Sunday, March 20, 2016

অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো

sasthobarta protidin
অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো
চুল সাদা হয়ে গেলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন, যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যপার। অনেককেই সাদা চুলে বেশ ভাল লাগে। চুল সাদা হয়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে- বয়স বৃদ্ধি, জেনেটিক ও বংশানুক্রমিক সমস্যা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব এবং অন্যান্য। বেশিরভাগ মানুষ চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ  করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে চুলে ডাই করেন। কিন্তু অনেক সস্তা ও সহজলভ্য উপাদান দিয়েই চুল সাদা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম যা চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

১। আখরোট

“ইউ ক্যান বি ইয়োংগার” বইটির লেখক এবং থেরাপিস্ট মারিশা পিয়ার বলেন, “কপার সমৃদ্ধ আখরোট খেলে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া বন্ধ হয়”। কপার মেলানিন  উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মেলানিন চুলের রঞ্জক বৃদ্ধি করে।  

২। চিংড়ি

বিশেষজ্ঞদের মতে উচ্চমাত্রার জিংক চুলের রঙ ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যার অর্থ জিংক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- চিংড়ি, বীজ এবং পনির খেলে চুল সাদা হয়না। এছাড়া ওমেগা ৩ কেবল মাত্র হার্টের জন্যই ভালো নয় বরং আপনার চুলকে শক্তিশালী রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ এর উৎস হচ্ছে মাছ, বীজ ও সবুজ শাকসবজি, যা বেশি করে খাওয়া উচিৎ।

৩। পোলট্রি ও ডেইরি

নিম্ন মাত্রার ভিটামিন বি১২ অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই চুলের স্বাস্থ্য ও রঙ ঠিক রাখার জন্য মুরগীর মাংস, ডিম, দুধ, পনির ও সামুদ্রিক খাদ্য গ্রহণ করুন। ট্রাইকোলজিস্ট সারা অ্যালিসন বলেন, “আমরা জানি স্ট্রেস ভিটামিন বি ব্যবহার করে এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি (বি৬, বি১২, ফলিক এসিড) গ্রহণ করলে ৩ মাসের মধ্যে চুল ধূসর হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি বিপরীত হতে শুরু করে”। তিনি আরো বলেন, “যখন ভিটামিন গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় তখন চুল সাদা হতে শুরু করে”। মুরগীর প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে এবং মাথার তালুর পুষ্টি প্রদান করে।    

৪। ব্রোকলি

ফলিক এসিড গর্ভবতী মহিলাদের সাথে যেভাবে সম্পর্কযুক্ত তেমনি এটি স্বাস্থ্যবান চুলের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। ফলিক এসিডের স্বল্পতা অসময়ে চুল ধূসর করে দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে ব্রোকলি, শতমূলী, মটরশুঁটি ও ডাল খান।

৫। গরুর কলিজা

জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। গরুর কলিজা জিংক ও কপারে পরিপূর্ণ থাকে যা অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। যদি আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যা ও হৃদরোগের সমস্যা না থাকে তাহলে গরুর কলিজা খান ও চুলকে নিরাপদ রাখুন।
৩০ বছর বয়সে বেশিরভাগ মানুষের মাথায় কিছু সাদা চুল দেখা যায় এবং ৫০ বছর বয়সে মাথার অর্ধেক চুল সাদা হয়ে যায়। একটি সাদা চুল উঠালে ২টি গজায়- এই কথাটি সত্য নয়। সাধারণত কপালের আশেপাশের চুল আগে সাদা হয়, তারপর মাঝামাঝি অংশের এবং সবশেষে পেছনের দিকের চুল সাদা হয়। ২০ বছর বয়সের আগে চুল সাদা হলে তাকে প্রিমেচিউর গ্রেইং বলে। এই খাবার গুলো শুধুমাত্র চুল সাদা হয়ে যাওয়াই রোধ করবেনা বরং মাথার ত্বকের অতিরিক্ত যত্ন প্রদান করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করবে। যদি আপনার ২০ বছর বয়সের আগেই চুল সাদা হতে শুরু করে তাহলে এই খাবারগুলো খান এবং চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করুন।        

গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক

sasthobarta protidin
গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক
সন্তান একজন নারীকে এনে দেয় তার সৃষ্টির পরিপূর্ণতার অনেকখানি। তবে কোন কিছু অর্জনের চাইতে সেটা যেমন রক্ষা করা কঠিন, ঠিক তেমনি সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর চাইতেও কঠিন তাকে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে বড় করে তোলা। সেটা কেবল পৃথিবীতে আসবার পরেই নয়, এর আগে গর্ভকালীন সময়েও। অনেক সময় খুব ছোটছোট কারণেই হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, সন্তানের নানারকম সমস্যাসহ আরো অনেক ঝামেলাপূর্ণ ঘটনা। তবে অন্যান্য সময়ের মতন এ সময়েও কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটতে চলার আগেই আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় নানাভাবে, জানান দিতে চায় আসতে যাওয়া সমস্যাকে। কিন্তু অনভিজ্ঞতার ফলে সেসব ভুলে যায় বা এড়িয়ে যায় অনেকেই। ফলে দেখা দেয় গর্ভকালীন সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে আসি গর্ভকালীন সমস্যা ও এর শারীরিক চিহ্নগুলোকে। 

১. রক্তপাত 

গর্ভকালীন সময়ে যে কোন ধরনের রক্তপাতই হতে পারে মায়ের স্বাস্থের জন্যে বিপদজনক। এক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই মাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা উচিত। এসময় অতিরিক্ত ও ভারী রক্তপাত দ্বারা অনেকগুলো চিহ্ন প্রকাশ করে শরীর। জরায়ু ছাড়া অন্যকোন স্থানে ডিম্বানুর অবস্থান, ছোটখাটো আভ্যন্তরীন ঝামেলাসহ গর্ভপাত অব্দি হয়ে যেতে পারে এই সামান্য একটি কারণে। 

২. অতিরিক্ত বমিভাব 

সামান্য একটু বমিভাব বা না খেতে চাওয়ার প্রবণতা এসময় মায়েরদের ভেতরে থাকতেই পারে। তবে সেটারও একটা সীমা থাকে। আর তাই খেয়াল করুন ঠিক কতটা বেশি পানি বা খাবার-দাবার না খাওয়ার পরিমাণ প্রকাশ করছে আপনার শরীর। যদি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যান। অন্যথায় পরিমাণমতন খাবার কিংবা পানির অভাবে দেখা দেবে নানারকম বড় ধরনের সমস্যা। 

৩. বাচ্চার কম নড়াচড়া 

গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা কতটা নড়বে সেটার কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ না থাকলেও একেবারেই কম গতিবিধি বা কার্যক্রম হতে পারে সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বঝতে প্রথমে খানিকটা ঠান্ডা খাবার বা পানি পান করুন। তারপর শুয়ে পড়ুন বিছানায়। যদি সে পেটে লাথি মারে তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু ঠিক আছে। চিকিৎসকদের মতে, দু ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ বার লাথি মারলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে মনে করা যায়। তবে এর কম-বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে। তবে ১০ বারের কম হলে চিকিৎসকের কাছে একবার চলে যাওয়াটাই ভালো। 

৪. অতিরিক্ত ঘাম 

গর্ভকালীন সময়ে ঘেমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এটা নির্ভর করবে ঠিক কতখানি তরল আপনি পান করছেন আর লবন শরীরে নিচ্ছেন। তবে তারপরেও যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথাসহ অতিরিক্ত ঘেমে যায় আপনার শরীর, বিশেষ করে ২৮ তম সপ্তাহের দিকে হাত, পা ও পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামে তাহলে চিকিৎসককে ডাকুন (ফিট প্রেগনেন্সি )। এটি প্রিকাম্পশিয়া, একটি অত্যন্ত বিপদজনক উচ্চরক্তচাপসহ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে হওয়া- ক. দৃষ্টিশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা খ. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত প্রস্রাব গ. ২৪ ঘন্টার বেশি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর বেশি থাকা ( বেবিস ) ঘ. ডায়রিয়সহ পেটের যেকোন পীড়া ইত্যাদির ভেতরে কোন একটা সমস্যা দেখা গেলেও সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এর যেকোন একটা চিহ্ন আপনার গর্ভের সন্তানের জন্যে হতে পারে প্রচন্ড রকম বিপদজনক। 

পরিচিত মশলার ৫টি ভিন্ন ব্যবহার

sasthobarta protidin
পরিচিত মশলার ৫টি ভিন্ন ব্যবহার
মশলা ছাড়া রান্না? চিন্তাই করা যায় না! রান্নার স্বাদ এবং গন্ধ বৃদ্ধিতে মশলার জুড়ি নেই। দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, হলুদ কত রকম মশলাই না আমরা রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। রান্না ছাড়াও এই মশলাগুলোর রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যগত ব্যবহার। রান্নাঘরের এই মশলাগুলো সারিয়ে দিয়ে পারে অনেকগুলো রোগ।
১। হিং
এটি উষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় খাবারের এনজাইম দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। পানির সাথে এক চিমটি হিং মিশিয়ে পান করুন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এমনকি রক্তচাপ কমাতেও এটি বেশ কার্যকর।
২। হলুদ
অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক বল হয় হলুদকে। কারকিউমন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলুদে বিদ্যমান, যা রক্ত প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করার উপাদানসমূহ দূর করে দিয়ে থাকে। এমনকি হলুদ চা বাত ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী।
৩। দারুচিনি
দারুচিনি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে থাকে। এটি গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে। দারুচিনি এবং মধু ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে। এছাড়া কিছু মোম, সমপরিমাণ দারুচিনির গুঁড়ো, আদা গুঁড়ো এবং জয়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে সুগন্ধি মোম তৈরি করা সম্ভব।
৪। এলাচ
এলাচ খাবারের রুচি তৈরি করার সাথে সাথে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি দেহে বুক জ্বালাপোড়া, হেঁচকি, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুচিনির ব্যবহার করা হয়। দারুচিনি গুঁড়ো গরম পানির সাথে মিশিয়ে, সেটিকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৫। গোলমরিচ
গোলমরিচে পাইপরাইন উপাদান আছে যা নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, হৃদরোগ, রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি বাত ব্যথা দূর করে থাকে। সারা রাত গোলমরিচ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালের নাস্তার সাথে এটি খান। মাইগ্রেইনের ব্যথা কমাতে এটি বেশ কার্যকরী। যেকোন প্রকার ইনফেকশন এবং পোকা কামড়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।

Thursday, March 17, 2016

জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো

sasthobarta protidin
জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো
ড্যানড্রাফ বা খুশকি মোটেই ভালোলাগার কোন বিষয় নয়। কারণ খুশকি বেশি হলে কাঁধের উপরে সাদা স্তর পড়ে যা খুবই অস্বস্তিকর এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্কিন ইনফেকশন বলে যা ত্বক, চুল এবং পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। খুশকি আছে এমন ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন মানুষ মুখের ত্বকের সংক্রমনে ভুগে থাকে। আসুন তাহলে খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেয়া যাক।
১। যন্ত্রণাদায়ক
সময়ের সাথে সাথে খুশকি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। এমন অবস্থা হয় যে আপনি মাথা চুলকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না। যা খুবই অস্বস্তিকর হয়ে উঠে। যদি আপনার শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে। গরমের সময়ে ত্বক তৈলাক্ত রাখুন। খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বন্ধের জন্য ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২। ব্রণ
ডা. মুকেশ বাত্রার মতে, শুষ্ক ত্বকের স্তর ত্বকের ছিদ্র গুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে। যদি আপনার ত্বক ব্রণ উঠার জন্য উপযোগী হয় তাহলে খুশকি এই সমস্যাটাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার চুল যেন মুখের উপরে এসে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুশকি মুখের ব্রণকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে ঘাড়ে, চুলের সীমানায়, বুক ও পিঠের উপরের অংশে ছড়িয়ে যায়।
৩। মাথা চুলকানো
খুশকি হলে মাথার তালুতে অনেক বেশি মরা চামড়া তৈরি হয়। এর জন্য মাথার তালুতে অনেক বেশি চুলকানি হয়। যদি ঘরোয়া উপায়ে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৪। পিঠের ব্রণ
ডারমাটোলজিস্ট ডা. এস এস টারসি এর মতে খুশকি পিঠের ব্রণ হওয়ার একটি কারণ। তাই পিঠের ব্রণ ভালো হওয়ার একটি ভালো পন্থা হচ্ছে এর অন্তর্নিহিত কারণ অর্থাৎ খুশকি দূর করার ব্যবস্থা নেয়া।
৫। চুল পরা 
যদিও খুশকি সরাসরি চুল পড়ার সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়, তথাপি অবিরাম চুলকানির ফলে এটি হতে পারে। ট্রাইকোলজিস্ট ডা. অপূর্ব শাহ বলেন, “চুল পড়া এবং খুশকি উভয়েরই অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে ডারমাটাইটিস(এক ধরণের মাথার তালুর ত্বকের সমস্যা)”।
৬। সোরিয়াসিস
খুশকির কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে। সোরিয়াসিস হচ্ছে ত্বকের এমন একটি অবস্থা যে ত্বকের কোথাও কোথাও মোটা হয়ে লাল হয়ে যায়। এটি মাথার তালুতে, কানের পেছনের দিকে হতে দেখা যায়।  
৭। চোখের সংক্রমণ
ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, “ব্লেফারাইটিস চোখের একটি সাধারণ সংক্রমণ যা খুশকির কারণে হয়ে থাকে”। এই ধরণের সংক্রমণের ফলে চোখের পাতায় চুলকায় ও লাল হয়ে যায় ও যন্ত্রণার সৃষ্টি করে এবং চোখের পাপড়িতে খুশকির মত আঁশ হতে দেখা যায়।
৮। তেলতেলে চুল
আপনি যখন খুশকির সমস্যায় ভোগেন তখন মাথার তালুতে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়। এর ফলে চুল তেল চিটচিটে হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলা উচিৎ।
৯। অ্যাজমা
খুশকির সবচেয়ে খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে অ্যাজমা। খুশকি যখন পাউডারের মত ঝরতে থাকে তখন তা ফুসফুসের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি হয়তো এটা লক্ষ রাখতে পারেননা যে শ্বাস গ্রহণের সময় এটি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং  অ্যাজমার লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।  
চিকিৎসা জগতে খুশকির কারণ ও প্রতিকার এখনো অজানা রয়ে গেছে। যদিও খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় কার্যকরী প্রমানিত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুশকির কোন চিকিৎসা করা হয়না। যদি আইব্রুতে, কপালে, নাকের পাশে ও থুতনিতে দেখা যায় তাহলে চিকিৎসা শুরু করা যায়।     

Tuesday, March 15, 2016

কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?

sasthobarta protidin
কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?
নিজের আশেপাশে একটু তাকিয়ে দেখুন তো। কী দেখলেন? অনেকের চোখেই শোভা পাচ্ছে চশমা, তাই না? জীবনযাত্রার বিভিন্ন আঙ্গিকের কারণেই আজকাল কম বয়সেই অনেকের চশমা দরকার হচ্ছে। চশমা দরকার কি না, তা আসলে চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েই নিশ্চিত হওয়া ভালো। তবে কিছু কিছু লক্ষণ দেখে আপনিও আন্দাজ করে নিতে পারবেন আপনার চশমা নেওয়ার সময় এসে গেছে কিনা। চলুন দেখে নেই এসব লক্ষণ।

