস্যা। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন যাতে করে খাবারে ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ওমেগা-৩ বেশি পরিমাণে থাকে। কারণ, এর প্রত্যেকটিই শরীরের প্রদাহ নিরাময়ের মাধ্যমে বোন স্পারকে দূর করতে সাহায্য করে ( ভিকুল )।
আর তাই শরীরের কোন স্থান ফুলে গেলে সেটাকে টিউমার ভাবা বা সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। চিন্তা না করে বরং এই ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করে দেখুন কোন সমাধান হয় কিনা। আর এরপরেও কিছু না হলে চিকিত্সকের কাছে যান আর অনুসরন করুন তার নির্দেশগুলো।

ধূমপান করেন? এই পানীয়টি পরিষ্কার করবে আপনার ফুসফুস

sasthobarta protidin
এই পানীয়টি পরিষ্কার করবে আপনার ফুসফুস
“ধূমপানে বিষপান”- বহুল প্রচলিত এই কথাটির সত্যতা নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই।  আপনি যদি পাঁচ বছরেও বেশি সময় ধরে ধূমপান করেন তবে আপনি অত্যন্ত একবার হলেও ব্রংকাইটিস রোগে ভুগে থাকবেন। ব্রংকাইটিস রোগী ভাল বলতে পারবেন এটি কত ভয়ংকর এবং কষ্টদায়ক একটি রোগ। এটি শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে শক্তি ক্ষয় করে থাকে। ধূমপান আপনার ফুসফুস নষ্ট করে দেয়, বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। কাশি, ব্রংকাইটিস এইসব তারই লক্ষণ। আপনার পক্ষে ধূমপান ছাড়া অসম্ভব হলে আপনি একটি পানীয়ের মাধ্যমে আপনার ফুসফুসটি সুস্থ রাখতে পারেন। ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন এই পানীয়টি।

যা যা লাগবে:
১ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ
১টি ছোট আদার টুকরো
১ লিটার পানি
৪০০ গ্রাম মধু
২ চা চামচ হলুদ

যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে পানিতে মধু দিয়ে জ্বাল দিন।
২। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নিন।
৩। যখন এটি বলক আসবে তখন চুলা কমিয়ে দিন।
৪। তরলটি ঘন হয়ে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন।
৫। জ্বালের মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন।
৬। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন।

যেভাবে খাবেন:
দিনে দুইবার এটি খান। সকালে খালি পেটে দুই টেবিল চামচ এবং সন্ধ্যায় রাতের খাবার খাওয়ার আগে দুই টেবিল চামচ খান। এটি খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে কোন কিছু খাবেন না।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ এবং ভাল উপায়। ধূমপান আপনার শুধু ফুসফুস নয়, সম্পূর্ণ দেহের ক্ষতি করে থাকে। আপনি যদি একান্তই ধূমপান ত্যাগ করতে না পারেন, তবে এই পানীয়টি পান করুন। এটি আপনার ফুসফুস পরিস্কার করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে
সাধারণত শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। জ্বর এমন একটি অসুখ যা ছোট, বড় সবাইকে অনেক বেশি দুর্বল করে দিয়ে থাকে। আর তা যদি আদরের সোনামণিটার হয়ে থাকে তবে তো চিন্তার শেষ নেই। সাধারণত ঠান্ডা, সর্দির কারণে জ্বর আসলেও অনেক সময় সাধারণ এই জ্বর বড় রোগের পূর্ব লক্ষণও হতে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা অনেক সময় মস্তিষ্কে ক্ষতি সাধন করতে  পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ৫ মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো।
১। আলু

দুটি আলুর পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার আলুর পেস্টটি শিশুর মোজার ভিতর রেখে দিন। মোজা জোড়া শিশুটির পায়ে পরিয়ে রাখুন। দেখবেন কয়েক মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা কমে গেছে। কয়েক মিনিট পর মোজা দুটি  খুলে ফেলবেন।
২। ভেজা কাপড়

একটি সুতির কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। এবার এই ভেজা কাপড়টি শিশুর কপালে রাখুন। কয়েক মিনিট রাখার পর কাপড়টি তুলে ফেলুন। এইরকম কয়েকবার করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বর অনেক নেমে গেছেন দেখবেন।
৩। কুসুম গরম পানিতে গোসল

আপনি আপনার শিশুটিকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন। অথবা কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীরটি স্পঞ্জ করে দিন। পানি তার শরীরের তাপমাত্রা বাষ্প করে বের করে দিয়ে তাপমাত্রা হ্রাস করে দিয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ কুসুম গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানি শিশুর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি করে দিবে।
৪। তরল খাবার

