Wednesday, February 3, 2016

শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা

sasthobarta protidin
শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা
সোনামণিটা মুখে মুখে শিখে গেছে অনেক পড়া। এবার লেখার পালা। খাতা কলম হাতে নিয়ে বসে যা লিখছে, তা দেখে আপনি রীতিমতো হতবাক। অক্ষর গুলো একেকটা একেক রকম। হাতের লেখার কারণে ক্লাস পরীক্ষাতেও খারাপ ফল হচ্ছে। দুয়েকটা ক্লাস পার হয়ে গেলেও কোনো ভাবেই তার হাতের লেখা সুন্দর হচ্ছে না। শুধু শিশু নয় উপরের ক্লাসের অনেকেরই হাতের লেখা খুবই অসুন্দর হয়। হাতের লেখা অসুন্দর হওয়াটায় এখন আপনার চিন্তার বিষয়। এমন চিন্তা দূর করতে প্রয়োগ করতে পারেন কিছু উপকারী কৌশল। আসুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে আপনার শিশুর হাতেও মুক্তঝরা লেখা হতে পারে।

- সোনামণির খাতায় প্রথমত এক লাইন সুন্দর করে অক্ষর লিখে দিতে হবে। ওটা দেখে লাইন ধরে লেখার অভ্যাস করবে।

- প্রত্যেকটি অক্ষরের স্টাইল কেমন হবে তা আপনিই ঠিক করে দিন। শিশু সেটা দেখেই রপ্ত করবে। বড়রাও পছন্দের কোনো লেখা দেখে প্রতিটি অক্ষরের স্টাইল ঠিক করে নিতে পারেন। এতে লেখা সুন্দর হবে।

- এক প্যারা থেকে আরেক প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখার অভ্যাস করাতে হবে। এতে লেখা ভালো দেখায়।

- বায়ে এবং ওপরে সোয়া এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখলে হাতের লেখা সুন্দর দেখায়।

- বাচ্চাদের খাতার পুরো লাইন ভরে লেখানো উচিৎ।

- প্রতিটি বর্ণ যেন সমান হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

- বাচ্চাদের লেখার সময় কলম বা পেন্সিল ধরাটা ঠিকভাবে শেখাতে হবে। পেন্সিলের শিষ থেকে এক ইঞ্চি দূরত্বে ধরলে লেখা ভালো হবে।

- সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে লিখলে লেখা সুন্দর হয়।

- প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ণগুলো সোজা করে লিখতে হবে।

- তিনকোনা বর্ণগুলো সবচেয়ে সোজা। আগে সে অক্ষরগুলো থেকে লেখা অনুশীলন শুরু করতে পারে। যেমন-ব,ক।

- খাতায় বর্ণে আকারে ফোঁটা দিয়ে দিন। শিশুকে তার উপর হাত ঘুরিয়ে বর্ণ লেখা অনুসরণ করান। তাহলে তার জন্য বেশি সহজ হবে।

- সবার আগে প্রয়োজন শিশুকে অক্ষর চেনানো। অক্ষর না চিনলে সে লিখতে পারবে না। সঙ্গে সঙ্গে কোন অক্ষরে মাত্রা নেই, কোনটাতে অর্ধমাত্রা সেটিও মুখস্থ করিয়ে দিন।

- কোন বর্ণে মাত্রা আছে, কোনটায় অর্ধমাত্রা ইত্যাদি ভালোমতো জেনে সে অনুযায়ী অনুশীলন করাতে হবে। লেখা আপনিতেই সুন্দর হবে।

- সাদা খাতায় শিশুকে উপর থেকে নিচে লাইন টানতে দিন। এতে শিশুর খাতার দিকে মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। এ ছাড়া সুন্দর একটি অক্ষর লিখে তার ওপর শিশুকে হাত ধরে ঘুরিয়ে লেখালেও অক্ষরের আকার সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয়।

Tuesday, February 2, 2016

ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার

sasthobarta protidin
ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার
খাবার থেকে যে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। দূষিত, নষ্ট ও বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। ফুড পয়জনিং এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া ও ডায়রিয়া হওয়া। ফুড পয়জনিং অস্বস্তিকর হলেও অস্বাভাবিক কিছু না। বেশিরভাগ ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী কারণ হল- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও  পরজীবীর সংক্রমণ। মানুষ যে খাবার খায় তার বেশিরভাগের মধ্যেই প্যাথোজেন বা জীবাণু থাকে। রান্না করার সময় যে তাপ লাগে তাতেই জীবাণুগুলো মরে যায়। কাঁচা ফলমূল ও সবজি ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী। যেকোন বয়সের মানুষেরই ফুড পয়জনিং হতে পারে তবে শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।  

