Monday, June 27, 2016

ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের সহজ কিছু কৌশল

sasthobarta protidin
ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের সহজ কিছু কৌশল
বাইরে সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটিয়ে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি ফিরে কার ইচ্ছে করে ঘর পরিষ্কার করতে? কিন্তু যতই ইচ্ছে না করুক এটা তো মানবেন যে দৈনন্দিন আরো দশটা কাজের মতন ঘরের সাফ-সাফাই করাটাও অত্যন্ত জরুরী একটি কাজ? আর সেটা জরুরী আমাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্যেই। বিশেষ করে রান্নাঘর, বাথরুম আর ডাইনিংয়ের মতন স্থানগুলোতো কিছুদিন পরপরই পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু সময়? এতকিছু করার সময় পাওয়া যাবে কোথা থেকে? এটাই তো ভাবছেন? তাহলে আপনার জন্যেই আজ দেওয়া হল খুব সহজে ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের কিছু সাহায্যকারী কৌশল।

একটি বাথরুমে কোন কোন জিনিসগুলো সাধারণত পরিষ্কার করার দরকার পড়ে?

১. ঝাপসা কাঁচ

২. এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়া সাবানের দাগ ও পানি দ্বারা তৈরি জং কিংবা মরচে

৩. ট্যাপের পানি পড়ে তৈরি হওয়া বাদামী দাগ

৪. বাথরুমে হঠাত্ করেই তৈরি হওয়া আজগুবী সব দাগ

৫. চুল, ফেনা, শ্যাম্পুর ফেলে দেওয়া অংশসহ সমস্ত আবর্জনা ইত্যাদি।

এই সমস্ত ঝামেলাকে খুব দ্রুত দূর করার জন্যে নীচে দেওয়া হল খুব উপকারী কিছু বাথরুম পরিষ্কারের কৌশল।

১. ঝাপসা কাঁচ

ঝাপসা কাঁচকে নিমিষে খুব বেশি ডলাডলি ছাড়াই চকচকে করে তুলতে প্রথমে একটি গ্লাসে অর্ধেকের একটি বেশি ঠান্ডা পানি নিয়ে তিনটি ব্ল্যাক টি ব্যাগ তাতে চুবিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ আপনার বাথরুমের ঝাপসা কাঁচে ছিটিয়ে নিয়ে সেটাকে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখুন কেমন দারুন চকচকে হয়ে গিয়েছে আপনার বাথরুমের কাঁচ!

২. বাদামী ছোপ, জং কিংবা দাগ

বেসিনে বাদামী দাগ হয়ে গিয়েছে? একটি পাত্র নিয়ে তাতে অর্ধেক ভিনেগার এবং অর্ধেক থালা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিন। এবার সেটা একটি শক্ত মুছনীতে লাগিয়ে নিয়ে দাগ পড়া স্থানে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে গিয়েছে। এছাড়া যেকোন রকমের জং কিংবা খসখসেভাব দূর করতে খানিকটা লেবুর রস সেখানে ঘষুন। এরপর সেটাকে পরিষ্কার করে ফেলুন। এছাড়াও যদি পানির কলের ভেতরে শক্ত রকমের জং ও দাগ দেখতে পান আপনি তাহলে একটি তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে জংধরা স্থানগুলো মুড়িয়ে নিন। এরপর সেটার ওপরে ভিনেগার ঢালুন। কাপড় বা তোয়ালেটিতে ৩০ মিনিট সেভাবেই রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর উঠিয়ে দাগ ও জংপড়া স্থানটিকে ভালোভাবে ঘষুন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৩. টয়লেট

সবসময় ব্যবহৃত এই স্থানটিকে পরিষ্কার করার জন্যে খুব বেশি কষ্ট করতে হবেনা আপনার। এজন্যে শুধু ভিনেগার এবং কয়েকটুকরো কাগজই সাহায্য করতে পারে আপনাকে। প্রথমে ফ্ল্যাশের ভেতরে খানিকটা ভিনেগার ঢেলে দিন। এবার উপরে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই কাগজে ভিনেগার ঢেলে সেটা কমোডের কোনায় রাখুন। বাকীটা অংশ ভিনেগার দিয়ে মোছা হয়ে গেলে সাত মিনিট পর কাগজগুলো ব্রাশ দিয়ে বের করে আনুন আর ভিনেগার দিয়ে একটি টুথব্রাশ ভিজিয়ে সেটা দিয়ে বাকীটা পরিষ্কার করুন। এবার সবটা শেষ হয়ে গেল ফ্ল্যাশ করুন।

৪. লুকিয়ে থাকা আবর্জনা

সামনে থাকা আবর্জনাতো আপনি ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারেন। তবে সেই আবর্জনাগুলো যেগুলো লুকিয়ে থাকে বেসিনসহ এমনকিছু স্থানে যা ইচ্ছা করলেও বের করে নিয়ে আসা সম্ভব না সেগুলো দূর করতে আপনার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটিকে নিয়ে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে তাতে টেপ আটকে নিন আর সেই ময়লা-আবর্জনাগুলোকে বের করে নিয়ে আসুন।

যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত

sasthobarta protidin
যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত
আধুনিক নারীদের বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরেও কাজ করতে হয়। ব্যস্ত এই জীবনে এত কাজের ভিড়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারেন না অনেক নারীরাই। আবার স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন। তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।

১। ভিটামিন এ

সব বয়সী নারীদের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়। এটি হাড়, দাঁত মজবুত করে। এর সাথে টিস্যু , ত্বক এবং পেশী মজবুত করে থাকে। নিয়মিত গ্রহণে ভিটামিন এ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।

২। ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।

৩। ভিটামিন বি

ভিটামিন বি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন Mary Ellen Camire, University of Maine এর পুষ্টিবিদ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ,  ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি৬ ডিপ্রেশন, হৃদরোগ এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখা প্রয়োজন।

৪। ভিটামিন ই

বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।

৫। ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি বেশ উপকারী। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি করে, বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে।

Wednesday, June 22, 2016

জামের যত পুষ্টিগুণ

sasthobarta protidin
জামের যত পুষ্টিগুণ
এখন চলছে সবরকম মৌসুমী ফলের ভরা মৌসুম। এখন যত্রতত্র মিলছে আম, জাম, কাঁঠালসহ অন্যান্য সব ধরনের মিষ্টি ফল। 
এর মধ্যে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি হচ্ছে জাম। কালো রঙের এই ফলটিতে কী কী পুষ্টিগুণ ও খাদ্য গুণ আছে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো : 
১.কাঁচা জামের পেস্ট পেটের জন্য উপকারী। এতে  পেটের রোগ সেরে যায়। ক্ষুধামন্দা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে জামের আচার পানির মধ্যে সমপরিমাণে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। 
২. বর্তমানে কিছু দেশে জাম দিয়ে বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যবহারে চুল পাকা বন্ধ হবে। 
৩. গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করে তা পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও কমে যাবে। 
৪.  জামে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি'। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবণতা বাড়ে, জামে এটি দূর হয়। 
৫. জামের ভিটামিন ‘এ’ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম রেখে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়। 
৬. জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরেও শক্তি সঞ্চিত করে। 
৭. দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে খেতে পারেন জাম। জামের উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
৮. ক্যান্সারের জীবানু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা আছে জামের। বিশেষ করে মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর। 
৯. জামে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। 
১০. জামের উপাদানগুলো মেমোরি সেলগুলোকে উজ্জীবিত করে স্মৃতিশক্তি বাড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 
১১. নিয়মিত জাম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাম ডায়াটরি ফাইবারে পূর্ণ। তাই দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরাও জাম খেলে উপকার পাবেন। 
১২. যাদের কোনো কিছুই মুখে রোচে না, তারা রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন। ভ্রমণজনিত বমিভাবও দূর করে এই ফল। 
১৩. যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত জাম খেতে পারেন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে জামের জুড়ি নেই। 
১৪. নিয়মিত জাম খেলে হৃদরোগ এড়ানো যায়। ১৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আছে সুখবর। রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামের জুড়ি নেই।

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ

sasthobarta protidin
স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ
পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক মধ্য বয়সের পর একটি বড় সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলে এবং মানসিক চাপের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্তনালি বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। এতে মৃত্যুঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি আছে কোনো অঙ্গ বা শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ার ঝুঁকি।
আজকাল তুলনামূলক কম বয়সেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে বাড়তি লবণ একেবারেই বাদ দিন। রান্নায়ও লবণ দিতে হবে পরিমিত। বেশি লবণযুক্ত খাবার, সয়াসস, কেচআপ ইত্যাদি কম খান। এড়িয়ে চলুন তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো রক্তনালিতে চর্বি জমতে এবং ব্লক তৈরি করতে সাহায্য করে।
ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে প্রমাণ মিলেছে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, শাক, বরবটি এবং টক ফলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড থাকে।
তাজা ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খান। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এসব ফলমূলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করুন।
বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে বছরে দু-একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শরীরের ওজন এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করুন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি

sasthobarta protidin
রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি
তীব্র গরমের এই দিনে একমাস রোজা রাখা প্রতিটি মুমিনের জন্য জোরতর ঈমানের পরীক্ষা। এসময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী রোজা রাখতে সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এসময় পরিশ্রমী বা স্পর্শকাতর যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অথচ সব সমস্যা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে রোজা রাখার প্রধান সহায়ক হতে পারে ইসুবগুল ভুসির শরবত। রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে প্রাণবন্ত রাখতে এই শরবতের তুলনা নেই। শুধু পানিশূন্যতা দূর নয় ইসুবগুলের আছে আরও নানা গুণ। আসুন জেনে নেয়া যাক।

- ইসুবগুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপকারী।

- পাকস্থলী শীতল রাখতে ইসুবগুলের তুলনা নেই।

- কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, ওজন হ্রাস ইত্যাদিতে ইসবগুলের ভুসি উপকারী।

- পেটব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যায় একগ্লাস ইসুবগুল শরবতে।

- পাইলস সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন তিন-চারবার ইসুবগুল শরবত খাওয়া উচিৎ।

- হজমের সমস্যা দূর করতেও ইসুবগুলের তুলনা নেই।

- পেটে সমস্যা দেখা দিলে তিন টেবিল চামচ ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, তারা দিনে তিনবারও খেতে পারেন।

- প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাশয় ও অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

- প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ইসব গুলের ভুষির শরবত খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।

- ডায়েবেটিস রোগিদের রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।

Tuesday, June 21, 2016

ঘরোয়া উপাদানেই বিদায় বলুন ছারপোকাকে

sasthobarta protidin
ঘরোয়া উপাদানেই বিদায় বলুন ছারপোকাকে
শোবার বিছানা থেকে শুরু করে বসার চেয়ার পর্যন্ত- ঘরের সর্বত্র যেন লেগেই রয়েছে ছারপোকার দৌরাত্ম্য। কোনভাবেই রেহাই মিলছে না এই ছোট্ট অথচ বিশালাকৃতির যন্ত্রণার হাত থেকে? এমনকি বাজারের ঔষধগুলোও কাজ করছে না ঠিকঠাকভাবে? চলুন তাহলে বাজারের এই ভুলভাল কীটনাশকগুলোকে পাশে সরিয়ে রেখে সম্পূর্ণ নতুন একটি ছারপোকার প্রতিষেধক তৈরি করার চেষ্টা করা যাক। ভাবছেন খুব কঠিন কিছু? একদমই না! খুব সহজ এই স্প্রে-টিকে বাড়িতে বসেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। এটা নিমিষে আপনাকে মুক্তি দেবে ভয়ানক ছারপোকার হাত থেকে।

যা যা লাগবে

রেজমেরি, লেমনগ্রাস, ইউক্যালিপটাস বা মিন্ট- যেকোন ধরণের একটি তেল
প্রাকৃতিক উইচ হ্যাজেল
ফোটানো পানি
ভেজিটেবল গ্লিসারিন
যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে আট আউন্সের একটি স্প্রে বোতল নিয়ে তার অর্ধেক অংশ ফোটানো পানি দিয়ে ভর্তি করে ফেলুন। এবার উইচ হ্যাজেল দিয়ে বোতলের প্রায় মাথা অব্দি ভরে নিন। আধ টেবিল চামচ পরিমাণ ভেজিটেবল গ্লিসারিন মেশান পাত্রের মিশ্রণটিতে। ইচ্ছেমতন গন্ধের জন্যে ৩০-৫০ ফোঁটা তেল ( রোজমেরি, মিন্ট বা যে কোন তেল ) মেশান। ব্যস! আপনার ছারপোকা প্রতিরোধক স্প্রে তৈরি ।

তবে এই স্প্রে ব্যবহারের সময় অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে এটি এমনিতে ক্ষতিকর কিছু না হলেও ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে আপনার শিশুর ত্বকের জন্যে। তাই ত্বকে ব্যবহার না করে ঘরের যেসব স্থানে ছারপোকার আক্রমণ বেশি সেসব স্থানেই ব্যবহার করুন এই স্প্রেটি।

তবে আপনার হাতে যদি আরো একটু বেশি সময় ও সুযোগ থাকে তাহলে এই স্প্রেটির সাথে আপনি ব্যবহার করতে পারেন রাবিং স্পিরিট। এতে করে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে স্প্রেটি।
ছারপোকা প্রতিরোধে এই একটি স্প্রেই কেবল নয়, বরং ঘরে বসে আপনি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন-

