Showing posts with label sasthobarta. Show all posts
Showing posts with label sasthobarta. Show all posts

Monday, April 11, 2016

পুষ্টিকর এই ৮টি খাবার ভুল সময়ে খাচ্ছেন না তো?

sasthobarta protidin
পুষ্টিকর এই ৮টি খাবার ভুল সময়ে খাচ্ছেন না তো?
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অপরিহার্য। দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য এই খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি। আপনি জানেন কি, এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক সময় রয়েছে? ভুল সময়ে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা দেখা দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক পরিচিত এই খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক সময়টি। 

১। দুধ 
পুষ্টিকর সুষম খাবার বলতে আমরা মূলত দুধকে বুঝি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল রাত। দুধ হজম হতে সময় বেশি লেগে থাকে, যার কারণে দিনের বেলা এটি খাওয়া হলে আপনি অলসবোধ করতে পারেন। রাতে দুধ পান করুন, এতে শরীর রিল্যাক্স হবে এবং কোষগুলো দুধের পুষ্টি ভালভাবে শুষে নিতে পারবে। 

২। গ্রিন টি 
ওজন হ্রাস করতে কিংবা স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অনেকেই সবুজ চা বা গ্রিন টি পান করে থাকেন। দিনের যেকোন সময় এটি পান করা স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন, এতে থাকা ক্যাফিন ড্রিহাইড্রেশন এবং অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিকেল অথবা সন্ধ্যায় এটি পান করুন। 

৩। ভাত 
পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ানের মতে ভাত এবং ব্রেড জাতীয় খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল। এটি পেট ভরিয়ে রেখে হজমে সমস্যা করে থাকে। রাতে ভাত ওজন বৃদ্ধি করে, হজমে দীর্ঘ সময় নিয়ে থাকে। 

৪। টকদই 
আয়ুর্বেদ অনুসারে রাতে টকদই খাওয়া হলে, এটি শরীরে তাপ বৃদ্ধি করে দেয়। যা হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে থাকে। তারা আরও মনে করেন দুপুরের গরমে দই খাওয়া একই সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। 

৫। কফি 
অনেক বিশেষজ্ঞরা রাতে কফি পান করতে নিষেধ করে থাকেন। এটি ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করে আপনাকে রাতে জাগিয়ে রাখে। সকাল অথবা দুপুরে কফি পান করতে পারেন। এটি আপনার কর্মোদ্যম বৃদ্ধি করে আপনার ঘুম তাড়াতে সাহায্য করে থাকে। 

৬। কমলার রস 
সকালের নাস্তায় অনেকেই কমলার রস পান করে থাকেন। এটি পান করার পারফেক্ট সময় হল সকালবেলা। এর ভিটামিন ডি এবং ফলিক অ্যাসিড সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে মেটাবলিক বৃদ্ধি করে থাকে। 

৭। চিনি 
চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার সবচেয়ে ভাল সময় হল সকালবেলা। এরা শক্তি বৃদ্ধি করে সারাদিনে কাজে উদ্যম দিয়ে থাকে। রাতে চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।

 ৮। কলা 
সকাল অথবা বিকেলে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা বুক জ্বালাপোড়া দূর করে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। রাতে কলা খাওয়া অনেকেরই ঠান্ডার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। 

যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে আপনার চুল

sasthobarta protidin
যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে আপনার চুল
বয়স বিশের কোঠা পেরিয়ে সবে ত্রিশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, চেহারায় এখনো উজ্জ্বল তারুণ্যের দ্যুতি। কিন্তু একী! ঘন কালো চুলের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে ধুসরের ছোঁয়া। এতো কম সময়ে কী চুল ধুসর হবার কথা? অনেকের আবার মধ্যবয়সে স্বাস্থ্য তরতাজা থাকার পরেও চুল পাকতে শুরু করে, বলাই বাহুল্য চেহারায় আসে বয়সের ছাপ। কী কারণে আমাদের কালো চুল এভাবে হারিয়ে যায়? চলুন দেখে নেই অকালে চুল পেকে যাবার কারণগুলো-
১) পারিবারিক ইতিহাস

আপনার বাবা অথবা মায়ের যদি কম বয়সে চুল পেকে গিয়ে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রেও তা হবার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাপারটা আসলে আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাঝেই থাকে। মাথায় টাক পড়ার ব্যাপারটা যেমন পারিবারিকভাবে আসতে পারে, তেমনি চুল কম বয়সে পাকার ব্যাপারটাও আসতে পারে পিতামাতা উভয়ের থেকেই।

২) আপনার একটা অটোইমিউন জটিলতা আছে

অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়াটা নামের একটি অটোইমিউন ডিজিজ আছে যা ত্বক এবং চুলকে প্রভাবিত করে অনেক বেশি। এই জটিলতায় আক্রান্ত মানুষের তালুতে ছোট গোল গোল টাক পড়তে পারে। এছাড়া তাদের পুরো মাথা এমনকি পুরো শরীরেই চুল পরে যেতে পারে। তাদের ইমিউন সিস্টেমই তাদের চুলের ফলিকলকে আক্রমণ করে ফলে চুল পড়ে যায়। এরপর সেই চুল আবার গজালে তা সাদা হয়ে গজায়। আপনার শরীরে বা মাথায় যদি এমন টাক দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

৩) আপনি দূষিত পরিবেশে থাকেন

টক্সিন এবং দূষক পদার্থ আপনার চুল পাকিয়ে ফেলতে পারে অকালে। এগুলো মেলানিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং চুল পাকার হাড় বাড়ায়। দূষণের কারণে আপনার স্ট্রেস বাড়লে মূলত সেটাই এই চুল পাকার ব্যাপারটাকে প্রভাবিত করে।

৪) আপনি প্রচুর স্ট্রেসের মাঝে আছেন

এটা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা মানুষের চুল পাকিয়ে দেয়। অনেক সময়েই মায়েরা বলেন বাচ্চার জন্য চিন্তায় তার চুল পেকে যাচ্ছে। এ ব্যপারে অনেক মতভেদ আছে বটে। কিন্তু আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যে বয়সে চুল পাকার কথা, স্ট্রেসের কারণে সেই সময়টা এগিয়ে আসতে পারে। এ কারণে এই স্ট্রেস ম্যানেজ করা দরকার আপনার।

৫) সিগারেটের ধোঁয়া

আপনি নিজেই ধূমপান করুন অথবা বাড়ির অন্য কেউ করুক, এর ধোঁয়া আপনার চুলের রঙে আনতে পারে পরিবর্তন। ধূমপায়ীদের চুল অকালে পেকে যাবার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেশি হয় অধূমপায়ীদের তুলনায়।

৬) আপনার হরমোনে পরিবর্তন আসছে

কয়েক বছর আগের নিজের একটা ছবি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চুলে সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে। চুলের ধরণ, ঘনত্ব এবং রঙে আসে পরিবর্তন। মূলত সময়ের সাথে হরমোনে পরিবর্তন আসে বলেই এসব পরিবর্তন আসে। চুল পাকার পেছনেও দায়ী এই হরমোন।

এছাড়াও যেসব কারণে চুল অকালে পেকে যেতে পারে সেগুলো হলো-
- প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব
- থাইরয়েডের সমস্যা
- অ্যানিমিয়া

আপনার শরীর হয়তো বেশ অনেকটা বয়স পর্যন্ত শক্তসমর্থ আছে, নিজেকে মোটেই অসুস্থ বা বৃদ্ধ মনে করছেন না আপনি। কিন্তু এরপরেও আপনার চুলে পাক ধরতেই পারে বয়সের কারণে। ৩০ বছর বয়সের পর প্রতি দশকে আপনার চুল পাকার সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ শতাংশ করে বাড়ে। এ কারণে কারও কারও চুল অনেকদিন পর্যন্ত কালো থাকলেও একটা সময়ে সবারই চুল ধূসর হয় আসবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

Wednesday, April 6, 2016

ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ

sasthobarta protidin
ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ
ফল এমন একটি খাবার যা ভিটামিন, পুষ্টি এবং মিনারেলের উৎস। শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান ফল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি জানেন কি, ফলের খোসাও রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ! ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা, লেবুর খোসা দিয়ে প্যাক তৈরি প্যাক বেশ কার্যকর। ঠিক তেমনি ওজন হ্রাস করতে কমলার খোসা, অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতে আপেলের খোসা বেশ কার্যকর।

১। আপেলের খোসা 
আপেলের খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়া আপেলের খোসায় ইউসলিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্থূলতা হ্রাস করে এবং ক্যালরি পুড়িয়ে থাকে।

২। কমলার খোসা 
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কমলার খোসা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয় এটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে। হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়ে থাকে কমলার খোসা।

৩। লেবুর খোসা 
লেবু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে। এর খোসা মুখের দুর্গন্ধ, মুখের ঘা, মাড়ির ইনফেকশন এবং হাড় মজবুত করে থাকে। এতে স্লাভিস্টোরল কিউ৪০, লিমোনিয়া এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরের টক্সিন এবং বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দিয়ে থাকে।

৪। তরমুজের খোসা
পুষ্টি সমৃদ্ধ তরমুজের সাদা অংশ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ওজন হ্রাস করে থাকে। এছাড়া এটি ত্বক পরিষ্কার করে, স্কিন র‍্যাশ দূর করে থাকে। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে তরমুজের খোসা।

৫। শসার খোসা 
বেশির ভাগ সময় শসার খোসা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু শসার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া শসার খোসায় বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ রয়েছে।

৬। ডালিমের খোসা
 ডালিমের খোসা ত্বকের ব্রণ, র‍্যাশ দূর করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে, এমনকি খুশকি দূর করতেঅ ডালিমের খোসা বেশ কার্যকর। মুখ, গলায় ঘা, হৃদরোগ, হাড় মজবুত করে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে

sasthobarta protidin
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে
আমরা যা খাই তার পুষ্টি উপাদান ও পানি পরিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে শোষিত হয়। অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো বর্জ্য হিসেবে মলে পরিণত হয়। অন্ত্রের পেশীর সংকোচনের মাধ্যমে মলকে ঠেলে কোলন বা বৃহদান্ত্রে পাঠায়। সেখান থেকে রেক্টামের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যখন কোলনের মাংশ পেশী নিষ্ক্রিয়  হয়ে যায় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এর ফলে ইরেগুলার বাউয়েল মুভমেন্ট হয় এবং স্টুল শক্ত ও শুষ্ক হয় ফলে মলত্যাগে করা কঠিন হয়ে পরে। বেশিরভাগ মানুষেরই অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আবার কেউ কেউ সারা জীবনই ভোগেন। বেশিরভাগ  ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময় এটি হয়ে থাকে এবং ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি ভোগে থাকে।

কন্সটিপেশন দুই ধরণের হয় যথা – অর্গানিক ও ফাংশনাল। অর্গানিক কন্সটিপেশন হয় শারীরিক পরিবর্তনের কারণে, যেমন- কোলনের মধ্যে কোন বাঁধা বা বিকৃতি  হলে। এই ধরণের কন্সটিপেশনের ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয় – সঠিক প্রকারের খাদ্যগ্রহণ না করলে, যথেষ্ট পরিমাণে তরল খাদ্য না পান করলে, নিয়মিত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, সঠিক জীবনধারা মেনে না চললে।

উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলেই ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয়। এই জাতীয় খাবারে পুষ্টি উপাদান ও ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যাডেটিভস থাকে। এর ফলে কোলনের দেয়াল দুর্বল হয়ে পরে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যে কাজগুলো আপনি করতে পারেন তা হল :  

১। বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করা
দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুই ধরণের ফাইবার আছে। এই উভয় ধরণের ফাইবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও নরম করে। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ করে। আস্ত শস্যদানা, পাস্তা,  গমের ভুষি খাওয়া অনেক কার্যকরী হতে পারে।

২। সাহায্যকারী খাদ্য
নাশপাতি, ডুমুর, ব্রোকলি, কিউই, গাজর, পীচ ফল, আনারস এবং ডুমুর ইত্যাদি ফলগুলো নিয়মিত খান। এগুলোতে ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর ফাইবার থাকে বলে অন্ত্রের জন্য ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ব্ল্যাকস্ট্রিপ গুড় খান। সকালে এটি আপনার কনস্টিপেশনকে সহজ করতে সাহায্য করবে। আখের গুড়কে অনেকবার জাল দিয়ে ঘন করে ব্ল্যাকস্ট্রিপ মোলাসেস তৈরি করা হয়। তাই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।  

৩। এড়িয়ে চলুন এই খাবার গুলো
চকলেট, অনেক বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, কলা ও ক্যাফেইন। ক্যাফেইন গ্রহণ করা নির্ভর করে আপনি ইতিমধ্যেই পানিশূন্যতায় ভুগছেন কিনা তার উপর। যদি পানিশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে ক্যাফেইন গ্রহণ না করাই ভালো।

৪। নিয়মিত ব্যয়াম
সক্রিয় জীবনধারা মেনে চলুন যেমন- দৌড়ানো, জগিং করা, সাঁতার কাটা বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা। এর ফলে আপনার পরিপাক নালী স্বাস্থ্যবান থাকবে ও অন্ত্রের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

৫। হারবাল চা ও উষ্ণ পানীয়
পুদিনা ও আদা উভয়েই পরিপাকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। মেন্থল অন্ন নালীর পেশীকে শিথিল হতে সাহায্য করে। আদা তাপ প্রদানকারী গুল্ম তাই আদা শরীরের ভেতরে অধিক তাপ সৃষ্টি করে। হারবাল চিকিৎসকদের মতে আদা নিষ্ক্রিয় পরিপাককে গতি দিতে পারে। গ্রিনটি, ব্ল্যাকটি ও প্রাকৃতিক জোলাপ বা রেচক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার জন্য কিছু মানুষ দুধ পান করতে পারেননা। তবে যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে গরম দুধ খেলে আপনার কোষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে পানি বা চায়ের পরিবর্তে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

আরো যে কাজগুলো করতে পারেন :  
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন যেমন- প্রচুর পানি পান করুন, প্রাকৃতিক ডাকে বিলম্ব করবেননা, কোষ্ঠ পরিষ্কারের ঔষধ ব্যবহার সীমিত করুন, অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেক রকমের ইয়োগা  আছে তবে সূর্য নমস্কার ইয়োগাটি অনেক কার্যকরী। তাছাড়া একটি গরম তোয়ালে  শ্রোণি অঞ্চলে দিয়ে ভাপ দিতে পারেন, স্টিম বাথ নিতে পারেন।   

Monday, March 21, 2016

ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই

sasthobarta protidin
ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই
সময়টা এখন শুধুই ভ্রমণের। পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই এটা। ফুরফুরে মন নিয়ে বের হয়েছেন লম্বা ভ্রমণে, কিন্তু বাধ সেধে বসে বমি বমি ভাব। গাড়িতে উঠলেই হঠাৎ করেই বমির ভাব আসে। এটাকে অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। এছাড়া তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে গ্যাস বা খাবার হজমে সমস্যা হলে প্রায়ই বমি বমি ভাব হয়। বমি বন্ধ করা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন নিজের জন্য অস্বস্তিকর তেমনি অপরের জন্য বিব্রতকর। অথচ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন নিজেই। যেমন-

- বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সেদ্ধ দিন। এবার ওই পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

- যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গেছে।

- পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

- অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

- অনেকের ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

Sunday, March 20, 2016

গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক

sasthobarta protidin
গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক
সন্তান একজন নারীকে এনে দেয় তার সৃষ্টির পরিপূর্ণতার অনেকখানি। তবে কোন কিছু অর্জনের চাইতে সেটা যেমন রক্ষা করা কঠিন, ঠিক তেমনি সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর চাইতেও কঠিন তাকে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে বড় করে তোলা। সেটা কেবল পৃথিবীতে আসবার পরেই নয়, এর আগে গর্ভকালীন সময়েও। অনেক সময় খুব ছোটছোট কারণেই হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, সন্তানের নানারকম সমস্যাসহ আরো অনেক ঝামেলাপূর্ণ ঘটনা। তবে অন্যান্য সময়ের মতন এ সময়েও কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটতে চলার আগেই আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় নানাভাবে, জানান দিতে চায় আসতে যাওয়া সমস্যাকে। কিন্তু অনভিজ্ঞতার ফলে সেসব ভুলে যায় বা এড়িয়ে যায় অনেকেই। ফলে দেখা দেয় গর্ভকালীন সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে আসি গর্ভকালীন সমস্যা ও এর শারীরিক চিহ্নগুলোকে। 

১. রক্তপাত 

গর্ভকালীন সময়ে যে কোন ধরনের রক্তপাতই হতে পারে মায়ের স্বাস্থের জন্যে বিপদজনক। এক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই মাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা উচিত। এসময় অতিরিক্ত ও ভারী রক্তপাত দ্বারা অনেকগুলো চিহ্ন প্রকাশ করে শরীর। জরায়ু ছাড়া অন্যকোন স্থানে ডিম্বানুর অবস্থান, ছোটখাটো আভ্যন্তরীন ঝামেলাসহ গর্ভপাত অব্দি হয়ে যেতে পারে এই সামান্য একটি কারণে। 

২. অতিরিক্ত বমিভাব 

সামান্য একটু বমিভাব বা না খেতে চাওয়ার প্রবণতা এসময় মায়েরদের ভেতরে থাকতেই পারে। তবে সেটারও একটা সীমা থাকে। আর তাই খেয়াল করুন ঠিক কতটা বেশি পানি বা খাবার-দাবার না খাওয়ার পরিমাণ প্রকাশ করছে আপনার শরীর। যদি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যান। অন্যথায় পরিমাণমতন খাবার কিংবা পানির অভাবে দেখা দেবে নানারকম বড় ধরনের সমস্যা। 

৩. বাচ্চার কম নড়াচড়া 

গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা কতটা নড়বে সেটার কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ না থাকলেও একেবারেই কম গতিবিধি বা কার্যক্রম হতে পারে সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বঝতে প্রথমে খানিকটা ঠান্ডা খাবার বা পানি পান করুন। তারপর শুয়ে পড়ুন বিছানায়। যদি সে পেটে লাথি মারে তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু ঠিক আছে। চিকিৎসকদের মতে, দু ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ বার লাথি মারলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে মনে করা যায়। তবে এর কম-বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে। তবে ১০ বারের কম হলে চিকিৎসকের কাছে একবার চলে যাওয়াটাই ভালো। 

৪. অতিরিক্ত ঘাম 

গর্ভকালীন সময়ে ঘেমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এটা নির্ভর করবে ঠিক কতখানি তরল আপনি পান করছেন আর লবন শরীরে নিচ্ছেন। তবে তারপরেও যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথাসহ অতিরিক্ত ঘেমে যায় আপনার শরীর, বিশেষ করে ২৮ তম সপ্তাহের দিকে হাত, পা ও পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামে তাহলে চিকিৎসককে ডাকুন (ফিট প্রেগনেন্সি )। এটি প্রিকাম্পশিয়া, একটি অত্যন্ত বিপদজনক উচ্চরক্তচাপসহ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে হওয়া- ক. দৃষ্টিশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা খ. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত প্রস্রাব গ. ২৪ ঘন্টার বেশি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর বেশি থাকা ( বেবিস ) ঘ. ডায়রিয়সহ পেটের যেকোন পীড়া ইত্যাদির ভেতরে কোন একটা সমস্যা দেখা গেলেও সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এর যেকোন একটা চিহ্ন আপনার গর্ভের সন্তানের জন্যে হতে পারে প্রচন্ড রকম বিপদজনক। 

Tuesday, March 15, 2016

কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?

sasthobarta protidin
কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?
নিজের আশেপাশে একটু তাকিয়ে দেখুন তো। কী দেখলেন? অনেকের চোখেই শোভা পাচ্ছে চশমা, তাই না? জীবনযাত্রার বিভিন্ন আঙ্গিকের কারণেই আজকাল কম বয়সেই অনেকের চশমা দরকার হচ্ছে। চশমা দরকার কি না, তা আসলে চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েই নিশ্চিত হওয়া ভালো। তবে কিছু কিছু লক্ষণ দেখে আপনিও আন্দাজ করে নিতে পারবেন আপনার চশমা নেওয়ার সময় এসে গেছে কিনা। চলুন দেখে নেই এসব লক্ষণ।

১) আপনি কম্পিউটারের সামনে ঝিমুতে থাকেন
আমাদের চোখের পেশীগুলো সবচাইতে বেশি ক্লান্ত হয় তখনই যখন আমরা খুব কাছে থেকে কোনোকিছু দেখি এবং খুঁটিনাটিগুলোর ব্যাপারে মনোযোগ দেই- যেটা কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আপনার দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে এসব পেশীর কাজ আরও বেড়ে যায়। এসব পেশীর ক্লান্তির ফলে আপনার ঘুম পায়। যদি আপনি চশমা নেন এবং এর পরেও আপনার চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়, তাহলে মনিটর একটু দূরে রেখে কাজ করুন এবং ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন।

২) পড়ার জন্য উজ্জ্বল আলো দরকার হয় আপনার
সাধারণ রিডিং ল্যাম্পের আলোয় যদি আপনি বই পড়তে না পারেন, যদি আরও কয়েকটা লাইট জ্বালাতে হয় তাহলে চিন্তার কারণ আছে বই কী। বিশেষ করে আগে কম আলোয় পড়তে পারতেন, এখন বেশি আলো দরকার হয় তবে সেটা ভালো কথা নয়। এটা বয়সের সাথে সাথে দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ২০ বছর বয়সী মানুষের তুলনায় ৬০ বছর বয়সী মানুষের প্রায় ৩ গুণ আলো দরকার হয়।

৩) বই পড়তে গেলে আপনার হাত ব্যথা হয়ে যায়
অদ্ভুত কথা তাই না? কিন্তু ভাবুন, হাতে ধরে বই পড়ার সময়ে কি আপনি চোখের খুব কাছে এনে বই পড়েন এবং হাত ব্যথা হয়ে যায় সহজেই? অথবা চোখ থেকে খুব দূরে ধরে রেখে বই পড়তে হয়? দুই ক্ষেত্রেই আপনার চশমা দরকার হতে পারে।

৪) যখন তখন মাথাব্যথা হচ্ছে আপনার
একটানা অনেকক্ষণ ধরে কাজের ফলে চোখের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এই চাপ থেকে সহজেই মাথাব্যথা হতে পারে আপনার। অথবা মাথাব্যথা থাকলে সেটাকে আরও তীব্র করতে পারে। চোখের ঠিক পেছনে ব্যথা করলে এর কারণ হতে পারে হাইপারওপিয়া বা অ্যাস্টিগমাটিজম। এই দুটি সমস্যাই চশমা ব্যবহারে ঠিক করা যায়। এই মাথাব্যথার শিকার হতে না চাইলে আপনি কাজ করার সময়ে ছোট ছোট বিরতি দিন। ডাক্তারেরা ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করতে বলেন। কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর পর কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকুন ২০ সেকেন্ড। এছাড়াও মাথাব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

৫) আপনি শাকসবজি খান না
চোখ ভালো রাখার জন্য গাজরই একমাত্র সবজি নয়। অন্যান্য শাকসবজিও আপনার খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে সবুজ শাক খাওয়াটা প্রয়োজনীয়। এসব খাবারে থাকে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন। এগুলো হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখের লেন্স পরিষ্কার রাখে, ছানির সম্ভাবনা কমায় এবং চশমার প্রয়োজনীয়তা দূরে রাখে।

৬) আপনি আলোর ছটা দেখতে পান
যে কোনো বাতির দিকে দৃষ্টি দিলে তাকে ঘিরে একটি আলোর ছটা বা Halo দেখতে পান আপনি। এছাড়াও মনে হয় সেই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অথবা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। লাইট বাল্ব থেকে গাড়ির হেডলাইট পর্যন্ত এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলুন কারণ ছানির একটি লক্ষণ হতে পারে এই ব্যাপারটা।

৭) আপনার বয়স ৪০ এর ওপরে
“৪০ পেরোলেই চালশে” গানটা মনে আছে? খুব একটা মিথ্যে নয় কথাটা কারণ এই বয়সে এলে ওপরে উল্লেখ করা উপসর্গগুলো আপনার জীবনে আসতেই পারে। ৪০ থেকে ৬০ পর্যন্ত খারাপ হতে থাকবে আপনার দৃষ্টিশক্তি। ফলে আপনার চশমা লাগতে পারে।

আরও কিছু উপসর্গ আছে যা থেকে বোঝা যেতে পারে আপনার চশমা দরকার-
- রাত্রে দেখতে সমস্যা হওয়া
- অন্ধকার থেকে আলোতে এলে দেখতে সমস্যা হওয়া
- একটি জিনিসকে দুইটি দেখা
- চলতে ফিরতে ধাক্কা খাওয়া, হোঁচট খাওয়া

সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়

sasthobarta protidin
সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়
আপনার সকালটি কিভাবে শুরু হচ্ছে তা দিয়েই আপনার জন্য দিনটি ভালো যাবে না মন্দ যাবে তা যেমন বোঝা যায়, তেমনি আপনি সকালে কি খাচ্ছেন তা আপনার সুস্থতার উপর অনেক বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে যে পানীয়গুলো আপনি পান করতে পারেন তা জেনে নেই আসুন।

১। গাজরের জুস

গাজর ভিটামিন এ তে ভরপুর যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি ধীর গতির হয়, কারণ গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন।

২। বীট জুস

নাইট্রেট সমৃদ্ধ বীট এর জুস খেলে রক্ত নালী প্রসারিত হয় এবং রক্ত সংবহন ও উন্নত হয়। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৩। অ্যালোভেরার জুস

জনপ্রিয় অ্যালোভেরার জুস ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের অনেক ক্ষতিকর টক্সিন বাহির করে দিতে সাহায্য করে। এই জুস আপনার বিপাকের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমতেও সাহায্য করে। সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরার জুস আপনাকে উজ্জীবিত করবে।     

৪। নারিকেলের পানি

নারিকেলের পানি বা ডাবের পানি প্রকৃতি মাতার নিখুঁত একটি পানীয়। এতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট ও খনিজ উপাদান যার চিনি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এটি যেকোন এনার্জি ড্রিংক বা স্পোর্টস ড্রিংক এর চেয়ে উৎকৃষ্ট পানীয়। সকালে এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে পরিপূর্ণ এনার্জি প্রদান করবে।

৫। গম ঘাসের জুস

গম ঘাসের ভেষজ গুণের কথা আমরা শুনেছি। গম ঘাসে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গম ঘাসের জুস খেলে পরিপাক নালী পরিষ্কার হয়।
৬। লেবু পানি

একগ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আপনার পরিপাক তন্ত্রকে খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযুক্ত করবে। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।   
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথমেই তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারন রাতের ৮ ঘন্টা ঘুমের পর আপনার শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, এই ঘাটতি পূরণের জন্য অন্য খাদ্য গ্রহণের পূর্বে প্রথমেই পানি পান করা প্রয়োজন। তাই এই পানীয়গুলো থেকে আপনার পছন্দের পানীয়টি নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করুন ও সুস্থ থাকুন।    

Thursday, February 4, 2016

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়
অ্যাপেন্ডিক্স নামক ক্ষুদ্র উপাঙ্গের প্রদাহকে এপেন্ডিসাইটিস বলে। মানবদেহের বৃহদান্ত্রের সাথে যুক্ত আঙ্গুলের ন্যায় ক্ষুদ্র উপাঙ্গটি উদরের ডানপাশে থাকে। যখন অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণ হয়, জ্বলন হয় বা কোন কারণে অবরুদ্ধ হয়ে যায় তখন অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলা হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিস তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী একটি রোগ যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে।   
লক্ষণ সমূহ :
·         সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয়। পেটের মধ্য থেকে ব্যথা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে ডান পাশে গিয়ে স্থায়ী হয়।
·         ক্ষুধা কমে যায়, বমি বমি ভাব হয় ও বমি হয়।
·         অ্যাপেন্ডিক্সের কাছাকাছি লসিকা গ্রন্থি ফুলে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
·         হজমের সমস্যা হয় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হয়।
·         পেটের ডান পাশের পেশি আঁটসাট হয়ে যায়।
·         নড়াচড়া করলে, গভীর ভাবে দম নিলে, হাঁচি বা কাশি দিলে ব্যথা তীব্র ও অসহনীয় হয়ে উঠে।
·         অন্যান্য উপসর্গ গুলোর সাথে নিম্ন মাত্রার জ্বর থাকতে পারে।
অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ ও এন্টিবায়োটিক সেবন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চূড়ান্ত চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণের পর কিছু ঘরোয়া উপায়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও ফোলা কমানো যায়। ঘরোয়া প্রতিকার গুলো হচ্ছে :

১। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মুগ ডাল । এক মুঠো মুগ ডাল এক বাটি পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে মিশ্রণটি থেকে এক টেবিল চামচ পরিমান পান করুন। কার্যকরী ফল পেতে দিনে তিন বার গ্রহণ করুন।
২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে রসুন অনেক কার্যকরী উপাদান। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ফোলা কমাতে পারে।
৩। অ্যাপেন্ডিক্সে আক্রান্ত রোগির জন্য সবজি খাওয়া ভালো। ১০০ মিলিলিটার শশা ও ১০০ মিলিলিটার বিটের রসের সাথে ৩০০ মিলিলিটার গাজরের রস মিশিয়ে দিনে দুই বার পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে অত্যন্ত উপকারি।
৪। ব্যথা কমানোর জন্য একটি ভেজা কাপড় পেটে জড়িয়ে এর উপর শুষ্ক পশমী  কাপড় শক্ত করে বেধে রাখুন।  
৫। আপনার অ্যাপেন্ডিক্স সুস্থ রাখার জন্য সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন।
৬। আস্ত গম খাওয়া অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জন্য কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার এবং এটি হজমের জন্য ও উপকারি।
৭। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জ্বর আসলে তুলসি পাতা পানিতে সিদ্ধ করে খাওয়ান। একমুঠো তুলসি পাতার সাথে এক টেবিল চামচ আদার পেস্ট এক কাপ পানিতে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি অর্ধেক হয়ে যায়। এটি বদহজম ও গ্যাসের ও সমস্যা দূর করতে পারে। প্রতিদিন ৩-৪টি কাঁচা তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন তাহলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।  
৮। পুদিনা পাতার কয়েক ফোঁটা রস পানিতে মিশিয়ে ৩-৪ ঘন্টা পর পর পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমে যায়।  
৯। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে লেবুর রস অনেক উপকারি। লেবুর রস ব্যথা কমাতে এবং বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। একটি লেবুর রস বের করে নিয়ে এর সাথে সমপরিমাণ কাঁচা মধু মিশিয়ে নিন। দিনে কয়েকবার মিশ্রণটি পান করুন। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত পান করুন।
১০। এক চামচ মেথি ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে চায়ের মত পান করুন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে পুঁজ ও অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে বাঁধা প্রদান করে। তাই নিয়মিত এটি পান করুন।
১১। দীর্ঘস্থায়ী অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক লিটার ঘোল পান করলে উপকৃত হবেন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।

অ্যাপেনন্ডিসাইটিস আপনার শরীরের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। উপরোক্ত ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও জ্বলন কমানো যায়। যদি এগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পরও আপনার অ্যাপেনন্ডিসাইটিস ব্যথা থেকে মুক্ত হতে না পারেন তাহলে আপনাকে অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে হবে। খুব বেশিদিন অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে অপেক্ষা করা ঠিক নয় কারণ এতে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।                

বাসী খাবার খাচ্ছেন? জেনে নিন কী হতে পারে আপনার শরীরে

sasthobarta protidin
বাসী খাবার খাচ্ছেন? জেনে নিন কী হতে পারে আপনার শরীরে 
ব্যস্ত এই নগরজীবনে বাসী খাবার খাওয়া নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি প্রশ্ন সবার মনে সবসময় আসে, এই বাসী খাবার খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? কিংবা বাসী খাবার কতটুকু খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাসী খাবার খেলে শরীরে কি হতে পারে।

১। ফুড পয়জনিং

গবেষণায় দেখা গেছে খাবারে ব্যাকটেরিয়া ৪০ ফারেনহাইট এবং ১৪০ ফারেনহাইট বেশি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আপনি যদি রান্না করা খাবার দুই ঘন্টার মধ্যে ফ্রিজে না রাখেন তবে ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়ার আগে তা চুলা বা ওভনে গরম করে নিন। যতক্ষণ না খাবারের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১৬৫ ফারেনহাইট বা ৭৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হয় ততক্ষণ রেখে নামিয়ে ফেলুন।
২। হজমে সমস্যা

খাবারে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়া হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া খাবার পরিপাকে বাঁধা সৃষ্টি করে থাকে। যার কারণে হজমে সমস্যা হয়ে থাকে।
৩। অ্যাসিডিটি

আপনি কি প্রায়ই অ্যাসিডিটির সমস্যা ভুগে থাকেন? পেট ব্যথা বা বুক জ্বালাপোড়া করে থাকে। আপনার খাদ্যাভ্যাস এর জন্য দায়ী। যারা নিয়মিত বাসি খাবার খেয়ে থাকেন এটি তাদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা।

৪। বমি বমি ভাব

বাসী খাবার দেখতে ফ্রেশ দেখা গেলেও এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়েছে। যার কারণে আপনার বমি বমি ভাব বদ হজম সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
৫। ডায়ারিয়া এবং পেট ব্যথা

বাসী খাবার খাওয়ার খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হল ডায়ারিয়া। প্রতিদিন বাসী খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেট ব্যথা সৃষ্টি হয়। মূলত এটি পেটে সৃষ্টি হওয়া গ্যাসের কারণে পেট ব্যথা হয়ে থাকে। ফ্রিজে রাখা খাবার সাথে সাথে গরম করে খাওয়ার কারণে অনেক সময় পেট ব্যথা হয়ে থাকে। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে কিছুক্ষণ রুমের তাপমাত্রায় রাখুন। তারপর খাবার গরম করে নিন।
৬। মাঝারি ধরণের জ্বর

অনেক সময় অতিরিক্ত বাসি খাবার খাওয়ার কারণে জ্বরেও আক্রান্ত হতে পারেন। আপনি যদি অধিকাংশ সময়ে জ্বরে ভুগে থাকেন, তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন।
বাসী খাবার খাওয়ার পূর্বে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে তারপর গরম করুন। খাবার উচ্চ তাপে গরম করুন। অল্প তাপ খাবারের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে।

মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার

sasthobarta protidin
মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার
মধু আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন চিনির বদলে তাদের রোজকার খাবারে যোগ করছেন মধু। আমরা সাধারণত এক কাপ চায়ে বা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করি মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এটি ছাড়াও মধুর আছে আরো অনেক ব্যবহার। মধুর ঔষধি গুণ অনেক রোগের নিরাময় করতে সক্ষম। আসুন এমনই ১০ টি অজানা ব্যবহার জেনে নিই আজ।

ক্লিনজার হিসেবে

আপনি কি জানেন মধু একটি দারুণ ক্লিনজার? মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। আবার ২ চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মানসম্পন্ন ফেসিয়াল স্ক্রাব। যা বাড়িয়ে দেবে আপনার ত্বকের সজীবতা।

এন্টিবায়োটিক

মধু শরীরে ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা এন্টিবায়োটিকের মতই ক্ষত সারায়। বাজারে মধু কেনার সময় এর রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। মধু যত গাঢ় হবে তত তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে।

অনিদ্রা কাটাতে

যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা মধু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবারও খেতে পারেন। যেমন, ফালুদায় মধু ব্যবহার করলেন অথবা আইসক্রিমের উপর ১ লেয়ার মধু দিয়ে নিলেন। মধু থেকে নিঃসৃত চিনি মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে আপনার অনিদ্রা দূর করে দেবে।

অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

শরীরের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে মধু খুবই কার্যকরি। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাটা দাগ, পোড়া দাগ, মোটা শরীরের ফাটা দাগ থাকে। এই দাগ দূর করতে মধুর চেয়ে ভাল সমাধান আর নেই। ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাগের উপর নিয়মিত প্রলেপ দিন। ১ সপ্তাহেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে

মধুর ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে মুখের বিব্রতকর দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেও হয়ত উপকার পাচ্ছেন না, কিন্তু টাকা নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে মুখের মাড়ির, দাঁতের ক্ষতিও হচ্ছে। এর পরিবর্তে ১/৮ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে আপনি অচিরেই উপকার পাবেন।

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শীতে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফেটে যায় কনুই, পায়ের গোড়ালি। এই সমস্যা দূর করতে প্রতি বছর আমরা দামী দামী লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিনে অনেক টাকা ব্যয় করি। প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করে মধু। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকে মধু মেখে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
খাঁটি মধু পাওয়া খুব কঠিন। বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মিশ্রিত থাকে। সতর্কতার সাথে মধু কিনুন, ব্যবহার করে উপকৃত হোন।

Tuesday, February 2, 2016

ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার

sasthobarta protidin
ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার
খাবার থেকে যে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। দূষিত, নষ্ট ও বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। ফুড পয়জনিং এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া ও ডায়রিয়া হওয়া। ফুড পয়জনিং অস্বস্তিকর হলেও অস্বাভাবিক কিছু না। বেশিরভাগ ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী কারণ হল- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও  পরজীবীর সংক্রমণ। মানুষ যে খাবার খায় তার বেশিরভাগের মধ্যেই প্যাথোজেন বা জীবাণু থাকে। রান্না করার সময় যে তাপ লাগে তাতেই জীবাণুগুলো মরে যায়। কাঁচা ফলমূল ও সবজি ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী। যেকোন বয়সের মানুষেরই ফুড পয়জনিং হতে পারে তবে শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।  

খাদ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রান্নার সমস্যার কারণে খাদ্য সংক্রমিত হয়।মাংস ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখার সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা দেখে নেয়া ভালো। সঠিক তাপে সংরক্ষণ না করলে সংক্রমিত হতে পারে।

মাংস রান্নার সময় দীর্ঘক্ষণ উচ্চ আঁচে রান্না করতে হবে। তাহলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। অর্ধ সিদ্ধ মাংসে জীবাণু থেকে যেতে পারে।রান্নার সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে খাদ্য সংক্রমিত হয়।হাত না ধুয়ে খাবার জিনিস ধরলে সংক্রমণ হয়।পানি খুব দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। তাই খাওয়ার পানির সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

প্রতিকার

ফুড পয়জনিং সাধারণত নিজে নিজেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এই  সমস্যাটির প্রতিকারের জন্য যা যা করা প্রয়োজন –
১। শরীরের পানিশূন্যতা রোধের জন্য প্রচুর তরল খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডাবের পানি বা ফলের রস খেতে পারেন।
২। ক্যাফেইন গ্রহণ করলে পরিপাক নালীর যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করা এড়িয়ে যেতে হবে।
৩। ফুড পয়জনিং এ আক্রান্তদের বিশ্রামের প্রয়োজন।
৪। ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠিন খাবার ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার গ্রহণ বন্ধ রাখতে হবে।
৫। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন তবে অল্প পরিমাণে। চর্বিযুক্ত ও মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফুড পয়জনিং এর ইনফেকশন যাতে না ছড়ায় সেজন্য – টয়লেট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। আপনার ব্যবহৃত জিনিস যেমন- তোয়ালে, অন্যকে দেবেন না। অন্যদের জন্য খাবার তৈরি বা পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার ফুড পয়জনিং এর কারণ ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম হয় তাহলে দুই সপ্তাহ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা বন্ধ রাখুন। যদি দুই এক দিনের মধ্যে ফুড পয়জনিং এর সমস্যাটি ভাল না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।  

যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে

sasthobarta protidin
যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে
প্রতিদিন আমরা কত কাজ করি। কিছু বিষয় আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আমরা হয়ত কখনো খেয়াল করি না এই অভ্যাসগুলো কিভাবে আমাদের দক্ষতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। আসুন জেনে নিই এমন ৮ টি সাধারণ অভ্যাস যার কারণে হ্রাস পাচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা।





১। কম  ঘুমানো
অনেকে সারা রাত জেগে কাজ করেন। অনেকে আবার টিভি দেখে, বই পড়ে রাত পার করে দেন। নিত্যদিনের এই রাত জাগা শুধু আপনাকে অসুস্থই করে তোলে না, একই সাথে আপনার বুদ্ধিও কমিয়ে দেয়! ১ ঘন্টা কম ঘুম আপনার বুদ্ধির মাত্রাকে ৬ ডিগ্রী থেকে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে ৪ ডিগ্রীতে!
২। রিয়েলিটি শো
নিয়মিত যারা রিয়েলিটি শো দেখেন তাদের বুদ্ধি কমতে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় কিছু মানুষকে নেয়া হয়, যাদের এক অংশকে একটি রিয়েলিটি শো দেখতে দেয়া হয়। পরে তাদের সবার মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে দেখা যায় যারা রিয়েলিটি শো দেখেছে তারা বুদ্ধিভিত্তিক প্রশ্নে যারা শো টি দেখেন নি তাদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।

৩। চিনি 
আমেরিকায় UCLA এর গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন চা, কফিতে চিনি খাওয়া বা চিনি আছে এমন পানীয় যেমন কোকাকোলা, পেপসি পান করা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীর করে, মনে রাখা এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। 

৪। একসাথে কয়েকটি কাজ করা
আমরা প্রায়ই একসাথে কয়েকটি কাজ করি। এতে আমাদের বুদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। বিশেষ করে যারা ইলেক্ট্রনিকস পণ্যে একই সাথে কয়েকটি কাজ করেন, যেমন - ফোনে কথা বলতে বলতে ক্যামেরায় ছবি তোলা। ২০০৯ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়ে আসে এই তথ্যটি।

৫। চুইংগাম চিবানো
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি গবেষণার ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, অনবরত চুইংগাম চিবানো মানুষের শর্ট টার্ম মেমরি কমিয়ে দেয়। চুইংগাম খাওয়ার পর বাচ্চাদের কাজ করতে দিয়ে দেখা গেছে, ক্রমানুসারে সাজানো এনং বস্তুকে চিনতে পারা উভয় ক্ষেত্রে তারা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় ধীর।

৬। পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার
গবেষণায় দেখা গেছে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার মানুষের বুদ্ধি কমিয়ে দেয়। যারা সবসময়য় পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করেন অন্যদের তুলনায় তারা জটিল বিষয়ে চিন্তা করা বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেন।

৭। অতিস্থূলতা
২০১০ সালের কেন্ট স্ট্যাট বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ জন স্থূল মানুষের উপর গবেষণা করেন। দেখা যায়, অপারেশনের আগে অতিস্থূল মানুষদের বুদ্ধির মাত্রা যা ছিল অপারেশনের ২ সপ্তাহ পর তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে।
৮। ধূমপান
অনেকসময় দেখা যায়, কয়েকজন মিলে একটি সিগারেট পান করছেন। আবার অনেকে সিগারেটের একেবারে শেষ অংশ পর্যন্ত টান দেন। সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে এই অভ্যাসে বুদ্ধি লোপ পায়।
খেয়াল করুন নিজের বদভ্যাসটি। আজই বদলে ফেলুন নিজেকে। সঠিক অভ্যাস ফিরিয়ে আনবে আপনার কর্মচাঞ্চল্য।

Monday, February 1, 2016

বাতের ব্যথা

sasthobarta protidin
বাতের ব্যথা
বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন জেড. এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকাল কলেজের ফিজিওথেরাপি বিভাগ পিপলস পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের প্রধান কনসালটেন্ট ডা. শিবলী নোমানী।

তিনি জানান, অস্থিসন্ধী বা হাড়ের জোড়ার ব্যথাকে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা বলা হয়। গবেষকরা এ পর্যন্ত শতাধিক বাতের ব্যথার ধরণ আবিষ্কার করেছেন। তবে সচরাচর মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমরেই বাতের ব্যথা বেশি দেখা যায়।

আবার শরীরের এসব অংশে ব্যথা হওয়া মানেই বাত নয়। মাংসপেশির জটিলতার কারণেও ব্যথা হতে পারে।

কারণ: ডা. শিবলী নোমানী বলেন, “সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরই বাতের ব্যথার জটিলতা দেখা যেত। তবে বর্তমান যুগে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে ৩০ বছর বয়সের বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রোগীও পাই আমরা।”

তিনি আরও বলেন, “দৌড়ে যানবাহনে ওঠা, হাড়ে আঘাত পাওয়া, বয়সের কারণে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই জটিলতার মূল কারণ। এছাড়াও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার কিংবা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার কারণেও বাত হতে পারে। বর্তমান সময়ের খাবারের ভেজাল এই রোগের পেছনে অনেকটা দায়ী।”

রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে ইত্যাদির মাধ্যমে বাত আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রতিরোধ: ডা. নোমানী বলেন, “আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরা, আদা, কাঁচাহলুদ, পুদিনাপাতা ইত্যাদি গুল্মজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ইউরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলিজা, গুর্দা, ডাল ইত্যাদি খাওয়া কমাতে হবে। শর্করা, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের পরিমাণও কমাতে হবে।”

চিকিৎসা: কিছু বাতের ব্যথা ওষুধ ছাড়াই সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে হাড়ের ক্ষয়ের কারণে যে বাতের ব্যথা হয় তা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়।

এই চিকিৎসকের ভাষায়, “বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়েই ক্ষয় হবে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। একে থামানোর কোনো উপায় নেই। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই ক্ষয়ের পরিমাণ কমানো যায়, নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ব্যথা।

তিনি আরও বলেন, “বাজারে বাতের ব্যথা সারানোর বিভিন্ন চৌম্বকীয় পাথর বসানো চেইন বা ব্রেসলেট পাওয়া যায়। প্রাচীন চীনা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, চুম্বকের কিছু ব্যথা নিয়ামক গুণাবলী রয়েছে। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো আলোচনা নেই।”

রোগীর জন্য চিকিৎসকের উপদেশ: প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আসলে আর অন্যান্য শারীরিক জটিলতা না থাকলে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ১০ মিনিট ধরে হাঁটা শুরু করতে হবে। শরীরের অবস্থা অনুযায়ী এই সময় ক্রমেই বাড়াতে হবে। লক্ষ হবে প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা।

সাঁতার কাটা বাতের মহৌষধ। তাই সুযোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাঁতারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ত্বক যত্নের ভুলগুলো

sasthobarta protidin
ত্বক যত্নের ভুলগুলো
ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে গিয়ে না জেনে প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে আমরা উল্টা ক্ষতিই করছি বেশি। আর তাই আগেই জেনে নেওয়া উচিত এমন সাধারণ ভুলগুলো।দিল্লির মায়রা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার সলুশনের পরিচালক সোনিয়া মঙ্গল ত্বকের যত্নের এমনই কিছু ভুলের বিষয় উল্লেখ করেন।

ভুল সানস্ক্রিন বাছাই:
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর, তাই ব্যবহার করতে হয় সানস্ক্রিন। কিন্তু ভুল সানস্ক্রিন ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। ইউভিএ থেকে সুরক্ষা দিবে এবং এসপিএফ ৩০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে।

শীতে এবং বর্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা: 
মেঘলা বা কুয়াশা ঢাকা দিনে বেশিরভাগই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মেঘ বা কুয়াশা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আটকাতে পারে না। তাই সারা বছর বাইরে এবং ঘরের ভিতরে থাকলেও সানস্কিন ব্যবহার করা উচিত।

ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার: 
ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সাবানবিহীন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: 
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয় এতে করে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বলিরেখা পড়ে। তাছাড়া চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।

পানি পান না করা: 
শরীর ও ত্বকের সুস্থতার জন্য পানি পান অপরহার্য। পানি কম পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।

ভুল প্রসাধনী বাছাই: 
বিজ্ঞাপনের ‘মিষ্টি কথায় ভুলে’ প্রসাধনী কেনা উচিত নয়। কারণ এগুলো ত্বকের কোনো উপকারই করে না উল্টা এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

ধৈর্য্য না ধরা: 
ভালো প্রসাধনীর ফলাফল আমরা খুব দ্রুতই আশা করি। জলদি ফলাফল না পেলে বারবার প্রসাধনী বদলাতে থাকেন অনেকেই। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভালো ফল পেতে সময় নিয়ে অপেক্ষা করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নেওয়া: 
ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই নিজের মতো করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকেন। যা ক্ষতি করে। যে কোনো ত্বকের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: 
ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে সুন্দর ত্বকের জন্য।

৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা

sasthobarta protidin
৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা
বাংলাদেশে জনপ্রিয়, সস্তা এবং পরিচিত একটি ফল হল কলা। ছোট বড় সবাই এই ফলটি পছন্দ করে। সুস্বাদু এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। প্রতিদিন দুটি কলা আপনার সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দিবে। হেপাটাইটিস সি, ফ্লু, এইডস ছড়ানো ভাইরাস ধ্বংস করে থাকে। ভিটামিন, মিনারেল, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবারের উৎস একটি কলা। ৫টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করে দিবে কলা। ওষুধের পরিবর্তে কলা সমাধান করে দিবে এই ৫টি রোগ।  
১। উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের মূল কারণ সোডিয়ামের অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শরীরে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
২। স্ট্রেস

প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস দূর করতে কলার জুড়ি নেই। হার্টবিট নরমাল রেখে, মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছিয়ে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা যখন স্ট্রেসে থাকি তখন আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কলা এই চাহিদা পূরণ করে স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে থাকে।
৩। পিএমএস নিয়ন্ত্রণ

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ আছে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা পিএমএস PMS( Premenstrual syndrome)কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এটি মাসিকের সময়কাল পেট ব্যথা, বুক ব্যথা দূর করে থাকে। তাই এইসময় নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।  
৪। পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর

কলা আঁশযুক্ত একটি ফল। যা হজমশক্তিবৃদ্ধি করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। কলা নরম ফল হওয়ায় অন্ত্রের পরিপাক কাজ সহজ করে থাকে। এর ল্যাক্সাটিভ উপাদান কোষ্টকাঠিন্য দূর করে থাকে।
৫। হতাশা

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান আছে যা আপনাকে রিল্যাক্স করে থাকে। ভিটামিন বি, ট্রিপটোফেন হরমোনের মাধ্যমে আপনার মাঝে খুশির অনুভুতি দিয়ে থাকে। এইজন্য এই উপাদানকে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয়।

Sunday, January 31, 2016

অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল

sasthobarta protidin
অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল
নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা আর অলস জীবনযাত্রার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু, এমনটাই সতর্কবানী দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, “যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।”

প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকাকে অতিরিক্ত বসে থাকা বিবেচনা করা হয়েছে। আর কম শরীরচর্চার পরিমাপ বিবেচিত হয়েছে সপ্তাহে দেড়শ মিনিটের কম শরীরচর্চা।

গবেষণার প্রধান লেখক ডা. মেলোডি ডিং বলেন, “এটাই প্রথম গবেষণা, যা ঘুম ও বসে থাকা এই দুইটি বিষয় কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে যদি শরীরচর্চার অভাব যোগ করা হয় তাহলে হতে পারে ত্রিমাত্রিক সর্বনাশ। আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে এই অভ্যাসগুলো হেলাফেলা করা উচিৎ নয়।”

জীবনাযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস যেমন, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অলসতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এই সমীকরণে যোগ করেন দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অতিরিক্ত বা স্বল্প ঘুম।

গবেষণায় সহ-লেখক অধ্যাপক এড্রিয়ান বাউম্যান বলেন, “শিক্ষামূলক পরামর্শ হবে, জীবনযাত্রার ভুলত্রুটি সম্পর্কিত রোগবালাই থেকে বাঁচার স্বাস্থ্যকর উপায় বের করতে হলে আমাদের উচিত হবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া।”

বর্তমান যুগে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বিশ্বব্যপি কেড়ে নিচ্ছে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি প্রাণ এবং এই মৃত্যুহার সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুহারের চাইতেও বেশি।

পিএলওএস মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা উল্লেখ করেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে বেশি মারাত্বক তা চিহ্নিত করতে পারলে বিপজ্জনক, ক্রমবর্ধমান ও বিশ্বব্যপি এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।”

১ মিনিটে মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে ফেলুন মাত্র ২টি উপাদানে!

sasthobarta protidin
মাইগ্রেনের ব্যথা
‘মাইগ্রেন’ অসহনীয় মাথা ব্যথার অপর নাম। আর দশটা মাথা ব্যথা থেকে ভিন্ন এই মাথা ব্যথা। সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার একপাশ থেকে শুরু হলেও আস্তে আস্তে এটি সম্পূর্ণ মাথায় ছড়িয়ে যেতে থাকে। মাথা ব্যথার সাথে আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে মাইগ্রেনের সময়। ঘাড়সহ মাথা ব্যথা, আবছা দেখা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বমি বমি ভাব, শব্দ এবং উজ্জ্বল আলো, বিষন্নতা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষ্যণ। মাইগ্রেনের স্থায়ী কোন সমাধান নেই। ব্যথা কমানোর জন্য সাধারণত ব্যথানাশক ঔষুধ বা পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করে থাকে।
মাইগ্রেন ব্যথা দূর করার সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হল হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ। বিট লবণ মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না।
যা যা লাগবে:
অর্ধেকটা লেবুর রস
হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে অর্ধেকটা লেবুর রস করে নিন।
২। এর সাথে এক টেবিল চামচ উচ্চ পরিবেশিত ঘনত্ব সম্পন্ন হিমালয়  মিশিয়ে নিন।
৩। সাধারণত অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মেশানো হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে একগ্লাস লেবুর রসের সাথে হিমালয় ক্রিস্টাল সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় এই পানীয়টি খেতে পারেন।
যেভাবে কাজ করে:
হিমালয় সল্টে ৮৪টির মত মিনারেল, ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান আছে, যার মাত্র ১১৮টি উপাদান বৈজ্ঞানিকরা আবিস্কার করতে পেরেছেন। হিমালয় সল্টের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তারা অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয়টি আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে দেবার পাশাপাশি বমি বমি ভাবসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দূর করে দিবে। এটি ব্যথা হ্রাস করে আপনাকে কাজে শক্তি যুগিয়ে থাকে। 
সতর্কতা: যাদের উচ্চ রক্তাচাপের সমস্যা আছে বা অন্য কোনো কারণে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া মানা, তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন এই উপায়টি অনুসরণ করার আগে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার

sasthobarta protidin
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার
ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। হলিউড কাঁপানো বিশ্বখ্যাত নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে- পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। জেনেটিক কারণ, বংশগত কারণ, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি অপরিবর্তনযোগ্য কারণ।  বক্ষবন্ধনী বা ব্রা সর্বক্ষণ পড়ে থাকা, ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী পড়া, দেরী করে সন্তান জন্মদান, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা ইত্যাদি পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহের মধ্যে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এটি স্তনে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
২। মাশরুম

মাশরুম খাবারটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু Nutrition and Cancer in 2010 সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। ডালিম

যুক্তরাষ্ট্রের City of Hope’s Beckman Research Institute বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে। প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস পান বা অর্ধেকটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। পালং শাক

মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৫। ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নেই। এই ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। U.S. Institute of Medicine এর মতে প্রতিটি নারীর ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলিন খাওয়া উচিত, একটি বড় ডিমে ১২৬ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে।
৬। দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার

ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। স্যামন মাছ

স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। একটু সচেতন হন আর দূরে থাকুন মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার থেকে।

মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা দূর করবে এই কাজগুলো

sasthobarta protidin
মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা দূর করবে এই কাজগুলো
দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন, গর্ভাবস্থা, ভিটামিনের ঘাটতি, স্কার্ভি, লিউকেমিয়া, মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলা বা অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশনের জন্য ব্লিডিং গাম বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যাটি হয়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় জিঞ্জিভাইটিস বা পেরিওডন্টাইটিস বলে। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময়, থুথু ফেলার সময় বা শক্ত কিছু খাওয়ার সময় মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যাটি প্রাথমিক ভাবে গুরুত্ব সহকারে না নিলে মাড়ির প্রদাহ বা জিঞ্জিভিট হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যাটি প্রতিকারে ঘরোয়া কিছু উপায় অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের বিডিএস প্রথম ব্যাচের শেষ বর্ষের ছাত্রী ফারহানা দিলশাদ সুকি। এবার আমরা সেই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জানবো।    
১। সাইট্রাস ফ্রুট
দাঁতের মাড়ির রক্ত পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি এর ঘাটতি। টক ফল লেবু ও কমলা এবং সবজি বিশেষ করে ব্রোকলি ও বাঁধাকপি পর্যাপ্ত ভিটামিন সি প্রদান করে মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করতে পারে।
২। দুধ
দাঁত ও মাড়িকে শক্তিশালী করার জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন এবং দুধে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। তাই মাড়ির রক্ত পড়া রোধে নিয়মিত দুধ পান করুন।
৩। ধূমপান বন্ধ করুন
ধূমপানের ফলে মুখে মুক্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় ফলে কিছু ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। তাই আপনার মুখকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখার জন্য ধূমপান বাদ দিন। American Academy of Periodontology  এর মতে, টোবাকোর ধোঁয়াতে যে টক্সিন থাকে তা মাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে বাঁধা প্রদান করে ও প্রদাহ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাটা কঠিন কিন্তু যদি আপনি আপনার মুখের ও সার্বিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা চান তাহলে এই অভ্যাস ত্যাগ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।    
৪। কাঁচা সবজি
মাড়ির রক্ত সঞ্চালন ও দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য কাঁচা সবজি চিবানো ভালো। তাই প্রতিদিন কিছু কাঁচা সবজি খান।
৫। বেকিং সোডা
মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে বেকিং সোডা। হাতের আঙ্গুলে বেকিং সোডা নিয়ে মাড়িতে লাগান।
৬। লবঙ্গ
দাঁতের সকল ধরণের সমস্যা বিশেষ করে মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যায় সবচেয়ে সহজ ও প্রাচীন পদ্ধতি। লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে পারেন বা লবঙ্গের তেল দিয়ে মাড়িতে ম্যাসাজ করুন।
৭। ভুঁই তুলসি ও মেন্থল তেল
মেন্থল তেল ও ভুঁই তুলসির তেল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে মুখ পরিষ্কার ও সতেজ থাকে।
৮। স্যালাইন
ব্রাশ করার পরে উষ্ণ গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে কুল কুচি করলে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
৯। ম্যাসাজ
ব্রাশ করার পরে আঙ্গুল দিয়ে দাঁতের মাড়িতে ব্রাশ করুন। এতে মাড়ির রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মাড়ি শক্তিশালী হয়। ফলে মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করা যায়।
১০। ফ্যাটি ফুড বর্জন করুন
চর্বিযুক্ত ও মশলাদার খাবার দাঁতের ছিদ্র তৈরিতে সাহায্য করে এবং অস্বাস্থ্যকর জীবাণুর উৎস। যার ফলে পর্যায়ক্রমে ব্লিডিং গাম এমনকি জিঞ্জিভিট ও হতে পারে। তাই ব্লিডিং গামের সমস্যায় ভুগলে যতটুকু সম্ভব চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করুন।
University of Lowa Health Care  মতে, ব্রাশ করা ও ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁতে ময়লা জমেনা। এছাড়াও নিয়মিত দন্ত চিকিৎসকের কাছে যেয়ে দাঁত পরিষ্কার রাখা উচিৎ। মুখের যত্ন স্বাস্থ্যকর ভাবে নিলে দাঁতের মাড়ির রক্ত বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি পেরিওডন্টিস এবং জিঞ্জিভিট হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করা যায়। মনে রাখতে হবে যে, মাড়ির রোগ সংক্রমিত হতে পারে। তাই যাদের এই সমস্যা আছে, তাদের ব্যবহৃত জিনিস যেমন- ব্রাশ, পানির গ্লাস ইত্যাদি আলাদা রাখুন। তাহলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যাগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।