খাদ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রান্নার সমস্যার কারণে খাদ্য সংক্রমিত হয়।মাংস ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখার সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা দেখে নেয়া ভালো। সঠিক তাপে সংরক্ষণ না করলে সংক্রমিত হতে পারে।

মাংস রান্নার সময় দীর্ঘক্ষণ উচ্চ আঁচে রান্না করতে হবে। তাহলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। অর্ধ সিদ্ধ মাংসে জীবাণু থেকে যেতে পারে।রান্নার সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে খাদ্য সংক্রমিত হয়।হাত না ধুয়ে খাবার জিনিস ধরলে সংক্রমণ হয়।পানি খুব দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। তাই খাওয়ার পানির সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

প্রতিকার

ফুড পয়জনিং সাধারণত নিজে নিজেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এই  সমস্যাটির প্রতিকারের জন্য যা যা করা প্রয়োজন –
১। শরীরের পানিশূন্যতা রোধের জন্য প্রচুর তরল খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডাবের পানি বা ফলের রস খেতে পারেন।
২। ক্যাফেইন গ্রহণ করলে পরিপাক নালীর যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করা এড়িয়ে যেতে হবে।
৩। ফুড পয়জনিং এ আক্রান্তদের বিশ্রামের প্রয়োজন।
৪। ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠিন খাবার ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার গ্রহণ বন্ধ রাখতে হবে।
৫। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন তবে অল্প পরিমাণে। চর্বিযুক্ত ও মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফুড পয়জনিং এর ইনফেকশন যাতে না ছড়ায় সেজন্য – টয়লেট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। আপনার ব্যবহৃত জিনিস যেমন- তোয়ালে, অন্যকে দেবেন না। অন্যদের জন্য খাবার তৈরি বা পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার ফুড পয়জনিং এর কারণ ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম হয় তাহলে দুই সপ্তাহ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা বন্ধ রাখুন। যদি দুই এক দিনের মধ্যে ফুড পয়জনিং এর সমস্যাটি ভাল না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।  

যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে

sasthobarta protidin
যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে
প্রতিদিন আমরা কত কাজ করি। কিছু বিষয় আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আমরা হয়ত কখনো খেয়াল করি না এই অভ্যাসগুলো কিভাবে আমাদের দক্ষতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। আসুন জেনে নিই এমন ৮ টি সাধারণ অভ্যাস যার কারণে হ্রাস পাচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা।





১। কম  ঘুমানো
অনেকে সারা রাত জেগে কাজ করেন। অনেকে আবার টিভি দেখে, বই পড়ে রাত পার করে দেন। নিত্যদিনের এই রাত জাগা শুধু আপনাকে অসুস্থই করে তোলে না, একই সাথে আপনার বুদ্ধিও কমিয়ে দেয়! ১ ঘন্টা কম ঘুম আপনার বুদ্ধির মাত্রাকে ৬ ডিগ্রী থেকে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে ৪ ডিগ্রীতে!
২। রিয়েলিটি শো
নিয়মিত যারা রিয়েলিটি শো দেখেন তাদের বুদ্ধি কমতে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় কিছু মানুষকে নেয়া হয়, যাদের এক অংশকে একটি রিয়েলিটি শো দেখতে দেয়া হয়। পরে তাদের সবার মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে দেখা যায় যারা রিয়েলিটি শো দেখেছে তারা বুদ্ধিভিত্তিক প্রশ্নে যারা শো টি দেখেন নি তাদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।

৩। চিনি 
আমেরিকায় UCLA এর গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন চা, কফিতে চিনি খাওয়া বা চিনি আছে এমন পানীয় যেমন কোকাকোলা, পেপসি পান করা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীর করে, মনে রাখা এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। 

৪। একসাথে কয়েকটি কাজ করা
আমরা প্রায়ই একসাথে কয়েকটি কাজ করি। এতে আমাদের বুদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। বিশেষ করে যারা ইলেক্ট্রনিকস পণ্যে একই সাথে কয়েকটি কাজ করেন, যেমন - ফোনে কথা বলতে বলতে ক্যামেরায় ছবি তোলা। ২০০৯ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়ে আসে এই তথ্যটি।

৫। চুইংগাম চিবানো
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি গবেষণার ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, অনবরত চুইংগাম চিবানো মানুষের শর্ট টার্ম মেমরি কমিয়ে দেয়। চুইংগাম খাওয়ার পর বাচ্চাদের কাজ করতে দিয়ে দেখা গেছে, ক্রমানুসারে সাজানো এনং বস্তুকে চিনতে পারা উভয় ক্ষেত্রে তারা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় ধীর।

৬। পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার
গবেষণায় দেখা গেছে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার মানুষের বুদ্ধি কমিয়ে দেয়। যারা সবসময়য় পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করেন অন্যদের তুলনায় তারা জটিল বিষয়ে চিন্তা করা বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেন।

৭। অতিস্থূলতা
২০১০ সালের কেন্ট স্ট্যাট বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ জন স্থূল মানুষের উপর গবেষণা করেন। দেখা যায়, অপারেশনের আগে অতিস্থূল মানুষদের বুদ্ধির মাত্রা যা ছিল অপারেশনের ২ সপ্তাহ পর তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে।
৮। ধূমপান
অনেকসময় দেখা যায়, কয়েকজন মিলে একটি সিগারেট পান করছেন। আবার অনেকে সিগারেটের একেবারে শেষ অংশ পর্যন্ত টান দেন। সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে এই অভ্যাসে বুদ্ধি লোপ পায়।
খেয়াল করুন নিজের বদভ্যাসটি। আজই বদলে ফেলুন নিজেকে। সঠিক অভ্যাস ফিরিয়ে আনবে আপনার কর্মচাঞ্চল্য।

Monday, February 1, 2016

বাতের ব্যথা

sasthobarta protidin
বাতের ব্যথা
বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন জেড. এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকাল কলেজের ফিজিওথেরাপি বিভাগ পিপলস পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের প্রধান কনসালটেন্ট ডা. শিবলী নোমানী।

তিনি জানান, অস্থিসন্ধী বা হাড়ের জোড়ার ব্যথাকে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা বলা হয়। গবেষকরা এ পর্যন্ত শতাধিক বাতের ব্যথার ধরণ আবিষ্কার করেছেন। তবে সচরাচর মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমরেই বাতের ব্যথা বেশি দেখা যায়।

আবার শরীরের এসব অংশে ব্যথা হওয়া মানেই বাত নয়। মাংসপেশির জটিলতার কারণেও ব্যথা হতে পারে।

কারণ: ডা. শিবলী নোমানী বলেন, “সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরই বাতের ব্যথার জটিলতা দেখা যেত। তবে বর্তমান যুগে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে ৩০ বছর বয়সের বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রোগীও পাই আমরা।”

তিনি আরও বলেন, “দৌড়ে যানবাহনে ওঠা, হাড়ে আঘাত পাওয়া, বয়সের কারণে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই জটিলতার মূল কারণ। এছাড়াও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার কিংবা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার কারণেও বাত হতে পারে। বর্তমান সময়ের খাবারের ভেজাল এই রোগের পেছনে অনেকটা দায়ী।”

রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে ইত্যাদির মাধ্যমে বাত আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রতিরোধ: ডা. নোমানী বলেন, “আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরা, আদা, কাঁচাহলুদ, পুদিনাপাতা ইত্যাদি গুল্মজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ইউরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলিজা, গুর্দা, ডাল ইত্যাদি খাওয়া কমাতে হবে। শর্করা, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের পরিমাণও কমাতে হবে।”

চিকিৎসা: কিছু বাতের ব্যথা ওষুধ ছাড়াই সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে হাড়ের ক্ষয়ের কারণে যে বাতের ব্যথা হয় তা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়।

এই চিকিৎসকের ভাষায়, “বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়েই ক্ষয় হবে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। একে থামানোর কোনো উপায় নেই। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই ক্ষয়ের পরিমাণ কমানো যায়, নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ব্যথা।

তিনি আরও বলেন, “বাজারে বাতের ব্যথা সারানোর বিভিন্ন চৌম্বকীয় পাথর বসানো চেইন বা ব্রেসলেট পাওয়া যায়। প্রাচীন চীনা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, চুম্বকের কিছু ব্যথা নিয়ামক গুণাবলী রয়েছে। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো আলোচনা নেই।”

রোগীর জন্য চিকিৎসকের উপদেশ: প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আসলে আর অন্যান্য শারীরিক জটিলতা না থাকলে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ১০ মিনিট ধরে হাঁটা শুরু করতে হবে। শরীরের অবস্থা অনুযায়ী এই সময় ক্রমেই বাড়াতে হবে। লক্ষ হবে প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা।

সাঁতার কাটা বাতের মহৌষধ। তাই সুযোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাঁতারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ত্বক যত্নের ভুলগুলো

sasthobarta protidin
ত্বক যত্নের ভুলগুলো
ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে গিয়ে না জেনে প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে আমরা উল্টা ক্ষতিই করছি বেশি। আর তাই আগেই জেনে নেওয়া উচিত এমন সাধারণ ভুলগুলো।দিল্লির মায়রা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার সলুশনের পরিচালক সোনিয়া মঙ্গল ত্বকের যত্নের এমনই কিছু ভুলের বিষয় উল্লেখ করেন।

ভুল সানস্ক্রিন বাছাই:
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর, তাই ব্যবহার করতে হয় সানস্ক্রিন। কিন্তু ভুল সানস্ক্রিন ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। ইউভিএ থেকে সুরক্ষা দিবে এবং এসপিএফ ৩০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে।

শীতে এবং বর্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা: 
মেঘলা বা কুয়াশা ঢাকা দিনে বেশিরভাগই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মেঘ বা কুয়াশা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আটকাতে পারে না। তাই সারা বছর বাইরে এবং ঘরের ভিতরে থাকলেও সানস্কিন ব্যবহার করা উচিত।

ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার: 
ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সাবানবিহীন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: 
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয় এতে করে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বলিরেখা পড়ে। তাছাড়া চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।

পানি পান না করা: 
শরীর ও ত্বকের সুস্থতার জন্য পানি পান অপরহার্য। পানি কম পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।

ভুল প্রসাধনী বাছাই: 
বিজ্ঞাপনের ‘মিষ্টি কথায় ভুলে’ প্রসাধনী কেনা উচিত নয়। কারণ এগুলো ত্বকের কোনো উপকারই করে না উল্টা এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

ধৈর্য্য না ধরা: 
ভালো প্রসাধনীর ফলাফল আমরা খুব দ্রুতই আশা করি। জলদি ফলাফল না পেলে বারবার প্রসাধনী বদলাতে থাকেন অনেকেই। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভালো ফল পেতে সময় নিয়ে অপেক্ষা করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নেওয়া: 
ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই নিজের মতো করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকেন। যা ক্ষতি করে। যে কোনো ত্বকের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: 
ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে সুন্দর ত্বকের জন্য।

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

sasthobarta protidin
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা

sasthobarta protidin
৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা
বাংলাদেশে জনপ্রিয়, সস্তা এবং পরিচিত একটি ফল হল কলা। ছোট বড় সবাই এই ফলটি পছন্দ করে। সুস্বাদু এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। প্রতিদিন দুটি কলা আপনার সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দিবে। হেপাটাইটিস সি, ফ্লু, এইডস ছড়ানো ভাইরাস ধ্বংস করে থাকে। ভিটামিন, মিনারেল, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবারের উৎস একটি কলা। ৫টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করে দিবে কলা। ওষুধের পরিবর্তে কলা সমাধান করে দিবে এই ৫টি রোগ।  
১। উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের মূল কারণ সোডিয়ামের অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শরীরে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
২। স্ট্রেস

প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস দূর করতে কলার জুড়ি নেই। হার্টবিট নরমাল রেখে, মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছিয়ে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা যখন স্ট্রেসে থাকি তখন আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কলা এই চাহিদা পূরণ করে স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে থাকে।
৩। পিএমএস নিয়ন্ত্রণ

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ আছে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা পিএমএস PMS( Premenstrual syndrome)কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এটি মাসিকের সময়কাল পেট ব্যথা, বুক ব্যথা দূর করে থাকে। তাই এইসময় নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।  
৪। পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর

কলা আঁশযুক্ত একটি ফল। যা হজমশক্তিবৃদ্ধি করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। কলা নরম ফল হওয়ায় অন্ত্রের পরিপাক কাজ সহজ করে থাকে। এর ল্যাক্সাটিভ উপাদান কোষ্টকাঠিন্য দূর করে থাকে।
৫। হতাশা

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান আছে যা আপনাকে রিল্যাক্স করে থাকে। ভিটামিন বি, ট্রিপটোফেন হরমোনের মাধ্যমে আপনার মাঝে খুশির অনুভুতি দিয়ে থাকে। এইজন্য এই উপাদানকে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয়।