Showing posts with label health tips. Show all posts
Showing posts with label health tips. Show all posts

Wednesday, December 9, 2015

রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে যে খাবার গুলো

sasthobarta protidin
রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে যে খাবার গুলো
অনেক রকমের খাদ্য আছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী আবার এমন কিছু খাবার আছে যা মোটেই উপকারী নয়। আমাদের পরিচিত এই খাবার গুলোর চমৎকার উপাদান গুলো সম্পর্কে আমরা সঠিক ভাবে জানিনা। আজ আমরা সেইসব গুরুত্বপূর্ণ “হিলিং ফুড” সম্পর্কে জানবো। 

১। লেবু

আমাদের অতিপরিচিত লেবু যা সাধারণত সবার বাসাতেই থাকে। লেবুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। গলার ইনফেকশন দূর করা, বদহজম দূর করা, ওজন হ্রাসের ফলে সৃষ্ট কোষ্ঠ কাঠিন্য ভালো করা, শ্বাসযন্ত্রের রোগ নিরাময় করা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং লিভার পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজ গুলো করে থাকে লেবু। 

২। নাশপাতি 

নাশপাতি উচ্চ মাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। যা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়, হালকা জোলাপের ন্যায় কাজ করে কোষ্ঠ পরিষ্কার করে এবং গল ব্লাডার বা পিত্ত থলি পরিষ্কার করে।

৩। কলা

কলা স্ট্রেস বা উদ্বিগ্নতা দূর করে। New Orleans  এর Ochsner’s Elmwood Fitness Center এর স্পোর্টস ডায়েটেটিক্স বা খাদ্যনির্বাচনবিদ্যার সারটিফায়েড স্পেশিয়ালিস্ট, আরডি, Molly Kimball  বলেন, যখনই আপনি চাপ অনুভব করবেন একটি কলা খেয়ে নিন। কলাতে ১৪ গ্রাম চিনি থাকে এবং ১০৫ ক্যালরি সমৃদ্ধ। কলা ব্লাড সুগার লেভেল কিছুটা বাড়ালেও দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০% ভিটামিন বি৬ সরবরাহ করে যা সেরোটোনিন এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলে শান্তিপূর্ণভাবে সংকট মোকাবিলা করা সহজ হয়।

৪। দই

দই কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস দূর কর। এক কাপ বা আধা কাপ লাইভ কালচার ইয়োগারট যা অন্ত্র বান্ধব ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ থাকে অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাদ্যের চলনে সাহায্য করে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গ্যাস উৎপন্নকারী মটরশুঁটি ও দুগ্ধ শর্করার পরিপাকে সাহায্য করে।  

৫। আদা

আদা শুধু রান্নার মশলা হিসাবেই না শতবর্ষ আগে থেকেই আদা আরথ্রাইটিস এর চিকিৎসায়, পাকস্থলীর অবসাদ দূর করতে এবং হজমে সাহায্য করতে পারে বলে ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানে আদা বমি বমি ভাব কমাতে পারে বলে সর্বত্র স্বীকৃত হয়েছে।

৬। বীট

কার্বোহাইড্রেট থেকে এনার্জি পাওয়া যায়। বীট প্রাকৃতিক এনার্জি সাপ্লাই করে। বীটে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, আয়রন, এবং ভিটামিন এ ও সি থাকে।

এই রকম আরো কিছু হিলিং ফুড হল- কিশমিশ রক্তচাপ কমায়, তুলসি পেটের সমস্যা ভালো করে, মধু কফ দূর করে, বাঁধাকপি আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে, ডুমুর অর্শ রোগ নিরাময় করে, কমলার রস ক্লান্তি দূর করে, রসূন ইষ্ট ইনফেকশন নিরাময় করে, আলু মাথা ব্যাথা দূর করে।