১) আপনি কম্পিউটারের সামনে ঝিমুতে থাকেন
আমাদের চোখের পেশীগুলো সবচাইতে বেশি ক্লান্ত হয় তখনই যখন আমরা খুব কাছে থেকে কোনোকিছু দেখি এবং খুঁটিনাটিগুলোর ব্যাপারে মনোযোগ দেই- যেটা কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আপনার দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে এসব পেশীর কাজ আরও বেড়ে যায়। এসব পেশীর ক্লান্তির ফলে আপনার ঘুম পায়। যদি আপনি চশমা নেন এবং এর পরেও আপনার চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়, তাহলে মনিটর একটু দূরে রেখে কাজ করুন এবং ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন।

২) পড়ার জন্য উজ্জ্বল আলো দরকার হয় আপনার
সাধারণ রিডিং ল্যাম্পের আলোয় যদি আপনি বই পড়তে না পারেন, যদি আরও কয়েকটা লাইট জ্বালাতে হয় তাহলে চিন্তার কারণ আছে বই কী। বিশেষ করে আগে কম আলোয় পড়তে পারতেন, এখন বেশি আলো দরকার হয় তবে সেটা ভালো কথা নয়। এটা বয়সের সাথে সাথে দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ২০ বছর বয়সী মানুষের তুলনায় ৬০ বছর বয়সী মানুষের প্রায় ৩ গুণ আলো দরকার হয়।

৩) বই পড়তে গেলে আপনার হাত ব্যথা হয়ে যায়
অদ্ভুত কথা তাই না? কিন্তু ভাবুন, হাতে ধরে বই পড়ার সময়ে কি আপনি চোখের খুব কাছে এনে বই পড়েন এবং হাত ব্যথা হয়ে যায় সহজেই? অথবা চোখ থেকে খুব দূরে ধরে রেখে বই পড়তে হয়? দুই ক্ষেত্রেই আপনার চশমা দরকার হতে পারে।

৪) যখন তখন মাথাব্যথা হচ্ছে আপনার
একটানা অনেকক্ষণ ধরে কাজের ফলে চোখের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এই চাপ থেকে সহজেই মাথাব্যথা হতে পারে আপনার। অথবা মাথাব্যথা থাকলে সেটাকে আরও তীব্র করতে পারে। চোখের ঠিক পেছনে ব্যথা করলে এর কারণ হতে পারে হাইপারওপিয়া বা অ্যাস্টিগমাটিজম। এই দুটি সমস্যাই চশমা ব্যবহারে ঠিক করা যায়। এই মাথাব্যথার শিকার হতে না চাইলে আপনি কাজ করার সময়ে ছোট ছোট বিরতি দিন। ডাক্তারেরা ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করতে বলেন। কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর পর কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকুন ২০ সেকেন্ড। এছাড়াও মাথাব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

৫) আপনি শাকসবজি খান না
চোখ ভালো রাখার জন্য গাজরই একমাত্র সবজি নয়। অন্যান্য শাকসবজিও আপনার খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে সবুজ শাক খাওয়াটা প্রয়োজনীয়। এসব খাবারে থাকে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন। এগুলো হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখের লেন্স পরিষ্কার রাখে, ছানির সম্ভাবনা কমায় এবং চশমার প্রয়োজনীয়তা দূরে রাখে।

৬) আপনি আলোর ছটা দেখতে পান
যে কোনো বাতির দিকে দৃষ্টি দিলে তাকে ঘিরে একটি আলোর ছটা বা Halo দেখতে পান আপনি। এছাড়াও মনে হয় সেই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অথবা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। লাইট বাল্ব থেকে গাড়ির হেডলাইট পর্যন্ত এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলুন কারণ ছানির একটি লক্ষণ হতে পারে এই ব্যাপারটা।

৭) আপনার বয়স ৪০ এর ওপরে
“৪০ পেরোলেই চালশে” গানটা মনে আছে? খুব একটা মিথ্যে নয় কথাটা কারণ এই বয়সে এলে ওপরে উল্লেখ করা উপসর্গগুলো আপনার জীবনে আসতেই পারে। ৪০ থেকে ৬০ পর্যন্ত খারাপ হতে থাকবে আপনার দৃষ্টিশক্তি। ফলে আপনার চশমা লাগতে পারে।

আরও কিছু উপসর্গ আছে যা থেকে বোঝা যেতে পারে আপনার চশমা দরকার-
- রাত্রে দেখতে সমস্যা হওয়া
- অন্ধকার থেকে আলোতে এলে দেখতে সমস্যা হওয়া
- একটি জিনিসকে দুইটি দেখা
- চলতে ফিরতে ধাক্কা খাওয়া, হোঁচট খাওয়া

সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়

sasthobarta protidin
সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়
আপনার সকালটি কিভাবে শুরু হচ্ছে তা দিয়েই আপনার জন্য দিনটি ভালো যাবে না মন্দ যাবে তা যেমন বোঝা যায়, তেমনি আপনি সকালে কি খাচ্ছেন তা আপনার সুস্থতার উপর অনেক বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে যে পানীয়গুলো আপনি পান করতে পারেন তা জেনে নেই আসুন।

১। গাজরের জুস

গাজর ভিটামিন এ তে ভরপুর যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি ধীর গতির হয়, কারণ গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন।

২। বীট জুস

নাইট্রেট সমৃদ্ধ বীট এর জুস খেলে রক্ত নালী প্রসারিত হয় এবং রক্ত সংবহন ও উন্নত হয়। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৩। অ্যালোভেরার জুস

জনপ্রিয় অ্যালোভেরার জুস ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের অনেক ক্ষতিকর টক্সিন বাহির করে দিতে সাহায্য করে। এই জুস আপনার বিপাকের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমতেও সাহায্য করে। সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরার জুস আপনাকে উজ্জীবিত করবে।     

৪। নারিকেলের পানি

নারিকেলের পানি বা ডাবের পানি প্রকৃতি মাতার নিখুঁত একটি পানীয়। এতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট ও খনিজ উপাদান যার চিনি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এটি যেকোন এনার্জি ড্রিংক বা স্পোর্টস ড্রিংক এর চেয়ে উৎকৃষ্ট পানীয়। সকালে এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে পরিপূর্ণ এনার্জি প্রদান করবে।

৫। গম ঘাসের জুস

গম ঘাসের ভেষজ গুণের কথা আমরা শুনেছি। গম ঘাসে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গম ঘাসের জুস খেলে পরিপাক নালী পরিষ্কার হয়।
৬। লেবু পানি

একগ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আপনার পরিপাক তন্ত্রকে খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযুক্ত করবে। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।   
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথমেই তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারন রাতের ৮ ঘন্টা ঘুমের পর আপনার শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, এই ঘাটতি পূরণের জন্য অন্য খাদ্য গ্রহণের পূর্বে প্রথমেই পানি পান করা প্রয়োজন। তাই এই পানীয়গুলো থেকে আপনার পছন্দের পানীয়টি নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করুন ও সুস্থ থাকুন।    

