Showing posts with label health tips. Show all posts
Showing posts with label health tips. Show all posts

Wednesday, April 6, 2016

ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ

sasthobarta protidin
ফলের খোসায় রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ
ফল এমন একটি খাবার যা ভিটামিন, পুষ্টি এবং মিনারেলের উৎস। শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান ফল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি জানেন কি, ফলের খোসাও রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ! ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা, লেবুর খোসা দিয়ে প্যাক তৈরি প্যাক বেশ কার্যকর। ঠিক তেমনি ওজন হ্রাস করতে কমলার খোসা, অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতে আপেলের খোসা বেশ কার্যকর।

১। আপেলের খোসা 
আপেলের খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়া আপেলের খোসায় ইউসলিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্থূলতা হ্রাস করে এবং ক্যালরি পুড়িয়ে থাকে।

২। কমলার খোসা 
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কমলার খোসা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয় এটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে। হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়ে থাকে কমলার খোসা।

৩। লেবুর খোসা 
লেবু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে। এর খোসা মুখের দুর্গন্ধ, মুখের ঘা, মাড়ির ইনফেকশন এবং হাড় মজবুত করে থাকে। এতে স্লাভিস্টোরল কিউ৪০, লিমোনিয়া এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরের টক্সিন এবং বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দিয়ে থাকে।

৪। তরমুজের খোসা
পুষ্টি সমৃদ্ধ তরমুজের সাদা অংশ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ওজন হ্রাস করে থাকে। এছাড়া এটি ত্বক পরিষ্কার করে, স্কিন র‍্যাশ দূর করে থাকে। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে তরমুজের খোসা।

৫। শসার খোসা 
বেশির ভাগ সময় শসার খোসা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু শসার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া শসার খোসায় বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ রয়েছে।

৬। ডালিমের খোসা
 ডালিমের খোসা ত্বকের ব্রণ, র‍্যাশ দূর করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে, এমনকি খুশকি দূর করতেঅ ডালিমের খোসা বেশ কার্যকর। মুখ, গলায় ঘা, হৃদরোগ, হাড় মজবুত করে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে

sasthobarta protidin
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন সহজ উপায়ে
আমরা যা খাই তার পুষ্টি উপাদান ও পানি পরিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে শোষিত হয়। অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো বর্জ্য হিসেবে মলে পরিণত হয়। অন্ত্রের পেশীর সংকোচনের মাধ্যমে মলকে ঠেলে কোলন বা বৃহদান্ত্রে পাঠায়। সেখান থেকে রেক্টামের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যখন কোলনের মাংশ পেশী নিষ্ক্রিয়  হয়ে যায় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এর ফলে ইরেগুলার বাউয়েল মুভমেন্ট হয় এবং স্টুল শক্ত ও শুষ্ক হয় ফলে মলত্যাগে করা কঠিন হয়ে পরে। বেশিরভাগ মানুষেরই অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আবার কেউ কেউ সারা জীবনই ভোগেন। বেশিরভাগ  ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময় এটি হয়ে থাকে এবং ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি ভোগে থাকে।

কন্সটিপেশন দুই ধরণের হয় যথা – অর্গানিক ও ফাংশনাল। অর্গানিক কন্সটিপেশন হয় শারীরিক পরিবর্তনের কারণে, যেমন- কোলনের মধ্যে কোন বাঁধা বা বিকৃতি  হলে। এই ধরণের কন্সটিপেশনের ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয় – সঠিক প্রকারের খাদ্যগ্রহণ না করলে, যথেষ্ট পরিমাণে তরল খাদ্য না পান করলে, নিয়মিত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, সঠিক জীবনধারা মেনে না চললে।

উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলেই ফাংশনাল কন্সটিপেশন হয়। এই জাতীয় খাবারে পুষ্টি উপাদান ও ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যাডেটিভস থাকে। এর ফলে কোলনের দেয়াল দুর্বল হয়ে পরে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যে কাজগুলো আপনি করতে পারেন তা হল :  

১। বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করা
দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুই ধরণের ফাইবার আছে। এই উভয় ধরণের ফাইবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও নরম করে। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ করে। আস্ত শস্যদানা, পাস্তা,  গমের ভুষি খাওয়া অনেক কার্যকরী হতে পারে।

২। সাহায্যকারী খাদ্য
নাশপাতি, ডুমুর, ব্রোকলি, কিউই, গাজর, পীচ ফল, আনারস এবং ডুমুর ইত্যাদি ফলগুলো নিয়মিত খান। এগুলোতে ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর ফাইবার থাকে বলে অন্ত্রের জন্য ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ব্ল্যাকস্ট্রিপ গুড় খান। সকালে এটি আপনার কনস্টিপেশনকে সহজ করতে সাহায্য করবে। আখের গুড়কে অনেকবার জাল দিয়ে ঘন করে ব্ল্যাকস্ট্রিপ মোলাসেস তৈরি করা হয়। তাই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।  

৩। এড়িয়ে চলুন এই খাবার গুলো
চকলেট, অনেক বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, কলা ও ক্যাফেইন। ক্যাফেইন গ্রহণ করা নির্ভর করে আপনি ইতিমধ্যেই পানিশূন্যতায় ভুগছেন কিনা তার উপর। যদি পানিশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে ক্যাফেইন গ্রহণ না করাই ভালো।

৪। নিয়মিত ব্যয়াম
সক্রিয় জীবনধারা মেনে চলুন যেমন- দৌড়ানো, জগিং করা, সাঁতার কাটা বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা। এর ফলে আপনার পরিপাক নালী স্বাস্থ্যবান থাকবে ও অন্ত্রের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

৫। হারবাল চা ও উষ্ণ পানীয়
পুদিনা ও আদা উভয়েই পরিপাকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। মেন্থল অন্ন নালীর পেশীকে শিথিল হতে সাহায্য করে। আদা তাপ প্রদানকারী গুল্ম তাই আদা শরীরের ভেতরে অধিক তাপ সৃষ্টি করে। হারবাল চিকিৎসকদের মতে আদা নিষ্ক্রিয় পরিপাককে গতি দিতে পারে। গ্রিনটি, ব্ল্যাকটি ও প্রাকৃতিক জোলাপ বা রেচক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার জন্য কিছু মানুষ দুধ পান করতে পারেননা। তবে যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে গরম দুধ খেলে আপনার কোষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে পানি বা চায়ের পরিবর্তে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

আরো যে কাজগুলো করতে পারেন :  
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন যেমন- প্রচুর পানি পান করুন, প্রাকৃতিক ডাকে বিলম্ব করবেননা, কোষ্ঠ পরিষ্কারের ঔষধ ব্যবহার সীমিত করুন, অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেক রকমের ইয়োগা  আছে তবে সূর্য নমস্কার ইয়োগাটি অনেক কার্যকরী। তাছাড়া একটি গরম তোয়ালে  শ্রোণি অঞ্চলে দিয়ে ভাপ দিতে পারেন, স্টিম বাথ নিতে পারেন।   

Monday, March 21, 2016

ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই

sasthobarta protidin
ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই
সময়টা এখন শুধুই ভ্রমণের। পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই এটা। ফুরফুরে মন নিয়ে বের হয়েছেন লম্বা ভ্রমণে, কিন্তু বাধ সেধে বসে বমি বমি ভাব। গাড়িতে উঠলেই হঠাৎ করেই বমির ভাব আসে। এটাকে অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। এছাড়া তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে গ্যাস বা খাবার হজমে সমস্যা হলে প্রায়ই বমি বমি ভাব হয়। বমি বন্ধ করা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন নিজের জন্য অস্বস্তিকর তেমনি অপরের জন্য বিব্রতকর। অথচ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন নিজেই। যেমন-

- বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সেদ্ধ দিন। এবার ওই পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

- যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গেছে।

- পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

- অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

- অনেকের ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

Sunday, March 20, 2016

অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো

sasthobarta protidin
অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করবে এই খাবারগুলো
চুল সাদা হয়ে গেলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন, যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যপার। অনেককেই সাদা চুলে বেশ ভাল লাগে। চুল সাদা হয়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে- বয়স বৃদ্ধি, জেনেটিক ও বংশানুক্রমিক সমস্যা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব এবং অন্যান্য। বেশিরভাগ মানুষ চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ  করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে চুলে ডাই করেন। কিন্তু অনেক সস্তা ও সহজলভ্য উপাদান দিয়েই চুল সাদা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম যা চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

১। আখরোট

“ইউ ক্যান বি ইয়োংগার” বইটির লেখক এবং থেরাপিস্ট মারিশা পিয়ার বলেন, “কপার সমৃদ্ধ আখরোট খেলে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া বন্ধ হয়”। কপার মেলানিন  উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মেলানিন চুলের রঞ্জক বৃদ্ধি করে।  

২। চিংড়ি

বিশেষজ্ঞদের মতে উচ্চমাত্রার জিংক চুলের রঙ ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যার অর্থ জিংক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- চিংড়ি, বীজ এবং পনির খেলে চুল সাদা হয়না। এছাড়া ওমেগা ৩ কেবল মাত্র হার্টের জন্যই ভালো নয় বরং আপনার চুলকে শক্তিশালী রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ এর উৎস হচ্ছে মাছ, বীজ ও সবুজ শাকসবজি, যা বেশি করে খাওয়া উচিৎ।

৩। পোলট্রি ও ডেইরি

নিম্ন মাত্রার ভিটামিন বি১২ অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই চুলের স্বাস্থ্য ও রঙ ঠিক রাখার জন্য মুরগীর মাংস, ডিম, দুধ, পনির ও সামুদ্রিক খাদ্য গ্রহণ করুন। ট্রাইকোলজিস্ট সারা অ্যালিসন বলেন, “আমরা জানি স্ট্রেস ভিটামিন বি ব্যবহার করে এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি (বি৬, বি১২, ফলিক এসিড) গ্রহণ করলে ৩ মাসের মধ্যে চুল ধূসর হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি বিপরীত হতে শুরু করে”। তিনি আরো বলেন, “যখন ভিটামিন গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় তখন চুল সাদা হতে শুরু করে”। মুরগীর প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে এবং মাথার তালুর পুষ্টি প্রদান করে।    

৪। ব্রোকলি

ফলিক এসিড গর্ভবতী মহিলাদের সাথে যেভাবে সম্পর্কযুক্ত তেমনি এটি স্বাস্থ্যবান চুলের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। ফলিক এসিডের স্বল্পতা অসময়ে চুল ধূসর করে দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে ব্রোকলি, শতমূলী, মটরশুঁটি ও ডাল খান।

৫। গরুর কলিজা

জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। গরুর কলিজা জিংক ও কপারে পরিপূর্ণ থাকে যা অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। যদি আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যা ও হৃদরোগের সমস্যা না থাকে তাহলে গরুর কলিজা খান ও চুলকে নিরাপদ রাখুন।
৩০ বছর বয়সে বেশিরভাগ মানুষের মাথায় কিছু সাদা চুল দেখা যায় এবং ৫০ বছর বয়সে মাথার অর্ধেক চুল সাদা হয়ে যায়। একটি সাদা চুল উঠালে ২টি গজায়- এই কথাটি সত্য নয়। সাধারণত কপালের আশেপাশের চুল আগে সাদা হয়, তারপর মাঝামাঝি অংশের এবং সবশেষে পেছনের দিকের চুল সাদা হয়। ২০ বছর বয়সের আগে চুল সাদা হলে তাকে প্রিমেচিউর গ্রেইং বলে। এই খাবার গুলো শুধুমাত্র চুল সাদা হয়ে যাওয়াই রোধ করবেনা বরং মাথার ত্বকের অতিরিক্ত যত্ন প্রদান করে চুল পড়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করবে। যদি আপনার ২০ বছর বয়সের আগেই চুল সাদা হতে শুরু করে তাহলে এই খাবারগুলো খান এবং চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করুন।        

গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক

sasthobarta protidin
গর্ভকালীন সময়ের যে ছোটখাটো লক্ষণগুলো হতে পারে বিপদজনক
সন্তান একজন নারীকে এনে দেয় তার সৃষ্টির পরিপূর্ণতার অনেকখানি। তবে কোন কিছু অর্জনের চাইতে সেটা যেমন রক্ষা করা কঠিন, ঠিক তেমনি সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর চাইতেও কঠিন তাকে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে বড় করে তোলা। সেটা কেবল পৃথিবীতে আসবার পরেই নয়, এর আগে গর্ভকালীন সময়েও। অনেক সময় খুব ছোটছোট কারণেই হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, সন্তানের নানারকম সমস্যাসহ আরো অনেক ঝামেলাপূর্ণ ঘটনা। তবে অন্যান্য সময়ের মতন এ সময়েও কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটতে চলার আগেই আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় নানাভাবে, জানান দিতে চায় আসতে যাওয়া সমস্যাকে। কিন্তু অনভিজ্ঞতার ফলে সেসব ভুলে যায় বা এড়িয়ে যায় অনেকেই। ফলে দেখা দেয় গর্ভকালীন সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে আসি গর্ভকালীন সমস্যা ও এর শারীরিক চিহ্নগুলোকে। 

১. রক্তপাত 

গর্ভকালীন সময়ে যে কোন ধরনের রক্তপাতই হতে পারে মায়ের স্বাস্থের জন্যে বিপদজনক। এক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই মাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা উচিত। এসময় অতিরিক্ত ও ভারী রক্তপাত দ্বারা অনেকগুলো চিহ্ন প্রকাশ করে শরীর। জরায়ু ছাড়া অন্যকোন স্থানে ডিম্বানুর অবস্থান, ছোটখাটো আভ্যন্তরীন ঝামেলাসহ গর্ভপাত অব্দি হয়ে যেতে পারে এই সামান্য একটি কারণে। 

২. অতিরিক্ত বমিভাব 

সামান্য একটু বমিভাব বা না খেতে চাওয়ার প্রবণতা এসময় মায়েরদের ভেতরে থাকতেই পারে। তবে সেটারও একটা সীমা থাকে। আর তাই খেয়াল করুন ঠিক কতটা বেশি পানি বা খাবার-দাবার না খাওয়ার পরিমাণ প্রকাশ করছে আপনার শরীর। যদি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যান। অন্যথায় পরিমাণমতন খাবার কিংবা পানির অভাবে দেখা দেবে নানারকম বড় ধরনের সমস্যা। 

৩. বাচ্চার কম নড়াচড়া 

গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা কতটা নড়বে সেটার কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ না থাকলেও একেবারেই কম গতিবিধি বা কার্যক্রম হতে পারে সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বঝতে প্রথমে খানিকটা ঠান্ডা খাবার বা পানি পান করুন। তারপর শুয়ে পড়ুন বিছানায়। যদি সে পেটে লাথি মারে তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু ঠিক আছে। চিকিৎসকদের মতে, দু ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ বার লাথি মারলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে মনে করা যায়। তবে এর কম-বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে। তবে ১০ বারের কম হলে চিকিৎসকের কাছে একবার চলে যাওয়াটাই ভালো। 