জেনে নিন পিরিয়ড দেরিতে হবার কারণগুলো

sasthobarta protidin
জেনে নিন পিরিয়ড দেরিতে হবার কারণগুলো
নারীদের জীবনের একটি বড় অংশ হলো পিরিয়ড বা ঋতুচক্র। প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড বেশীরভাগ নারীর। অনেক সময়ে দেখা যায়, কোনো কারণে বা কারণ ছাড়াই পিরিয়ড বেশ কিছুদিন লেট হচ্ছে। এ সময়ে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। কেউ বা আবার একে স্বাভাবিক বলে উড়িয়ে দেন। পিরিয়ড লেট হবার কারণগুলো আসলে কী? এ ব্যাপারে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানান ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়।

গর্ভধারণ না হলে বিভিন্ন কারণে লেট হতে পারে পিরিয়ড। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নিবিড় প্রিয়.কমকে জানান, এর পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে হরমোন সংক্রান্ত পরিবর্তন। পিরিয়ডের পুরো প্রক্রিয়াটা নিয়ন্ত্রণ করে কয়েকটি হরমোন, ফলে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন এলে পিরিয়ড লেট হতে পারে। পিরিয়ড পেছনে কারণ হিসেবে থাকতে পারে জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন, যেমন:

    -          পরিবেশগত পরিবর্তন
    -          ওজন হঠাৎ করে কমা বা বেড়ে যাওয়া
    -          ডায়েট
    -          ভারী ব্যায়াম বা শরীরচর্চা, যেমন দৌড়ানো বা নাচের চর্চা
    -          ভ্রমণ করে নতুন কোথাও যাওয়া বা নতুন কোনো জায়গায় বসবাস করতে আসা
    -          মানসিক কোনো বড় পরিবর্তন, কোনো ধরণের মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা

প্রিয়.কমকে ডাক্তার নিবিড় জানান, অনেক সময়ে দেখা যায় বার্থ কন্ট্রোল পিল অথবা অন্য কোনো ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণের কারণেও পিরিয়ড লেট হতে পারে।

এর মানে কি পিরিয়ড লেট হবার পেছনে কোনো অসুস্থতা নেই? ডাক্তার নিবিড় জানান, থাকতে পারে। পিরিয়ড লেট হবার পেছনে যেসব রোগের অবদান থাকতে পারে সেগুলো হলো-

-          ওভারিতে প্রভাব ফেলে এমন কোনো যৌনরোগ

-          ওভারিতে সিস্ট, ইউটেরাসে টিউমার থাকলে পিরিয়ড লেট হতে পারে বা খুব বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে

-          এছাড়াও শরীরের ওপরে বড় মাত্রায় চাপ ফেলে এমন অসুস্থতার কারণে পিরিয়ড লেট হতে পারে

-          কোনো রোগের কারণে হরমোন লেভেল অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে তার জন্য পিরিয়ড লেট হতে পারে।

কোনো অসুস্থতার কারণে যদি আপনার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে থাকে এবং এ কারণে পিরিয়ড লেট হয়, তবে রোগ সারিয়ে তলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাওয়া দাওয়া করতে হবে নিয়ম মতো। ধূমপান, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এর ব্যাপারে থাকতে হবে সাবধান।

পিরিয়ড লেট হলে আপনার কী চিন্তিত হবার দরকার আছে? পরিবেশগত বা জীবনযাত্রার কোনো পরিবর্তনের কারণে পিরিয়ড লেট হলে সাধারণত চিন্তার কিছু থাকে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো। আপনার যদি তলপেটে ব্যাথা হয়ে থাকে, পরপর দুই মাস পিরিয়ড না হওয়া বা বার্থ কন্ট্রোল পিল খাবার পরেও পরপর দুই মাস পিরিয়ড না হয়, এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। মনে রাখবেন, লজ্জা নয়, সচেতনতা জরুরী।
- See more

Tuesday, December 8, 2015

চায়ের মাঝে দুধ মেশানো ভালো না খারাপ?

sasthobarta protidin
আপনি যদি চা পছন্দ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আনন্দ পাওয়ার জন্য বা ভালো লাগার জন্যই খান, এর স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা চিন্তা করে নিশ্চয়ই খাওয়া হয় না? বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষ চা পান করে। অনেকেরই চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে। এতে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, চায়ের সাথে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশ্রিত করলে চায়ের গুণাগুণ নষ্ট হয়। ভাবছেন নিশ্চয়ই এটা কীভাবে সম্ভব? আসুন তাহলে জেনে নেই চায়ের সাথে দুধ মেশালে কী হয়?