রোদের উত্তাপ

পানির ভাপ

বেকিং সোডা

পুদিনা পাতা

হেয়ার ড্রায়ারসহ আরো বেশকিছু উপাদান, যেগুলো কিনা সবসময় হাতের কাছেই পাবেন আপনি।

Monday, June 20, 2016

রক্ত দেয়ার আগে ও পরে যা মনে রাখা প্রয়োজন

sasthobarta protidin
রক্ত দেয়ার আগে ও পরে যা মনে রাখা প্রয়োজন
কজন রোগীর সুস্থতার জন্য মানসম্পন্ন রক্তসঞ্চালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যায়না। তাই রক্তের প্রয়োজন হলে স্বেচ্ছাসেবক দাতার কাছ থেকেই তা সংগ্রহ করতে হয়। অনেক মানুষই ব্যথা ও রোগ সংক্রমণের   ভয়ে রক্ত দিতে ভয় পান। রক্ত দানের সময় কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন- মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। রক্ত দেয়ার পূর্বে, রক্ত দেয়ার সময় ও রক্তদানের পরে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ঝুঁকিগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আপনার রক্তদানের অভিজ্ঞতাকে নিরাপদ, সফল ও আনন্দময় করার জন্য যা করা প্রয়োজন  তাই জেনে নেয়া যাক চলুন।

রক্ত দানের পূর্বে করণীয় : 

-          আপনাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন- লাল মাংস, মাছ, মুরগী, শিম ও শাক বিশেষ করে পালং শাক।

-          রক্ত দেয়ার আগের রাতে পরিপূর্ণ ঘুম প্রয়োজন।

-          রক্ত দানের পূর্বে অতিরিক্ত ১৬ আউন্স পানি বা তরল খাবার গ্রহণ করতে  হবে।

-          রক্ত দানের পূর্বে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার, ভাঁজাপোড়া খাবার ও আইসক্রিম এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ চর্বি জাতীয় খাবার খেলে ব্লাড টেস্ট প্রভাবিত হয়। রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সংক্রামক ব্যাধির টেস্ট করা সম্ভব হয়না। ফলে সেই রক্ত সঞ্চালন করা হয়না।

-          যদি আপনি প্লাটিলেট ডোনার হয়ে থাকেন তাহলে রক্তদানের অন্তত ২ দিন আগে থেকেই অ্যাসপিরিন গ্রহণ বন্ধ করতে হবে আপনাকে।

-          রক্তদানের ১২ ঘন্টা পূর্বে লবণাক্ত খাবার যেমন- সল্টেড বিস্কুট বা চিপস খান। কারণ রক্তদান করলে দেহ থেকে ৩ গ্রাম লবণ বের হয়ে যায়।  

রক্ত দানের সময় করণীয় : 

-          ঢিলেঢালা পোশাক পরুন যার হাতা কনুই এর উপরে উঠানো যাবে।

-          আপনার যে হাত থেকে রক্ত নিলে আপনি পছন্দ করবেন তা যিনি রক্ত নিবেন অর্থাৎ টেকনিশিয়ান বা নার্সকে জানান।

-          রক্তদান প্রক্রিয়াটির সময় রিলেক্স থাকুন, গান শুনুন অথবা অন্য রক্ত দাতাদের সাথে কথা বলুন।

রক্ত দানের পড়ে করণীয় :   

-          রক্তদানের পর অতিরিক্ত ৪ গ্লাস বা ৮ আউন্স পানি পান করুন এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অ্যালকোহল গ্রহণ করা ঠিক নয়।

-          রক্তদানের ১ ঘন্টার মধ্যেই আক্রান্ত স্থানের মোড়ানো ব্যান্ডেজ খুলে ফেলুন। এর পরিবর্তে ছোট স্ট্রাইপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।

-          স্কিন র‍্যাশ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্রাইপ ব্যান্ডেজের চারপাশ সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।

-          রক্ত দেয়ার পড়ে ভারীকিছু উঠানো বা ভারী ব্যায়াম না করাই উচিৎ।  

-          সুঁই ফোটানোর স্থান দিয়ে যদি রক্ত পরে তাহলে সেখানে চাপ দিন এবং হাত উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট অথবা যতক্ষণ পর্যন্ত না রক্তপাত বন্ধ হয়।

-          যদি রক্ত দেয়ার পরে আপনার মাথা ঘোরায় তাহলে আপনি যে কাজ করছিলেন তা করা থেকে বিরত থাকুন। মাথাঘোরানো বন্ধ করার জন্য শুয়ে থাকুন।