Showing posts with label sasthobarta. Show all posts
Showing posts with label sasthobarta. Show all posts

Saturday, January 30, 2016

‘বিস্ফোরকের মত’ ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস

sasthobarta protidin
‘বিস্ফোরকের মত’ ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস
মশাবাহিত জিকা ভাইরাস এখন আমেরিকাজুড়ে ‘বিস্ফোরকের মত’ ছড়িয়ে পড়ছে এবং এ ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে ‘চরম উদ্বেগ’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান।

৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি মোকাবেলায় ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে একটি জরুরি টিম গঠন করেছে।

ডব্লিওএইচও’র মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান বলেছেন, জিকা ভাইরাস দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এবং এর প্রভাবটাও অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

২৩ টি দেশসহ আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জিকা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে চ্যান বলেন, “এর বিরুদ্ধে দ্রুতই কিছু করা প্রয়োজন।”

জিকা ভাইরাসের কারণে নবজাতক শিশুর মধ্যে গুরুতর জন্মগত ত্রুটির কারণেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বেশি।

আমেরিকায় ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্কোস এসপাইনাল এ ভাইরাস জনিত রোগে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে এর কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি।


 তিনি বলেন, জিকা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা এখনো নেই। এ ভাইরাস আক্রান্তদের  বেশিরভাগেরই কোনও লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় রোগ সনাক্ত করাও কঠিন।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলেছেন  ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক চ্যান।

রোগ-বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এ জরুরি কমিটি ভারাইসটি নিয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করবে।

জিকা ভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে ১ ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জরুরি কমিটির বৈঠকও ডেকেছেন চ্যান।

গত বছর মে মাস থেকে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তার পর থেকে দেশটিতে অপরিণত বা ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্ম নেওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এ অবস্থাকে বলা হয়‘মাইক্রোসেফালি’। এতে আক্রান্ত শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে ওই শিশুরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে,শারীরিক বৃদ্ধি বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাঝারি মাত্রার জ্বর, চোখে প্রদাহ ও মাথাব্যাথা হয়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এডিস মশা জিকা ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী। এই মশা ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসও বহন করে।



সহজ ৫টি উপায়ে অস্থি সন্ধির ব্যথা দূর করে ফেলুন চিরতরে

sasthobarta protidin
সহজ ৫টি উপায়ে অস্থি সন্ধির ব্যথা দূর করে ফেলুন চিরতরে 
হাড়ের সংযোগস্থলকে অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট বলা হয়ে থাকে। সাধারণত বয়স্ক মানুষদের এই জয়েন্টের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক তরুণদের এই ব্যথায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বাতের কারণে এই ব্যথা দেখা দিলেও বাত ছাড়াও আরও কিছু কারণ এই ব্যথার জন্য দায়ী। ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া হয়ে থাকে এই ব্যথা রোধ করার জন্য। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য ব্যথানাশক ঔষধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ব্যায়াম, মেডিটেশন হতে পারে এই ব্যথা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
  • হাড়ের অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট ব্যথার কারণ
  • হাড়ের ব্যথা এবং হাড় ভাঙ্গা
  • বাত
  • হাড়ের ইনফেকশন
  • জোড়ার পেশি, লিগামেন্ট, ক্যাপসুল (আবরণ) ও মেনিসকাস ইনজুরি
  • লুপিস
  • অসটিওপোরোসিস ও অসটিওমালাসিয়া
  • ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি ও সি’র অভাব
  • ক্যান্সার

ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১। ইপসোম সল্ট

ইপসোম সল্টের উচ্চ ম্যাগনেশিয়াম অস্থি সন্ধির ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। এক বালতি কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ ইপসোম সল্ট মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে আপনি আপনার অস্থি সন্ধি ভিজিয়ে রাখুন। এছাড়া ইপসোম সল্ট ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করুন।
২। হলুদ এবং আদা চা

হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের এনজাইম নিয়ন্ত্রণ করে পা ফোলা রোধ করে থাকেন। আদা এবং হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অস্থি সন্ধির ব্যথা হ্রাস করে থাকে। ২ কাপ গরম পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি এবং ১/২ চা চামচ হলুদ দিয়ে জ্বাল দিন। অল্প আঁচে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে মধু মেশাতে পারেন। এটি দিনে ২ বার পান করুন। ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকলে মধু খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৩। পেঁয়াজ

কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও পেঁয়াজ আপনার অস্থি সন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। পেঁয়াজের সালফার একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান আছে। গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজের মর্ফিন উপাদান অস্থিমজ্জার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ রাখুন।
৪। মেথি

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান সমৃদ্ধ মেথি অস্থি সন্ধির ব্যথা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। ১ চা চামচ মেথি গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।  এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এছাড়া মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন।
৫। গাজর

চাইনিজ ব্যথানাশক ঔষুধে গাজর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি পাত্রে গাজর কুচি করে নিন, এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি সিদ্ধ করে অথবা কাঁচা অবস্থা খেতে পারেন। নিয়মিত এই পানীয় পানে অস্থি সন্ধি ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ঔষুধ অস্থি সন্ধির সমস্যা দূর করতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন ব্যয়াম, সঠিক ডায়েট এবং তার সাথে এই কাজগুলো নিয়মিত করুন। ব্যথা কিছুদিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।

"স্বাস্থ্যকর" এই জিনিসগুলো কিনে অযথা টাকা খরচ করবেন না

sasthobarta protidin
"স্বাস্থ্যকর" এই জিনিসগুলো কিনে অযথা টাকা খরচ করবেন না 
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। এই চেষ্টার কারণে বিভিন্ন পণ্য কেনার প্রতিও অনেকের ঝোঁক দেখা যায়। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কি আসলেই বেশি দামী দামী পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন আছে? এগুলো ব্যবহার না করলে কি আপনি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? আসলে কিন্তু এমন কিছু পণ্য আছে যেগুলো কেনা মানেই অযথা টাকা খরচ। জেনে নিন এসব পণ্যের ব্যাপারে।
১) মাউথওয়াশ

আপনি যদি নিয়মিত ব্রাশ করেন, ফ্লস করেন এবং যথাসময়ে ডেন্টিস্ট দেখান তাহলে আসলে আপনার মাউথওয়াশ আলাদা করে ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। ডেন্টিস্ট যদি আপনাকে ব্যবহার করতে বলে তাহলেই ব্যবহার করুন। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই আসলে মাউথওয়াশ তেমন একটা উপকার করে না। এটা ব্যাকটেরিয়া মারে বটে, কিন্তু বেশীক্ষণ এর প্রভাব স্থায়ী হয় না। বরং এটা আপনার মুখ শুকিয়ে দিতে পারে, এতে উল্টো বাড়তে পারে ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ। দরকার মনে করলে আপনার ডেন্টিস্টের সাথে কথা বলেই জেনে নিন কোন মাউথওয়াশটি আপনার ব্যবহার করা ঠিক হবে।
২) ভিটামিন সি

অনেকেই মনে করেন সিভিট বা ভিটামিন সি ট্যাবলেটগুলো খেলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়। এর ফলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আসা ছোটখাটো ফ্লু, জ্বর, ঠাণ্ডা এসব কমানো সম্ভব হয়। এছাড়াও ক্যান্সার, হৃদরোগ, বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার রোগ এসবের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। কিন্তু জেনে রাখা দরকার যে এই উপকার পাওয়া যাবে আপনি যদি খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন সি গ্রহণ করেন, তাহলেই। অর্থাৎ লেবু, কমলা এবং ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলেই উপকারিতা পাওয়া যাবে। আপনি যদি ভিটামিন সি ট্যাবলেট গ্রহণ করেন তাহলে আসলে সেটা আপনার ইউরিনের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।
৩) দামী সানস্ক্রিন

দামী সানস্ক্রিন মানেই যে তা বেশি কার্যকরী, এমনটা কিন্তু নয়। আপনি যদি দামী সানস্ক্রিন অল্প একটু করে ব্যবহার করেন, তাহলে আসলে মোটের ওপর লাভ হবেই না। বরং কমদামী অথচ কার্যকরী একটা সানস্ক্রিন কিনে তা পরিমাণমতো ব্যবহার করলে আপনার উপকার হবে।
৪) কান পরিষ্কারের কটন বাড

কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করলে আপনি কানের সমস্যায় ভুগবেন, এতে আপনার কানের ডাক্তারের পকেট ভারি হবে। আমাদের কানের ময়লা আসলে আমাদের উপকারই করে। এটা কানকে বহিরাগত বিভিন্ন ময়লা থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়াও এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও আছে। আপনি যদি কটন বাড ব্যবহার করেন তাহলে সেটা এই ময়লাকে আরও পেছনের দিকে ঠেলে দেবে, যার ফলে আপনার শ্রবণশক্তি কমে যাবে, অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে।
৫) চোখের লালচেভাবের জন্য আই ড্রপ

নিয়মিত আই ড্রপ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চোখের বড় কোনো সমস্যা ঢাকা পড়ে যেতে পারে। এমনকি এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনার চোখ সহজেই অস্বস্তিতে ভুগতে পারে। চোখ লাল হয়ে থাকলে আগে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন কোনো সমস্যা আছে কিনা।

Wednesday, January 20, 2016

লিভার সুস্থ রাখবে এই ৩টি ডিটক্স ওয়াটার

sasthobarta protidin
লিভার সুস্থ রাখবে এই ৩টি ডিটক্স ওয়াটার
জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড বা ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই খাবারগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের লিভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এই খাবারগুলো খাওয়ার কারণে। দীর্ঘদিন যাবত এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে লিভার ড্যামেজ হওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে! তাই লিভার সুস্থ রাখতে পান করতে পারেন ডিটক্স। ডিটক্স লিভারের চর্বি, ময়লা দূর করে লিভারকে সুস্থ রাখে।  Dr. Ann Louise ১৯৮৮ সালে প্রথম লিভারের চর্বি দূর করার উপায়টি আবিষ্কার করেন। এই তিনটি ডিটক্স শরীরের বাড়তি চর্বি দূর করার সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে।
১। হলুদ ডিটক্স

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
অল্প পরিমাণে আদা কুচি
১টি লেবুর রস
১/২ কাপ পানি
এই সবগুলো উপাদান মিশিয়ে ডিটক্স তৈরি করে নিন। এটি আপনার লিভার সুস্থ রাখে, পাকস্থলির বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে।
২। গ্রিন টি ডিটক্স

১টি কলা
১/২ কাপ সবুজ চা (ঠান্ডা)
সবুজ চা এবং কলা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে নিন। সবুজ চায়ের ইজিসিজি দ্রুত লিভার পরিস্কার করে থাকে।
৩। মাল্টি কালার ডিটক্স

১টি মাঝারি আকৃতির শসা
১/২ লেবুর রস
১টি ক্যাপসিকাম
১টি আপেল
লেবুর রস, ক্যাপসিকাম, আপেল, শসা একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এই লিভার পরিষ্কার করে শরীরের বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে দিবে।
এই ডিটক্সগুলো প্রতিদিন পান করুন। দ্রুত এবং ভাল ফল পেতে  দিনে ২-৩ থেকে গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।
আমরা প্রতিনিয়ত খাদ্যাভ্যাস দ্বারা নিজেদের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করছি। এই ডিটক্সগুলো লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। নিয়মিত পানে লিভার সংক্রান্ত রোগ থেকেও রক্ষা করব। শুধু তাই নয় এই ডিটক্স ওয়াটার আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ডায়বেটিসের অজানা কারণ

sasthobarta protidin
ডায়বেটিসের অজানা কারণ
মোটা হওয়া আর খাবারে অনিয়মই নয়; আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।

স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পারিবারিক ভাবে না থাকলেও অনিয়ম খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কফি পান কমানো: বিস্ময়কর হলেও সত্যি, কফি ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, কফি পান (ক্যাফেইনেটেড ও ডিক্যাফেইনেটেড) টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়।

হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ছয় কাপ কফি পান করা ব্যক্তির ডায়বেটিসের ঝুঁকি, পান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।

কফিতে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান ইনসুলিন বাধাগ্রস্ত করা কমায়। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।

নিয়মিত রাত জাগা: দিনের পর দিন রাতে জেগে থাকা হতে পারে আপনার ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ।

সম্প্রতি একটি কোরিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তি সারারাত জেগে একেবারে ভোরবেলায় ঘুমাতে যান, এমন কি সাত-আট ঘন্টা ঘুমানোর পরও তাদের ডায়বেটিসের ঝুঁকি নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি।

গবেষণার লেখক কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনসান হসপিটালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক নান হি কিম বলেন, “রাতজাগা ব্যক্তিদের টেলিভিশন ও মুঠোফোনের বিচ্ছুরিত কৃত্রিম আলোতে কাজ করার হার বেশি, যা কম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও রক্তের শর্করার পরিমাণে ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।”

নিম্নমানের ঘুম ও ঘুমের বিঘ্ন হওয়ার সঙ্গেও রাত জাগা সম্পর্কিত, যা বিপাক ক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।

খাদ্যে প্রোবায়োটিকের অভাব: দেহের ভেতরে বেঁচে থাকা উপকারী জীবাণুগুলো প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত।

আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এন্ডোক্রিনলজিস্ট বেতুল হাতিপগলু বলেন, “পেটের ভেতর ভালো জীবাণুর চেয়ে খারাপ জীবাণু বেশি থাকলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”

সুষ্ঠু হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রোবায়োটিক জরুরি। প্রোবায়োটিকের অভাবে প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস। দেহে প্রোবায়োটিক বৃদ্ধির জন্য দই, পনির ইত্যাদি খাবার কার্যকর।

প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা: নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, প্লাস্টিকের পাত্র তৈরিতে দু’টি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা টিনএইজ ও শিশুদের মধ্যে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস ও উচ্চ রক্তচাপ তৈরিতে এসব রাসায়নিকের ভূমিকা আছে।

পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাব: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে কিন্তু সূর্যালোকের অভাবও ডায়বেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

নতুন একটি স্প্যানিশ গবেষণায় জানা গেছে, যেসব ব্যক্তির ভিটামিন ডি’র অভাব আছে, ওজন যা-ই হোক না কেনো, টাইপ-টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাদের বেশি। গবেষকরা মনে করেন, অগ্ন্যাশয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সূর্যালোক থেকে উৎপন্ন ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অগ্ন্যাশয়, ইনসুলিন তৈরি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডা. হাতিপগলু ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: স্যামন মাছ, ডি-সমৃদ্ধ দুধ, দানাদার খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।

ছুটির দিনে টিভি দেখে সময় কাটানো: ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ’য়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশনের সামনে অতিবাহিত প্রতিটি ঘণ্টা চার শতাংশ করে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

মেনশেলথ ডটকম’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, আমেরিকার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির কাইনেসিওলজির অধ্যাপক ডা. এরিক স্টার্নলিক্ট বলেন, “অত্যধিক বসে থাকা দেহযন্ত্রের ভেতরে চর্বির (ভিসেরাল ফ্যাট) বাড়ায়, যা কোমরের পরিধিও বাড়িয়ে দেয়।”

পেটের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সকালের নাস্তা না খাওয়া: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ডায়বেটিসে সেন্টারের ডায়বেটিস বিষয়ক শিক্ষাবিদ এলেন ক্যালোগেরাস, এভরিডেহেলথ ডটকম-কে জানান, “সকালের নাস্তা না খাওয়ায় কেবল হিতে বিপরীত হবে তা নয়, এটি টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি করে।”

খাদ্যের অভাবে ইনসুলিনের মাত্রা ব্যাহত হয় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিনতর হয়ে ওঠে।