Tuesday, January 12, 2016

শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে
সাধারণত শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। জ্বর এমন একটি অসুখ যা ছোট, বড় সবাইকে অনেক বেশি দুর্বল করে দিয়ে থাকে। আর তা যদি আদরের সোনামণিটার হয়ে থাকে তবে তো চিন্তার শেষ নেই। সাধারণত ঠান্ডা, সর্দির কারণে জ্বর আসলেও অনেক সময় সাধারণ এই জ্বর বড় রোগের পূর্ব লক্ষণও হতে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা অনেক সময় মস্তিষ্কে ক্ষতি সাধন করতে  পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ৫ মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো।
১। আলু

দুটি আলুর পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার আলুর পেস্টটি শিশুর মোজার ভিতর রেখে দিন। মোজা জোড়া শিশুটির পায়ে পরিয়ে রাখুন। দেখবেন কয়েক মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা কমে গেছে। কয়েক মিনিট পর মোজা দুটি  খুলে ফেলবেন।
২। ভেজা কাপড়

একটি সুতির কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। এবার এই ভেজা কাপড়টি শিশুর কপালে রাখুন। কয়েক মিনিট রাখার পর কাপড়টি তুলে ফেলুন। এইরকম কয়েকবার করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বর অনেক নেমে গেছেন দেখবেন।
৩। কুসুম গরম পানিতে গোসল

আপনি আপনার শিশুটিকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন। অথবা কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীরটি স্পঞ্জ করে দিন। পানি তার শরীরের তাপমাত্রা বাষ্প করে বের করে দিয়ে তাপমাত্রা হ্রাস করে দিয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ কুসুম গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানি শিশুর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি করে দিবে।
৪। তরল খাবার

আপনার শিশুটিকে কয়েক মিনিট পর পর এক চা চামচ করে পানি খাওয়ান। এটি আপনার শিশুর শরীর ভিতর থেকে হাইড্রেেটড করে দিবে। এছাড়া অল্প পরিমাণের ঠান্ডা দই, আইসক্রিম শিশুটিকে খেতে দিন। এটি শিশুর শরীর হাইড্রেটেড করে তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়ে থাকে।
৫। খোলামেলা কাপড় পরিধান

জ্বরের সময় শিশুটিকে বেশি কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। শিশুটির কাপড় কিছু ঢিলাঢালা করে দিন। কম কাপড় আপনার শিশুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে না, বরং তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করবে। যদি তার শীত লাগে তবে কম্বল বা লেপ জাতীয় কিছু জড়িয়ে দিন শিশুটিকে।
৬। ফ্যানের নিচে রাখুন

অনেক বাবা মা শিশুর জ্বর আসলে তাকে ফ্যান থেকে দূরে রাখেন। কিন্তু ফ্যান শিশুর শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ খুব বেশিক্ষণ শিশুকে ফ্যানের নিচে রাখবেন না। অল্প করে ফ্যান চালিয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে রাখুন। তারপর ফ্যানটি বন্ধ করে দিন।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে মনে রাখবেন এইগুলো কোন দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।

