Showing posts with label beauty tips. Show all posts
Showing posts with label beauty tips. Show all posts

Sunday, January 3, 2016

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে

sasthobarta protidin
মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে
ধবধবে সাদা দাঁত দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই দাঁতের যত্নও করতে হয়। দাঁত এবং মাড়ির যেসব সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া অন্যতম। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়ে থাকে। কিন্তু অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেলে শক্ত খাবার খাওয়ার সময়ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সাথে সাথে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা রোধ করা সম্ভব।
১। লবঙ্গের তেল

লবঙ্গের তেল মাড়ির ইনফ্লামেশন রোধ  করে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। একটুখানি লবঙ্গের তেল নিয়ে মাড়িতে ঘষুন। অথবা এক বা দুটি লবঙ্গ চিবাতে পারেন। এটি আপনার মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
২। অ্যালোভেরা জেল

প্রতিরাতে মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করে লাগান। এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। এটি মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
৩। গ্রিন টি

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে গ্রিণ টি বেশ কার্যকর। গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির জীবাণু ধ্বংস করে এবং দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।
৪। লবণ পানি

কিছু গরম পানি নিন, এর সাথে অল্প কিছু লবণ মিশান। এবার এই লবণ পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এটি।
নিয়মিত কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালোরি থাকে কম। এটা রক্ত চলাচল সচল রেখে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।

সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা

sasthobarta protidin
সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপনি কি চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবার পছন্দ করেন? এই খাবার গুলো তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা। ৫০০০ বছর পূর্বে চীনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা। আপনি কি জানেন প্রাচীন মিশরীয়রা পৃথিবীর প্রতীক হিসেবে পেঁয়াজের কন্দকে পূজা করত? পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজের কন্দ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এতে উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই নরম কচি পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে। একে স্প্রিং অনিওন বা সবুজ পেঁয়াজ ও বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের কন্দে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে থাকে। এছাড়াও কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার থাকে। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজ পাতা। পেঁয়াজ পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জানা যাক এবার।
১। হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাঁধা প্রদান করে কোষ কলার এবং DNA এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজ পাতার সালফার করোনারি হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
২। শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়তা করে
অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বাহির করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজ পাতা।
৩। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৪। স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ করে
লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যান্সার রোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
৬। পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করে
সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীর জটিলতার ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার হচ্ছে স্প্রিং অনিওন। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে
পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন  কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এছাড়াও এঁরা রক্ত সংবহনের উন্নতি করে এবং শরীরে ভিটামিন বি১ এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি।                                           
এগুলোর পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল‍্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগার লেভেল কমায় সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খান।

পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো

sasthobarta protidin
পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো
আপনার যদি কখনো পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি জানেন এর লক্ষণ গুলো : দিনটা হয়তো শুরু করেছেন সমতল পেট নিয়ে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আপনার পেট ফুলতে শুরু করলো এবং পেট শক্ত ও ভরা অনুভব করছেন। সারাদিন এই অবস্থা থাকার ফলে আপনার পেট অনেকটা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের মত দেখাবে। অন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয় বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই অস্বস্তিকর সমস্যাটির জন্য নানা কারণ দায়ী যেমন- বায়ু, অতিরিক্ত খাওয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, হরমোনের পরিবর্তন, খুদ্রান্তে ব্যাকটেরিয়ার অতিবৃদ্ধি, কিছু ঔষধের কারণে, খাদ্যের অসহনীয়তা, গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ইত্যাদি। এছাড়াও মারাত্মক কোন অসুখ যেমন- কোলিক ডিজিজ, ক্রন্স ডিজিজ এবং কোলন ক্যান্সারের জন্যও পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করা যায়। আপনি একটি নোট বুকে এক সপ্তাহের খাদ্য তালিকা লিপিবদ্ধ করুন। আপনি কখন কি খাচ্ছেন এবং কোন খাবারে কেমন অনুভব করছেন সব লিখে রাখুন। এর ফলে খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার শরীরের উপযোগী এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী এই উভয় প্রকার খাদ্য গুলোই চিহ্নিত করতে পারবেন। সাধারণত যে খাবারগুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হল-
১। ভাজা পোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার 
বিভিন্ন প্রকার ফাস্ট ফুড যেমন- বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন, চিপস ইত্যাদি খাবার এবং সমুচা, সিঙ্গারার মত ডিপ ফ্রায়েড খাবার ব্লটিং এর সমস্যা তৈরি করে। কারণ এগুলোকে ভেঙ্গে হজম উপযোগী করতে পাকস্থলীর অনেক সময় লাগে। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য গ্যাস উৎপন্ন হয় যা ব্লটিং এর কারণ।
২। লবণাক্ত খাবার
ব্লটিং সমস্যায় সবচেয়ে দায়ী হচ্ছে লবণ। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে ফলে পেট ফেঁপে থাকে। প্রক্রিয়া জাত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী থাকে।
৩। মসলাযুক্ত খাবার
মসলা যুক্ত খাবার পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে যা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। তাই ব্লটিং এর সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে খাবারে বিভিন্ন রকমের মসলা যেমন- গোলমরিচ, জায়ফল, লবঙ্গ, মরিচ গুঁড়া, কারি, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, সজিনা, টমেটো সস, বারবিকিউ এবং ভিনেগার ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করুন।
৪। কার্বোনেটেড ডিঙ্কস
সোডা থেকে শুরু করে ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটার পর্যন্ত সকল ধরণের কার্বোনেটেড ডিঙ্কসই ব্লটিং এর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই পানীয় গুলোতে বিদ্যমান কার্বন ডাই অক্সাইড পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি করে।
৫। দুগ্ধ জাতীয় খাবার
যদি আপনার শরীর ল্যাকটোজ হজমে অপারগ হয় তাহলে দুধের তৈরি খাবার খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি হয়। ল্যাক্টোজ পাকস্থলীতে পুরোপুরি হজম না হলে কোলনে যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া এগুলোকে ভাঙ্গার জন্য গ্যাস নির্গত করে। যদি আপনার লেক্টোজ অসহনীয়তার সমস্যাটি থেকে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ অন্য খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।
এছাড়াও বন রুটি, বাঁধাকপি, চুইংগাম, আইসক্রিম, সাদা চাল, শতমূলী, ব্রোকলি, আপেল, ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার ইত্যাদি খাবার গুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার মতোই ফ্রুক্টোজের অসহনীয়তার সমস্যা থাকতে পারে কারো কারো। তাই ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম আছে এমন ফল খান। অনেক বেশি শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খেলেও বেলি ব্লটিং হতে পারে।