Showing posts with label Medicinal qualities of beans. Show all posts
Showing posts with label Medicinal qualities of beans. Show all posts

Tuesday, December 8, 2015

শিমের ভেষজ গুণ

sastho barta protidin
শিমের ভেষজ গুণ
 শীত এসেছে। এই সময়ে বাজারের প্রধান সবজি শিম। শিম সুস্বাদু, মধুর রস, শীতবীর্ষ ও খুব বলকারক সবজি। এর বীচি বীর্যকর ও মূত্রকারক; জ্বরনাশক, ক্ষুধাবর্ধক, মেদ সৃষ্টিকারী, কামোদ্দীপক, খিঁচুনি নিবারক, মৃদুবিরেচক। অনেকের মতে, শিম বাতকারক, তবে তা রসুন দিয়ে পাক করলে দোষটা কেটে যায়। শিমের ভেষজ গুণ নিচে দেয়া হলো।

জ্বর : যে জ্বরে জিভে চটচটে একটি প্রলেপ পড়ে থাকে, মাঝে মাঝে ঝিমুনি, অরুচি অথচ পিপাসা থাকে, আবার মাঝে মধ্যে শীত শীত করে। এ অবস্থায় শিমের বীজ বালিতে ভেজে, খোসা ছাড়িয়ে গুঁড়ো করে নিতে হয় এবং সে গুঁড়ো ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় এক কাপ গরম পানিতে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার করে কয়েক দিন খেতে হয়।

অগ্নিমান্দ্য : যে অগ্নিমান্দ্যে বমি বমি ভাব থাকে; যে রসের খাদ্য খাওয়া হয়, সে রসেরই স্বাদভরা ঢেঁকুর ওঠে এবং শরীর ভারী হয়ে থাকে, সে অজীর্ণে শিম বীচির গুঁড়ো ৫০০ মিলিগ্রাম আধাকাপ গরম পানিতে দিয়ে সকাল ও বিকাল দুইবার করে খেলে অগ্নিমান্দ্য চলে যাবে ও শরীর সামলে উঠবে।

রক্তস্রুতি : নাক দিয়ে রক্ত পড়া হলো সাময়িক ও ঊর্ধ্বগত রক্তপিণ্ডের লক্ষণ। এ সময় গোটা শিমের বীচি গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় ঠাণ্ডা পানিতে দিয়ে সকাল ও বিকেলে খেতে হয়। তাতে এ রোগ সেরে যায়।

আমিষের ঘাটতি : আমিষের ঘাটতি হলে শিম ও শিমের বীচি খেলে তা পূরণ হয়।

শুক্রগত দুর্বলতা : শিমের বীচির বেসন খেলে শুক্রগত দুর্বলতা দূর হয়ে যায়।

কান ও গলা ফোলা : প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কান ও গলা ফুলে গেলে এবং তাতে জ্বালা-যন্ত্রণা করলে শিম পাতার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এতে চুন মিশিয়ে প্রলেপ দিলে আরো বেশি ফল মেলে।

বিছার কামড় : বিছায় কামড়ালে কামড়ানো জায়গায় শিম পাতার রস লাগালে বিষ চলে যায়।

স্তন্যবর্ধন : প্রসূতিকে শিম ও শিমবীজ খাওয়ালে দুধ বাড়ে।