Thursday, December 31, 2015

ঠাণ্ডাজ্বর প্রতিরোধে আপনার মেকআপ যেভাবে ব্যবহার করবেন

sasthobarta protidin
ঠাণ্ডাজ্বর প্রতিরোধে আপনার মেকআপ
পুরো শীতকাল জুড়েই ঠাণ্ডা-জ্বর-সর্দিতে ভুগে থাকেন অনেকে। খুব খারাপ অবস্থা হয় তাদের যারা মেকআপ ছাড়া চলতে পারেন না। ঠাণ্ডাজ্বর নিয়ে মেকআপ করাটা যেমন কঠিন, সেই মেকআপ রাখাটাও কঠিন। আর মেকআপের যত্ন না নিলে এগুলোই আসলে আপনার অসুস্থতাকে আরও বাড়াতে পারে। জেনে নিন ঠাণ্ডাজ্বরের এই সিজনে সুস্থ থাকতে কী করতে পারেন আপনি।
১) মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখুন

মেকআপ ব্রাশে খুব সহজে ময়লা ধরে। এগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন প্রতিদিন ব্যবহারের পর। হ্যাঁ, প্রতিদিন ধোয়াটা কষ্ট মন হচ্ছে বটে কিন্তু এই কাজটা করলে আপনার অসুস্থ হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। এছাড়াও মেকআপ ব্রাশ বাথরুমে রাখবেন না। জীবাণু বেশি লাগবে তাতে। ব্রাশগুলো ধুয়ে শুকিয়ে মেকআপ ব্যাগে ভরে রাখুন।
২) বাথরুমের বেসিনের তাক এবং ড্রেসিং টেবিল রাখুন জীবাণুমুক্ত

বাতাসের ধুলোর সাথে অনেক জীবাণু ছড়ায়। এই ধুলো জমে থাকে টেবিল এবগ্ন তাকের ওপরে। আপনি মেকআপ করতে করতে যেই টেবিলের ওপর ব্রাশটা রাখবেন তখনই এই জীবাণু ছড়িয়ে যাবে। এ কারণে এসব জায়গা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখাটা জরুরী।
৩) মেকআপ ব্যাগের কথা ভুলবেন না

মেকআপ ব্যাগে ময়লা এবং পুরনো মেকআপের ধুলো জমে জমে জীবাণুর আখড়া হয়ে থাকে। এটাকে পরিষ্কার করতে ভুলে গেলে চলবে না মোটেই। কাপড়ের তৈরি মেকআপ ব্যাগ হলে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন রোদে। আর প্লাস্টিক, রেক্সিন বা চামড়ার ব্যাগ হলে এর ওপরে ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে ১০ সেকেন্ড রাখুন, এরপর মুছে ফেলুন পরিষ্কার করে।
অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন?

ইতোমধ্যেই আপনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। চেহারায় অসুস্থতার ছাপ পড়েছে। কী করতে পারেন এমন অবস্থায়?

-   বেশি করে পানি পান করুন। এটা আপনাকে সারিয়ে তোলার পাশাপাশি আপনার চেহারা থেকেও অসুস্থতার ছাপ কমিয়ে দেবে।

-   এক্সফলিয়েট করতে ভুলবেন না। এটা আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে আপনাকে আরও প্রাণবন্ত দেখাতে সাহায্য করবে।

-   নাক মুছতে মুছতে লাল হয়ে যায় অনেকেরই। ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া একটু কম হতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে এই জ্বলুনি কমানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। আর লালচেভাব দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন এমন একটা কনসিলার যেটায় একটু সবজেটে ভাব আছে। অথবা একটা সবুজ কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে পারেন।

-   অসুস্থ চেহারা নিয়ে বাইরে কেউই বের হতে চায় না। ব্রঞ্জার এবং ব্লাশ ব্যবহার করে চেহারার নিস্তেজ ভাবটাকে দূর করতে পারেন। মাশকারা ব্যবহার করলে চোখটাকে উজ্জ্বল লাগবে, আর ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন ন্যাচারাল শেডের একটা গ্লস। তবে মেকআপ ন্যাচারাল রাখবেন অবশ্যই।

অসুস্থ হবার পর থেকে সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এতে থেকে যাওয়া জীবাণু আপনাকে আবার অসুস্থ করে ফেলতে পারে। সেরে ওঠার পরে মেকআপ ডিসইনফেক্ট করার আরও কিছু টিপস দেখে নিতে পারেন-

    সারারাত লিপস্টিক এবং মাসকারা ফ্রিজারে রেখে দিলে জীবাণু মরে যাবে
    পেন্সিল আইলাইনার ব্যবহার করার সময় নতুন করে শার্প করে নিন
    পাউডার ব্যবহারের সময়ে ওপরের লেয়ার ঝেড়ে ফেলুন
    অন্যদের সাথে নিজের মেকআপ শেয়ার করবেন না, তাতে জীবাণু ছড়ায়

কতটুকু ফল খাবেন প্রতিদিন?

sasthobarta protidin
কতটুকু ফল খাবেন প্রতিদিন?
সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যভ্যাসের সবচাইতে দরকারি উপাদান কোনগুলো? তা হলো ফল এবং সবজি। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই দেখা যায় আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ফল সবজি খাচ্ছি না। এর ফলে স্বাস্থ্য তো খারাপ হচ্ছেই, সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাট কমানো এসব উদ্দেশ্যও আমাদের পূরণ হচ্ছে না।

ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে  ভিটামিন এবং ফাইবার। খুব কম বা শূন্য ফ্যাট থাকে। আর বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করার জন্য দরকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোও পাওয়া যায় এই ফল থেকেই।

ঠিক কতটুকু ফল খাওয়া উচিৎ প্রতিদিন? ২০০০ ক্যালোরির খাদ্যভ্যাস মেনে চলা প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের উচিৎ প্রতিদিন দুই কাপ করে ফল খাওয়া। আপনি যদি ১৯-৩০ বছর বয়সী সাধারণ একজন নারী হয়ে থাকেন তবে এটাই আপনার জন্য দরকারি। এর পাশাপাশি খেতে হবে আড়াই কাপ সবজি। এটা শুনলে অনেক বেশি মনে হবে। আসলে কিন্তু মোটেই তেমন বেশি না! রাস্তাঘাটে একটু আনারস মাখা, লবণ ছিটানো আমড়া, ব্রেকফাস্টে একটা কলা- এইভাবেই কিন্তু আমাদের ফলের দৈনিক চাহিদাটা পূরণ করতে পারি। দুই কাপ ফল খাবার জন্য মেজারিং কাপ বের করে হুলুস্থুল করতে হবে না। এই ছবিগুলোতেই দেখে নিন এক সার্ভিং ফল মানে কতটুকু ফল। দিনে দুইবার এক সার্ভিং করে ফল খেলেই আপনার ফল খাওয়ার চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।

এই সার্ভিং এর পরিমাপটা কিন্তু প্রতিটা মানুষের জন্য সমান না, কেবল সাধারণ একটা গাইডলাইন। আপনি হয়তো এর চাইতেও বেশি ফল খাচ্ছেন প্রতিদিন। আপনার বয়স, লিঙ্গ এবং সারাদিনে কতো ভারি বা হালকা কাজ করছেন তার ওপর নির্ভর করতে পারে।

১) আপেল- একটা
২) কলা- বড় একটা
৪) আঙ্গুর- ১ কাপ বা ৩২টা আঙ্গুর
৫) আম- ১ কাপ বা একটা মাঝারি আম
৬) কমলা- বড় একটা
৭) নাশপাতি- মাঝারি একটা
৮) আনারস- ১ কাপ অথবা ছোট একটা আনারসের অর্ধেক
৯) স্ট্রবেরি- বড় ৮টা
১০) টমেটো- মাঝারি একটা


টিপস

    -   জুস মানে ফল নয়। এক কাপ ফ্রুট জুসকে এক কাপ ফল হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ দরকারি ফাইবারটা এতে থাকে না। আপনাকে আস্ত একটা ফল খেতে হবে।
    -   শুকনো ফল খেলে অর্ধেক পরিমাণে খাবেন। অর্থাৎ এক কাপ টাটকা ফলের সমান হলো আধা কাপ শুকনো ফল।
    -   তবে জুস এবং ড্রাই ফ্রুটে অতিরিক্ত চিনি থাকতে পারে। তাই ক্যালোরির কথা মাথায় রেখেই এগুলো খেতে হবে। টাটকা ফল খাওয়াটাই সবচাইতে ভালো বুদ্ধি।


Monday, December 14, 2015

বন্ধ নাক থেকে মুক্তি

sasthobarta Protidin
বন্ধ নাক থেকে মুক্তি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ পরিস্থিতির তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে শ্লেষ্মা শ্বাসযন্ত্রে চলে গেলে পরে বড় ধরনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বন্ধ নাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় দেওয়া হয়।

শোয়ার সময় মাথা উঁচুতে রাখতে হবে

ঘুমানোর সময় বা শুয়ে থাকলে মাথা কিছুটা উঁচুতে রাখা উচিত। এক্ষেত্রে মাথার নিচে খানিকটা উঁচু বালিশ রেখে, ছাদের দিকে মুখ করে শোয়া যেতে পারে। এতে শ্লেষ্মা তৈরির পরিমাণ কম হবে।
বন্ধ নাকের সমস্যা এড়াতে পেঁয়াজ

এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে তা নাকে শুকে নিলেই বন্ধ নাকে আরাম পাওয়া যাবে। পেঁয়াজের ঘ্রাণ বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করবে। এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে টানা ৫ মিনিট ঘ্রাণ নিলেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

ঝাল খাবার

ঠাণ্ডা লাগলে এবং নাক বন্ধ থাকলে ঝাল খাবার বেশ ভালো লাগে। এর পাশাপাশি মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বন্ধ নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

গরম পাণীয় পান করা

চা বা কফির মতো গরম পানীয় পান করলে ঠাণ্ডায় উপকার পাওয়া যায়। পানীয়ের গরম ভাপ শ্লেষ্মা হালকা করতে সাহায্য করে। গরম পানীয়র মধ্যে বন্ধ নাক থেকে মুক্তি পেতে চা সব চাইতে বেশি উপকারী।

ভাপ নেওয়া

গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মেনথল মিশিয়ে, হাঁড়ি বা বাটির উপর মাথা নিয়ে মাথার উপর একটি তোয়ালে বা চাদর দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। এবার গরম পানি ও মেনথল মিশ্রিত ভাপ নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে টেনে নিতে হবে। গরম ভাপ এবং মেনথল ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী।.

এই সাধারণ টোটকাগুলো নাক বন্ধের সমস্যা অনেকটাই লাঘব করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরোপুরি সারিয়ে তুললেও অনেক সময় বেশি সমস্যা হলে পুরোপুরি আরগ্য হওয়া সম্ভব হয় না। তবে ঠাণ্ডা এবং নাক বন্ধের কারণে অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করবে এই উপায়গুলো।

ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার

Sasthobarta protidin
ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার
সঙ্গমের আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে এবং সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে খেতে পারেন ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক ফুড’ নামে পরিচিত কিছু খাবার।

এই খাবারগুলো যৌনসুখের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং বিভিন্ন গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে পুরুষ ও নারীদের যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা বাড়ায়।




স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানায়। 

চকলেট: রোমান্স আর আবেগের প্রতীক চকলেট। বলা হয়, চকলেট খাওয়ার পর নারীদের শরীরে যে পরিমাণ ‘এন্ডোফরমিন’ তৈরি হয় তা ঘনিষ্ঠ ‘ফোরপ্লে’য়ের তুলনায় চার গুণ। পাশাপাশি ‘ফোরপ্লে’তে চকলেটের রয়েছে কয়েকটি আকর্ষণীয় ব্যবহারও।

কমলা: একটি মিষ্টি ও আবেদনময়ী ফল এই কমলা। সঙ্গীকে কামোত্তেজক এক অভিজ্ঞতায় প্রতি আকৃষ্ট করতে চকলেটের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ফল।

ডিম: শেষ কবে কোনো রকম তাড়াহুড়া ছাড়া দুশ্চিন্তামুক্তভাবে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছিলেন মনে করতে পারেন? দৈনন্দিন রুটিনবাঁধা জীবন আর সংসারের বিভিন্ন ঝামেলার কারণে যৌনজীবন আকর্ষণীয় করা নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এখানেই ডিমে থাকা ‘ভিটামিন বি ফাইভ’ এবং ‘ভিটামিন বি-সিক্স’য়ের ভূমিকা। দুটোই মানসিক চাপ কমায়, বৃদ্ধি করে যৌন ক্ষমতাও। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত অন্যান্য উপকার তো আছেই।

তরমুজ: যৌনজীবনে ফুলঝুরি ফোটাতে চাইলে প্রতিদিন তরমুজ খাওয়া শুরু করতে পারেন। ‘প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা’ হিসেবে বিবেচিত তরমুজ হল ‘সিট্রুলিন’ নামক একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস, যা রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণে সাহায্য করে। যৌনাঙ্গ দৃঢ় হওয়া বিষয়ক সমস্যার চিকিৎসায় তরমুজ বেছে নিতে পারেন।

জাফরান: তাৎক্ষনিক উপকার পেতে দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে যোগ করা যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ জাফরান। প্রাকৃতিক ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক’ খাবারের উপকারীতা বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, এটা যৌন চাহিদা বাড়াতে সহায়ক। ‘ক্রোকাস স্যাটিভাস’ নামক ফুলের গর্ভমুণ্ড বা পরাগধানী শুকিয়ে জাফরান তৈরি করা হয়। ভারতীয়, ইতালিয়ান এবং স্প্যানিশ কুইজিনে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

রসুন: সমস্যা মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের যৌনস্বাস্থ্য ও ক্ষমতার উপর গুরুত্ব দেই না। এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত এবং প্রতিদিন রসুন খাওয়ার মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন প্রক্রিয়া, যৌনক্ষমতা এবং সঙ্গমের চাহিদা বৃদ্ধি করতে রসুনের উপকারিতা সুপরিচিত। এর প্রধান কারণ হল, রসুনে প্রচুর পরিমাণে থাকে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান, যা যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।

চোখের বিশেষ যত্ন

sasthobarta protidin
চোখের বিশেষ যত্ন
সারাদিন আমাদের চোখ জোড়া প্রচুর কাজ করে, যা আমরা অনেকেই মাথায় রাখি না। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া পুরো দিন জুরেই কাজ করতে থাকে আমাদের চোখ। আর চোখ এবং চোখের আশপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। আর ওই অংশে বয়সের ছাপও দ্রুত পড়ে তাই আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়।

দিন শুরু করুণ ফল খেয়ে: দিনের শুরুতে বেশ খানিকটা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ ফল খেয়ে দিন শুরু করলে তা চোখ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। ফল চোখ ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।

টি ব্যাগ ও অলিভ অয়েল: ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে চোখের উপর চেপে ধরলে আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। তবে চোখের আশপাশের কোমল ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলও কার্যকর। এক টুকরা তুলা তেলে ভিজিয়ে চোখের চারপাশের ত্বকে লাগাতে হবে, এরপর ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে বিশ্রাম নিতে হবে।

চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখুন: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এর পাশের ত্বকে বলিরেখা পরে। তাই ঘন ঘন চোখের পাতা বন্ধ করতে এবং খুলতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করতে হবে।

যে কোনো স্ক্রিনে কাজ করার সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর বিরতি নিতে হবে, চোখের বিশ্রামের জন্য।

চোখের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক: রূপচর্চায় মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ত্বকের পাশাপাশি চোখ ও চোখের ত্বকেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। চোখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই সব থেকে উপযোগী। শসা, আলু ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পানি থাকে এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই এই উপাদানগুলো চোখের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি চোখ উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

সবসময় খুশি থাকুন: অবসাদ এবং মানসিক চাপের ছাপ পড়ে চোখে। এতে চোখ নিস্তেজ দেখায়। ক্লান্তি, রাগ, অপর্যাপ্ত ঘুম চোখে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।

Sunday, December 13, 2015

স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীর জন্য জরুরী ১২ টি কাজ

sasthobarta protidin
স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীর জন্য জরুরী ১২ টি কাজ
সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরী। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও হয়ে পড়ে জরুরী। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ।
১)  ব্যবহার করুন সঠিক মাপের ব্রা

আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। সময়ের সাথে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী।
২) মাঝে মাঝে ব্রা ছাড়াই থাকুন

বাড়িতে ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝে মাঝে স্পোর্টস ব্রা পরেও থাকতে পারেন।
৩) মাসাজ করুন

শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল বজায় রাখতে মাঝে মাঝে স্তন মাসাজ করতে পারেন।
৪) নিজে থেকেই পরীক্ষা করুন

নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করলে ক্ষতি কোথায়? কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানতে মাঝে মাঝে স্তন পরীক্ষা করুন নিজেই। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৫) স্বাস্থ্যকর খাবার খান

মধ্যবয়সে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি আপনার স্তন থাকবে সুস্থ।
৬) ময়েশ্চারাইজিং

সারা শরীরের ত্বকের মতো স্তনের ত্বকেও পড়তে পারে বয়সের ছাপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন। এ কারণে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরী।
 ৭) ধূমপান নিষিদ্ধ

খুব কম সময়েই আমাদের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান। এর পাশাপাশি স্তন ঝুলে যাবার কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে ধূমপান। সুতরাং নিজের শরীর ভালো রাখতেই বাদ দিন এই বিশ্রী অভ্যাসটি। কমিয়ে ফেলুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রাও।

৮) ব্যায়াম করুন

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।
৯) ম্যামোগ্রাম

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্তন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলে বার্ষিক স্তন পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায় দ্রুত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন।
 ১০) থাকুন ইমপ্ল্যান্ট এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং এনহান্সিং কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভীষণ ঝুকিপুর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।
১১) ব্রেস্ট ফিডিং করান

আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
১২) ঝুঁকির ব্যাপারে জেনে রাখুন

আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কারও ব্রেস্ট ক্যান্সার আছে কিনা তা জানা থাকলে নিজের ঝুঁকির ব্যাপারেও আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন।

খুব সহজে ঘরে তৈরি করে ফেলুন ভিটামিন বি এনার্জি ড্রিঙ্ক!

sasthobarta protidin
ভিটামিন বি এনার্জি ড্রিঙ্ক
প্রতিদিন খাবার সাথে আমরা নানা রকমের পানীয় পান করে থাকি। কিন্তু এই সকল পানীয়ের মধ্যে বেশিরভাগ সময় আমরা কোল্ড ড্রিঙ্ক অথবা এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করি। এই দুটি পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বাজারের এনার্জি ড্রিঙ্ক এ অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের যেন ক্ষতিকর। এর চাইতে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্ক।  ভিটামিন বি আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকারী। এটি মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে। ছয় প্রকার ভিটামিন বি আমাদের শরীরে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট ভেঙ্গে ফেলে।  ভিটামিন বি ড্রিংকে ১৩ গ্রাম চিনি, ১০০-১২৫ ক্যালরি আছে। যেখানে একটি কোকে ৩৯ গ্রাম চিনি, ১৪০ ক্যালরি থাকে। আপনি খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন বি ড্রিঙ্ক। ভিটামিন বি ড্রিঙ্কে ৮ প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এখানে প্রধান প্রধান ভিটামিন বি এর কাজ দেওয়া হল।

ভিটামিন বি১ (থায়ামিন): ভিটামিন বি১ কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি উৎপন্ন করে ডিএনএ এবং আরএনএ প্রভাবিত করে এবং নার্ভ ফাংশনকে সচল রাখে।

ভিটামিন বি২ (রিব্লোফ্লেবিন): এটি রক্তে লোহিত কণিকা তৈরি করে দেহে শক্তি প্রদান করে থাকে।

ভিটামিন বি৩(নিয়াসিন): এটি পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখে।

ভিটামিন বি৬(প্রাইরোডক্সিন): এটি দেহে অ্যান্টি বায়োটিক উৎপাদন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

ভিটামিন বি৫(পানথ্রোথিনিক অ্যাসিড): এটি শরীরে শক্তি যোগানোর সাথে সাথে মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে।

যা যা লাগবে
- ১ টুকরো লেবু
- ১টি পিচ ফল
- ৫/৬ টুকরো তরমুজ বা আনারস
- আপেল

- পানি
যেভাবে তৈরি করবেন

১। প্রথমে ফলগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিন।

২। এবার একটি গ্লাসে পানি ঢেলে ফলগুলো দিয়ে দিন।

৩। এখন এটি ফ্রিজে ১২-২৪ ঘন্টা রেখে দিন। এতে করে ফলের রসগুলো পানির সাথে মিশে যাবে।

৪। দিনে ১ থেকে ২ গ্লাস এই ড্রিঙ্ক পান করুন।

৫। ৫ দিন পর পর এই পানি পরিবর্তন করুন।

এটি আপনাকে এনার্জি দেওয়ার পাশাপাশি আপনার মেটাবলিজকে প্রভাবিত করে থাকে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে এই পানীয়টি।