Wednesday, January 6, 2016

প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম

sasthobarta protidin
প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম
বেশীরভাগ লম্বা মানুষরা আত্মবিশ্বাসী হয় এবং তাঁরা সম্মান ও প্রশংসা পেয়ে থাকে। গড়পড়তা উচ্চতা যাদের বা কম উচ্চতার মানুষরা প্রায়ই লম্বা হওয়ার আশা করেন। মানুষের উচ্চতা নির্ধারিত হয় জেনেটিক কারণে। কিন্তু এটাই একমাত্র নির্ধারক নয়। আমাদের শরীরের হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) উচ্চতা নির্ধারণ করে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নিঃসৃত HGH  লম্বা অস্থি ও তরুণাস্থি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন- গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান করা, সন্তান জন্মের পর যত্নের অভাব, জন্মের সময় ওজন কম থাকা, শৈশবে স্বাস্থ্য খারাপ থাকা ইত্যাদি। প্রায় মানুষ এটাই  মনে করে যে সাবালক হলে দৈহিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একজন মানুষ ১৮ বছর বয়সের পরেও কয়েক ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। এটা তখনই সম্ভব যখন আপনি আপনার জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করবেন। সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
১। দুধ পান করুন
দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা অস্থির বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি দুধে ভিটামিন এ ও প্রোটিন ও থাকে যা উচ্চতা সহ শরীরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বৃদ্ধি করার জন্য দিনে ২-৩ গ্লাস দুধ পান করুন। এর পাশাপাশি পনীর, দই, ক্রিম ইত্যাদি খাবার গুলোও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
৩। ইয়োগা করুন
আপনার উচ্চতা প্রাকৃতিক ভাবে বাড়ানোর জন্য ইয়োগা করুন। কিছু যোগব্যায়াম আছে যা করলে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়। যোগব্যায়াম চাপ কমাতে সাহায্য করে যা পিঠের মাংসপেশিতে টান সৃষ্টি করে এবং গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে “সূর্য প্রণাম” যোগব্যায়ামটি।
৪। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যখন ঘুমের রাজ্যে থাকেন তখনই HGH উৎপন্ন হয় যা  দেহকে লম্বা করতে সাহায্য করে। দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটা আপনাকে উচ্চতা নিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে পারে।
৫। ব্যায়াম ও খেলাধুলা করুন
খেলাধুলা ও ব্যায়াম HGH এর নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। ভালো উচ্চতা অর্জনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করুন।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, সাঁতার বা দড়ি লাফের মত সাধারণ এক্সারসাইজ গুলো করুন, সঠিক ভঙ্গীতে বসুন, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সোজা হয়ে দাঁড়ান এতে আপনাকে লম্বা দেখাবে।

টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ

sasthobarta protidin
টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ
দাঁত মাজতে আমরা সবাইই টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। আর সেই টুথপেস্টের বেশিরভাগেই মজুদ থাকে ফ্লোরাইড। সত্যিকার অর্থে ফ্লোরাইড টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয় দাঁতকে সুস্থ রাখার তাগিদেই। এটি মানুষের দাঁতের এনামেল ঠিকঠাক রেখে ক্যাভিটির সংক্রমণ না করেই দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। কিন্তু এই অত্যন্ত উপকারী জিনিসটির রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর দিকও। আপনি কি জানেন যে আপনার কোনরকমের সাবধানতা ছাড়াই এই অত্যন্ত উপকারী ফ্লোরাইডও অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের কারণে পরিণত হতে পারে বিষে? 
অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি অনুসারে, টুথপেস্টের ফ্লোরাইড কম পরিমাণে দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো হয়ে থাকলে এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের শরীরে বিষাক্ততার সৃষ্টি করতে পারে ( টুডেইস ডেন্টিস্ট্রি )। ১৯৯৭ সাল থেকে ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর নির্দেশানুযায়ী আমেরিকার সব ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্টেই সতর্কতাবাণী লিখে দিতে বলা হয়েছে ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )। শুধু তাই নয়, ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত না বলে মনে করেন চিকিত্সকেরা। 
এমনিতে হয়তো মনে হতে পারে যে একটুখানি টুথপেস্ট খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু বাস্তবে এই সামান্য ফ্লোরাইড পেটে যাওয়ার মাধ্যমে বেশ কিছু ঝামেলা হতে পারে আপনার কিংবা আপনার শিশুটির। ফ্লোরাইড দাঁতের ওপর ছোপ ফেলে দিতে পারে। দাঁতে ছোট ছোট বাদামী চিহ্ন পাকাপাকিভাবে তৈরি করে ফ্লোরাইড। বিশেষ করে যদি টুথপেস্টের সাথে সাথে পানি কিংবা মাউথওয়াশ থেকেও ফ্লোরাইড গ্রহণ করা হয় তাহলে এর পরিনাম হয়ে দাড়ায় আরো খারাপ। 
শুধু দাঁতের ছোপই নয়, প্রতিদিন একটু একটু করে গ্রহণ করা ফ্লোরাইড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। তৈরি হয় বাচ্চাদের ভেতরে অরুচি, বমিভাব আর ডায়রিয়ার সমস্যা। এছাড়াও পরবর্তীতে বাচ্চাদের হাড়কেও দূর্বল করে গড়ে তুলতে পারে প্রতিদিনের এই একটু করে নেওয়া ফ্লোরাইড। 
কিন্তু অনেকটা সাবধানতার পরেও মাঝে মাঝে ভুল হয়েই যায়। হয়তো একটু বেশিই ফ্লোরাইড খেয়ে ফেললো আপনার সন্তান কোন একদিন। কি করবেন তখন? কি করবেন যখন আপনার সন্তান বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড গ্রহণ করে ফেলবে? এমনটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তো? আপনার এই প্রশ্নের জবাবটা খুবই স্বস্তিকর। আর সেটা হচ্ছে এই যে, আপনি জেনে খুশি হবেন যে একটি পুঁতি-সাইজের টুথপেস্টের ভেতরে সাধারনত ০.২৪ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড থাকে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডেন্টাল মেডিসিন অনুসারে, ৪৫ পাউন্ডের অধিকারী ৮ বছরের একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে তখনই টুথপেস্ট ভয়ের কারণ হবে যখন এই ফ্রোরাইডের পরিমাণ ৬৫৫ হবে। আর তাই আপনার সন্তানকে অসুস্থ করে দিতে হলে ২ থেকে ৪ টি টুথপেস্টের টিউব শেষ করতে হবে। তবে তারপরেও খানিকটা বেশি ফ্লোরাইড আপনার সন্তানের সার্বক্ষণিক মাথাব্যথারও কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর তাই যদি কখনো আপনার সন্তান একটু বেশি টুথপেস্ট খেয়ে ফেলে আর অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সরাসরি চিকিত্সকের কাছে তাকে নিয়ে যান। আর এক গ্লাস দুধ পান করতে দিন ( কিড এমারজেন্সিস )। ছোট-বড়, আমাদের অনেকেরই টুথপেস্ট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে নানারকম ফলের ফ্লেভার দেওয়া টুথপেস্ট বাজারে আসার পর থেকে বাচ্চাদের লুকিয়ে টুথপেস্ট খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেকটা বেশি। তবে বড়রাও এদিক দিয়ে কম যান না। সেটা কখনো খেতে মজা লাগে বলে, কখনো মুখের দুর্গন্ধ তাড়ানোর জন্যে বড়রাও খেয়ে থাকেন টুথপেস্ট কিংবা অনেকবার দাঁত মেজে থাকেন। কিন্তু এরপরের বার থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড রয়েছে কিনা। আর থাকলে একটু সাবধান হয়েই ব্যবহার করুন সেটা। 

নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য

ranna banna o beauty tps
নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য
নবজাতক বাচ্চাদের মতো আদুরে আর সুন্দর জিনিস কিছু আছে নাকি? নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে কিন্তু বেশ অদ্ভুত এবং মজার কিছু তথ্য আছে যা শুনলে আপনি হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারবেন না! জেনে নিন এগুলো।
তারা লবণের স্বাদ পায় না

নবজাতক শিশুদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা প্রখর, অথচ তারা লবণের স্বাদ নিতে পারে না! মোটামুটি চার মাস বয়স হবার পর তারা লবণের স্বাদ পায়। তবে একজন নবজাতক মিষ্টি, তেতো এবং টক স্বাদ পায় ভালোভাবেই। প্রাপ্তবয়স্কদের চাইতে তাদের স্বাদ্গ্রন্থি বেশি থাকে বলে কিছু গবেষণায় দেখা যায়।
তারা কাঁদে, কিন্তু কোন অশ্রু বের হয় না

নবজাতক বাচ্চারা খুব কাঁদে বটে, কিন্তু তাদের চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। তিন থেকে বারো সপ্তাহ বয়সের মাঝে তাদের অশ্রু গ্রন্থি কার্যকর হয়। তার আগে এরা অশ্রু ছাড়াই কাঁদে।
তাদের হাঁটুর মালাইচাকি থাকে না

নবজাতক সন্তানের এক্স-রে করালে দেখবেন হাঁটুর ওপরে গোলাকার অংশটি অর্থাৎ মালাইচাকি নেই! এর কারণ হলো এখানে শুধুই কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে এই সময়ে। এ থেকে আসল মালাইচাকি তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চাইতে তাদের হাড় বেশি থাকে

মোটামুটি ৩০০টা হাড় থাকে নবজাতক শিশুদের, যেখানে পারপ্তবয়স্ক মানুষের থাকে ২০৬টি। জন্মের পর কয়েক মাসে এসব হাড় একসাথে জোড়া লেগে আসল হাড় তৈরি হয়। বিশেষ করে খুলি বেশ কয়েক ভাগ থাকে, ২ বছর বয়সের মাঝে জোড়া লেগে যায়।
তাদের মেন্সট্রুয়েশন নয়

গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চারা মায়ের শরীরের উচ্চ মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবের আওতায় থাকে। জন্মের পর অর্থাৎ নাড়ি ছেঁড়ার পরে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ দ্রুত কমে আসে। এই কারণে মেয়ে নবজাতকের মাঝে দেখা যেতে পারে “সিউডোমেন্সট্রুয়েশন”। এর কারণে মাঝে মাঝে দুই-এক ফোঁটা রক্ত সেই শিশুর ডায়াপারে দেখা যেতে পারে। জন্মের প্রথম এক সপ্তাহের মাঝে মোটামুটি ২৫ শতাংশ শিশুর মাঝে দেখা যায়।
ল্যাকটেশন

ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে আরও একটি ঘটনা দেখা যায়, যা হলো গ্যালাক্টোরিয়া। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয় নবজাতকের বুকে খুব অল্প পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। এটা ৫ শতাংশ নবজাতকের মাঝে দেখা যায়। দুই মাস পর্যন্ত এই ঘটনা দেখা যেতে পারে।
তারা নিজেদের মুত্র পান করে

গর্ভধারণের কয়েক মাস পর থেকেই বাচ্চারা গর্ভের ভেতরে মুত্রত্যাগ করতে থাকে। এটা কোথায় যায়? এটা বাচ্চারাই পান করে ফেলে! প্রেগনেন্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের পর ভ্রূণ দিনে প্রায় এক লিটার অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পান করে থাকে। এই কাজটাতে তাদের খাবার গেলা ও হজমের প্রক্রিয়াটা উন্নত হয়।
মায়ের খাবারের ফ্লেভার পায় তারা

বাচ্চারা ভ্রুনে থাকা অবস্থাতেই মা যা খায়, তার ফ্লেভার পেয়ে থাকে। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, মা যদি খুব বেশি রসুন খায় তাহলে সেটার ফ্লেভার বাচ্চা পাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড থেকে। এ কারণে বড় হয়েও রসুনের ফ্লেভারের খাবার খাওয়ার প্রতি তার টান থাকতে পারে।
তাদের প্রচুর চুল থাকে

জন্মের সময়ে বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকতে পারে নাও থাকতে পারে, সেটার কথা বলা হচ্ছে না। গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের শরীর ল্যানগুও নামের এক ধরণের পশমে ভরে থাকে। জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই পশম পরে যেতে পারে। অনেক বাচ্চার অবশ্য এই পশম গর্ভে থকা অবস্থাতেই পরে যায় এবং তারা এটাকে খেয়ে ফেলে! বাচ্চা মাথায় যে চুল নিয়ে জন্মগ্রহন করে সেটাও পড়ে যায় কয়েক সপ্তাহে।

Monday, January 4, 2016

বিস্কুটে ছয়মাস থাকতে পারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া

sasthobarta protidin
বিস্কুটে ছয়মাস থাকতে পারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
সালমোনেলার মত ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া বিস্কুট ও স্যান্ডউইচ ক্র্যাকার্সে অন্তত ছয়মাস বেঁচে থাকতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।

সম্প্রতি শুকনো খাবারের মাধ্যমে খাদ্যজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার হার অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ গবেষণা চালানো হয়।

নির্দিষ্ট কিছু খাবার নিয়ে গবেষকরা এ গবেষণা চালান। তারা দেখতে চান খাদ্যজনিত রোগের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া শুকনো খাবারে কতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকে।

প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যারি বিকেট বলেন, “দূষিত শুকনো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা আজকাল অনেক বেড়ে গেছে। খুবই শুষ্ক পরিবেশেও যে শুকনো খাবারের মধ্যে সালমোনেলা জন্মাতে পারে তা আমরা এতদিন কল্পনাও করতে পারিনি।”

গবেষকরা বলেন, বিস্কুট ও ক্র্যাকার স্যান্ডুইচের মত শুকনো খাবারে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া শুধু জন্মায়ই না বরং দীর্ঘদিন সেগুলো ওই খাবারের মধ্যে টিকে থাকে। মুদি দোকান বা ভেন্ডিং মেশিনে যে প্রজাতির সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া থাকে এ ব্যাকটেরিয়াগুলো সে ধরনের।

এ জীবাণুগুলো নিয়ে সেগুলো কুকিস ও স্যান্ডিইচে যোগ করে গবেষকরা দেখেন সেগুলো কতদিন বেঁচে থাকে। এতেই তারা দেখতে পান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবাণুগুলো ছয়মাস ধরে ওই সব খাবারের মধ্যে বেঁচে ছিল।

বিকেট বলেন, “আমরা এটা কল্পনাও করতে পারিনি।” ফুড প্রটেকশন জার্নাল এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

Sunday, January 3, 2016

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে

sasthobarta protidin
মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে
ধবধবে সাদা দাঁত দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই দাঁতের যত্নও করতে হয়। দাঁত এবং মাড়ির যেসব সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া অন্যতম। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়ে থাকে। কিন্তু অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেলে শক্ত খাবার খাওয়ার সময়ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সাথে সাথে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা রোধ করা সম্ভব।
১। লবঙ্গের তেল

লবঙ্গের তেল মাড়ির ইনফ্লামেশন রোধ  করে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। একটুখানি লবঙ্গের তেল নিয়ে মাড়িতে ঘষুন। অথবা এক বা দুটি লবঙ্গ চিবাতে পারেন। এটি আপনার মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
২। অ্যালোভেরা জেল

প্রতিরাতে মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করে লাগান। এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। এটি মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
৩। গ্রিন টি

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে গ্রিণ টি বেশ কার্যকর। গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির জীবাণু ধ্বংস করে এবং দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।
৪। লবণ পানি

কিছু গরম পানি নিন, এর সাথে অল্প কিছু লবণ মিশান। এবার এই লবণ পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এটি।
নিয়মিত কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালোরি থাকে কম। এটা রক্ত চলাচল সচল রেখে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।

সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা

sasthobarta protidin
সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপনি কি চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবার পছন্দ করেন? এই খাবার গুলো তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা। ৫০০০ বছর পূর্বে চীনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা। আপনি কি জানেন প্রাচীন মিশরীয়রা পৃথিবীর প্রতীক হিসেবে পেঁয়াজের কন্দকে পূজা করত? পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজের কন্দ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এতে উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই নরম কচি পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে। একে স্প্রিং অনিওন বা সবুজ পেঁয়াজ ও বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের কন্দে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে থাকে। এছাড়াও কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার থাকে। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজ পাতা। পেঁয়াজ পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জানা যাক এবার।
১। হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাঁধা প্রদান করে কোষ কলার এবং DNA এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজ পাতার সালফার করোনারি হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
২। শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়তা করে
অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বাহির করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজ পাতা।
৩। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৪। স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ করে
লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যান্সার রোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
৬। পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করে
সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীর জটিলতার ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার হচ্ছে স্প্রিং অনিওন। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে
পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন  কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এছাড়াও এঁরা রক্ত সংবহনের উন্নতি করে এবং শরীরে ভিটামিন বি১ এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি।                                           
এগুলোর পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল‍্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগার লেভেল কমায় সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খান।

পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো

sasthobarta protidin
পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো
আপনার যদি কখনো পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি জানেন এর লক্ষণ গুলো : দিনটা হয়তো শুরু করেছেন সমতল পেট নিয়ে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আপনার পেট ফুলতে শুরু করলো এবং পেট শক্ত ও ভরা অনুভব করছেন। সারাদিন এই অবস্থা থাকার ফলে আপনার পেট অনেকটা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের মত দেখাবে। অন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয় বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই অস্বস্তিকর সমস্যাটির জন্য নানা কারণ দায়ী যেমন- বায়ু, অতিরিক্ত খাওয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, হরমোনের পরিবর্তন, খুদ্রান্তে ব্যাকটেরিয়ার অতিবৃদ্ধি, কিছু ঔষধের কারণে, খাদ্যের অসহনীয়তা, গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ইত্যাদি। এছাড়াও মারাত্মক কোন অসুখ যেমন- কোলিক ডিজিজ, ক্রন্স ডিজিজ এবং কোলন ক্যান্সারের জন্যও পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করা যায়। আপনি একটি নোট বুকে এক সপ্তাহের খাদ্য তালিকা লিপিবদ্ধ করুন। আপনি কখন কি খাচ্ছেন এবং কোন খাবারে কেমন অনুভব করছেন সব লিখে রাখুন। এর ফলে খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার শরীরের উপযোগী এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী এই উভয় প্রকার খাদ্য গুলোই চিহ্নিত করতে পারবেন। সাধারণত যে খাবারগুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হল-
১। ভাজা পোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার 
বিভিন্ন প্রকার ফাস্ট ফুড যেমন- বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন, চিপস ইত্যাদি খাবার এবং সমুচা, সিঙ্গারার মত ডিপ ফ্রায়েড খাবার ব্লটিং এর সমস্যা তৈরি করে। কারণ এগুলোকে ভেঙ্গে হজম উপযোগী করতে পাকস্থলীর অনেক সময় লাগে। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য গ্যাস উৎপন্ন হয় যা ব্লটিং এর কারণ।
২। লবণাক্ত খাবার
ব্লটিং সমস্যায় সবচেয়ে দায়ী হচ্ছে লবণ। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে ফলে পেট ফেঁপে থাকে। প্রক্রিয়া জাত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী থাকে।
৩। মসলাযুক্ত খাবার
মসলা যুক্ত খাবার পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে যা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। তাই ব্লটিং এর সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে খাবারে বিভিন্ন রকমের মসলা যেমন- গোলমরিচ, জায়ফল, লবঙ্গ, মরিচ গুঁড়া, কারি, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, সজিনা, টমেটো সস, বারবিকিউ এবং ভিনেগার ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করুন।
৪। কার্বোনেটেড ডিঙ্কস
সোডা থেকে শুরু করে ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটার পর্যন্ত সকল ধরণের কার্বোনেটেড ডিঙ্কসই ব্লটিং এর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই পানীয় গুলোতে বিদ্যমান কার্বন ডাই অক্সাইড পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি করে।
৫। দুগ্ধ জাতীয় খাবার
যদি আপনার শরীর ল্যাকটোজ হজমে অপারগ হয় তাহলে দুধের তৈরি খাবার খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি হয়। ল্যাক্টোজ পাকস্থলীতে পুরোপুরি হজম না হলে কোলনে যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া এগুলোকে ভাঙ্গার জন্য গ্যাস নির্গত করে। যদি আপনার লেক্টোজ অসহনীয়তার সমস্যাটি থেকে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ অন্য খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।
এছাড়াও বন রুটি, বাঁধাকপি, চুইংগাম, আইসক্রিম, সাদা চাল, শতমূলী, ব্রোকলি, আপেল, ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার ইত্যাদি খাবার গুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার মতোই ফ্রুক্টোজের অসহনীয়তার সমস্যা থাকতে পারে কারো কারো। তাই ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম আছে এমন ফল খান। অনেক বেশি শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খেলেও বেলি ব্লটিং হতে পারে।

Saturday, January 2, 2016

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার

sasthobarta protidin
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার
লিলি পরিবারের অন্তর্গত অ্যালোভেরা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে উদ্ভুত হয়। ক্যাকটাসের মত দেখতে মাংসল পাতার অ্যালোভেরা একটি জনপ্রিয় উদ্ভিদ। এর বাংলা নাম ঘৃতকুমারী। অ্যালোভেরা পাতায় আঠালো ও থকথকে জেলীর ন্যায় পদার্থ থাকে যার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উপকারিতা অপরিসীম। আপনি হয়তো শুনেছেন অ্যালোভেরা জেল সান বার্ন এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অ্যালোভেরার আরো অনেক ব্যবহার আছে যা আপনি জানেন না। আজ সেগুলোই জেনে নিই আসুন।
১। মেকাপ রিমুভার
বেশীরভাগ আই মেকাপ রিমুভার কঠোর রাসায়নিক এবং প্যারাফিনের সমন্বয়ে গঠিত। যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক ও যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা এই ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ভালো। কটন বলে বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে চোখের মেকআপ তুলে ফেলুন এবং এতে কোন যন্ত্রণা হবেনা।  
২। শেভিং ক্রিম
অ্যালোভেরার জেল শেভিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরার জেল  অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও ময়েশ্চারাইজিং উপাদান সমৃদ্ধ এবং শেভের জন্য ভালো। ফেনা হওয়ার জন্য অ্যালোভেরার জেলের সাথে হাত ধোয়ার সাবান ও কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস ভালো থাকবে এবং এতে কৃত্রিম ও রাসায়নিক কোন উপাদান নেই যা বেশির ভাগ শেভিং ক্রিম বা জেলে থাকে।
৩। হিলিং ফেস মাস্ক
অ্যালোভেরার জেল শুধুমাত্র ব্রণ বা মেছতার দাগই দূর করেনা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে তারুণ্য দীপ্ত রাখে। হিলিং ফেস মাস্ক তৈরি করা খুবই সহজ। ১-২টি অ্যালোভেরা পাতার অর্ধেক অংশের জেল বের করে নিন। এর সাথে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন যদি আপনি ভালো ঘ্রাণ পেতে চান অথবা শুধু অ্যালোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের হালকা ঘ্রাণ আছে এবং চমৎকার ঠান্ডা অনুভূতি প্রদান করে।
৪। কাটা ও ক্ষত ভালো করে
অ্যালোভেরা জেলে পলিসেকারাইড ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে যদিও কিছু মানুষের জন্য এটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ফাইবার ক্ষত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং এর ঠান্ডা করার উপাদান কেটে যাওয়া অংশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৫। ফেস ওয়াশ
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিল চামচ আমন্ড দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস ওয়াশটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আদর্শ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেল অনন্য। ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিলচামচ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি হাতে ও মুখে লাগিয়ে মালিশ করতে থাকুন যতক্ষণ না গরম অনুভব করেন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৬। এক্সফলিয়েটর
ত্বকের পরিচর্যার জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত চমৎকার স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা ত্বককে নরম করে, কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সাথে যথেষ্ট পরিমাণ ব্রাউন সুগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে দানাদার মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণটি আপনার কনুই, গোড়ালি, বাহু ও মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৭। ফাটা দূর করে
শীতে সাধারনত ত্বক ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালোভেরা জেলের সাথে অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে ফাটা ত্বকে লাগান। এতে শুধু ত্বকের আদ্রতাই ফিরে আসবেনা ইনফেকশন থেকেও ত্বককে রক্ষা করবে।
৮। শুষ্ক মাথার তালু
অ্যালোভেরার গ্লাইকোপ্রোটিন শুষ্ক ত্বক ও শুষ্ক তালুর নিরাময় করতে পারে। আয়ুর্বেদ প্রফেসর Dr.Rajini Patankar এর মতে, অ্যালোভেরার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শুষ্কতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই অ্যালোভেরার জেল মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৯। সর্দি ও কাশি
শ্বাসনালীর ইনফেকশনের জন্য দায়ী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। কারণ এতে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানও আছে। সম পরিমাণে মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেবন করুন। গলা ব্যথা ও সাইনুসাইটিসকেও প্রশমিত করে অ্যালোভেরা জেল। 
৮। বদহজম
শীতের সময়ে পাকস্থলীর জটিলতা ও বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস অ্যালোভেরার জুস পান করলে হজম সহায়ক হয় ও শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়।
৯। আরথ্রাইটিস
শীতের সময়ে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য একদিন পরপর অ্যালোভেরার জুস পান করুন। অ্যালোভেরায় প্রদাহ রোধী উপাদান আছে যা শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে, খুশকি ও এক্সিমা দূর করতে ইত্যাদি নানা কাজের জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। আপনার বাসাতেই অ্যালোভেরার গাছ লাগাতে পারেন।

শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে

sasthobarta protidin
শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে
মরণব্যাধি ক্যান্সার ছোট শিশুটিকেও ছাড় দেয় না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর আনুমানিক ১২,৪০০ শিশু এবং টিনেজার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পাঁচশ জন তরুণের মধ্যে একজন তরুণ ছোটবেলায় ক্যানসারের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছে। শৈশবকালের ক্যান্সার সাধারণত বাবা মায়ের খাদ্যভ্যাসের সাথে যুক্ত থাকে। বাবা মায়ের ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে দায়ী করা হয় এর জন্য। Dr. B.C. Roy Awardee Dr. Anupam Sachdeva, Director, Pediatric Hematology Oncology and Bone Marrow Transplantation Institute For Child Health, Sir Ganga Ram Hospital কিছু উপায় বলেছেন যা দ্বারা শিশুদের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস

আপনার বাচ্চাকে ফ্রেশ ফল, শাকসবজি বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তলুন। এটি শরীরের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দূর করে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ ফল ও সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া মুরগি, সামুদ্রিক মাছ এবং সয়া খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। জাঙ্ক ফুড এবং কোলাজাতীয় পানীয় কম খাওয়ান।
২। সানস্ক্রিন ব্যবহার

আপনার বাচ্চাটি যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করুন। এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। যা স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৩। শরীরচর্চা

লক্ষ্য রাখুন আপনার শিশুটি যেন শারীরিক শ্রমে অভ্যস্ত হয়। শারীরিক কার্যকলাপ হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস, সাঁতার কাটা, বাইরে খেলাধুলা করা, হাঁটার অভ্যাস করা ইত্যাদি।
৪। ওজন বৃদ্ধি