চায়ে এমন অনেক সক্রিয় উপাদান আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে। চা ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে, রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, কোষের ক্ষতি কমায় এবং কারডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে। কিন্তু চায়ের মধ্যে দুধ মিশ্রিত করলে ভাস্কুলার সিস্টেম এর উপর উপকারী প্রভাব দূর হয়ে যায়। 

১৬ জন মহিলার উপর একটি ছোট গবেষণা করা হয়। যেখানে তাঁদের ব্ল্যাক টি, দুধ চা এবং গরম পানি পানের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। বিজ্ঞানীরা মহিলাদের ডান হাতের ব্রাকিয়াল ধমনী চা পানের ২ ঘন্টা পরে পরীক্ষা করে দেখেন যে, ব্ল্যাক টি পান করার ফলে রক্ত নালীর প্রসারণ হয়। এই গবেষণার নেতৃত্ব দানকারী প্রধান লেখক ও আণবিক জীববিজ্ঞানী Mario Lorenz বলেন যে, “আমরা দেখতে পেলাম ... চায়ের সাথে দুধ মিশ্রিত করার ফলে এর জৈবিক প্রভাব পুরোপুরি প্রতিহত হয়”।

চায়ে উপস্থিত ফ্লেভনয়েডকে ক্যাটেচিন বলে যা হার্টের জন্য উপকারী। দুধের প্রোটিন ক্যাসেইন ক্যাটেচিনকে সংহত হতে বাঁধা দেয়। 

২০০২ সালে United States এর হিউম্যান নিউট্রিশন রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে, এক কাপ চায়ে ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা ৯০% কমিয়ে দেয়। যখন চায়ের ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায় তখন শরীরের ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতাও কমে যায়।  

২০০৬ সালের জার্মানির একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে ব্ল্যাক টি এর হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ব্ল্যাক টি ধমনীকে শিথিল ও প্রসস্থ করে এবং রক্তচাপ স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখে।

তারপর ও যদি চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খেতে চান তাহলে সয়া দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। সয়া দুধে লেসিথিন থাকে যা ক্যাসেইন থেকে ভিন্ন ধরণের এবং চায়ের  ক্যাটেচিনকে আবদ্ধ করে ফেলেনা।

রোগ দ্রুত সারিয়ে তুলবে এই খাবারগুলো

sasthobarta protidinযেকোনো অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ তখনও কিছুটা দুর্বলতা, পানিশূন্যতা এবং ক্লান্তিবোধ থাকে বিশেষ করে যখন কোনো শারীরিক বা মানসিক কাজ করতে হয়। তাই দেহের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছু অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান দেহের জন্য প্রয়োজন হয়। এইসব তখনই প্রয়োজন হয় যখন কোনো ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনের কারনে দেহে প্রতিরোধক ক্ষমতার বেশি কাজ করতে হয়। এছাড়া যখন কোনো রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহন করা হয় তখন একটু বেশিই দেহের যত্ন নেয়া প্রয়োজন হয়। কারণ শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা হলে তা দেহকে দুর্বল করে দেয়।

এখানে কিছু উত্তম খাবারের উল্লেখ করা হলো যা শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে-
আঙ্গুর

আঙ্গুর শরীরের শক্তি যথেষ্ট পরিমান বৃদ্ধি করতে এবং রক্তের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি দেহের খনিজ পদার্থসহ প্রয়োজনীয় তরল সরবরাহ করে যা অসুস্থতা থেকে দ্রুত সেরে উঠতেও সাহায্য করে।
আমলকী

অসুস্থতার পর শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান খুবই প্রয়োজনীয়। এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এবং অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। জ্যাম বা শুকনো আমলকী স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন।
পেঁপে

যদি কেউ এটা পছন্দ নাও করে তবু জোর করে হলেও খেতে হবে কারন দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করার জন্য পেঁপে হচ্ছে একটি উত্তম খাবার। ডেঙ্গু জ্বরের জন্যও এটি বেশ উপকারি। ডেঙ্গু জ্বরে কচি পেঁপে পাতার রস খেলে তা দ্রুত রক্তের প্লেটলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁপেতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি যা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কলা

কলা হচ্ছে উচ্চমাত্রার শক্তিদায়ক খাবার। এতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি প্রচুর প্রাকৃতিক চিনি যেমন সুক্রোজ, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজে ভরপুর থাকে।
আম

ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত আম যে পরিমান শক্তি প্রদান করতে পারে অন্য কোন ফলই তা পারেনা। আম ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। তাই অসুস্থতার পর দ্রুত আরোগ্য পেতে নিয়মিত আম বা আমের জুস খেতে পারেন।
আপেল

অসুস্থতার থেকে দ্রুত আরোগ্য পেতে আপেল বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। অন্যান্য ফলের চেয়ে আপেল থেকে প্রাপ্ত শক্তি দেহে বেশি সময় থাকে। আপেলে থাকা ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স থেকে প্রাপ্ত শক্তি শারীরিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
তরমুজ

তরমুজ থাকে ৯০% পানি এবং ভিটামিন সিতে ভরপুর। এটি পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং শুকনো ফল

কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি শারীরিক ভাবে সক্ষম এবং কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় এক মুঠ শুকনো ফল এবং বাদাম রাখলে তা অসুস্থতার থেকে আরোগ্য লাভ করার পর শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য একটি উত্তম উৎস হবে।

লেখিকা

শওকত আরা সাঈদা(লোপা)

জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ

এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ

খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)

মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া
অসুস্থ হওয়ার মানেই হলো দেহে সঞ্চিত প্রায় সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ শরীরকে সুস্থ হওয়ার কাজে লেগে যাওয়া। তাই প্রতিরোধক ক্ষমতাকে বেশি কার্যকর ও আরো বেশি শক্তিশালী করতে ঔষধ ছাড়াও কিছু খাবারের প্রয়োজন।

পুষ্টিগুনে ভরপুর গাঁজর

sasthobarta protidin
পুষ্টিগুনে ভরপুর গাঁজর
 ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। গাজরের বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা দেওয়া হলো_

গাজরে যেসব উপাদান রয়েছে
ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি ও ফাইবার পটাশিয়াম।
যেসব রোগ সারাতে সহায়ক
ওবেসিটি, মাড়ির সমস্যা, ইনসম্নিয়া; কিডনি, লিভার ও গলব্লাডারের সমস্যা; আলঝিইমার, অ্যাজমা কোলাইটিস এবং চোখের সমস্যা।
সবচেয়ে বেশি উপকার
চোখ ও হার্ট ভালো রাখে :চোখের জন্য গাজর খুবই উপকারী। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে গাজর সাহায্য করে। গাজরের সলিউবল ফাইবার হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে : গাজর অ্যান্টি এজিং উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই এর ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ও ত্বক টানটান রাখে। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সেল ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। এতে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না।

আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে :গাজরের ক্যারোটিনয়েড এ রকম ত্বকের উপশমে সাহায্য করে। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ত্বকের ন্যাচারাল ট্যান ভাবকে ধরে রাখে। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ গাজর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করে ও হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজরের জুসের উপকারিতা
ষ কাঁচা গাজরের তুলনায় সেদ্ধ গাজর পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর জুসও বেশ স্বাস্থ্যকর। কারণ গাজরের জুসে সহজপাচ্য ফাইবার থাকে।
ষ কাঁচা গাজর খেলে যেখানে গাজরের উপস্থিত বিটা ক্যারোটিনের মাত্র ১ শতাংশ আমাদের শরীরে কাজে লাগে, সেখানে গাজরের জুস খেলে আমাদের শরীরে গাজরের উপস্থিতি পুরো বিটা ক্যারোটিন অ্যাবজর্ব করতে পারে।
ষ গাজরের জুসে অ্যান্টি কারসেনোজনিক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ষ শিশুদের জন্য গাজরের জুস টনিকের মতো কাজ করে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ষ গাজরে রয়েছে ফোটোনিউট্রিয়েট ফ্যালকর্নিকল, যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ষ হাইপারটেনশনের সমস্যায় গাজরের জুস উপকারী।
ষ গাজরের জুসের সঙ্গে মধু ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক গ্গ্নাস খান। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমে যাবে।
গাজর স্টোরেজ টিপস
ষ ফ্রিজে গাজর র‌্যাপ করে রাখবেন। তা না হলে গাজরের স্বাদ চলে যাবে।
ষ গাঢ় কমলা রঙের গাজর বেছে নিন। রঙ গাঢ় হলে বুঝবেন প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। গাজরের গা খসখস হলে না কেনাই ভালো। এগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
ষ গাজরের গোড়ার রঙ কালো হয়ে গেলে কিনবেন না। গাজরের গোড়া যেন সবুজ থাকে।

----------------------------------- শেয়ার করুন

এলাচ সুগন্ধিময় ঔষধি!

 বুক জ্বালা কমিয়ে দিতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। লিভার, গলব্লাডারের সমস্যায় সমাধান আনে এ ভেষজ। ক্ষিদে না লাগলে এলাচ মুখে পুরে নিন। অথবা খাওয়ার আগে এলাচ গুঁড়ো পানি দিয়ে খেয়ে নিন। খাবারের আগ্রহ বেড়ে যাবে। পেটফাঁপা ভাব, পেট ব্যথা ও এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে এ ঔষধি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও এলাচের কদর রয়েছে। হজমের সমস্যায় ভুগলে এলাচ খেয়ে যান। শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের জন্য উপকারী ঔষধি এলাচ। এলাচ দিয়ে চা খেলে অনেক ভালো লাগবে।

এ ছাড়া কাশি থেকে মুক্তি পেতে এ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। মাথাব্যথা থাকলে তাও পালাবে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এলাচের মতো কার্যকর ভেষজ আর নেই। একই সাথে এটি মুখ ও গলার ক্ষত সারাতে সহায়তা করে। কিডনি থেকে বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে দেয় এলাচ। এ ছাড়া প্রস্রাবে সমস্যা হয়ে থাকলে এলাচ গুঁড়ো করে নিন। এবার এ গুঁড়ো মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। মূত্রবর্ধক ওষুধ এবং ভরপুর আঁশের কারণে এটা উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে দেয়।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস কিংবা ফাঙ্গাসজনিত কোনো রোগ প্রতিরোধে বেছে নিতে পারেন এ অ্যান্টিসেপ্টিক। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও অ্যাসেনশিয়াল অয়েল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ফ্রি রেডিক্যালস থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং বুড়িয়ে যাওয়া কমিয়ে দেয়। রক্তের জমাটবদ্ধতা কাটিয়ে দেয় এলাচ। হেঁচকি, খিঁচুনি রোধে এর ভূমিকা সুবিদিত।

তবে অনেক পুষ্টিবিদের মতে, গর্ভবতী, ব্রেস্ট ফিডিং করছেন এমন মায়েরাসহ যাদের পিত্তথলি পাথরের সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের এলাচ এড়িয়ে চলাই ভালো।
এলাচ সুগন্ধিময় ঔষধি!
মূল্যের দিক দিয়ে বিশ্বে এর অবস্থান তিন। তরকারির স্বাদ বাড়াতে কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চমৎকার মসলা এ বীজ। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। প্রচুর প্রোটিন, স্বল্প মাত্রায় ফ্যাট, ভোলাটাইল অয়েল প্রভৃতি। আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস।