Wednesday, July 20, 2016

প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা

sasthobarta protidin
প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা
কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে শুরু হয়ে যেতে পারে গলা ব্যথা। অ্যালার্জি, শুষ্ক বাতাস, দূষণ, ঠান্ডা, ফ্লু ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে গলায় ইনফেকশন দেখা দেয়। যা গলা ব্যথা সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে এই গলা ব্যথা মারাত্নক হতে পারে। সবসময় এই গলা ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। কষ্টকর এই ব্যথা দূর করতে পারেন ঘরোয়া কিছু উপায়ে।

১। লেবু

গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি আস্তে আস্তে পান করুন। এছাড়া সমপরিমাণ গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এটি দ্রুত গলা ব্যথা কমিয়ে দেবে। এছাড়া অর্ধেকটা লেবুর রস, লবণ এবং গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।

২। হলুদ পানি

হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা ব্যথা উপশম করে থাকে। ১ কাপ গরম পানিতে, ১/২ চাচমচ হুলুদ গুঁড়া এবং ১/২ চাচমচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচি করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে গলা ব্যথা কমে যাবে। এছাড়া এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো গরম দুধের সাথে মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন।

৩। রসুন

কাঁচা রসুনের উপাদান অ্যালিসিন নামক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। প্রতিদিন কাঁচা রসুন খান। এছাড়া এক চুর্থতাংশ পানিতে কয়েক ফোঁটা রসুনের তেল মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এটি দিনে প্রতিদিন একবার করুন। রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।

৪। আদা, মধু লেবু পানি  

এক চাচামচ আদা পাউডার/কুচি, মধু,  আধা কাপ গরম পানি, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রথমে আদাপানি দিয়ে কুলকুচা করুন তারপর লেবুর রস, মধু, দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করে নিন। এটি আপনার গলা ব্যথা কমানোর সাথে সাথে আপনার গলা পরিষ্কার করে দেবে।

৫। লবণ পানি

গলা ব্যথা দেখা দিলে তা দূর করার জন্য লবণ পানি ব্যবহার হয়ে আসছে। এক কাপ গরম পানির মধ্যে দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে গলার ফারিংগাল অঞ্চলের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে ভেতরে জমে থাকা ঠান্ডা কফ বের হয়ে এসে গলা পরিস্কার করে ফেলে। এছাড়া গলার ইনফেকশন অবস্থারও উন্নতি করে। ফলে গলাব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।

৬। মধু

মধু মিশ্রিত চা অথবা সরাসরি মধু গ্রহণ গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়। কাশি, ঠান্ডা, গলাব্যথা সাধারণত রাতের বেলায় বেশি হয়ে থাকে। মধু এটি কমাতে সাহায্য করে।

৭। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে পান করুন। এর অ্যাসিডিক উপাদান গলার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। এটি যখন মধুর সাথে মিশে, তখন গলা ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়।

Tuesday, July 19, 2016

সুস্বাস্থ্যের জন্য ১০ পরামর্শ

sasthobarta protidin
সুস্বাস্থ্যের জন্য ১০ পরামর্শ
একটু সতর্ক থাকলে, একটু সচেতন হলে দৈনন্দিন কিছু কাজে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য মেলে, তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও সম্ভব হয়। এখানে তেমন ১০টি পরামর্শ:

১. তেলের জন্য স্প্রে বোতল
অতিরিক্ত তেল কোনো কিছুতেই ভালো নয়। না বস আর কর্মীর সম্পর্কে, না রান্নায়। রান্নায় পরিমাণ মতো তেল ব্যবহার করতে হলে কী করবেন? স্প্রে বোতল ব্যবহার করুন। পরিমাণমতো তেল ঢালতে এটা বেশ কাজে দেবে।

২. রান্না করুন ওভেনে
যেকোনো খাবার ভাজার চেয়ে বেক (ঝলসানো বা সেঁকা) করা উত্তম। ভাজলে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই সুযোগ থাকলে খাবারটি ওভেনে বেক করে নিন।