৪. অতিরিক্ত ঘাম 

গর্ভকালীন সময়ে ঘেমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এটা নির্ভর করবে ঠিক কতখানি তরল আপনি পান করছেন আর লবন শরীরে নিচ্ছেন। তবে তারপরেও যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথাসহ অতিরিক্ত ঘেমে যায় আপনার শরীর, বিশেষ করে ২৮ তম সপ্তাহের দিকে হাত, পা ও পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামে তাহলে চিকিৎসককে ডাকুন (ফিট প্রেগনেন্সি )। এটি প্রিকাম্পশিয়া, একটি অত্যন্ত বিপদজনক উচ্চরক্তচাপসহ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে হওয়া- ক. দৃষ্টিশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা খ. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত প্রস্রাব গ. ২৪ ঘন্টার বেশি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর বেশি থাকা ( বেবিস ) ঘ. ডায়রিয়সহ পেটের যেকোন পীড়া ইত্যাদির ভেতরে কোন একটা সমস্যা দেখা গেলেও সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এর যেকোন একটা চিহ্ন আপনার গর্ভের সন্তানের জন্যে হতে পারে প্রচন্ড রকম বিপদজনক। 

পরিচিত মশলার ৫টি ভিন্ন ব্যবহার

sasthobarta protidin
পরিচিত মশলার ৫টি ভিন্ন ব্যবহার
মশলা ছাড়া রান্না? চিন্তাই করা যায় না! রান্নার স্বাদ এবং গন্ধ বৃদ্ধিতে মশলার জুড়ি নেই। দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, হলুদ কত রকম মশলাই না আমরা রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। রান্না ছাড়াও এই মশলাগুলোর রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যগত ব্যবহার। রান্নাঘরের এই মশলাগুলো সারিয়ে দিয়ে পারে অনেকগুলো রোগ।
১। হিং
এটি উষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় খাবারের এনজাইম দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। পানির সাথে এক চিমটি হিং মিশিয়ে পান করুন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এমনকি রক্তচাপ কমাতেও এটি বেশ কার্যকর।
২। হলুদ
অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক বল হয় হলুদকে। কারকিউমন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলুদে বিদ্যমান, যা রক্ত প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করার উপাদানসমূহ দূর করে দিয়ে থাকে। এমনকি হলুদ চা বাত ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী।
৩। দারুচিনি
দারুচিনি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে থাকে। এটি গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে। দারুচিনি এবং মধু ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে। এছাড়া কিছু মোম, সমপরিমাণ দারুচিনির গুঁড়ো, আদা গুঁড়ো এবং জয়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে সুগন্ধি মোম তৈরি করা সম্ভব।
৪। এলাচ
এলাচ খাবারের রুচি তৈরি করার সাথে সাথে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি দেহে বুক জ্বালাপোড়া, হেঁচকি, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুচিনির ব্যবহার করা হয়। দারুচিনি গুঁড়ো গরম পানির সাথে মিশিয়ে, সেটিকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৫। গোলমরিচ
গোলমরিচে পাইপরাইন উপাদান আছে যা নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, হৃদরোগ, রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি বাত ব্যথা দূর করে থাকে। সারা রাত গোলমরিচ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালের নাস্তার সাথে এটি খান। মাইগ্রেইনের ব্যথা কমাতে এটি বেশ কার্যকরী। যেকোন প্রকার ইনফেকশন এবং পোকা কামড়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।

Thursday, March 17, 2016

জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো

sasthobarta protidin
জেনে নিন খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো
ড্যানড্রাফ বা খুশকি মোটেই ভালোলাগার কোন বিষয় নয়। কারণ খুশকি বেশি হলে কাঁধের উপরে সাদা স্তর পড়ে যা খুবই অস্বস্তিকর এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্কিন ইনফেকশন বলে যা ত্বক, চুল এবং পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। খুশকি আছে এমন ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন মানুষ মুখের ত্বকের সংক্রমনে ভুগে থাকে। আসুন তাহলে খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেয়া যাক।
১। যন্ত্রণাদায়ক
সময়ের সাথে সাথে খুশকি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। এমন অবস্থা হয় যে আপনি মাথা চুলকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না। যা খুবই অস্বস্তিকর হয়ে উঠে। যদি আপনার শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে। গরমের সময়ে ত্বক তৈলাক্ত রাখুন। খুশকির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বন্ধের জন্য ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২। ব্রণ
ডা. মুকেশ বাত্রার মতে, শুষ্ক ত্বকের স্তর ত্বকের ছিদ্র গুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে। যদি আপনার ত্বক ব্রণ উঠার জন্য উপযোগী হয় তাহলে খুশকি এই সমস্যাটাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার চুল যেন মুখের উপরে এসে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুশকি মুখের ব্রণকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে ঘাড়ে, চুলের সীমানায়, বুক ও পিঠের উপরের অংশে ছড়িয়ে যায়।
৩। মাথা চুলকানো
খুশকি হলে মাথার তালুতে অনেক বেশি মরা চামড়া তৈরি হয়। এর জন্য মাথার তালুতে অনেক বেশি চুলকানি হয়। যদি ঘরোয়া উপায়ে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৪। পিঠের ব্রণ
ডারমাটোলজিস্ট ডা. এস এস টারসি এর মতে খুশকি পিঠের ব্রণ হওয়ার একটি কারণ। তাই পিঠের ব্রণ ভালো হওয়ার একটি ভালো পন্থা হচ্ছে এর অন্তর্নিহিত কারণ অর্থাৎ খুশকি দূর করার ব্যবস্থা নেয়া।
৫। চুল পরা 
যদিও খুশকি সরাসরি চুল পড়ার সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়, তথাপি অবিরাম চুলকানির ফলে এটি হতে পারে। ট্রাইকোলজিস্ট ডা. অপূর্ব শাহ বলেন, “চুল পড়া এবং খুশকি উভয়েরই অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে ডারমাটাইটিস(এক ধরণের মাথার তালুর ত্বকের সমস্যা)”।
৬। সোরিয়াসিস
খুশকির কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে। সোরিয়াসিস হচ্ছে ত্বকের এমন একটি অবস্থা যে ত্বকের কোথাও কোথাও মোটা হয়ে লাল হয়ে যায়। এটি মাথার তালুতে, কানের পেছনের দিকে হতে দেখা যায়।  
৭। চোখের সংক্রমণ
ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, “ব্লেফারাইটিস চোখের একটি সাধারণ সংক্রমণ যা খুশকির কারণে হয়ে থাকে”। এই ধরণের সংক্রমণের ফলে চোখের পাতায় চুলকায় ও লাল হয়ে যায় ও যন্ত্রণার সৃষ্টি করে এবং চোখের পাপড়িতে খুশকির মত আঁশ হতে দেখা যায়।
৮। তেলতেলে চুল
আপনি যখন খুশকির সমস্যায় ভোগেন তখন মাথার তালুতে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়। এর ফলে চুল তেল চিটচিটে হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলা উচিৎ।
৯। অ্যাজমা
খুশকির সবচেয়ে খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে অ্যাজমা। খুশকি যখন পাউডারের মত ঝরতে থাকে তখন তা ফুসফুসের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি হয়তো এটা লক্ষ রাখতে পারেননা যে শ্বাস গ্রহণের সময় এটি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং  অ্যাজমার লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।  
চিকিৎসা জগতে খুশকির কারণ ও প্রতিকার এখনো অজানা রয়ে গেছে। যদিও খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় কার্যকরী প্রমানিত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুশকির কোন চিকিৎসা করা হয়না। যদি আইব্রুতে, কপালে, নাকের পাশে ও থুতনিতে দেখা যায় তাহলে চিকিৎসা শুরু করা যায়।     