আপনার শিশুটিকে কয়েক মিনিট পর পর এক চা চামচ করে পানি খাওয়ান। এটি আপনার শিশুর শরীর ভিতর থেকে হাইড্রেেটড করে দিবে। এছাড়া অল্প পরিমাণের ঠান্ডা দই, আইসক্রিম শিশুটিকে খেতে দিন। এটি শিশুর শরীর হাইড্রেটেড করে তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়ে থাকে।
৫। খোলামেলা কাপড় পরিধান

জ্বরের সময় শিশুটিকে বেশি কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। শিশুটির কাপড় কিছু ঢিলাঢালা করে দিন। কম কাপড় আপনার শিশুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে না, বরং তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করবে। যদি তার শীত লাগে তবে কম্বল বা লেপ জাতীয় কিছু জড়িয়ে দিন শিশুটিকে।
৬। ফ্যানের নিচে রাখুন

অনেক বাবা মা শিশুর জ্বর আসলে তাকে ফ্যান থেকে দূরে রাখেন। কিন্তু ফ্যান শিশুর শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ খুব বেশিক্ষণ শিশুকে ফ্যানের নিচে রাখবেন না। অল্প করে ফ্যান চালিয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে রাখুন। তারপর ফ্যানটি বন্ধ করে দিন।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে মনে রাখবেন এইগুলো কোন দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।

Wednesday, January 6, 2016

প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম

sasthobarta protidin
প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম
বেশীরভাগ লম্বা মানুষরা আত্মবিশ্বাসী হয় এবং তাঁরা সম্মান ও প্রশংসা পেয়ে থাকে। গড়পড়তা উচ্চতা যাদের বা কম উচ্চতার মানুষরা প্রায়ই লম্বা হওয়ার আশা করেন। মানুষের উচ্চতা নির্ধারিত হয় জেনেটিক কারণে। কিন্তু এটাই একমাত্র নির্ধারক নয়। আমাদের শরীরের হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) উচ্চতা নির্ধারণ করে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নিঃসৃত HGH  লম্বা অস্থি ও তরুণাস্থি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন- গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান করা, সন্তান জন্মের পর যত্নের অভাব, জন্মের সময় ওজন কম থাকা, শৈশবে স্বাস্থ্য খারাপ থাকা ইত্যাদি। প্রায় মানুষ এটাই  মনে করে যে সাবালক হলে দৈহিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একজন মানুষ ১৮ বছর বয়সের পরেও কয়েক ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। এটা তখনই সম্ভব যখন আপনি আপনার জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করবেন। সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
১। দুধ পান করুন
দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা অস্থির বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি দুধে ভিটামিন এ ও প্রোটিন ও থাকে যা উচ্চতা সহ শরীরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বৃদ্ধি করার জন্য দিনে ২-৩ গ্লাস দুধ পান করুন। এর পাশাপাশি পনীর, দই, ক্রিম ইত্যাদি খাবার গুলোও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
৩। ইয়োগা করুন
আপনার উচ্চতা প্রাকৃতিক ভাবে বাড়ানোর জন্য ইয়োগা করুন। কিছু যোগব্যায়াম আছে যা করলে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়। যোগব্যায়াম চাপ কমাতে সাহায্য করে যা পিঠের মাংসপেশিতে টান সৃষ্টি করে এবং গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে “সূর্য প্রণাম” যোগব্যায়ামটি।
৪। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যখন ঘুমের রাজ্যে থাকেন তখনই HGH উৎপন্ন হয় যা  দেহকে লম্বা করতে সাহায্য করে। দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটা আপনাকে উচ্চতা নিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে পারে।
৫। ব্যায়াম ও খেলাধুলা করুন
খেলাধুলা ও ব্যায়াম HGH এর নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। ভালো উচ্চতা অর্জনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করুন।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, সাঁতার বা দড়ি লাফের মত সাধারণ এক্সারসাইজ গুলো করুন, সঠিক ভঙ্গীতে বসুন, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সোজা হয়ে দাঁড়ান এতে আপনাকে লম্বা দেখাবে।

টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ

sasthobarta protidin
টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ
দাঁত মাজতে আমরা সবাইই টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। আর সেই টুথপেস্টের বেশিরভাগেই মজুদ থাকে ফ্লোরাইড। সত্যিকার অর্থে ফ্লোরাইড টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয় দাঁতকে সুস্থ রাখার তাগিদেই। এটি মানুষের দাঁতের এনামেল ঠিকঠাক রেখে ক্যাভিটির সংক্রমণ না করেই দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। কিন্তু এই অত্যন্ত উপকারী জিনিসটির রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর দিকও। আপনি কি জানেন যে আপনার কোনরকমের সাবধানতা ছাড়াই এই অত্যন্ত উপকারী ফ্লোরাইডও অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের কারণে পরিণত হতে পারে বিষে? 
অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি অনুসারে, টুথপেস্টের ফ্লোরাইড কম পরিমাণে দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো হয়ে থাকলে এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের শরীরে বিষাক্ততার সৃষ্টি করতে পারে ( টুডেইস ডেন্টিস্ট্রি )। ১৯৯৭ সাল থেকে ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর নির্দেশানুযায়ী আমেরিকার সব ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্টেই সতর্কতাবাণী লিখে দিতে বলা হয়েছে ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )। শুধু তাই নয়, ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত না বলে মনে করেন চিকিত্সকেরা। 
এমনিতে হয়তো মনে হতে পারে যে একটুখানি টুথপেস্ট খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু বাস্তবে এই সামান্য ফ্লোরাইড পেটে যাওয়ার মাধ্যমে বেশ কিছু ঝামেলা হতে পারে আপনার কিংবা আপনার শিশুটির। ফ্লোরাইড দাঁতের ওপর ছোপ ফেলে দিতে পারে। দাঁতে ছোট ছোট বাদামী চিহ্ন পাকাপাকিভাবে তৈরি করে ফ্লোরাইড। বিশেষ করে যদি টুথপেস্টের সাথে সাথে পানি কিংবা মাউথওয়াশ থেকেও ফ্লোরাইড গ্রহণ করা হয় তাহলে এর পরিনাম হয়ে দাড়ায় আরো খারাপ। 
শুধু দাঁতের ছোপই নয়, প্রতিদিন একটু একটু করে গ্রহণ করা ফ্লোরাইড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। তৈরি হয় বাচ্চাদের ভেতরে অরুচি, বমিভাব আর ডায়রিয়ার সমস্যা। এছাড়াও পরবর্তীতে বাচ্চাদের হাড়কেও দূর্বল করে গড়ে তুলতে পারে প্রতিদিনের এই একটু করে নেওয়া ফ্লোরাইড। 
কিন্তু অনেকটা সাবধানতার পরেও মাঝে মাঝে ভুল হয়েই যায়। হয়তো একটু বেশিই ফ্লোরাইড খেয়ে ফেললো আপনার সন্তান কোন একদিন। কি করবেন তখন? কি করবেন যখন আপনার সন্তান বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড গ্রহণ করে ফেলবে? এমনটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তো? আপনার এই প্রশ্নের জবাবটা খুবই স্বস্তিকর। আর সেটা হচ্ছে এই যে, আপনি জেনে খুশি হবেন যে একটি পুঁতি-সাইজের টুথপেস্টের ভেতরে সাধারনত ০.২৪ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড থাকে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডেন্টাল মেডিসিন অনুসারে, ৪৫ পাউন্ডের অধিকারী ৮ বছরের একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে তখনই টুথপেস্ট ভয়ের কারণ হবে যখন এই ফ্রোরাইডের পরিমাণ ৬৫৫ হবে। আর তাই আপনার সন্তানকে অসুস্থ করে দিতে হলে ২ থেকে ৪ টি টুথপেস্টের টিউব শেষ করতে হবে। তবে তারপরেও খানিকটা বেশি ফ্লোরাইড আপনার সন্তানের সার্বক্ষণিক মাথাব্যথারও কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর তাই যদি কখনো আপনার সন্তান একটু বেশি টুথপেস্ট খেয়ে ফেলে আর অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সরাসরি চিকিত্সকের কাছে তাকে নিয়ে যান। আর এক গ্লাস দুধ পান করতে দিন ( কিড এমারজেন্সিস )। ছোট-বড়, আমাদের অনেকেরই টুথপেস্ট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে নানারকম ফলের ফ্লেভার দেওয়া টুথপেস্ট বাজারে আসার পর থেকে বাচ্চাদের লুকিয়ে টুথপেস্ট খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেকটা বেশি। তবে বড়রাও এদিক দিয়ে কম যান না। সেটা কখনো খেতে মজা লাগে বলে, কখনো মুখের দুর্গন্ধ তাড়ানোর জন্যে বড়রাও খেয়ে থাকেন টুথপেস্ট কিংবা অনেকবার দাঁত মেজে থাকেন। কিন্তু এরপরের বার থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড রয়েছে কিনা। আর থাকলে একটু সাবধান হয়েই ব্যবহার করুন সেটা। 

নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য

ranna banna o beauty tps
নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য
নবজাতক বাচ্চাদের মতো আদুরে আর সুন্দর জিনিস কিছু আছে নাকি? নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে কিন্তু বেশ অদ্ভুত এবং মজার কিছু তথ্য আছে যা শুনলে আপনি হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারবেন না! জেনে নিন এগুলো।
তারা লবণের স্বাদ পায় না

নবজাতক শিশুদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা প্রখর, অথচ তারা লবণের স্বাদ নিতে পারে না! মোটামুটি চার মাস বয়স হবার পর তারা লবণের স্বাদ পায়। তবে একজন নবজাতক মিষ্টি, তেতো এবং টক স্বাদ পায় ভালোভাবেই। প্রাপ্তবয়স্কদের চাইতে তাদের স্বাদ্গ্রন্থি বেশি থাকে বলে কিছু গবেষণায় দেখা যায়।
তারা কাঁদে, কিন্তু কোন অশ্রু বের হয় না

নবজাতক বাচ্চারা খুব কাঁদে বটে, কিন্তু তাদের চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। তিন থেকে বারো সপ্তাহ বয়সের মাঝে তাদের অশ্রু গ্রন্থি কার্যকর হয়। তার আগে এরা অশ্রু ছাড়াই কাঁদে।
তাদের হাঁটুর মালাইচাকি থাকে না

নবজাতক সন্তানের এক্স-রে করালে দেখবেন হাঁটুর ওপরে গোলাকার অংশটি অর্থাৎ মালাইচাকি নেই! এর কারণ হলো এখানে শুধুই কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে এই সময়ে। এ থেকে আসল মালাইচাকি তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চাইতে তাদের হাড় বেশি থাকে

মোটামুটি ৩০০টা হাড় থাকে নবজাতক শিশুদের, যেখানে পারপ্তবয়স্ক মানুষের থাকে ২০৬টি। জন্মের পর কয়েক মাসে এসব হাড় একসাথে জোড়া লেগে আসল হাড় তৈরি হয়। বিশেষ করে খুলি বেশ কয়েক ভাগ থাকে, ২ বছর বয়সের মাঝে জোড়া লেগে যায়।
তাদের মেন্সট্রুয়েশন নয়

গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চারা মায়ের শরীরের উচ্চ মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবের আওতায় থাকে। জন্মের পর অর্থাৎ নাড়ি ছেঁড়ার পরে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ দ্রুত কমে আসে। এই কারণে মেয়ে নবজাতকের মাঝে দেখা যেতে পারে “সিউডোমেন্সট্রুয়েশন”। এর কারণে মাঝে মাঝে দুই-এক ফোঁটা রক্ত সেই শিশুর ডায়াপারে দেখা যেতে পারে। জন্মের প্রথম এক সপ্তাহের মাঝে মোটামুটি ২৫ শতাংশ শিশুর মাঝে দেখা যায়।
ল্যাকটেশন

ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে আরও একটি ঘটনা দেখা যায়, যা হলো গ্যালাক্টোরিয়া। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয় নবজাতকের বুকে খুব অল্প পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। এটা ৫ শতাংশ নবজাতকের মাঝে দেখা যায়। দুই মাস পর্যন্ত এই ঘটনা দেখা যেতে পারে।
তারা নিজেদের মুত্র পান করে

গর্ভধারণের কয়েক মাস পর থেকেই বাচ্চারা গর্ভের ভেতরে মুত্রত্যাগ করতে থাকে। এটা কোথায় যায়? এটা বাচ্চারাই পান করে ফেলে! প্রেগনেন্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের পর ভ্রূণ দিনে প্রায় এক লিটার অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পান করে থাকে। এই কাজটাতে তাদের খাবার গেলা ও হজমের প্রক্রিয়াটা উন্নত হয়।
মায়ের খাবারের ফ্লেভার পায় তারা

বাচ্চারা ভ্রুনে থাকা অবস্থাতেই মা যা খায়, তার ফ্লেভার পেয়ে থাকে। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, মা যদি খুব বেশি রসুন খায় তাহলে সেটার ফ্লেভার বাচ্চা পাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড থেকে। এ কারণে বড় হয়েও রসুনের ফ্লেভারের খাবার খাওয়ার প্রতি তার টান থাকতে পারে।
তাদের প্রচুর চুল থাকে

জন্মের সময়ে বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকতে পারে নাও থাকতে পারে, সেটার কথা বলা হচ্ছে না। গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের শরীর ল্যানগুও নামের এক ধরণের পশমে ভরে থাকে। জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই পশম পরে যেতে পারে। অনেক বাচ্চার অবশ্য এই পশম গর্ভে থকা অবস্থাতেই পরে যায় এবং তারা এটাকে খেয়ে ফেলে! বাচ্চা মাথায় যে চুল নিয়ে জন্মগ্রহন করে সেটাও পড়ে যায় কয়েক সপ্তাহে।