Wednesday, April 13, 2016

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই ৬টি লাল ফল

sasthobarta protidin
ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই ৬টি লাল ফল
ওজন নিয়ে ছেলে মেয়ে কারোর চিন্তার শেষ নেই। কী খেলে কীভাবে ওজন কমবে এই নিয়ে কত শত পরিকল্পনা। বিশেজ্ঞদের মতে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার পারে আপনার ওজন দ্রুত হ্রাস করতে। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল খেয়ে থাকেন। কিছু ফল আছে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই লাল ফলগুলো আপনার ডায়েট লিস্টে যোগ করুন আর দ্রুত কমিয়ে ফেলুন আপনার ওজন।

 ১। ডালিম 
ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী একটি ফল হল ডালিম। ডালিমের অ্যান্টি অক্সিডন্ট শরীরে টক্সিন উপাদান দূর করে খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিয়ে থাকে। এর সাথে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে থাকে। 

২। লাল আপেল 
লাল এবং সবুজে আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তবে লাল আপেলে এর পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়া লাল আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। 

৩। আলুবোখারা 
ওজন কমাতে আলুবোখারা বেশ কার্যকরী একটি ফল। ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ এই ফলটি আপনাকে কাজের শক্তি দিয়ে থাকে। সকালের নাস্তায় কিছু পরিমাণে আলুবোখারা রাখুন এটি সারাদিনের কাজের শক্তি দিবে আপনাকে। 

৪। চেরি 
আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে ছোট এই লাল ফলটি। চেরি সাধারণত খালি পেটে খাওয়া উচিত। এটি রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা বাত, গিঁট এর ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। 

৫। স্ট্রবেরি 
প্রতিদিন এক মুঠো স্ট্রবেরি ওজন কমানোর জন যথেষ্ট। এর ভিটামিন সি, অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর কার্যক্ষম রাখে। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে দুই দিন স্ট্রবেরি খাদ্য তালিকায় রাখুন। 

৬। জাম্বুরা 
লো ক্যালরি ফ্রুটের মধ্যে জাম্বুরা অন্যতম। জাম্বুরায় মাত্র ৩৭ ক্যালরি রয়েছে! গবেষণায় দেখা গেছে খাবার খাওয়ার আগে অর্ধেকটা জাম্বুরা খেলে এটি মেটবলিজম বাড়িয়ে ওজন হ্রাস করে থাকে। 

Monday, April 11, 2016

পুষ্টিকর এই ৮টি খাবার ভুল সময়ে খাচ্ছেন না তো?

sasthobarta protidin
পুষ্টিকর এই ৮টি খাবার ভুল সময়ে খাচ্ছেন না তো?
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অপরিহার্য। দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য এই খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি। আপনি জানেন কি, এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক সময় রয়েছে? ভুল সময়ে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা দেখা দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক পরিচিত এই খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক সময়টি। 

১। দুধ 
পুষ্টিকর সুষম খাবার বলতে আমরা মূলত দুধকে বুঝি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল রাত। দুধ হজম হতে সময় বেশি লেগে থাকে, যার কারণে দিনের বেলা এটি খাওয়া হলে আপনি অলসবোধ করতে পারেন। রাতে দুধ পান করুন, এতে শরীর রিল্যাক্স হবে এবং কোষগুলো দুধের পুষ্টি ভালভাবে শুষে নিতে পারবে। 

২। গ্রিন টি 
ওজন হ্রাস করতে কিংবা স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অনেকেই সবুজ চা বা গ্রিন টি পান করে থাকেন। দিনের যেকোন সময় এটি পান করা স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন, এতে থাকা ক্যাফিন ড্রিহাইড্রেশন এবং অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিকেল অথবা সন্ধ্যায় এটি পান করুন। 

৩। ভাত 
পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ানের মতে ভাত এবং ব্রেড জাতীয় খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল। এটি পেট ভরিয়ে রেখে হজমে সমস্যা করে থাকে। রাতে ভাত ওজন বৃদ্ধি করে, হজমে দীর্ঘ সময় নিয়ে থাকে। 

৪। টকদই 
আয়ুর্বেদ অনুসারে রাতে টকদই খাওয়া হলে, এটি শরীরে তাপ বৃদ্ধি করে দেয়। যা হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে থাকে। তারা আরও মনে করেন দুপুরের গরমে দই খাওয়া একই সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। 

৫। কফি 
অনেক বিশেষজ্ঞরা রাতে কফি পান করতে নিষেধ করে থাকেন। এটি ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করে আপনাকে রাতে জাগিয়ে রাখে। সকাল অথবা দুপুরে কফি পান করতে পারেন। এটি আপনার কর্মোদ্যম বৃদ্ধি করে আপনার ঘুম তাড়াতে সাহায্য করে থাকে। 

৬। কমলার রস 
সকালের নাস্তায় অনেকেই কমলার রস পান করে থাকেন। এটি পান করার পারফেক্ট সময় হল সকালবেলা। এর ভিটামিন ডি এবং ফলিক অ্যাসিড সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে মেটাবলিক বৃদ্ধি করে থাকে। 

৭। চিনি 
চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার সবচেয়ে ভাল সময় হল সকালবেলা। এরা শক্তি বৃদ্ধি করে সারাদিনে কাজে উদ্যম দিয়ে থাকে। রাতে চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।

 ৮। কলা 
সকাল অথবা বিকেলে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা বুক জ্বালাপোড়া দূর করে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। রাতে কলা খাওয়া অনেকেরই ঠান্ডার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। 

যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে আপনার চুল

sasthobarta protidin
যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে আপনার চুল
বয়স বিশের কোঠা পেরিয়ে সবে ত্রিশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, চেহারায় এখনো উজ্জ্বল তারুণ্যের দ্যুতি। কিন্তু একী! ঘন কালো চুলের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে ধুসরের ছোঁয়া। এতো কম সময়ে কী চুল ধুসর হবার কথা? অনেকের আবার মধ্যবয়সে স্বাস্থ্য তরতাজা থাকার পরেও চুল পাকতে শুরু করে, বলাই বাহুল্য চেহারায় আসে বয়সের ছাপ। কী কারণে আমাদের কালো চুল এভাবে হারিয়ে যায়? চলুন দেখে নেই অকালে চুল পেকে যাবার কারণগুলো-
১) পারিবারিক ইতিহাস

আপনার বাবা অথবা মায়ের যদি কম বয়সে চুল পেকে গিয়ে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রেও তা হবার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাপারটা আসলে আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাঝেই থাকে। মাথায় টাক পড়ার ব্যাপারটা যেমন পারিবারিকভাবে আসতে পারে, তেমনি চুল কম বয়সে পাকার ব্যাপারটাও আসতে পারে পিতামাতা উভয়ের থেকেই।

২) আপনার একটা অটোইমিউন জটিলতা আছে

অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়াটা নামের একটি অটোইমিউন ডিজিজ আছে যা ত্বক এবং চুলকে প্রভাবিত করে অনেক বেশি। এই জটিলতায় আক্রান্ত মানুষের তালুতে ছোট গোল গোল টাক পড়তে পারে। এছাড়া তাদের পুরো মাথা এমনকি পুরো শরীরেই চুল পরে যেতে পারে। তাদের ইমিউন সিস্টেমই তাদের চুলের ফলিকলকে আক্রমণ করে ফলে চুল পড়ে যায়। এরপর সেই চুল আবার গজালে তা সাদা হয়ে গজায়। আপনার শরীরে বা মাথায় যদি এমন টাক দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

৩) আপনি দূষিত পরিবেশে থাকেন

টক্সিন এবং দূষক পদার্থ আপনার চুল পাকিয়ে ফেলতে পারে অকালে। এগুলো মেলানিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং চুল পাকার হাড় বাড়ায়। দূষণের কারণে আপনার স্ট্রেস বাড়লে মূলত সেটাই এই চুল পাকার ব্যাপারটাকে প্রভাবিত করে।

৪) আপনি প্রচুর স্ট্রেসের মাঝে আছেন

এটা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা মানুষের চুল পাকিয়ে দেয়। অনেক সময়েই মায়েরা বলেন বাচ্চার জন্য চিন্তায় তার চুল পেকে যাচ্ছে। এ ব্যপারে অনেক মতভেদ আছে বটে। কিন্তু আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যে বয়সে চুল পাকার কথা, স্ট্রেসের কারণে সেই সময়টা এগিয়ে আসতে পারে। এ কারণে এই স্ট্রেস ম্যানেজ করা দরকার আপনার।

৫) সিগারেটের ধোঁয়া

আপনি নিজেই ধূমপান করুন অথবা বাড়ির অন্য কেউ করুক, এর ধোঁয়া আপনার চুলের রঙে আনতে পারে পরিবর্তন। ধূমপায়ীদের চুল অকালে পেকে যাবার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেশি হয় অধূমপায়ীদের তুলনায়।

৬) আপনার হরমোনে পরিবর্তন আসছে

কয়েক বছর আগের নিজের একটা ছবি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চুলে সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে। চুলের ধরণ, ঘনত্ব এবং রঙে আসে পরিবর্তন। মূলত সময়ের সাথে হরমোনে পরিবর্তন আসে বলেই এসব পরিবর্তন আসে। চুল পাকার পেছনেও দায়ী এই হরমোন।

এছাড়াও যেসব কারণে চুল অকালে পেকে যেতে পারে সেগুলো হলো-
- প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব
- থাইরয়েডের সমস্যা
- অ্যানিমিয়া

আপনার শরীর হয়তো বেশ অনেকটা বয়স পর্যন্ত শক্তসমর্থ আছে, নিজেকে মোটেই অসুস্থ বা বৃদ্ধ মনে করছেন না আপনি। কিন্তু এরপরেও আপনার চুলে পাক ধরতেই পারে বয়সের কারণে। ৩০ বছর বয়সের পর প্রতি দশকে আপনার চুল পাকার সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ শতাংশ করে বাড়ে। এ কারণে কারও কারও চুল অনেকদিন পর্যন্ত কালো থাকলেও একটা সময়ে সবারই চুল ধূসর হয় আসবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

Wednesday, April 6, 2016

ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ

sasthobarta protidin
ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ
ফল এমন একটি খাবার যা ভিটামিন, পুষ্টি এবং মিনারেলের উৎস। শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান ফল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি জানেন কি, ফলের খোসাও রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ! ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা, লেবুর খোসা দিয়ে প্যাক তৈরি প্যাক বেশ কার্যকর। ঠিক তেমনি ওজন হ্রাস করতে কমলার খোসা, অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতে আপেলের খোসা বেশ কার্যকর।

১। আপেলের খোসা 
আপেলের খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়া আপেলের খোসায় ইউসলিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্থূলতা হ্রাস করে এবং ক্যালরি পুড়িয়ে থাকে।

২। কমলার খোসা 
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কমলার খোসা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয় এটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে। হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়ে থাকে কমলার খোসা।

৩। লেবুর খোসা 
লেবু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে। এর খোসা মুখের দুর্গন্ধ, মুখের ঘা, মাড়ির ইনফেকশন এবং হাড় মজবুত করে থাকে। এতে স্লাভিস্টোরল কিউ৪০, লিমোনিয়া এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরের টক্সিন এবং বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দিয়ে থাকে।

৪। তরমুজের খোসা
পুষ্টি সমৃদ্ধ তরমুজের সাদা অংশ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ওজন হ্রাস করে থাকে। এছাড়া এটি ত্বক পরিষ্কার করে, স্কিন র‍্যাশ দূর করে থাকে। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে তরমুজের খোসা।

৫। শসার খোসা 
বেশির ভাগ সময় শসার খোসা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু শসার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া শসার খোসায় বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ রয়েছে।

৬। ডালিমের খোসা
 ডালিমের খোসা ত্বকের ব্রণ, র‍্যাশ দূর করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে, এমনকি খুশকি দূর করতেঅ ডালিমের খোসা বেশ কার্যকর। মুখ, গলায় ঘা, হৃদরোগ, হাড় মজবুত করে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে

sasthobarta protidin
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে
আমরা যা খাই তার পুষ্টি উপাদান ও পানি পরিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে শোষিত হয়। অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো বর্জ্য হিসেবে মলে পরিণত হয়। অন্ত্রের পেশীর সংকোচনের মাধ্যমে মলকে ঠেলে কোলন বা বৃহদান্ত্রে পাঠায়। সেখান থেকে রেক্টামের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যখন কোলনের মাংশ পেশী নিষ্ক্রিয়  হয়ে যায় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এর ফলে ইরেগুলার বাউয়েল মুভমেন্ট হয় এবং স্টুল শক্ত ও শুষ্ক হয় ফলে মলত্যাগে করা কঠিন হয়ে পরে। বেশিরভাগ মানুষেরই অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আবার কেউ কেউ সারা জীবনই ভোগেন। বেশিরভাগ  ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময় এটি হয়ে থাকে এবং ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি ভোগে থাকে।

কন্সটিপেশন দুই ধরণের হয় যথা – অর্গানিক ও ফাংশনাল। অর্গানিক কন্সটিপেশন হয় শারীরিক পরিবর্তনের কারণে, যেমন- কোলনের মধ্যে কোন বাঁধা বা বিকৃতি  হলে। এই ধরণের কন্সটিপেশনের ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয় – সঠিক প্রকারের খাদ্যগ্রহণ না করলে, যথেষ্ট পরিমাণে তরল খাদ্য না পান করলে, নিয়মিত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, সঠিক জীবনধারা মেনে না চললে।

উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলেই ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয়। এই জাতীয় খাবারে পুষ্টি উপাদান ও ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যাডেটিভস থাকে। এর ফলে কোলনের দেয়াল দুর্বল হয়ে পরে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যে কাজগুলো আপনি করতে পারেন তা হল :  

১। বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করা
দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুই ধরণের ফাইবার আছে। এই উভয় ধরণের ফাইবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও নরম করে। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ করে। আস্ত শস্যদানা, পাস্তা,  গমের ভুষি খাওয়া অনেক কার্যকরী হতে পারে।

২। সাহায্যকারী খাদ্য
নাশপাতি, ডুমুর, ব্রোকলি, কিউই, গাজর, পীচ ফল, আনারস এবং ডুমুর ইত্যাদি ফলগুলো নিয়মিত খান। এগুলোতে ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর ফাইবার থাকে বলে অন্ত্রের জন্য ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ব্ল্যাকস্ট্রিপ গুড় খান। সকালে এটি আপনার কনস্টিপেশনকে সহজ করতে সাহায্য করবে। আখের গুড়কে অনেকবার জাল দিয়ে ঘন করে ব্ল্যাকস্ট্রিপ মোলাসেস তৈরি করা হয়। তাই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।  

৩। এড়িয়ে চলুন এই খাবার গুলো
চকলেট, অনেক বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, কলা ও ক্যাফেইন। ক্যাফেইন গ্রহণ করা নির্ভর করে আপনি ইতিমধ্যেই পানিশূন্যতায় ভুগছেন কিনা তার উপর। যদি পানিশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে ক্যাফেইন গ্রহণ না করাই ভালো।

৪। নিয়মিত ব্যয়াম
সক্রিয় জীবনধারা মেনে চলুন যেমন- দৌড়ানো, জগিং করা, সাঁতার কাটা বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা। এর ফলে আপনার পরিপাক নালী স্বাস্থ্যবান থাকবে ও অন্ত্রের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

৫। হারবাল চা ও উষ্ণ পানীয়
পুদিনা ও আদা উভয়েই পরিপাকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। মেন্থল অন্ন নালীর পেশীকে শিথিল হতে সাহায্য করে। আদা তাপ প্রদানকারী গুল্ম তাই আদা শরীরের ভেতরে অধিক তাপ সৃষ্টি করে। হারবাল চিকিৎসকদের মতে আদা নিষ্ক্রিয় পরিপাককে গতি দিতে পারে। গ্রিনটি, ব্ল্যাকটি ও প্রাকৃতিক জোলাপ বা রেচক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার জন্য কিছু মানুষ দুধ পান করতে পারেননা। তবে যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে গরম দুধ খেলে আপনার কোষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে পানি বা চায়ের পরিবর্তে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

আরো যে কাজগুলো করতে পারেন :  
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন যেমন- প্রচুর পানি পান করুন, প্রাকৃতিক ডাকে বিলম্ব করবেননা, কোষ্ঠ পরিষ্কারের ঔষধ ব্যবহার সীমিত করুন, অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেক রকমের ইয়োগা  আছে তবে সূর্য নমস্কার ইয়োগাটি অনেক কার্যকরী। তাছাড়া একটি গরম তোয়ালে  শ্রোণি অঞ্চলে দিয়ে ভাপ দিতে পারেন, স্টিম বাথ নিতে পারেন।   

Monday, March 21, 2016

ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই

sasthobarta protidin
ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই
সময়টা এখন শুধুই ভ্রমণের। পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই এটা। ফুরফুরে মন নিয়ে বের হয়েছেন লম্বা ভ্রমণে, কিন্তু বাধ সেধে বসে বমি বমি ভাব। গাড়িতে উঠলেই হঠাৎ করেই বমির ভাব আসে। এটাকে অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। এছাড়া তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে গ্যাস বা খাবার হজমে সমস্যা হলে প্রায়ই বমি বমি ভাব হয়। বমি বন্ধ করা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন নিজের জন্য অস্বস্তিকর তেমনি অপরের জন্য বিব্রতকর। অথচ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন নিজেই। যেমন-

- বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সেদ্ধ দিন। এবার ওই পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

- যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গেছে।

- পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

- অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

- অনেকের ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

Sunday, March 20, 2016

অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো

sasthobarta protidin
অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো
চুল সাদা হয়ে গেলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন, যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যপার। অনেককেই সাদা চুলে বেশ ভাল লাগে। চুল সাদা হয়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে- বয়স বৃদ্ধি, জেনেটিক ও বংশানুক্রমিক সমস্যা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব এবং অন্যান্য। বেশিরভাগ মানুষ চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ  করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে চুলে ডাই করেন। কিন্তু অনেক সস্তা ও সহজলভ্য উপাদান দিয়েই চুল সাদা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম যা চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

১। আখরোট

“ইউ ক্যান বি ইয়োংগার” বইটির লেখক এবং থেরাপিস্ট মারিশা পিয়ার বলেন, “কপার সমৃদ্ধ আখরোট খেলে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া বন্ধ হয়”। কপার মেলানিন  উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মেলানিন চুলের রঞ্জক বৃদ্ধি করে।  

২। চিংড়ি

বিশেষজ্ঞদের মতে উচ্চমাত্রার জিংক চুলের রঙ ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যার অর্থ জিংক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- চিংড়ি, বীজ এবং পনির খেলে চুল সাদা হয়না। এছাড়া ওমেগা ৩ কেবল মাত্র হার্টের জন্যই ভালো নয় বরং আপনার চুলকে শক্তিশালী রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ এর উৎস হচ্ছে মাছ, বীজ ও সবুজ শাকসবজি, যা বেশি করে খাওয়া উচিৎ।

৩। পোলট্রি ও ডেইরি

নিম্ন মাত্রার ভিটামিন বি১২ অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই চুলের স্বাস্থ্য ও রঙ ঠিক রাখার জন্য মুরগীর মাংস, ডিম, দুধ, পনির ও সামুদ্রিক খাদ্য গ্রহণ করুন। ট্রাইকোলজিস্ট সারা অ্যালিসন বলেন, “আমরা জানি স্ট্রেস ভিটামিন বি ব্যবহার করে এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি (বি৬, বি১২, ফলিক এসিড) গ্রহণ করলে ৩ মাসের মধ্যে চুল ধূসর হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি বিপরীত হতে শুরু করে”। তিনি আরো বলেন, “যখন ভিটামিন গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় তখন চুল সাদা হতে শুরু করে”। মুরগীর প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে এবং মাথার তালুর পুষ্টি প্রদান করে।    

৪। ব্রোকলি

ফলিক এসিড গর্ভবতী মহিলাদের সাথে যেভাবে সম্পর্কযুক্ত তেমনি এটি স্বাস্থ্যবান চুলের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। ফলিক এসিডের স্বল্পতা অসময়ে চুল ধূসর করে দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে ব্রোকলি, শতমূলী, মটরশুঁটি ও ডাল খান।

৫। গরুর কলিজা

জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। গরুর কলিজা জিংক ও কপারে পরিপূর্ণ থাকে যা অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। যদি আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যা ও হৃদরোগের সমস্যা না থাকে তাহলে গরুর কলিজা খান ও চুলকে নিরাপদ রাখুন।
৩০ বছর বয়সে বেশিরভাগ মানুষের মাথায় কিছু সাদা চুল দেখা যায় এবং ৫০ বছর বয়সে মাথার অর্ধেক চুল সাদা হয়ে যায়। একটি সাদা চুল উঠালে ২টি গজায়- এই কথাটি সত্য নয়। সাধারণত কপালের আশেপাশের চুল আগে সাদা হয়, তারপর মাঝামাঝি অংশের এবং সবশেষে পেছনের দিকের চুল সাদা হয়। ২০ বছর বয়সের আগে চুল সাদা হলে তাকে প্রিমেচিউর গ্রেইং বলে। এই খাবার গুলো শুধুমাত্র চুল সাদা হয়ে যাওয়াই রোধ করবেনা বরং মাথার ত্বকের অতিরিক্ত যত্ন প্রদান করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করবে। যদি আপনার ২০ বছর বয়সের আগেই চুল সাদা হতে শুরু করে তাহলে এই খাবারগুলো খান এবং চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করুন।