Saturday, January 30, 2016

দীর্ঘদিন বাঁচতে চান? প্রতিদিন পান করুন জাদুকরী এই পানীয়

sasthobarta protidin
প্রতিদিন পান করুন জাদুকরী এই পানীয় 
অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মন্ত্রাতিক জীবন যাপন আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা অনেকদিন বেঁচে থাকত। তার পিছনে মূল কারণ ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, ভেজালমুক্ত খাবার। বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর যুগে  জীবনযাত্রা যত সহজ হচ্ছে আমাদের আয়ু তত কমে আসছে। নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব হচ্ছে। সম্পূর্ণ জীবনযাত্রা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে সহজ এক উপায়ে আপনার লাইফস্প্যান বা আয়ু বৃদ্ধি করা সম্ভব। আদা, গাজর, লেবুর রস, আপেল দিয়ে তৈরি এই পানীয়টি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এতে কোন রাসায়নিক পদার্থ না থাকায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই ম্যাজিক্যাল পানীয়টি।
উপকরণ:

২ সে.মি লম্বা আদা
৪টি গাজর
৩টি আপেল
অর্ধেকটা লেবুর রস
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। আপেল, আদা, গাজর এবং লেবুর রস সব ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২। লক্ষ্য রাখবেন আপেল, আদা, গাজর যেন ভালভাবে মিশে যায়।
৩। এটি প্রতিদিন সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে পান করুন।
৪। সবচেয়ে ভাল হয় প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন তৈরি করে নেওয়া।
যেভাবে কাজ করে:

আদার উপকারিতা-
আদা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
এটি পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং পাকস্থলীর অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে থাকে।
আদা মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর।
গাজরের উপকারিতা-
গাজর দাঁত, চোখ, হার্ট এর জন্য অনেক উপকারী।
এটি আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও গাজরের ভূমিকা রয়েছে।
আপেলের উপকারিতা-
আপেল আপনার আভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
এটি আপনার ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং  কিডনি ও লিভারকে সুস্থ রাখে।  
আপেল বিষণ্ণতা, হতাশা, অনিদ্রা দূর করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
লেবুর রসের উপকারিতা-
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবুর রস বেশ কার্যকরী।
এটি শরীরের নানা প্রকার ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
দেহের আভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতেও লেবু বেশ উপকারী।
এই একটি পানীয় প্রতিদিন পানে আপনি পেয়ে যেতে পারেন দীর্ঘজীবন।

Tuesday, January 26, 2016

মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা

sasthobarta protidin
মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা
মাথাব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অতিপরিচিত সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত—সব বয়সেই মাথাব্যথা হতে পারে। কেউ আধকপালি মাথাব্যথা (মাইগ্রেন), কেউ মাংসপেশির সংকোচনজনিত মাথাব্যথা (টেনশন টাইপ হেডেক) আর কেউ দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথায় (ক্রনিক ডেইলি হেডেক) ভোগে। মাথাব্যথা প্রধানত দুই প্রকার: ১. প্রাইমারি হেডেক (যেমন: মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি) ও ২. সেকেন্ডারি হেডেক (যেমন: সাইনুসাইটিস, মাসটয়ডাইটিস, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় আঘাতজনিত ব্যথা ইত্যাদি)।
চিকিৎসা ও প্রতিকার: মাথাব্যথার ধরন বা কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। এ জন্য প্রথমে প্রয়োজন রোগনির্ণয়। তাৎক্ষণিক ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন বেদনানাশক ওষুধ রয়েছে। তবে সেগুলো অতিরিক্ত সেবন করলেও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই নিরুপায় না হলে এমন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, অতিরিক্ত চা-কফি পান, অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধা, যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক হলে মাথাব্যথা অনেকাংশে কমবে।

তীব্র শীতে শিশুর যত্নে ৭ পরামর্শ

sasthobarta protidin
তীব্র শীতে শিশুর যত্নে ৭ পরামর্শ
হঠাৎ তীব্র ঠান্ডায় সোনামণিরা সহজেই কাবু হতে পারে। এ সময় শিশুদের জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা।
: খুব ভোরে আর সন্ধ্যার পর দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। নবজাতকের শরীরে কাঁথা দিয়ে মুখ, নাক ঢেকে দিন। তবে শ্বাস যেন বন্ধ না হয়ে যায়। ঠান্ডা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো ও সাশ্রয়ী উপায় হলো নবজাতকের জামা খুলে মায়ের বুকের কাছে মায়ের কাপড়ের নিচে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া।
: উষ্ণতার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করলে লক্ষ্য রাখবেন যেন ঘর বেশি শুষ্ক না হয়ে যায়।
: খুব বেশি শীতে ছোট শিশুদের নিয়ে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। খুব বেশি ঠান্ডায় শিশুকে গোসল না করিয়ে গরম পানিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে সারা শরীর বিশেষ করে মুখের ভেতর, বগল, কুঁচকি, মলদ্বার ও প্রস্রাবের রাস্তার চারপাশ মুছে দিতে পারেন।
: একটু বড় বাচ্চাদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে খুব মোটা কাপড় না পরিয়ে কয়েক স্তরের কাপড় পরান। বাইরে বের হলে হাতমোজা, কানটুপি পরাবেন। বাড়িতে সব সময় পায়ে স্যান্ডেল পরান।
: বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার আগে কাপড় পাল্টে পরিচ্ছন্ন হয়ে নিন। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।
: তীব্র শীতে শিশুর ত্বকে লোশন ব্যবহার না করে ভেসলিন বা ক্রিম লাগান, মুখ ছাড়া অন্যত্র অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন।
: এই আবহাওয়ায় শিশুদের জ্বর-কাশির বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত। জ্বরের জন্য পেরাসিটামল, কাশির জন্য নরসল নাকের ড্রপ আর নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোই মূল চিকিৎসা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Wednesday, January 20, 2016

লিভার সুস্থ রাখবে এই ৩টি ডিটক্স ওয়াটার

sasthobarta protidin
লিভার সুস্থ রাখবে এই ৩টি ডিটক্স ওয়াটার
জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড বা ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই খাবারগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের লিভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এই খাবারগুলো খাওয়ার কারণে। দীর্ঘদিন যাবত এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে লিভার ড্যামেজ হওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে! তাই লিভার সুস্থ রাখতে পান করতে পারেন ডিটক্স। ডিটক্স লিভারের চর্বি, ময়লা দূর করে লিভারকে সুস্থ রাখে।  Dr. Ann Louise ১৯৮৮ সালে প্রথম লিভারের চর্বি দূর করার উপায়টি আবিষ্কার করেন। এই তিনটি ডিটক্স শরীরের বাড়তি চর্বি দূর করার সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে।
১। হলুদ ডিটক্স

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
অল্প পরিমাণে আদা কুচি
১টি লেবুর রস
১/২ কাপ পানি
এই সবগুলো উপাদান মিশিয়ে ডিটক্স তৈরি করে নিন। এটি আপনার লিভার সুস্থ রাখে, পাকস্থলির বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে।
২। গ্রিন টি ডিটক্স

১টি কলা
১/২ কাপ সবুজ চা (ঠান্ডা)
সবুজ চা এবং কলা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে নিন। সবুজ চায়ের ইজিসিজি দ্রুত লিভার পরিস্কার করে থাকে।
৩। মাল্টি কালার ডিটক্স

১টি মাঝারি আকৃতির শসা
১/২ লেবুর রস
১টি ক্যাপসিকাম
১টি আপেল
লেবুর রস, ক্যাপসিকাম, আপেল, শসা একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এই লিভার পরিষ্কার করে শরীরের বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে দিবে।
এই ডিটক্সগুলো প্রতিদিন পান করুন। দ্রুত এবং ভাল ফল পেতে  দিনে ২-৩ থেকে গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।
আমরা প্রতিনিয়ত খাদ্যাভ্যাস দ্বারা নিজেদের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করছি। এই ডিটক্সগুলো লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। নিয়মিত পানে লিভার সংক্রান্ত রোগ থেকেও রক্ষা করব। শুধু তাই নয় এই ডিটক্স ওয়াটার আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ডায়বেটিসের অজানা কারণ

sasthobarta protidin
ডায়বেটিসের অজানা কারণ
মোটা হওয়া আর খাবারে অনিয়মই নয়; আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।

স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পারিবারিক ভাবে না থাকলেও অনিয়ম খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কফি পান কমানো: বিস্ময়কর হলেও সত্যি, কফি ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, কফি পান (ক্যাফেইনেটেড ও ডিক্যাফেইনেটেড) টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়।

হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ছয় কাপ কফি পান করা ব্যক্তির ডায়বেটিসের ঝুঁকি, পান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।

কফিতে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান ইনসুলিন বাধাগ্রস্ত করা কমায়। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।

নিয়মিত রাত জাগা: দিনের পর দিন রাতে জেগে থাকা হতে পারে আপনার ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ।

সম্প্রতি একটি কোরিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তি সারারাত জেগে একেবারে ভোরবেলায় ঘুমাতে যান, এমন কি সাত-আট ঘন্টা ঘুমানোর পরও তাদের ডায়বেটিসের ঝুঁকি নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি।