আধুনিক সময়ে বাচ্চাদের স্থূলতা বেড়ে চলছে। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, বসে থাকা ইত্যাদি বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। একনাগাড়ে ২ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা উচিত নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সকালে নাস্তা অব্যশই খাওয়াবেন। নবজাতককে অব্যশই ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৫। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ

ছোট বয়সেই আপনার বাচ্চাকে ধূমপান এবং মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এমনকি আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা আজকেই ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকেই অনুসরণ করবে।
৬। সার্ভিকাল ক্যান্সার ভ্যাকসিন

সাধারণত ১১ থেকে ১২ বছরে শিশুদের এইচআইভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিনের দুটি অংশ সার্ভারিক্স আর গার্ডাসিল যা প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। গার্ডাসিল এবং সার্ভারিক্স মহিলাদের এইচআইভি প্রতিরোধ করে। কিন্তু গার্ডাসিল বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

হেপাটাইটিস বি ইনফেকশন লিভার ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। এর ভ্যাকসিন আপনার শিশুটিকে দিতে ভুলবেন না।
মূলত স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং সচেতনতাই পারে আপনার শিশুকে মরণঘ্যাতি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে। 

বিয়ের মৌসুমে ৭টি উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আপনার ওজন

sasthobarta protidin
বিয়ের মৌসুমে ৭টি উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আপনার ওজন
শীতকালকে বিয়ের মৌসুম বলা হয়। আজ ভাইয়ের বিয়ে তো কাল বান্ধবীর বিয়ে! এত অনুষ্ঠানের মাঝে নিশ্চয় আপনার ডায়েট প্ল্যান ঠিকমত মানা হচ্ছে না? আর এত পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়ার ফলে ওজনটাও বেড়ে গেছে অনেকখানি। এখন কি উপায়? আবার ব্যায়াম আবার ডায়েট করতে হবে! না, কিছু নিয়ম মেনে চললে উৎসবেও আপনি থাকুন একদম ফিট।
১। পার্টিতে যাওয়ার আগে খান
কোন দাওয়াত বা পার্টিতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন। সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ ক্যালরি আছে এমন স্যাঙ্কস যেমন কয়েক টুকরো ফল, লো ফ্যাট দই, একটি কলা অথবা কিছু পরিমাণ বাদাম। এটি আপনার ক্ষুধা কিছু হলে কমিয়ে দেবে। যার ফলে আপনি দাওয়াতে অনেক খাবার খেতে পারবেন না।
২। ব্যায়াম করুন
আপনার যদি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকে,সেটি এই উৎসবের সময় ত্যাগ করবেন না। অল্প কিছুক্ষণ হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বাঁধা দেওয়ার সাথে সাথে আপনার মন খারাপ ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
৩। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান
কেক, মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম পরিমাণে গ্রহণ করুন। এক চামচ কেক বা মিষ্টিতে আপনার শরীরে ৩০০ পর্যন্ত ক্যালরি বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
৪। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
আপনার যদি মাংসের বিকল্প হিসেবে সবজি বা অন্য কোন খাবার থাকে তবে মাংসের পরিবর্তে সবজি গ্রহণ করুন। মাছ বা সবজিতে মাংসের চেয়ে কম ক্যালরি থাকে, যা আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এবং ওজনও ঠিক রাখবে।
৫। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
সফট ড্রিঙ্কের পরিবর্তে পানি পান করুন। এক গ্লাস ড্রিঙ্ক আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট। খাবার খাওয়ার আগে সম্ভব হলে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার খাবার খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমিয়ে দেবে। 
৬। আস্তে আস্তে খান
আস্তে আস্তে ভাল করে চিবিয়ে খাবার খান। খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট পর মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছে যায় যে আপনার পেট ভরে গেছে। তাই আপনি যদি আস্তে আস্তে অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ করুন, সেটা আপনার পেট ভরিয়ে দিবে।
৭। হিসাব রাখুন
সপ্তাহিক কী পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করবেন বা কী পরিমাণ খাবেন তার একটি লিস্ট রাখুন। খাদ্য তালিকা থেকে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করবেন না। বরং কী পরিমাণে খাবেন, সেটি ঠিক করুন। প্রতিদিন কী পরিমাণ সবজি খাবেন সেটির পরিমাণ ঠিক করে নিন।
উৎসব অনুষ্ঠানে একটু হিসেব করে খাওয়া দেওয়া করলে এবং তার সাথে অল্প একটু ব্যায়াম আপনার ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।