Tuesday, June 28, 2016

কেমন হবে ঈদের মেকআপ

sasthobarta protifdin
কেমন হবে ঈদের মেকআপ
পাশ্চাত্যে প্রতিবছরই মেকআপ, পোশাকের রং ও স্টাইলের একেকটি ধারা চালু হয়। এবারের ঈদে আমাদের দেশে চলতি বিশ্ব ফ্যাশনের প্রভাব পড়বে, নাকি পড়বে না, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। পোশাকে অতটা না হলেও মেকআপে বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্বাস করেন রূপবিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শুধু একটি নয়, বেশ কিছু মেকআপ ট্রেন্ড এবার অনুসরণ করা হবে। আবহাওয়া ও নিজের পছন্দের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে পারেন যেকোনো একটি ট্রেন্ড।

ঈদে এবার লিপস্টিকের ক্ষেত্রে কেউ উজ্জ্বল টোন প্রাধান্য দেবেন, কেউ আবার বেছে নেবেন কালচে টোন। বিশ্ব ফ্যাশনেও এখন কালচে টোন বেশি চলছে। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন মনে করেন, চেহারায় আধুনিক ভাব আনতে চাইলে গাঢ় টোনের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। হালকা বা গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গাঢ় টোনের লিপস্টিক মানিয়ে যাবে। তবে রংটি কে কতটা বহন করতে পারছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গাঢ় বেগুনি, গাঢ় মেরুন, গাঢ় কফি রংগুলো বেশ চলছে। কেউ যদি গাঢ় টোনে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে তিনি কমলা, পিচ, বেইজ, লাল, গোলাপি রংগুলো বেছে নিতে পারেন।

চোখে দুই ধরনের ট্রেন্ডের কথা জানালেন রূপবিশেষজ্ঞরা। একদিকে খুব গ্লিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনি, ম্যাজেন্টা ইত্যাদি। শুধু তাই নয়। উজ্জ্বল রং ছাড়াও গ্লিটার ব্যবহার করা যাবে ইচ্ছেমতো। চাইলে কেউ চোখ-ঝলসানো নানা রঙের গ্লিটার দিয়েই চোখ সাজাতে পারেন। চিকন রেখার টান কিংবা চোখজুড়েই থাকতে পারে চিকমিক ভাব।

রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী জানালেন, শুধু একটি রং দিয়ে চোখ সাজানোর ট্রেন্ডও এখন চলছে। উজ্জ্বল সব রং বেছে নেওয়া হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। একটু অমসৃণ, আঁকাবাঁকাভাবে আইশ্যাডো লাগালেও খুব একটা খারাপ লাগবে না। তবে ব্লেনডিং ভালোভাবে করতে হবে।

এদিকে ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের মেকআপ বিশেষজ্ঞ বাপন রহমান জানালেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ফ্যাশন অনুযায়ী চোখের মেকআপ হবে হালকা। লিপস্টিকটা হতে পারে ভারী কোনো রঙের। সেই সঙ্গে কমপ্যাক্ট আইশ্যাডো ব্যবহারের কথাও বললেন বাপন। কাজল ও মাসকারা ভারী করে দিয়ে আইশ্যাডো হালকা রঙের বেছে নিতে পারেন। সাদা রঙের কাজল ব্যবহার করা হচ্ছে বেশ। এতে করে ছোট চোখ দেখতে বড় লাগবে।

রং আপনি যেটাই বাছুন, ফাউন্ডেশন হালকা রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফাউন্ডেশন যত হালকা ও মসৃণ হবে, দেখতে ততটাই সতেজ লাগবে। প্রয়োজন না পড়লে প্যানকেক একদমই ব্যবহার করবেন না। বারবার সবাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন গরমের কথা। তাই কমপ্যাক্ট পাউডার অথবা লুজ পাউডার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিতে হবে।

সংগ্রহঃ প্রথম আলো। 

যে ৫ টি খাবার আপনাকে স্লিম হতে সাহায্য করবে

sasthobarta protidin
যে ৫ টি খাবার আপনাকে স্লিম হতে সাহায্য করবে
আপনি যখন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তখন সঠিক খাবার খেয়ে পেট ভরা রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার আপনার কোমরের মেদ কমতে সাহায্য করে আবার কিছু খাবার আছে যা কয়েক পাউন্ড ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সাধারণত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার আপনাকে পাতলা হতে সাহায্য করে কারণ তাদের ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। পুষ্টিতে ভরপুর খাবার হচ্ছে- শাকসবজি, ফল, আস্ত শস্য, শিম জাতীয় খাবার এবং চর্বিহীন প্রোটিন। ওজন কমাতে সাহায্য করবে এমন কিছু খাবারের কথাই জেনে নিব আজ।

১। আপেল

ডায়াটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস হচ্ছে আপেল। ডায়াটারি ফাইবার শুধু পরিপাক তন্ত্রকে সুস্থ রাখতেই সাহায্য করেনা কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে। আপেল পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। অ্যাপেটাইট নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যে সকল নারী দৈনিক ৩ টি আপেল বা ৩ টি নাশপাতি খান তাদের ওজন বেশি কমে যারা ৩ টি ওটস কুকিজ খান তাদের চেয়ে। যদিও ফল ও কুকিজে একই পরিমাণ ডায়াটারি ফাইবার থাকে। “গ্রিথ কন্ট্রোল :  দ্যা সাইন্স অফ ফ্যাট লস এন্ড মাসেল গেইন” বইটির লেখক ও পুষ্টিবিদ অ্যালান অ্যারাগন এর মতে, কুড়মুড়ে খাবার মানুষকে পেট ভরা রাখার অনুভূতি দেয়। চাবানোর ফলে শরীর থেকে তৃপ্তির সংকেত পাঠায়। এর ফলে আপনি যা খেয়েছেন তারচেয়ে অনেক বেশি খেয়েছেন বলে মনে হবে এবং ক্ষুধাকে দূর করে দেবে।  

২। কাঠবাদাম

আপনি যদি স্ন্যাক্স হিসেবে সুস্বাদু কিছু চান তাহলে একমুঠো কাঠবাদাম হতে পারে আদর্শ খাবার। ২০০৯ সালে “দ্যা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন” এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যে সকল নারীরা সপ্তাহে অন্তত ২ দিন বাদাম খান তারা যারা খান না তাদের চেয়ে বেশি ওজন কমাতে সফল হন। ১ আউন্স কাঠবাদামে ১৬৭ ক্যালরি থাকে। এছাড়াও এতে ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে যা আপনাকে পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। 

৩। ডিম

এতে কোন সন্দেহ নেই যে ফাইবারের মত প্রোটিনের তৃপ্তি দানকারী ক্ষমতা আছে। গবেষণায় জানা  যায় যে, সকালে ডিম খেলে সারাদিনে ওজন বৃদ্ধির সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। “ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অবেসিটি” তে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যারা সকালের নাশতায় ২ টি ডিম খায় সপ্তাহে ৫ দিন, তাদের ৬৫% ওজন কমে। ডিমের কুসুমে যে প্রোটিন থাকে তা  গ্লুকাগন হরমোনের নিঃসরণকে উদ্দীপ্ত করে যা ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে বিশেষ করে পেটের মেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই শুধু ডিমের সাদা অংশ নয় কুসুমসহ ডিম খান।    

৪। টমাটো

বেশিরভাগ সবজিই আপনাকে শুকাতে সাহায্য করবে। তবে টমাটোর কথা উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এটি খুবই সুস্বাদু। এক কাপ রান্না করা টমাটতে মাত্র ৪৩ ক্যালরি থাকে। কিন্তু অন্য যেকোন উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবারের চেয়ে বেশি সুস্বাদু হচ্ছে টমাটো।

৫। দই

দই আপনাকে শুকাতে সাহায্য করবে কারণ এতে ক্যালসিয়াম আছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, দই স্থূলতার ঝুঁকি কমায়। দই এর আইসোক্যালরিক সাবস্টিটিউশন মেদ কমতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়াম করাও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয়। উপরোল্লেখিত খাবার গুলো ওজন কমাতে সাহাজ করে কারণ এগুলো ফাইবার বা প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলো পরিতৃপ্তি দিতে পারে অর্থাৎ এগুলো খাওয়ার পর আপনি ক্ষুধা অনুভব করবেন না। তাই ওজন কমাতে চাইলে এই খাবার গুলো খান।

Monday, June 27, 2016

ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের সহজ কিছু কৌশল

sasthobarta protidin
ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের সহজ কিছু কৌশল
বাইরে সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটিয়ে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি ফিরে কার ইচ্ছে করে ঘর পরিষ্কার করতে? কিন্তু যতই ইচ্ছে না করুক এটা তো মানবেন যে দৈনন্দিন আরো দশটা কাজের মতন ঘরের সাফ-সাফাই করাটাও অত্যন্ত জরুরী একটি কাজ? আর সেটা জরুরী আমাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্যেই। বিশেষ করে রান্নাঘর, বাথরুম আর ডাইনিংয়ের মতন স্থানগুলোতো কিছুদিন পরপরই পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু সময়? এতকিছু করার সময় পাওয়া যাবে কোথা থেকে? এটাই তো ভাবছেন? তাহলে আপনার জন্যেই আজ দেওয়া হল খুব সহজে ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের কিছু সাহায্যকারী কৌশল।

একটি বাথরুমে কোন কোন জিনিসগুলো সাধারণত পরিষ্কার করার দরকার পড়ে?

১. ঝাপসা কাঁচ

২. এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়া সাবানের দাগ ও পানি দ্বারা তৈরি জং কিংবা মরচে

৩. ট্যাপের পানি পড়ে তৈরি হওয়া বাদামী দাগ

৪. বাথরুমে হঠাত্ করেই তৈরি হওয়া আজগুবী সব দাগ

৫. চুল, ফেনা, শ্যাম্পুর ফেলে দেওয়া অংশসহ সমস্ত আবর্জনা ইত্যাদি।

এই সমস্ত ঝামেলাকে খুব দ্রুত দূর করার জন্যে নীচে দেওয়া হল খুব উপকারী কিছু বাথরুম পরিষ্কারের কৌশল।

১. ঝাপসা কাঁচ

ঝাপসা কাঁচকে নিমিষে খুব বেশি ডলাডলি ছাড়াই চকচকে করে তুলতে প্রথমে একটি গ্লাসে অর্ধেকের একটি বেশি ঠান্ডা পানি নিয়ে তিনটি ব্ল্যাক টি ব্যাগ তাতে চুবিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ আপনার বাথরুমের ঝাপসা কাঁচে ছিটিয়ে নিয়ে সেটাকে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখুন কেমন দারুন চকচকে হয়ে গিয়েছে আপনার বাথরুমের কাঁচ!

২. বাদামী ছোপ, জং কিংবা দাগ

বেসিনে বাদামী দাগ হয়ে গিয়েছে? একটি পাত্র নিয়ে তাতে অর্ধেক ভিনেগার এবং অর্ধেক থালা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিন। এবার সেটা একটি শক্ত মুছনীতে লাগিয়ে নিয়ে দাগ পড়া স্থানে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে গিয়েছে। এছাড়া যেকোন রকমের জং কিংবা খসখসেভাব দূর করতে খানিকটা লেবুর রস সেখানে ঘষুন। এরপর সেটাকে পরিষ্কার করে ফেলুন। এছাড়াও যদি পানির কলের ভেতরে শক্ত রকমের জং ও দাগ দেখতে পান আপনি তাহলে একটি তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে জংধরা স্থানগুলো মুড়িয়ে নিন। এরপর সেটার ওপরে ভিনেগার ঢালুন। কাপড় বা তোয়ালেটিতে ৩০ মিনিট সেভাবেই রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর উঠিয়ে দাগ ও জংপড়া স্থানটিকে ভালোভাবে ঘষুন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৩. টয়লেট

সবসময় ব্যবহৃত এই স্থানটিকে পরিষ্কার করার জন্যে খুব বেশি কষ্ট করতে হবেনা আপনার। এজন্যে শুধু ভিনেগার এবং কয়েকটুকরো কাগজই সাহায্য করতে পারে আপনাকে। প্রথমে ফ্ল্যাশের ভেতরে খানিকটা ভিনেগার ঢেলে দিন। এবার উপরে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই কাগজে ভিনেগার ঢেলে সেটা কমোডের কোনায় রাখুন। বাকীটা অংশ ভিনেগার দিয়ে মোছা হয়ে গেলে সাত মিনিট পর কাগজগুলো ব্রাশ দিয়ে বের করে আনুন আর ভিনেগার দিয়ে একটি টুথব্রাশ ভিজিয়ে সেটা দিয়ে বাকীটা পরিষ্কার করুন। এবার সবটা শেষ হয়ে গেল ফ্ল্যাশ করুন।

৪. লুকিয়ে থাকা আবর্জনা

সামনে থাকা আবর্জনাতো আপনি ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারেন। তবে সেই আবর্জনাগুলো যেগুলো লুকিয়ে থাকে বেসিনসহ এমনকিছু স্থানে যা ইচ্ছা করলেও বের করে নিয়ে আসা সম্ভব না সেগুলো দূর করতে আপনার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটিকে নিয়ে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে তাতে টেপ আটকে নিন আর সেই ময়লা-আবর্জনাগুলোকে বের করে নিয়ে আসুন।

যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত

sasthobarta protidin
যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত
আধুনিক নারীদের বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরেও কাজ করতে হয়। ব্যস্ত এই জীবনে এত কাজের ভিড়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারেন না অনেক নারীরাই। আবার স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন। তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।

১। ভিটামিন এ

সব বয়সী নারীদের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়। এটি হাড়, দাঁত মজবুত করে। এর সাথে টিস্যু , ত্বক এবং পেশী মজবুত করে থাকে। নিয়মিত গ্রহণে ভিটামিন এ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।

২। ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।

৩। ভিটামিন বি

ভিটামিন বি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন Mary Ellen Camire, University of Maine এর পুষ্টিবিদ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ,  ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি৬ ডিপ্রেশন, হৃদরোগ এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখা প্রয়োজন।

৪। ভিটামিন ই

বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।

৫। ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি বেশ উপকারী। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি করে, বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে।

Wednesday, June 22, 2016

জামের যত পুষ্টিগুণ

sasthobarta protidin
জামের যত পুষ্টিগুণ
এখন চলছে সবরকম মৌসুমী ফলের ভরা মৌসুম। এখন যত্রতত্র মিলছে আম, জাম, কাঁঠালসহ অন্যান্য সব ধরনের মিষ্টি ফল। 
এর মধ্যে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি হচ্ছে জাম। কালো রঙের এই ফলটিতে কী কী পুষ্টিগুণ ও খাদ্য গুণ আছে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো : 
১.কাঁচা জামের পেস্ট পেটের জন্য উপকারী। এতে  পেটের রোগ সেরে যায়। ক্ষুধামন্দা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে জামের আচার পানির মধ্যে সমপরিমাণে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। 
২. বর্তমানে কিছু দেশে জাম দিয়ে বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যবহারে চুল পাকা বন্ধ হবে। 
৩. গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করে তা পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও কমে যাবে। 
৪.  জামে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি'। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবণতা বাড়ে, জামে এটি দূর হয়। 
৫. জামের ভিটামিন ‘এ’ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম রেখে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়। 
৬. জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরেও শক্তি সঞ্চিত করে। 
৭. দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে খেতে পারেন জাম। জামের উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
৮. ক্যান্সারের জীবানু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা আছে জামের। বিশেষ করে মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর। 
৯. জামে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। 
১০. জামের উপাদানগুলো মেমোরি সেলগুলোকে উজ্জীবিত করে স্মৃতিশক্তি বাড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 
১১. নিয়মিত জাম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাম ডায়াটরি ফাইবারে পূর্ণ। তাই দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরাও জাম খেলে উপকার পাবেন। 
১২. যাদের কোনো কিছুই মুখে রোচে না, তারা রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন। ভ্রমণজনিত বমিভাবও দূর করে এই ফল। 
১৩. যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত জাম খেতে পারেন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে জামের জুড়ি নেই। 
১৪. নিয়মিত জাম খেলে হৃদরোগ এড়ানো যায়। ১৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আছে সুখবর। রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামের জুড়ি নেই।

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ

sasthobarta protidin
স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ
পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক মধ্য বয়সের পর একটি বড় সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলে এবং মানসিক চাপের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্তনালি বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। এতে মৃত্যুঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি আছে কোনো অঙ্গ বা শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ার ঝুঁকি।
আজকাল তুলনামূলক কম বয়সেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে বাড়তি লবণ একেবারেই বাদ দিন। রান্নায়ও লবণ দিতে হবে পরিমিত। বেশি লবণযুক্ত খাবার, সয়াসস, কেচআপ ইত্যাদি কম খান। এড়িয়ে চলুন তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো রক্তনালিতে চর্বি জমতে এবং ব্লক তৈরি করতে সাহায্য করে।
ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে প্রমাণ মিলেছে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, শাক, বরবটি এবং টক ফলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড থাকে।
তাজা ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খান। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এসব ফলমূলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করুন।
বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে বছরে দু-একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শরীরের ওজন এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করুন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি

sasthobarta protidin
রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি
তীব্র গরমের এই দিনে একমাস রোজা রাখা প্রতিটি মুমিনের জন্য জোরতর ঈমানের পরীক্ষা। এসময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী রোজা রাখতে সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এসময় পরিশ্রমী বা স্পর্শকাতর যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অথচ সব সমস্যা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে রোজা রাখার প্রধান সহায়ক হতে পারে ইসুবগুল ভুসির শরবত। রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে প্রাণবন্ত রাখতে এই শরবতের তুলনা নেই। শুধু পানিশূন্যতা দূর নয় ইসুবগুলের আছে আরও নানা গুণ। আসুন জেনে নেয়া যাক।

- ইসুবগুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপকারী।

- পাকস্থলী শীতল রাখতে ইসুবগুলের তুলনা নেই।

- কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, ওজন হ্রাস ইত্যাদিতে ইসবগুলের ভুসি উপকারী।

- পেটব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যায় একগ্লাস ইসুবগুল শরবতে।

- পাইলস সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন তিন-চারবার ইসুবগুল শরবত খাওয়া উচিৎ।

- হজমের সমস্যা দূর করতেও ইসুবগুলের তুলনা নেই।

- পেটে সমস্যা দেখা দিলে তিন টেবিল চামচ ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, তারা দিনে তিনবারও খেতে পারেন।

- প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাশয় ও অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

- প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ইসব গুলের ভুষির শরবত খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।

- ডায়েবেটিস রোগিদের রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।