গবেষণার লেখক কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনসান হসপিটালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক নান হি কিম বলেন, “রাতজাগা ব্যক্তিদের টেলিভিশন ও মুঠোফোনের বিচ্ছুরিত কৃত্রিম আলোতে কাজ করার হার বেশি, যা কম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও রক্তের শর্করার পরিমাণে ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।”

নিম্নমানের ঘুম ও ঘুমের বিঘ্ন হওয়ার সঙ্গেও রাত জাগা সম্পর্কিত, যা বিপাক ক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।

খাদ্যে প্রোবায়োটিকের অভাব: দেহের ভেতরে বেঁচে থাকা উপকারী জীবাণুগুলো প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত।

আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এন্ডোক্রিনলজিস্ট বেতুল হাতিপগলু বলেন, “পেটের ভেতর ভালো জীবাণুর চেয়ে খারাপ জীবাণু বেশি থাকলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”

সুষ্ঠু হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রোবায়োটিক জরুরি। প্রোবায়োটিকের অভাবে প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস। দেহে প্রোবায়োটিক বৃদ্ধির জন্য দই, পনির ইত্যাদি খাবার কার্যকর।

প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা: নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, প্লাস্টিকের পাত্র তৈরিতে দু’টি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা টিনএইজ ও শিশুদের মধ্যে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস ও উচ্চ রক্তচাপ তৈরিতে এসব রাসায়নিকের ভূমিকা আছে।

পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাব: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে কিন্তু সূর্যালোকের অভাবও ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

নতুন একটি স্প্যানিশ গবেষণায় জানা গেছে, যেসব ব্যক্তির ভিটামিন ডি’র অভাব আছে, ওজন যা-ই হোক না কেনো, টাইপ-টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাদের বেশি। গবেষকরা মনে করেন, অগ্ন্যাশয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সূর্যালোক থেকে উৎপন্ন ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অগ্ন্যাশয়, ইনসুলিন তৈরি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডা. হাতিপগলু ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: স্যামন মাছ, ডি-সমৃদ্ধ দুধ, দানাদার খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।

ছুটির দিনে টিভি দেখে সময় কাটানো: ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশনের সামনে অতিবাহিত প্রতিটি ঘণ্টা চার শতাংশ করে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

মেনশেলথ ডটকম’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, আমেরিকার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির কাইনেসিওলজির অধ্যাপক ডা. এরিক স্টার্নলিক্ট বলেন, “অত্যধিক বসে থাকা দেহযন্ত্রের ভেতরে চর্বির (ভিসেরাল ফ্যাট) বাড়ায়, যা কোমরের পরিধিও বাড়িয়ে দেয়।”

পেটের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সকালের নাস্তা না খাওয়া: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ডায়বেটিসে সেন্টারের ডায়বেটিস বিষয়ক শিক্ষাবিদ এলেন ক্যালোগেরাস, এভরিডেহেলথ ডটকম-কে জানান, “সকালের নাস্তা না খাওয়ায় কেবল হিতে বিপরীত হবে তা নয়, এটি টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি করে।”

খাদ্যের অভাবে ইনসুলিনের মাত্রা ব্যাহত হয় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিনতর হয়ে ওঠে।

Wednesday, January 13, 2016

পিরিয়ড নিয়ে বিব্রতকর কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর সমাধান

sasthobarta protidin
পিরিয়ড
আমরা সবাই জানি স্বাস্থ্যগত যে কোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতে চান না, বিশেষ করে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো তো মেয়েরা মুখ ফুটে বলতেই চান না। আপনার যদি এমন কিছু সমস্যা থাকে কিন্তু তা নিয়ে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে না চান, তাহলে এখানেই দেখে নিতে পারেন কিছু সমাধান।
১) পিরিয়ডের সময়ে টয়লেট হ্যাবিট পরিবর্তিত হয় কেন?
এ সময়ে শরীরে প্রোস্টাগ্লান্ডিস নামের হরমোন জাতীয় এক ধরণের রাসায়নিক জিনিসে পরিবর্তন আসে। পিরিয়ডের শুরুর দিকে এর কারণে মেয়েদের ইউটেরাস সংকুচিত হতে থাকে এবং এর ফলেই ব্যাথা হতে পারে।
প্রোস্টাগ্লান্ডিস আমাদের হজমতন্ত্রেও পরিবর্তন আনে। এর কারণে আমাদের ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হতে পারে। আবার এটা কম হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্ও হতে পারে। তবে পিরিয়ডের সময়ে যদি আপনার মল পিচ্ছিল মনে হয় তাহলে অবশ্য আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো কারণ এটা অন্য কোনো সমস্যার নির্ধারক।
২) টক্সিক শক সিনড্রোম নিয়ে কি চিন্তিত হওয়া দরকার?