Thursday, February 4, 2016

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়
অ্যাপেন্ডিক্স নামক ক্ষুদ্র উপাঙ্গের প্রদাহকে এপেন্ডিসাইটিস বলে। মানবদেহের বৃহদান্ত্রের সাথে যুক্ত আঙ্গুলের ন্যায় ক্ষুদ্র উপাঙ্গটি উদরের ডানপাশে থাকে। যখন অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণ হয়, জ্বলন হয় বা কোন কারণে অবরুদ্ধ হয়ে যায় তখন অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলা হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিস তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী একটি রোগ যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে।   
লক্ষণ সমূহ :
·         সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয়। পেটের মধ্য থেকে ব্যথা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে ডান পাশে গিয়ে স্থায়ী হয়।
·         ক্ষুধা কমে যায়, বমি বমি ভাব হয় ও বমি হয়।
·         অ্যাপেন্ডিক্সের কাছাকাছি লসিকা গ্রন্থি ফুলে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
·         হজমের সমস্যা হয় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হয়।
·         পেটের ডান পাশের পেশি আঁটসাট হয়ে যায়।
·         নড়াচড়া করলে, গভীর ভাবে দম নিলে, হাঁচি বা কাশি দিলে ব্যথা তীব্র ও অসহনীয় হয়ে উঠে।
·         অন্যান্য উপসর্গ গুলোর সাথে নিম্ন মাত্রার জ্বর থাকতে পারে।
অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ ও এন্টিবায়োটিক সেবন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চূড়ান্ত চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণের পর কিছু ঘরোয়া উপায়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও ফোলা কমানো যায়। ঘরোয়া প্রতিকার গুলো হচ্ছে :

১। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মুগ ডাল । এক মুঠো মুগ ডাল এক বাটি পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে মিশ্রণটি থেকে এক টেবিল চামচ পরিমান পান করুন। কার্যকরী ফল পেতে দিনে তিন বার গ্রহণ করুন।
২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে রসুন অনেক কার্যকরী উপাদান। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ফোলা কমাতে পারে।
৩। অ্যাপেন্ডিক্সে আক্রান্ত রোগির জন্য সবজি খাওয়া ভালো। ১০০ মিলিলিটার শশা ও ১০০ মিলিলিটার বিটের রসের সাথে ৩০০ মিলিলিটার গাজরের রস মিশিয়ে দিনে দুই বার পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে অত্যন্ত উপকারি।
৪। ব্যথা কমানোর জন্য একটি ভেজা কাপড় পেটে জড়িয়ে এর উপর শুষ্ক পশমী  কাপড় শক্ত করে বেধে রাখুন।  
৫। আপনার অ্যাপেন্ডিক্স সুস্থ রাখার জন্য সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন।
৬। আস্ত গম খাওয়া অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জন্য কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার এবং এটি হজমের জন্য ও উপকারি।
৭। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জ্বর আসলে তুলসি পাতা পানিতে সিদ্ধ করে খাওয়ান। একমুঠো তুলসি পাতার সাথে এক টেবিল চামচ আদার পেস্ট এক কাপ পানিতে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি অর্ধেক হয়ে যায়। এটি বদহজম ও গ্যাসের ও সমস্যা দূর করতে পারে। প্রতিদিন ৩-৪টি কাঁচা তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন তাহলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।  
৮। পুদিনা পাতার কয়েক ফোঁটা রস পানিতে মিশিয়ে ৩-৪ ঘন্টা পর পর পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমে যায়।  
৯। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে লেবুর রস অনেক উপকারি। লেবুর রস ব্যথা কমাতে এবং বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। একটি লেবুর রস বের করে নিয়ে এর সাথে সমপরিমাণ কাঁচা মধু মিশিয়ে নিন। দিনে কয়েকবার মিশ্রণটি পান করুন। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত পান করুন।
১০। এক চামচ মেথি ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে চায়ের মত পান করুন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে পুঁজ ও অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে বাঁধা প্রদান করে। তাই নিয়মিত এটি পান করুন।
১১। দীর্ঘস্থায়ী অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক লিটার ঘোল পান করলে উপকৃত হবেন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।

অ্যাপেনন্ডিসাইটিস আপনার শরীরের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। উপরোক্ত ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও জ্বলন কমানো যায়। যদি এগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পরও আপনার অ্যাপেনন্ডিসাইটিস ব্যথা থেকে মুক্ত হতে না পারেন তাহলে আপনাকে অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে হবে। খুব বেশিদিন অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে অপেক্ষা করা ঠিক নয় কারণ এতে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।