Tuesday, March 15, 2016

কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?

sasthobarta protidin
কী করে বুঝবেন আপনার চশমা দরকার?
নিজের আশেপাশে একটু তাকিয়ে দেখুন তো। কী দেখলেন? অনেকের চোখেই শোভা পাচ্ছে চশমা, তাই না? জীবনযাত্রার বিভিন্ন আঙ্গিকের কারণেই আজকাল কম বয়সেই অনেকের চশমা দরকার হচ্ছে। চশমা দরকার কি না, তা আসলে চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েই নিশ্চিত হওয়া ভালো। তবে কিছু কিছু লক্ষণ দেখে আপনিও আন্দাজ করে নিতে পারবেন আপনার চশমা নেওয়ার সময় এসে গেছে কিনা। চলুন দেখে নেই এসব লক্ষণ।

১) আপনি কম্পিউটারের সামনে ঝিমুতে থাকেন
আমাদের চোখের পেশীগুলো সবচাইতে বেশি ক্লান্ত হয় তখনই যখন আমরা খুব কাছে থেকে কোনোকিছু দেখি এবং খুঁটিনাটিগুলোর ব্যাপারে মনোযোগ দেই- যেটা কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আপনার দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে এসব পেশীর কাজ আরও বেড়ে যায়। এসব পেশীর ক্লান্তির ফলে আপনার ঘুম পায়। যদি আপনি চশমা নেন এবং এর পরেও আপনার চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়, তাহলে মনিটর একটু দূরে রেখে কাজ করুন এবং ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন।

২) পড়ার জন্য উজ্জ্বল আলো দরকার হয় আপনার
সাধারণ রিডিং ল্যাম্পের আলোয় যদি আপনি বই পড়তে না পারেন, যদি আরও কয়েকটা লাইট জ্বালাতে হয় তাহলে চিন্তার কারণ আছে বই কী। বিশেষ করে আগে কম আলোয় পড়তে পারতেন, এখন বেশি আলো দরকার হয় তবে সেটা ভালো কথা নয়। এটা বয়সের সাথে সাথে দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ২০ বছর বয়সী মানুষের তুলনায় ৬০ বছর বয়সী মানুষের প্রায় ৩ গুণ আলো দরকার হয়।

৩) বই পড়তে গেলে আপনার হাত ব্যথা হয়ে যায়
অদ্ভুত কথা তাই না? কিন্তু ভাবুন, হাতে ধরে বই পড়ার সময়ে কি আপনি চোখের খুব কাছে এনে বই পড়েন এবং হাত ব্যথা হয়ে যায় সহজেই? অথবা চোখ থেকে খুব দূরে ধরে রেখে বই পড়তে হয়? দুই ক্ষেত্রেই আপনার চশমা দরকার হতে পারে।

৪) যখন তখন মাথাব্যথা হচ্ছে আপনার
একটানা অনেকক্ষণ ধরে কাজের ফলে চোখের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এই চাপ থেকে সহজেই মাথাব্যথা হতে পারে আপনার। অথবা মাথাব্যথা থাকলে সেটাকে আরও তীব্র করতে পারে। চোখের ঠিক পেছনে ব্যথা করলে এর কারণ হতে পারে হাইপারওপিয়া বা অ্যাস্টিগমাটিজম। এই দুটি সমস্যাই চশমা ব্যবহারে ঠিক করা যায়। এই মাথাব্যথার শিকার হতে না চাইলে আপনি কাজ করার সময়ে ছোট ছোট বিরতি দিন। ডাক্তারেরা ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করতে বলেন। কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর পর কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকুন ২০ সেকেন্ড। এছাড়াও মাথাব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

৫) আপনি শাকসবজি খান না
চোখ ভালো রাখার জন্য গাজরই একমাত্র সবজি নয়। অন্যান্য শাকসবজিও আপনার খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে সবুজ শাক খাওয়াটা প্রয়োজনীয়। এসব খাবারে থাকে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন। এগুলো হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখের লেন্স পরিষ্কার রাখে, ছানির সম্ভাবনা কমায় এবং চশমার প্রয়োজনীয়তা দূরে রাখে।

৬) আপনি আলোর ছটা দেখতে পান
যে কোনো বাতির দিকে দৃষ্টি দিলে তাকে ঘিরে একটি আলোর ছটা বা Halo দেখতে পান আপনি। এছাড়াও মনে হয় সেই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অথবা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। লাইট বাল্ব থেকে গাড়ির হেডলাইট পর্যন্ত এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলুন কারণ ছানির একটি লক্ষণ হতে পারে এই ব্যাপারটা।

৭) আপনার বয়স ৪০ এর ওপরে
“৪০ পেরোলেই চালশে” গানটা মনে আছে? খুব একটা মিথ্যে নয় কথাটা কারণ এই বয়সে এলে ওপরে উল্লেখ করা উপসর্গগুলো আপনার জীবনে আসতেই পারে। ৪০ থেকে ৬০ পর্যন্ত খারাপ হতে থাকবে আপনার দৃষ্টিশক্তি। ফলে আপনার চশমা লাগতে পারে।

আরও কিছু উপসর্গ আছে যা থেকে বোঝা যেতে পারে আপনার চশমা দরকার-
- রাত্রে দেখতে সমস্যা হওয়া
- অন্ধকার থেকে আলোতে এলে দেখতে সমস্যা হওয়া
- একটি জিনিসকে দুইটি দেখা
- চলতে ফিরতে ধাক্কা খাওয়া, হোঁচট খাওয়া

সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়

sasthobarta protidin
সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে পান করুন এই ৬টি পানীয়
আপনার সকালটি কিভাবে শুরু হচ্ছে তা দিয়েই আপনার জন্য দিনটি ভালো যাবে না মন্দ যাবে তা যেমন বোঝা যায়, তেমনি আপনি সকালে কি খাচ্ছেন তা আপনার সুস্থতার উপর অনেক বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে যে পানীয়গুলো আপনি পান করতে পারেন তা জেনে নেই আসুন।

১। গাজরের জুস

গাজর ভিটামিন এ তে ভরপুর যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি ধীর গতির হয়, কারণ গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন।

২। বীট জুস

নাইট্রেট সমৃদ্ধ বীট এর জুস খেলে রক্ত নালী প্রসারিত হয় এবং রক্ত সংবহন ও উন্নত হয়। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৩। অ্যালোভেরার জুস

জনপ্রিয় অ্যালোভেরার জুস ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের অনেক ক্ষতিকর টক্সিন বাহির করে দিতে সাহায্য করে। এই জুস আপনার বিপাকের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমতেও সাহায্য করে। সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরার জুস আপনাকে উজ্জীবিত করবে।     

৪। নারিকেলের পানি

নারিকেলের পানি বা ডাবের পানি প্রকৃতি মাতার নিখুঁত একটি পানীয়। এতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট ও খনিজ উপাদান যার চিনি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এটি যেকোন এনার্জি ড্রিংক বা স্পোর্টস ড্রিংক এর চেয়ে উৎকৃষ্ট পানীয়। সকালে এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে পরিপূর্ণ এনার্জি প্রদান করবে।

৫। গম ঘাসের জুস

গম ঘাসের ভেষজ গুণের কথা আমরা শুনেছি। গম ঘাসে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গম ঘাসের জুস খেলে পরিপাক নালী পরিষ্কার হয়।
৬। লেবু পানি

একগ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আপনার পরিপাক তন্ত্রকে খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযুক্ত করবে। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।   
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথমেই তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারন রাতের ৮ ঘন্টা ঘুমের পর আপনার শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, এই ঘাটতি পূরণের জন্য অন্য খাদ্য গ্রহণের পূর্বে প্রথমেই পানি পান করা প্রয়োজন। তাই এই পানীয়গুলো থেকে আপনার পছন্দের পানীয়টি নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করুন ও সুস্থ থাকুন।    

Thursday, February 4, 2016

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়

sasthobarta protidin
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়
অ্যাপেন্ডিক্স নামক ক্ষুদ্র উপাঙ্গের প্রদাহকে এপেন্ডিসাইটিস বলে। মানবদেহের বৃহদান্ত্রের সাথে যুক্ত আঙ্গুলের ন্যায় ক্ষুদ্র উপাঙ্গটি উদরের ডানপাশে থাকে। যখন অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণ হয়, জ্বলন হয় বা কোন কারণে অবরুদ্ধ হয়ে যায় তখন অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলা হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিস তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী একটি রোগ যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে।   
লক্ষণ সমূহ :
·         সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয়। পেটের মধ্য থেকে ব্যথা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে ডান পাশে গিয়ে স্থায়ী হয়।
·         ক্ষুধা কমে যায়, বমি বমি ভাব হয় ও বমি হয়।
·         অ্যাপেন্ডিক্সের কাছাকাছি লসিকা গ্রন্থি ফুলে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
·         হজমের সমস্যা হয় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হয়।
·         পেটের ডান পাশের পেশি আঁটসাট হয়ে যায়।
·         নড়াচড়া করলে, গভীর ভাবে দম নিলে, হাঁচি বা কাশি দিলে ব্যথা তীব্র ও অসহনীয় হয়ে উঠে।
·         অন্যান্য উপসর্গ গুলোর সাথে নিম্ন মাত্রার জ্বর থাকতে পারে।
অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ ও এন্টিবায়োটিক সেবন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চূড়ান্ত চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণের পর কিছু ঘরোয়া উপায়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও ফোলা কমানো যায়। ঘরোয়া প্রতিকার গুলো হচ্ছে :

১। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মুগ ডাল । এক মুঠো মুগ ডাল এক বাটি পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে মিশ্রণটি থেকে এক টেবিল চামচ পরিমান পান করুন। কার্যকরী ফল পেতে দিনে তিন বার গ্রহণ করুন।
২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে রসুন অনেক কার্যকরী উপাদান। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ফোলা কমাতে পারে।
৩। অ্যাপেন্ডিক্সে আক্রান্ত রোগির জন্য সবজি খাওয়া ভালো। ১০০ মিলিলিটার শশা ও ১০০ মিলিলিটার বিটের রসের সাথে ৩০০ মিলিলিটার গাজরের রস মিশিয়ে দিনে দুই বার পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে অত্যন্ত উপকারি।
৪। ব্যথা কমানোর জন্য একটি ভেজা কাপড় পেটে জড়িয়ে এর উপর শুষ্ক পশমী  কাপড় শক্ত করে বেধে রাখুন।  
৫। আপনার অ্যাপেন্ডিক্স সুস্থ রাখার জন্য সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন।
৬। আস্ত গম খাওয়া অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জন্য কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার এবং এটি হজমের জন্য ও উপকারি।
৭। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জ্বর আসলে তুলসি পাতা পানিতে সিদ্ধ করে খাওয়ান। একমুঠো তুলসি পাতার সাথে এক টেবিল চামচ আদার পেস্ট এক কাপ পানিতে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি অর্ধেক হয়ে যায়। এটি বদহজম ও গ্যাসের ও সমস্যা দূর করতে পারে। প্রতিদিন ৩-৪টি কাঁচা তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন তাহলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।  
৮। পুদিনা পাতার কয়েক ফোঁটা রস পানিতে মিশিয়ে ৩-৪ ঘন্টা পর পর পান করলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমে যায়।  
৯। অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে লেবুর রস অনেক উপকারি। লেবুর রস ব্যথা কমাতে এবং বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। একটি লেবুর রস বের করে নিয়ে এর সাথে সমপরিমাণ কাঁচা মধু মিশিয়ে নিন। দিনে কয়েকবার মিশ্রণটি পান করুন। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত পান করুন।
১০। এক চামচ মেথি ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে চায়ের মত পান করুন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে পুঁজ ও অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে বাঁধা প্রদান করে। তাই নিয়মিত এটি পান করুন।
১১। দীর্ঘস্থায়ী অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক লিটার ঘোল পান করলে উপকৃত হবেন। এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ভিতরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।

অ্যাপেনন্ডিসাইটিস আপনার শরীরের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। উপরোক্ত ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা ও জ্বলন কমানো যায়। যদি এগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পরও আপনার অ্যাপেনন্ডিসাইটিস ব্যথা থেকে মুক্ত হতে না পারেন তাহলে আপনাকে অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে হবে। খুব বেশিদিন অ্যাপেনন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে অপেক্ষা করা ঠিক নয় কারণ এতে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।                

Wednesday, February 3, 2016

পিঠে ব্যথার ঘরোয়া সমাধান

sasthobarta protidin
পিঠে ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
সারাদিন বসে কাজ করার ফলে পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে ক্লান্তি অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি পিঠে ব্যথাও হতে পারে। যত্ন নেওয়া না হলে এই ব্যথা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পিঠব্যথা উপশমের ঘরোয়া কিছু টোটকা উল্লেখ করা হয়।

- নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর গুঁড়া মিশিয়ে পাঁচ মিনিট চুলায় জ্বাল দিতে হবে। তেল ঠাণ্ডা করে একটি বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ওই তেল পিঠে মালিশ করে নিতে হবে।               

- এক বালতিকুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস ওয়েল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে গোসল করতে হবে। এতে কোমর ব্যথার পাশাপাশি শরীরের যেকোনো ব্যথা কমে আসবে। তাছাড়া শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করবে এই পানি। চাইলে বাথটাবে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল মিশ্রিত কুসুম গরম পানি নিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে।

- টিভি দেখা বা গল্প বই পড়ার সময় পানি ভর্তি একটি হট ওয়াটার ব্যাগ পিঠের পিছনে কুশনের মতো দিয়ে রাখত হবে। পানির গরম ভাপ ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।

- গোসলে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সরিষা তেল দিয়ে পিঠ মালিশ করুন। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

- এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ এবং খানিকটা মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। পিঠ ব্যথা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত এই দুধ পান করতে হবে। তাছাড়া মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং ঠাণ্ডার সমস্যা উপশমেও সাহায্য করে হলুদ দুধ।

- চা বানানোর সময় গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা দিন। আদা চা পিঠ ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করবে।

- যে কোনো ভেষজ তেল শরীর মালিশের জন্য বেশ উপকারী। পিঠব্যথা উপশমেও ভেষজ তেলের মালিশ সাহায্য করবে।

- একটি মোজা নিয়ে তার ভিতরে চাল ভর্তি করতে হবে। এরপর মোজার খোলা প্রান্তটি শক্ত করে বেঁধে  মাইক্রোওয়েভে তিন থেকে পাঁচ মিনিট গরম করে মোজাটির উপর শুয়ে থাকতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় পিঠ ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।

খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ

sasthobarta protidin
খেলার ছলে শিশুর মেধা বিকাশ
মেধা বিকাশে দরকার বুদ্ধির সঠিক চর্চা। শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিমত্তায় সেরা করে তুলতে চেষ্টা করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়াটাও তাই সবচেয়ে জরুরি। সব শিশু আবার বই খাতা নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহী হয় না। তাদের আগ্রহ থাকে নানা রকম খেলার প্রতি। সেই খেলাও হতে পারে শিশুর মেধা বিকাশের রাস্তা। এমনই কিছু খেলা যেমন- দাবা ও সুডোকু বুদ্ধিমানের খেলা হিসেবে বিবেচিত। আমেরিকান একদল বিজ্ঞানী দাবা এবং সুডোকু খেলাকে ব্রেন গেম বলে আখ্যায়িত করেছেন। এসব খেলার ছলে শিশুর মেধাবিকাশে কিভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তা জেনে নেয়া যাক।

পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি

মস্তিষ্ক পেশীর মতো কাজ করে। তাই মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। দাবা বা সুডোকু খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভালো ব্যায়াম হওয়া সম্ভব। এসব খেলায় অতিরিক্ত মনোযোগী হওয়ার অভ্যাস শিশুর পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।

দূরদর্শিতা বাড়ে

এই খেলার মাধ্যমে শিশুরা পরিকল্পনা আর দূরদর্শিতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। ভেনিজুয়েলার আট হাজার শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে দাবা খেলে এমন ছেলে মেয়েরা চার মাসের মধ্যে আই কিউ স্কোর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।

সজাগ দৃষ্টি

অপর পক্ষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে দাবা খেলায় প্রতিপক্ষের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। খেলায় নিজেকে জেতাতে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। দাবা খেলা দৃষ্টি সজাগ রাখার সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

সৃজনশীলতা বাড়ে

মস্তিষ্কের ডান দিক আচরণে সৃজনশীলতা বাড়াতে কাজ করে। মস্তিষ্কের এই অংশের কার্যক্ষমতা বাড়াতে দাবা খেলা খুবাই উপকারী। এসব খেলা চিন্তা ভাবনায় মৌলিকত্ব আনে, মেজাজ স্বাভাবিক রাখে, অঙ্গীকার পূরণে মানসিকতা গড়ে তোলে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে

অপর পক্ষের ত্রুটি বিচ্যুতি মনে রেখে এগিয়ে চলা এবং সুডোকু খেলায় সুক্ষ্ম চাল মনে রেখে এগিয়ে চলার অভ্যাস স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। আর তাই লেখাপড়া বা অন্য যেকোনো জিনিস সহজে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সমাধানের ক্ষমতা

শিশুকে যেকোনো সমস্যা সমাধানের চটপটে করে তোলে। কোনো প্রয়োজনে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে যেমন খেলাগুলো জয় লাভ করে, তেমনি পড়াশুনা, আচার ব্যবহারেও কোনো সমস্যায় পড়লে তার সমাধান বের করতে শিশু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়।

বিচার বুদ্ধি

সঠিক নির্বাচন ক্ষমতা বাড়ে। কি গ্রহণ করবে কি করবে না- এমন পশ্নের মুখোমুখি হলে সুকোডু বা দাবা খেলা শিশুরা সহজভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মেজাজ ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেয়াটা তাদের কাছে কোনো ব্যপার না।

শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা

sasthobarta protidin
শিশুর হাতে মুক্তঝরা লেখা
সোনামণিটা মুখে মুখে শিখে গেছে অনেক পড়া। এবার লেখার পালা। খাতা কলম হাতে নিয়ে বসে যা লিখছে, তা দেখে আপনি রীতিমতো হতবাক। অক্ষর গুলো একেকটা একেক রকম। হাতের লেখার কারণে ক্লাস পরীক্ষাতেও খারাপ ফল হচ্ছে। দুয়েকটা ক্লাস পার হয়ে গেলেও কোনো ভাবেই তার হাতের লেখা সুন্দর হচ্ছে না। শুধু শিশু নয় উপরের ক্লাসের অনেকেরই হাতের লেখা খুবই অসুন্দর হয়। হাতের লেখা অসুন্দর হওয়াটায় এখন আপনার চিন্তার বিষয়। এমন চিন্তা দূর করতে প্রয়োগ করতে পারেন কিছু উপকারী কৌশল। আসুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে আপনার শিশুর হাতেও মুক্তঝরা লেখা হতে পারে।

- সোনামণির খাতায় প্রথমত এক লাইন সুন্দর করে অক্ষর লিখে দিতে হবে। ওটা দেখে লাইন ধরে লেখার অভ্যাস করবে।

- প্রত্যেকটি অক্ষরের স্টাইল কেমন হবে তা আপনিই ঠিক করে দিন। শিশু সেটা দেখেই রপ্ত করবে। বড়রাও পছন্দের কোনো লেখা দেখে প্রতিটি অক্ষরের স্টাইল ঠিক করে নিতে পারেন। এতে লেখা সুন্দর হবে।

- এক প্যারা থেকে আরেক প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখার অভ্যাস করাতে হবে। এতে লেখা ভালো দেখায়।

- বায়ে এবং ওপরে সোয়া এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখলে হাতের লেখা সুন্দর দেখায়।

- বাচ্চাদের খাতার পুরো লাইন ভরে লেখানো উচিৎ।

- প্রতিটি বর্ণ যেন সমান হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

- বাচ্চাদের লেখার সময় কলম বা পেন্সিল ধরাটা ঠিকভাবে শেখাতে হবে। পেন্সিলের শিষ থেকে এক ইঞ্চি দূরত্বে ধরলে লেখা ভালো হবে।

- সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে লিখলে লেখা সুন্দর হয়।

- প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ণগুলো সোজা করে লিখতে হবে।

- তিনকোনা বর্ণগুলো সবচেয়ে সোজা। আগে সে অক্ষরগুলো থেকে লেখা অনুশীলন শুরু করতে পারে। যেমন-ব,ক।

- খাতায় বর্ণে আকারে ফোঁটা দিয়ে দিন। শিশুকে তার উপর হাত ঘুরিয়ে বর্ণ লেখা অনুসরণ করান। তাহলে তার জন্য বেশি সহজ হবে।

- সবার আগে প্রয়োজন শিশুকে অক্ষর চেনানো। অক্ষর না চিনলে সে লিখতে পারবে না। সঙ্গে সঙ্গে কোন অক্ষরে মাত্রা নেই, কোনটাতে অর্ধমাত্রা সেটিও মুখস্থ করিয়ে দিন।

- কোন বর্ণে মাত্রা আছে, কোনটায় অর্ধমাত্রা ইত্যাদি ভালোমতো জেনে সে অনুযায়ী অনুশীলন করাতে হবে। লেখা আপনিতেই সুন্দর হবে।

- সাদা খাতায় শিশুকে উপর থেকে নিচে লাইন টানতে দিন। এতে শিশুর খাতার দিকে মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। এ ছাড়া সুন্দর একটি অক্ষর লিখে তার ওপর শিশুকে হাত ধরে ঘুরিয়ে লেখালেও অক্ষরের আকার সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয়।

Tuesday, February 2, 2016

ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার

sasthobarta protidin
ফুড পয়জনিং এর কারণ ও প্রতিকার
খাবার থেকে যে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। দূষিত, নষ্ট ও বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। ফুড পয়জনিং এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া ও ডায়রিয়া হওয়া। ফুড পয়জনিং অস্বস্তিকর হলেও অস্বাভাবিক কিছু না। বেশিরভাগ ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী কারণ হল- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও  পরজীবীর সংক্রমণ। মানুষ যে খাবার খায় তার বেশিরভাগের মধ্যেই প্যাথোজেন বা জীবাণু থাকে। রান্না করার সময় যে তাপ লাগে তাতেই জীবাণুগুলো মরে যায়। কাঁচা ফলমূল ও সবজি ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী। যেকোন বয়সের মানুষেরই ফুড পয়জনিং হতে পারে তবে শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।  

খাদ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রান্নার সমস্যার কারণে খাদ্য সংক্রমিত হয়।মাংস ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখার সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা দেখে নেয়া ভালো। সঠিক তাপে সংরক্ষণ না করলে সংক্রমিত হতে পারে।

মাংস রান্নার সময় দীর্ঘক্ষণ উচ্চ আঁচে রান্না করতে হবে। তাহলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। অর্ধ সিদ্ধ মাংসে জীবাণু থেকে যেতে পারে।রান্নার সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে খাদ্য সংক্রমিত হয়।হাত না ধুয়ে খাবার জিনিস ধরলে সংক্রমণ হয়।পানি খুব দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। তাই খাওয়ার পানির সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

প্রতিকার

ফুড পয়জনিং সাধারণত নিজে নিজেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এই  সমস্যাটির প্রতিকারের জন্য যা যা করা প্রয়োজন –
১। শরীরের পানিশূন্যতা রোধের জন্য প্রচুর তরল খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডাবের পানি বা ফলের রস খেতে পারেন।
২। ক্যাফেইন গ্রহণ করলে পরিপাক নালীর যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করা এড়িয়ে যেতে হবে।
৩। ফুড পয়জনিং এ আক্রান্তদের বিশ্রামের প্রয়োজন।
৪। ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠিন খাবার ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার গ্রহণ বন্ধ রাখতে হবে।
৫। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন তবে অল্প পরিমাণে। চর্বিযুক্ত ও মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফুড পয়জনিং এর ইনফেকশন যাতে না ছড়ায় সেজন্য – টয়লেট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। আপনার ব্যবহৃত জিনিস যেমন- তোয়ালে, অন্যকে দেবেন না। অন্যদের জন্য খাবার তৈরি বা পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার ফুড পয়জনিং এর কারণ ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম হয় তাহলে দুই সপ্তাহ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা বন্ধ রাখুন। যদি দুই এক দিনের মধ্যে ফুড পয়জনিং এর সমস্যাটি ভাল না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।  

যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে

sasthobarta protidin
যে ৮ টি খারাপ অভ্যাস আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে
প্রতিদিন আমরা কত কাজ করি। কিছু বিষয় আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আমরা হয়ত কখনো খেয়াল করি না এই অভ্যাসগুলো কিভাবে আমাদের দক্ষতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। আসুন জেনে নিই এমন ৮ টি সাধারণ অভ্যাস যার কারণে হ্রাস পাচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা।





১। কম  ঘুমানো
অনেকে সারা রাত জেগে কাজ করেন। অনেকে আবার টিভি দেখে, বই পড়ে রাত পার করে দেন। নিত্যদিনের এই রাত জাগা শুধু আপনাকে অসুস্থই করে তোলে না, একই সাথে আপনার বুদ্ধিও কমিয়ে দেয়! ১ ঘন্টা কম ঘুম আপনার বুদ্ধির মাত্রাকে ৬ ডিগ্রী থেকে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে ৪ ডিগ্রীতে!
২। রিয়েলিটি শো
নিয়মিত যারা রিয়েলিটি শো দেখেন তাদের বুদ্ধি কমতে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় কিছু মানুষকে নেয়া হয়, যাদের এক অংশকে একটি রিয়েলিটি শো দেখতে দেয়া হয়। পরে তাদের সবার মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে দেখা যায় যারা রিয়েলিটি শো দেখেছে তারা বুদ্ধিভিত্তিক প্রশ্নে যারা শো টি দেখেন নি তাদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।

৩। চিনি 
আমেরিকায় UCLA এর গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন চা, কফিতে চিনি খাওয়া বা চিনি আছে এমন পানীয় যেমন কোকাকোলা, পেপসি পান করা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীর করে, মনে রাখা এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। 

৪। একসাথে কয়েকটি কাজ করা
আমরা প্রায়ই একসাথে কয়েকটি কাজ করি। এতে আমাদের বুদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। বিশেষ করে যারা ইলেক্ট্রনিকস পণ্যে একই সাথে কয়েকটি কাজ করেন, যেমন - ফোনে কথা বলতে বলতে ক্যামেরায় ছবি তোলা। ২০০৯ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়ে আসে এই তথ্যটি।

৫। চুইংগাম চিবানো
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি গবেষণার ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, অনবরত চুইংগাম চিবানো মানুষের শর্ট টার্ম মেমরি কমিয়ে দেয়। চুইংগাম খাওয়ার পর বাচ্চাদের কাজ করতে দিয়ে দেখা গেছে, ক্রমানুসারে সাজানো এনং বস্তুকে চিনতে পারা উভয় ক্ষেত্রে তারা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় ধীর।

৬। পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার
গবেষণায় দেখা গেছে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার মানুষের বুদ্ধি কমিয়ে দেয়। যারা সবসময়য় পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করেন অন্যদের তুলনায় তারা জটিল বিষয়ে চিন্তা করা বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেন।

৭। অতিস্থূলতা
২০১০ সালের কেন্ট স্ট্যাট বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ জন স্থূল মানুষের উপর গবেষণা করেন। দেখা যায়, অপারেশনের আগে অতিস্থূল মানুষদের বুদ্ধির মাত্রা যা ছিল অপারেশনের ২ সপ্তাহ পর তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে।
৮। ধূমপান
অনেকসময় দেখা যায়, কয়েকজন মিলে একটি সিগারেট পান করছেন। আবার অনেকে সিগারেটের একেবারে শেষ অংশ পর্যন্ত টান দেন। সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে এই অভ্যাসে বুদ্ধি লোপ পায়।
খেয়াল করুন নিজের বদভ্যাসটি। আজই বদলে ফেলুন নিজেকে। সঠিক অভ্যাস ফিরিয়ে আনবে আপনার কর্মচাঞ্চল্য।

Monday, February 1, 2016

বাতের ব্যথা

sasthobarta protidin
বাতের ব্যথা
বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন জেড. এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকাল কলেজের ফিজিওথেরাপি বিভাগ পিপলস পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের প্রধান কনসালটেন্ট ডা. শিবলী নোমানী।

তিনি জানান, অস্থিসন্ধী বা হাড়ের জোড়ার ব্যথাকে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা বলা হয়। গবেষকরা এ পর্যন্ত শতাধিক বাতের ব্যথার ধরণ আবিষ্কার করেছেন। তবে সচরাচর মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমরেই বাতের ব্যথা বেশি দেখা যায়।

আবার শরীরের এসব অংশে ব্যথা হওয়া মানেই বাত নয়। মাংসপেশির জটিলতার কারণেও ব্যথা হতে পারে।

কারণ: ডা. শিবলী নোমানী বলেন, “সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরই বাতের ব্যথার জটিলতা দেখা যেত। তবে বর্তমান যুগে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে ৩০ বছর বয়সের বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রোগীও পাই আমরা।”

তিনি আরও বলেন, “দৌড়ে যানবাহনে ওঠা, হাড়ে আঘাত পাওয়া, বয়সের কারণে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই জটিলতার মূল কারণ। এছাড়াও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার কিংবা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার কারণেও বাত হতে পারে। বর্তমান সময়ের খাবারের ভেজাল এই রোগের পেছনে অনেকটা দায়ী।”

রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে ইত্যাদির মাধ্যমে বাত আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রতিরোধ: ডা. নোমানী বলেন, “আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরা, আদা, কাঁচাহলুদ, পুদিনাপাতা ইত্যাদি গুল্মজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ইউরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলিজা, গুর্দা, ডাল ইত্যাদি খাওয়া কমাতে হবে। শর্করা, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের পরিমাণও কমাতে হবে।”

চিকিৎসা: কিছু বাতের ব্যথা ওষুধ ছাড়াই সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে হাড়ের ক্ষয়ের কারণে যে বাতের ব্যথা হয় তা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়।

এই চিকিৎসকের ভাষায়, “বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়েই ক্ষয় হবে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। একে থামানোর কোনো উপায় নেই। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই ক্ষয়ের পরিমাণ কমানো যায়, নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ব্যথা।

তিনি আরও বলেন, “বাজারে বাতের ব্যথা সারানোর বিভিন্ন চৌম্বকীয় পাথর বসানো চেইন বা ব্রেসলেট পাওয়া যায়। প্রাচীন চীনা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, চুম্বকের কিছু ব্যথা নিয়ামক গুণাবলী রয়েছে। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো আলোচনা নেই।”

রোগীর জন্য চিকিৎসকের উপদেশ: প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আসলে আর অন্যান্য শারীরিক জটিলতা না থাকলে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ১০ মিনিট ধরে হাঁটা শুরু করতে হবে। শরীরের অবস্থা অনুযায়ী এই সময় ক্রমেই বাড়াতে হবে। লক্ষ হবে প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা।

সাঁতার কাটা বাতের মহৌষধ। তাই সুযোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাঁতারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ত্বক যত্নের ভুলগুলো

sasthobarta protidin
ত্বক যত্নের ভুলগুলো
ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে গিয়ে না জেনে প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে আমরা উল্টা ক্ষতিই করছি বেশি। আর তাই আগেই জেনে নেওয়া উচিত এমন সাধারণ ভুলগুলো।দিল্লির মায়রা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার সলুশনের পরিচালক সোনিয়া মঙ্গল ত্বকের যত্নের এমনই কিছু ভুলের বিষয় উল্লেখ করেন।

ভুল সানস্ক্রিন বাছাই:
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর, তাই ব্যবহার করতে হয় সানস্ক্রিন। কিন্তু ভুল সানস্ক্রিন ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। ইউভিএ থেকে সুরক্ষা দিবে এবং এসপিএফ ৩০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে।

শীতে এবং বর্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা: 
মেঘলা বা কুয়াশা ঢাকা দিনে বেশিরভাগই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মেঘ বা কুয়াশা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আটকাতে পারে না। তাই সারা বছর বাইরে এবং ঘরের ভিতরে থাকলেও সানস্কিন ব্যবহার করা উচিত।

ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার: 
ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সাবানবিহীন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: 
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয় এতে করে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বলিরেখা পড়ে। তাছাড়া চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।

পানি পান না করা: 
শরীর ও ত্বকের সুস্থতার জন্য পানি পান অপরহার্য। পানি কম পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।

ভুল প্রসাধনী বাছাই: 
বিজ্ঞাপনের ‘মিষ্টি কথায় ভুলে’ প্রসাধনী কেনা উচিত নয়। কারণ এগুলো ত্বকের কোনো উপকারই করে না উল্টা এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

ধৈর্য্য না ধরা: 
ভালো প্রসাধনীর ফলাফল আমরা খুব দ্রুতই আশা করি। জলদি ফলাফল না পেলে বারবার প্রসাধনী বদলাতে থাকেন অনেকেই। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভালো ফল পেতে সময় নিয়ে অপেক্ষা করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নেওয়া: 
ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই নিজের মতো করে প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকেন। যা ক্ষতি করে। যে কোনো ত্বকের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: 
ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে সুন্দর ত্বকের জন্য।

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

sasthobarta protidin
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা

sasthobarta protidin
৫টি স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে মাত্র ২টি কলা
বাংলাদেশে জনপ্রিয়, সস্তা এবং পরিচিত একটি ফল হল কলা। ছোট বড় সবাই এই ফলটি পছন্দ করে। সুস্বাদু এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। প্রতিদিন দুটি কলা আপনার সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দিবে। হেপাটাইটিস সি, ফ্লু, এইডস ছড়ানো ভাইরাস ধ্বংস করে থাকে। ভিটামিন, মিনারেল, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবারের উৎস একটি কলা। ৫টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করে দিবে কলা। ওষুধের পরিবর্তে কলা সমাধান করে দিবে এই ৫টি রোগ।  
১। উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের মূল কারণ সোডিয়ামের অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শরীরে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
২। স্ট্রেস

প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস দূর করতে কলার জুড়ি নেই। হার্টবিট নরমাল রেখে, মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছিয়ে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা যখন স্ট্রেসে থাকি তখন আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কলা এই চাহিদা পূরণ করে স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে থাকে।
৩। পিএমএস নিয়ন্ত্রণ

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ আছে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা পিএমএস PMS( Premenstrual syndrome)কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এটি মাসিকের সময়কাল পেট ব্যথা, বুক ব্যথা দূর করে থাকে। তাই এইসময় নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।  
৪। পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর

কলা আঁশযুক্ত একটি ফল। যা হজমশক্তিবৃদ্ধি করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। কলা নরম ফল হওয়ায় অন্ত্রের পরিপাক কাজ সহজ করে থাকে। এর ল্যাক্সাটিভ উপাদান কোষ্টকাঠিন্য দূর করে থাকে।
৫। হতাশা

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান আছে যা আপনাকে রিল্যাক্স করে থাকে। ভিটামিন বি, ট্রিপটোফেন হরমোনের মাধ্যমে আপনার মাঝে খুশির অনুভুতি দিয়ে থাকে। এইজন্য এই উপাদানকে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয়।

Sunday, January 31, 2016

অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল

sasthobarta protidin
অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল
নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা আর অলস জীবনযাত্রার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু, এমনটাই সতর্কবানী দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, “যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।”

প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকাকে অতিরিক্ত বসে থাকা বিবেচনা করা হয়েছে। আর কম শরীরচর্চার পরিমাপ বিবেচিত হয়েছে সপ্তাহে দেড়শ মিনিটের কম শরীরচর্চা।

গবেষণার প্রধান লেখক ডা. মেলোডি ডিং বলেন, “এটাই প্রথম গবেষণা, যা ঘুম ও বসে থাকা এই দুইটি বিষয় কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে যদি শরীরচর্চার অভাব যোগ করা হয় তাহলে হতে পারে ত্রিমাত্রিক সর্বনাশ। আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে এই অভ্যাসগুলো হেলাফেলা করা উচিৎ নয়।”

জীবনাযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস যেমন, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অলসতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এই সমীকরণে যোগ করেন দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অতিরিক্ত বা স্বল্প ঘুম।

গবেষণায় সহ-লেখক অধ্যাপক এড্রিয়ান বাউম্যান বলেন, “শিক্ষামূলক পরামর্শ হবে, জীবনযাত্রার ভুলত্রুটি সম্পর্কিত রোগবালাই থেকে বাঁচার স্বাস্থ্যকর উপায় বের করতে হলে আমাদের উচিত হবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া।”

বর্তমান যুগে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বিশ্বব্যপি কেড়ে নিচ্ছে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি প্রাণ এবং এই মৃত্যুহার সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুহারের চাইতেও বেশি।

পিএলওএস মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা উল্লেখ করেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে বেশি মারাত্বক তা চিহ্নিত করতে পারলে বিপজ্জনক, ক্রমবর্ধমান ও বিশ্বব্যপি এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।”