অনেকেই জানেন, যে পিরিয়ডের সময়ে প্যাড বা ট্যাম্পন সময়মত পরিবর্তন না করলে টক্সিক শক সিনড্রোমের কারণে হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে। এর উপসর্গ হতে পারে বেশ জ্বর, লো ব্লাড প্রেশার, বিভ্রান্তি এবং এনার্জির কমতি। এ থেকে খুব দ্রুতই কোমা, অর্গান ফেইলিওরের মত ভয়ংকর সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনার এমন কোনো সমস্যা হতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
৩) পিরিয়ডের সময়ে যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হয় কেন?

এই প্রশ্নের আসলে একটা নয়, বেশ কিছু উত্তর আছে। পিরিয়ডের সময়ে কারও কারও যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটা একেবারেই দেখা যায় না। এটা এস্ট্রাডিওল নামের একটা প্রাইমারি সেক্স হরমোনের কারণে হতে পারে। প্রোজেস্টেরনেরও কিছু ভূমিকা থাকতে পারে এর পেছনে। পিরিয়ডের সময়ে একজন নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল অনেক কম থাকে, কিন্তু টেস্টোস্টেরোনের লেভেল থাকে বেশি। টেস্টোস্টেরোন নারীর যৌনাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে ইস্ট্রোজেন কমে টেস্টোস্টেরোন বেড়ে গেলে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে।
৪) পিরিয়ডের সময়ে আমাদের মেজাজ এত ওঠানামা করে কেন?
PMS বা প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম আসলে অনেকগুলো, এর মাঝে একটি হলো মেজাজের ওঠানামা। হঠাৎ করেই দুঃখ, বিষণ্ণতা, রাগ আপনাকে ছেঁকে ধরতে পারে। আবার আবেগ বেশি হতে পারে, এক মেজাজ থেকে আরেক মেজাজে চলে যেতে পারেন দ্রুতই। এর পাশাপাশি দেখা যায় শরীর ফুলে যাওয়া এবং মাথাব্যাথার মত সমস্যাগুলো। কারণ পিরিয়ডের সময়ে শরীরে থাকা হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করে। এসব সমস্যা কম রাখতে আপনার খাদ্যভ্যাস রাখা উচিৎ স্বাস্থ্যকর।
৫) প্যাড এবং ট্যাম্পন ছাড়া আর কী কী উপায় আছে?
বাংলাদেশে অনেক নারীই এখন স্বাস্থ্যকর স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। ট্যাম্পনও অনেকে ব্যবহার করেন। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বারবার ব্যবহার করা যায় এমন মেন্সট্রুয়াল কাপ পাওয়া যায়।
৬) হেভি ব্লিডিং মানে আসলে কতো বেশি?
পিরিয়ডের সময়ে সাধারণ একজন নারী ৮-১৪ চা চামচ রক্ত হারান। এতে প্রতিদিন আড়াই টেবিল চামচের মত রক্তক্ষরণ হয়। তবে প্রতি নারীর জন্যই এটা আলাদা হয়। কিন্তু আপনার যদি হেভি ব্লিডিং হয় তবে ভেতরে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। হেভি ব্লিডিং এর পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি বা অতিরিক্ত পেট ব্যাথা থাকে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। রক্তক্ষরণের পেছনে অবশ্য মেনোপজ বা প্রেগনেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে। 
৭) পিরিয়ড সাইকেলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, কী করা উচিৎ?

আপনার স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, পিরিয়ড যদি মিস করেন, অথবা খুব বেশি সময় ধরে পিরিয়ড চলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।
আপনার বয়স যদি কম হয়ে থাকে এবং এখনো আপনি জানেন না পিরিয়ডের ক্ষেত্রে কোন ব্যাপারটা স্বাভাবিক এবং কোনটা অস্বাভাবিক, তাহলে ডাক্তার না হলেও এ ব্যাপারে জানে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর আপনি যদি যথেষ্ট জানেন নিজের পিরিয়ডের ব্যাপারে, তাহলে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে তা ডাক্তারের কাছে চেক করে নেয়াই ভালো। আপনার শরীর নিয়ে আপনার লজ্জিত হবার কিছু নেই, লুকানোরও কিছু নেই। ঈশ্বরপ্রদত্ত এই শরীরকে সুস্থ রাখা আপনারই কর্তব্য।

মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
মাথাব্যথা ও টেনশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
এমন অনেক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যেগুলোতে মানুষ খুব ঘন ঘনই আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় মাথা ব্যথা ও টেনশনের। সমাজের ক্রম বর্ধমান চাহিদা এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে রেসে এগিয়ে থাকতে চাওয়ার কারণে অনেক মানুষই স্ট্রেসে ভোগে যার ফলে মাথাব্যথা ও টেনশনের উৎপত্তি হয়। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই যদি আপনি মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণের সহজ ও নিরাপদ কিছু উপায় শিখে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই উপায়গুলো কী।
১। কাঠ বাদাম খান
সবচেয়ে সহজ ও সুবিধা জনক প্রতিকার হচ্ছে কাঠ বাদাম। কাঠবাদাম বা আমন্ড এ সেলিসিন থাকে যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। যখনই মাথাব্যথা শুরু হবে একমুঠো আমন্ড খান। কাঠ বাদাম স্বাস্থ্যকর এবং অন্য ঔষধের চেয়ে নিরাপদ।
২। গরম পানিতে পা ভিজানো
এটা কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কিছু সময়ের জন্য গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে মাথাব্যথা ও টেনশন দূর হয়। এতে পায়ের পাতার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাথার রক্ত নালিকা গুলোর চাপ কমে। পানির মধ্যে সামান্য সরিষার গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। উষ্ণ চাপ
একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেল গুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
৪। আদা
মাথা ব্যথা কমাতে আদা চা খেতে পারেন অথবা এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি সহজ একটি প্রতিকার তবে ভালোই কাজ করে।
৫। কফি
এক কাপ কড়া কফি মাথাব্যথা ও টেনশন কমাতে অনেক কার্যকরী। এটা রক্তনালীর ফুলে যাওয়া কমায়। যারা ইতিমধ্যেই কফিতে আসক্ত তাদের জন্য এটি কার্যকর হবেনা।
৬। এসেনশিয়াল অয়েল ম্যাসাজ
মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার তেল টেনশন ও মাথা ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে। এই তেল কপালে মালিশ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা দূর হবে। মেন্থল টি ব্যাগ ভিজিয়ে কপালে ও চোখের উপর রাখুন। এতে কিছুক্ষণ পর মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
৭। ঠান্ডা পানির সেঁক
আইস ব্যাগে ঠাণ্ডা পানিতে পূর্ণ করে কপালে ও ঘাড়ে লাগালে মাসেলের চাপ কমে মাথাব্যথা কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ও কপালে ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন।
৮। ম্যাসাজ করুন
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে কপালে বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট একাধারে করার পর বিরতি দিন তারপর আবার করুন যতক্ষণ ব্যথা থাকে। আকুপ্রেসার এক্সপার্টরা একে ফ্ল্যাশি এরিয়া ট্রিগার পয়েন্ট LIG4 বলেন। মস্তিস্কের যেখানে মাথাব্যথা উৎপন্ন হয় তার সাথে এই স্থানটির সংযুক্তি আছে। তাই কপালে এভাবে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
৯। চাপ প্রয়োগ
একটিকাপড় দিয়ে মাথা শক্ত করে বাঁধুন। এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল কমবে কারণ রক্তনালীর প্রসারণের কারণে মাথাব্যথার উৎপত্তি। কাপড়টি ভিনেগারে ভিজিয়ে নিতে পারেন এটি চিরাচরিত মাথা ব্যথার প্রতিকার হিসেবে বহুকাল যাবত ব্যবহার হয়ে আসছে।

কিছু টিপস :
·         একবারে পেট ভরে না খেয়ে কিছুক্ষণ পর পর খান। সম্ভব হলে ২ ঘন্টা পর পর খান। এতে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মাথা ব্যথা প্রতিরোধ করবে।
·         মাথা ব্যথা ও টেনশন কমানোর জন্য ঘুমানো সবচেয়ে ভালো প্রতিকার।
·         দিনের বেলায় ৩০-৪০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলেও মাথা ব্যথা দূর করতে চমৎকার কাজ করবে।
·         অনেক সময় পানিশূন্যতার জন্যও মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
·         একাধারে অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে রক্তনালীর উপর চাপ পরে। তাই এক অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাটা হাটি করুন।
·         সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মত সাধারণ ব্যায়াম গুলো করুন, এতে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন ও মাথা ব্যথার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
·         কিছু খাবার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে যেমন-দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, চকলেট, পিনাট বাটার, অ্যাভোকডো, কলা, সাইট্রাস ফল, পেঁয়াজ, নাইট্রেট মিশানো মাংস- হট ডগ, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট সমৃদ্ধ খাদ্য ইত্যাদি খাবার খেলে আপনার কোন সমস্যা হয় কিনা খেয়াল করুন।