Tuesday, December 8, 2015

পুষ্টিগুনে ভরপুর গাঁজর

sasthobarta protidin
পুষ্টিগুনে ভরপুর গাঁজর
 ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। গাজরের বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা দেওয়া হলো_

গাজরে যেসব উপাদান রয়েছে
ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি ও ফাইবার পটাশিয়াম।
যেসব রোগ সারাতে সহায়ক
ওবেসিটি, মাড়ির সমস্যা, ইনসম্নিয়া; কিডনি, লিভার ও গলব্লাডারের সমস্যা; আলঝিইমার, অ্যাজমা কোলাইটিস এবং চোখের সমস্যা।
সবচেয়ে বেশি উপকার
চোখ ও হার্ট ভালো রাখে :চোখের জন্য গাজর খুবই উপকারী। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে গাজর সাহায্য করে। গাজরের সলিউবল ফাইবার হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে : গাজর অ্যান্টি এজিং উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই এর ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ও ত্বক টানটান রাখে। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সেল ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। এতে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না।

আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে :গাজরের ক্যারোটিনয়েড এ রকম ত্বকের উপশমে সাহায্য করে। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ত্বকের ন্যাচারাল ট্যান ভাবকে ধরে রাখে। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ গাজর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করে ও হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজরের জুসের উপকারিতা
ষ কাঁচা গাজরের তুলনায় সেদ্ধ গাজর পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর জুসও বেশ স্বাস্থ্যকর। কারণ গাজরের জুসে সহজপাচ্য ফাইবার থাকে।
ষ কাঁচা গাজর খেলে যেখানে গাজরের উপস্থিত বিটা ক্যারোটিনের মাত্র ১ শতাংশ আমাদের শরীরে কাজে লাগে, সেখানে গাজরের জুস খেলে আমাদের শরীরে গাজরের উপস্থিতি পুরো বিটা ক্যারোটিন অ্যাবজর্ব করতে পারে।
ষ গাজরের জুসে অ্যান্টি কারসেনোজনিক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ষ শিশুদের জন্য গাজরের জুস টনিকের মতো কাজ করে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ষ গাজরে রয়েছে ফোটোনিউট্রিয়েট ফ্যালকর্নিকল, যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ষ হাইপারটেনশনের সমস্যায় গাজরের জুস উপকারী।
ষ গাজরের জুসের সঙ্গে মধু ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক গ্গ্নাস খান। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমে যাবে।
গাজর স্টোরেজ টিপস
ষ ফ্রিজে গাজর র‌্যাপ করে রাখবেন। তা না হলে গাজরের স্বাদ চলে যাবে।
ষ গাঢ় কমলা রঙের গাজর বেছে নিন। রঙ গাঢ় হলে বুঝবেন প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। গাজরের গা খসখস হলে না কেনাই ভালো। এগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
ষ গাজরের গোড়ার রঙ কালো হয়ে গেলে কিনবেন না। গাজরের গোড়া যেন সবুজ থাকে।

----------------------------------- শেয়ার করুন

0 comments:

Post a Comment