৩. গরম পানিতে সবজি
সবজির সবটুকু পুষ্টি পেতে চাইলে গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। মনে হতে পারে, এ আর নতুন কী! গরম পানি বলতে পানি আগে গরম করে নিতে হবে, তারপর সেখানে ঢালতে হবে সবজি। সবজি ও পানি একসঙ্গে গরম করলে সবজির পুষ্টিগুণ কমে যায়।

৪. মাখনের জায়গায় তেল
পেস্ট্রি বা অন্যান্য ডেজার্টে মাখনই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এর বদলে আমন্ড বা নারকেল তেল মন্দ নয়। শরীরের মেদ ঝরাতে এটা দারুণ কাজে দেবে।

৫. ছোট প্লেট-বাটি কিনুন
পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে ভীষণ সমস্যা। এ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় আছে অনেক। তবে প্রথমেই আপনি আপনার প্লেট-বাটির আকার কমাতে পারেন। এ জন্য আকারে ছোট প্লেট-বাটি কিনলেই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৬. রান্নার আগে মাছের পরীক্ষা
রান্না করার আগে মাছের পরীক্ষা নিন। পরীক্ষার জন্য মরা মাছটাকে পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। মাছটা ডুবে গেলে পরীক্ষায় উতরে গেল। আর ভেসে থাকলে সেটা না খাওয়াই ভালো।

৭. ধীরে খান
রাস্তার পাশে লেখা থাকে—ধীরে চলুন। বিশেষজ্ঞরা খেতেও বলেন ধীরে। কারণ, ধীরে খেলে এবং খাবার ঠিকঠাকমতো চিবোলে পাকস্থলী বেশ খানিকটা সময় পায়। কিসের সময়? খাবার সময় পাকস্থলী মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে আপনার আরও খাবার খেতে হবে কি হবে না। দ্রুত খেলে অধিকাংশ সময়ই পাকস্থলী সেই সময়টা পায় না, ফলে আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি!

৮. টমেটো-শসা একসঙ্গে নয়
টমেটো আর শসা—এ যেন সালাদের অমর জুটি! কিন্তু এই জুটি ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি করে। শসায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা অন্য কোনো খাবার গাঁজিয়ে তুলতে পারে। তাই টমেটোর সঙ্গে সালাদে শসা থাকলে সেটা টমেটোর অ্যাসকোরবিক অ্যাসিড (ভিটামিন ‘সি’) ধ্বংস করে দেয়! মানে টমেটোর আসল গুণটাই থাকে না!

৯. কাঁচা ফল ও সবজি খান
সবজি, বিশেষ করে ফল খেতে চাইলে কাঁচাই খান। সবজি হয়তো সব সময় কাঁচা খাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব হলে খেতে অসুবিধা নেই। বরং এতে উপকার অনেক বেশি। কাঁচা ফল-সবজিতে অনেক বেশি পরিমাণে সেলুলোজ থাকে। যেটা আমাদের হজমপ্রক্রিয়া ভালো করে পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বিশোষণ করে। সেদ্ধ করে খেলে যা পাবেন না।

১০. চিনির ভালো বিকল্প
একটা বয়স পর্যন্ত চিনি শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু যেই না আপনি একটু পরিণত, চিনি যেন শত্রুকে পরিণত হলো! তাই চিনির ভালো বিকল্প খুঁজতেই হয়। মধু এ ক্ষেত্রে ভালো একটা বিকল্প। তবে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করতে চাইলে সেটা গরম না করাই ভালো। কারণ, অতিরিক্ত তাপে মধুর গুণাগুণ লোপ পায়।

বর্ষায় যত সমস্যা

sasthobarta protidin
বর্ষায় যত সমস্যা
বর্ষায় কদম ফুল দেখবেন, হয়তো হাতে নিয়ে ঘুরবেনও। বেলি ফুলের মালাও হয়তো কেউ হাতে জড়াবেন। কেউ আবার শখের বশে বৃষ্টিতে ভিজবেন। তবে খেয়াল রাখুন, ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। এতে নানা সমস্যা হতে পারে। শ্বাসনালি, সাইনাস, স্বরযন্ত্র, টনসিল বা গলনালিতে প্রদাহ হতে পারে। সর্দি, নাক বন্ধ ভাব, কথা বললেই কাশির দমক, গলা খুসখুস, ঢোঁক গিলতে অসুবিধা, কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়া বা কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, জ্বর জ্বর ভাব, হালকা ম্যাজমেজে ভাব হতে পারে।
করণীয়
*ছাতা নিয়ে বাইরে বেরোবেন। হঠাৎ ভিজে গেলে ঝটপট শরীর ও চুল শুকিয়ে নিতে চেষ্টা করুন।
*হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের এ সময় ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। অন্যান্য ওষুধেরও প্রয়োজন হতে পারে।
*হাঁচি, সর্দি বা ঠান্ডা লাগার সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন না করাই ভালো। জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন করুন। কণ্ঠস্বর ভেঙে গেলে স্বরকে বিশ্রাম দিন।
*জীবাণুর সংক্রমণ না হয়ে থাকলে দু-তিন দিনেই ঠান্ডা লাগার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।
*বর্ষায় ঘরের ভেতর স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। তাই জানালা খোলা রাখুন। তবে খেয়াল রাখুন, যেন বৃষ্টির পানিতে বিছানা বা কার্পেট ভিজে না যায়। আলমারি বা খাটের কোণে যেন পানি জমে না থাকে।
*কেঁপে কেঁপে জ্বর; বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে; কাশির সঙ্গে কফ বা রক্ত বেরোলে
*দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা-কাশি বা কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়ার সমস্যার উপশম না হলে
*টনসিলে জীবাণুর সংক্রমণ হয়ে পুঁজ জমা হলে

অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ
বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

Tuesday, June 28, 2016

কেমন হবে ঈদের মেকআপ

sasthobarta protifdin
কেমন হবে ঈদের মেকআপ
পাশ্চাত্যে প্রতিবছরই মেকআপ, পোশাকের রং ও স্টাইলের একেকটি ধারা চালু হয়। এবারের ঈদে আমাদের দেশে চলতি বিশ্ব ফ্যাশনের প্রভাব পড়বে, নাকি পড়বে না, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। পোশাকে অতটা না হলেও মেকআপে বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্বাস করেন রূপবিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শুধু একটি নয়, বেশ কিছু মেকআপ ট্রেন্ড এবার অনুসরণ করা হবে। আবহাওয়া ও নিজের পছন্দের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে পারেন যেকোনো একটি ট্রেন্ড।

ঈদে এবার লিপস্টিকের ক্ষেত্রে কেউ উজ্জ্বল টোন প্রাধান্য দেবেন, কেউ আবার বেছে নেবেন কালচে টোন। বিশ্ব ফ্যাশনেও এখন কালচে টোন বেশি চলছে। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন মনে করেন, চেহারায় আধুনিক ভাব আনতে চাইলে গাঢ় টোনের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। হালকা বা গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গাঢ় টোনের লিপস্টিক মানিয়ে যাবে। তবে রংটি কে কতটা বহন করতে পারছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গাঢ় বেগুনি, গাঢ় মেরুন, গাঢ় কফি রংগুলো বেশ চলছে। কেউ যদি গাঢ় টোনে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে তিনি কমলা, পিচ, বেইজ, লাল, গোলাপি রংগুলো বেছে নিতে পারেন।

চোখে দুই ধরনের ট্রেন্ডের কথা জানালেন রূপবিশেষজ্ঞরা। একদিকে খুব গ্লিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনি, ম্যাজেন্টা ইত্যাদি। শুধু তাই নয়। উজ্জ্বল রং ছাড়াও গ্লিটার ব্যবহার করা যাবে ইচ্ছেমতো। চাইলে কেউ চোখ-ঝলসানো নানা রঙের গ্লিটার দিয়েই চোখ সাজাতে পারেন। চিকন রেখার টান কিংবা চোখজুড়েই থাকতে পারে চিকমিক ভাব।

রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী জানালেন, শুধু একটি রং দিয়ে চোখ সাজানোর ট্রেন্ডও এখন চলছে। উজ্জ্বল সব রং বেছে নেওয়া হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। একটু অমসৃণ, আঁকাবাঁকাভাবে আইশ্যাডো লাগালেও খুব একটা খারাপ লাগবে না। তবে ব্লেনডিং ভালোভাবে করতে হবে।

এদিকে ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের মেকআপ বিশেষজ্ঞ বাপন রহমান জানালেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ফ্যাশন অনুযায়ী চোখের মেকআপ হবে হালকা। লিপস্টিকটা হতে পারে ভারী কোনো রঙের। সেই সঙ্গে কমপ্যাক্ট আইশ্যাডো ব্যবহারের কথাও বললেন বাপন। কাজল ও মাসকারা ভারী করে দিয়ে আইশ্যাডো হালকা রঙের বেছে নিতে পারেন। সাদা রঙের কাজল ব্যবহার করা হচ্ছে বেশ। এতে করে ছোট চোখ দেখতে বড় লাগবে।

রং আপনি যেটাই বাছুন, ফাউন্ডেশন হালকা রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফাউন্ডেশন যত হালকা ও মসৃণ হবে, দেখতে ততটাই সতেজ লাগবে। প্রয়োজন না পড়লে প্যানকেক একদমই ব্যবহার করবেন না। বারবার সবাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন গরমের কথা। তাই কমপ্যাক্ট পাউডার অথবা লুজ পাউডার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিতে হবে।

সংগ্রহঃ প্রথম আলো। 

যে ৫ টি খাবার আপনাকে স্লিম হতে সাহায্য করবে

sasthobarta protidin
যে ৫ টি খাবার আপনাকে স্লিম হতে সাহায্য করবে
আপনি যখন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তখন সঠিক খাবার খেয়ে পেট ভরা রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার আপনার কোমরের মেদ কমতে সাহায্য করে আবার কিছু খাবার আছে যা কয়েক পাউন্ড ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সাধারণত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার আপনাকে পাতলা হতে সাহায্য করে কারণ তাদের ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। পুষ্টিতে ভরপুর খাবার হচ্ছে- শাকসবজি, ফল, আস্ত শস্য, শিম জাতীয় খাবার এবং চর্বিহীন প্রোটিন। ওজন কমাতে সাহায্য করবে এমন কিছু খাবারের কথাই জেনে নিব আজ।

১। আপেল

ডায়াটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস হচ্ছে আপেল। ডায়াটারি ফাইবার শুধু পরিপাক তন্ত্রকে সুস্থ রাখতেই সাহায্য করেনা কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে। আপেল পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। অ্যাপেটাইট নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যে সকল নারী দৈনিক ৩ টি আপেল বা ৩ টি নাশপাতি খান তাদের ওজন বেশি কমে যারা ৩ টি ওটস কুকিজ খান তাদের চেয়ে। যদিও ফল ও কুকিজে একই পরিমাণ ডায়াটারি ফাইবার থাকে। “গ্রিথ কন্ট্রোল :  দ্যা সাইন্স অফ ফ্যাট লস এন্ড মাসেল গেইন” বইটির লেখক ও পুষ্টিবিদ অ্যালান অ্যারাগন এর মতে, কুড়মুড়ে খাবার মানুষকে পেট ভরা রাখার অনুভূতি দেয়। চাবানোর ফলে শরীর থেকে তৃপ্তির সংকেত পাঠায়। এর ফলে আপনি যা খেয়েছেন তারচেয়ে অনেক বেশি খেয়েছেন বলে মনে হবে এবং ক্ষুধাকে দূর করে দেবে।  

২। কাঠবাদাম

আপনি যদি স্ন্যাক্স হিসেবে সুস্বাদু কিছু চান তাহলে একমুঠো কাঠবাদাম হতে পারে আদর্শ খাবার। ২০০৯ সালে “দ্যা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন” এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যে সকল নারীরা সপ্তাহে অন্তত ২ দিন বাদাম খান তারা যারা খান না তাদের চেয়ে বেশি ওজন কমাতে সফল হন। ১ আউন্স কাঠবাদামে ১৬৭ ক্যালরি থাকে। এছাড়াও এতে ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে যা আপনাকে পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। 

৩। ডিম

এতে কোন সন্দেহ নেই যে ফাইবারের মত প্রোটিনের তৃপ্তি দানকারী ক্ষমতা আছে। গবেষণায় জানা  যায় যে, সকালে ডিম খেলে সারাদিনে ওজন বৃদ্ধির সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। “ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অবেসিটি” তে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যারা সকালের নাশতায় ২ টি ডিম খায় সপ্তাহে ৫ দিন, তাদের ৬৫% ওজন কমে। ডিমের কুসুমে যে প্রোটিন থাকে তা  গ্লুকাগন হরমোনের নিঃসরণকে উদ্দীপ্ত করে যা ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে বিশেষ করে পেটের মেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই শুধু ডিমের সাদা অংশ নয় কুসুমসহ ডিম খান।    

৪। টমাটো

বেশিরভাগ সবজিই আপনাকে শুকাতে সাহায্য করবে। তবে টমাটোর কথা উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এটি খুবই সুস্বাদু। এক কাপ রান্না করা টমাটতে মাত্র ৪৩ ক্যালরি থাকে। কিন্তু অন্য যেকোন উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবারের চেয়ে বেশি সুস্বাদু হচ্ছে টমাটো।

৫। দই

দই আপনাকে শুকাতে সাহায্য করবে কারণ এতে ক্যালসিয়াম আছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, দই স্থূলতার ঝুঁকি কমায়। দই এর আইসোক্যালরিক সাবস্টিটিউশন মেদ কমতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়াম করাও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয়। উপরোল্লেখিত খাবার গুলো ওজন কমাতে সাহাজ করে কারণ এগুলো ফাইবার বা প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলো পরিতৃপ্তি দিতে পারে অর্থাৎ এগুলো খাওয়ার পর আপনি ক্ষুধা অনুভব করবেন না। তাই ওজন কমাতে চাইলে এই খাবার গুলো খান।

Monday, June 27, 2016

ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের সহজ কিছু কৌশল

sasthobarta protidin
ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের সহজ কিছু কৌশল
বাইরে সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটিয়ে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি ফিরে কার ইচ্ছে করে ঘর পরিষ্কার করতে? কিন্তু যতই ইচ্ছে না করুক এটা তো মানবেন যে দৈনন্দিন আরো দশটা কাজের মতন ঘরের সাফ-সাফাই করাটাও অত্যন্ত জরুরী একটি কাজ? আর সেটা জরুরী আমাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্যেই। বিশেষ করে রান্নাঘর, বাথরুম আর ডাইনিংয়ের মতন স্থানগুলোতো কিছুদিন পরপরই পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু সময়? এতকিছু করার সময় পাওয়া যাবে কোথা থেকে? এটাই তো ভাবছেন? তাহলে আপনার জন্যেই আজ দেওয়া হল খুব সহজে ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের কিছু সাহায্যকারী কৌশল।

একটি বাথরুমে কোন কোন জিনিসগুলো সাধারণত পরিষ্কার করার দরকার পড়ে?

১. ঝাপসা কাঁচ

২. এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়া সাবানের দাগ ও পানি দ্বারা তৈরি জং কিংবা মরচে

৩. ট্যাপের পানি পড়ে তৈরি হওয়া বাদামী দাগ

৪. বাথরুমে হঠাত্ করেই তৈরি হওয়া আজগুবী সব দাগ

৫. চুল, ফেনা, শ্যাম্পুর ফেলে দেওয়া অংশসহ সমস্ত আবর্জনা ইত্যাদি।

এই সমস্ত ঝামেলাকে খুব দ্রুত দূর করার জন্যে নীচে দেওয়া হল খুব উপকারী কিছু বাথরুম পরিষ্কারের কৌশল।

১. ঝাপসা কাঁচ

ঝাপসা কাঁচকে নিমিষে খুব বেশি ডলাডলি ছাড়াই চকচকে করে তুলতে প্রথমে একটি গ্লাসে অর্ধেকের একটি বেশি ঠান্ডা পানি নিয়ে তিনটি ব্ল্যাক টি ব্যাগ তাতে চুবিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ আপনার বাথরুমের ঝাপসা কাঁচে ছিটিয়ে নিয়ে সেটাকে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখুন কেমন দারুন চকচকে হয়ে গিয়েছে আপনার বাথরুমের কাঁচ!

২. বাদামী ছোপ, জং কিংবা দাগ

বেসিনে বাদামী দাগ হয়ে গিয়েছে? একটি পাত্র নিয়ে তাতে অর্ধেক ভিনেগার এবং অর্ধেক থালা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিন। এবার সেটা একটি শক্ত মুছনীতে লাগিয়ে নিয়ে দাগ পড়া স্থানে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে গিয়েছে। এছাড়া যেকোন রকমের জং কিংবা খসখসেভাব দূর করতে খানিকটা লেবুর রস সেখানে ঘষুন। এরপর সেটাকে পরিষ্কার করে ফেলুন। এছাড়াও যদি পানির কলের ভেতরে শক্ত রকমের জং ও দাগ দেখতে পান আপনি তাহলে একটি তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে জংধরা স্থানগুলো মুড়িয়ে নিন। এরপর সেটার ওপরে ভিনেগার ঢালুন। কাপড় বা তোয়ালেটিতে ৩০ মিনিট সেভাবেই রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর উঠিয়ে দাগ ও জংপড়া স্থানটিকে ভালোভাবে ঘষুন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৩. টয়লেট

সবসময় ব্যবহৃত এই স্থানটিকে পরিষ্কার করার জন্যে খুব বেশি কষ্ট করতে হবেনা আপনার। এজন্যে শুধু ভিনেগার এবং কয়েকটুকরো কাগজই সাহায্য করতে পারে আপনাকে। প্রথমে ফ্ল্যাশের ভেতরে খানিকটা ভিনেগার ঢেলে দিন। এবার উপরে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই কাগজে ভিনেগার ঢেলে সেটা কমোডের কোনায় রাখুন। বাকীটা অংশ ভিনেগার দিয়ে মোছা হয়ে গেলে সাত মিনিট পর কাগজগুলো ব্রাশ দিয়ে বের করে আনুন আর ভিনেগার দিয়ে একটি টুথব্রাশ ভিজিয়ে সেটা দিয়ে বাকীটা পরিষ্কার করুন। এবার সবটা শেষ হয়ে গেল ফ্ল্যাশ করুন।

৪. লুকিয়ে থাকা আবর্জনা

সামনে থাকা আবর্জনাতো আপনি ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারেন। তবে সেই আবর্জনাগুলো যেগুলো লুকিয়ে থাকে বেসিনসহ এমনকিছু স্থানে যা ইচ্ছা করলেও বের করে নিয়ে আসা সম্ভব না সেগুলো দূর করতে আপনার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটিকে নিয়ে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে তাতে টেপ আটকে নিন আর সেই ময়লা-আবর্জনাগুলোকে বের করে নিয়ে আসুন।

যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত

sasthobarta protidin
যে ৫টি ভিটামিন সব নারীদের গ্রহণ করা উচিত
আধুনিক নারীদের বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরেও কাজ করতে হয়। ব্যস্ত এই জীবনে এত কাজের ভিড়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারেন না অনেক নারীরাই। আবার স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করেন। তবে কিছু ভিটামিন অব্যশই ডায়েট চার্টে থাকা উচিত। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।

১। ভিটামিন এ

সব বয়সী নারীদের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়। এটি হাড়, দাঁত মজবুত করে। এর সাথে টিস্যু , ত্বক এবং পেশী মজবুত করে থাকে। নিয়মিত গ্রহণে ভিটামিন এ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, দুধ, কলিজা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।

২। ভিটামিন ডি

ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি সামুদ্রিক মাছ, ফ্যাটি ফিশ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে রয়েছে। এটি পিএমএসের লক্ষণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ করে।

৩। ভিটামিন বি

ভিটামিন বি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় এমনটি বলেন Mary Ellen Camire, University of Maine এর পুষ্টিবিদ। বি৬ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। ভিটামিন বি৯ ফলিক এসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ,  ডিপ্রেশন, ক্যান্সার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি৬ ডিপ্রেশন, হৃদরোগ এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, বিনস, সবজি, ওটমিল ফল ইত্যাদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি খাবার রাখা প্রয়োজন।

৪। ভিটামিন ই

বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।

৫। ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি বেশ উপকারী। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি করে, বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমলা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে।